নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হইতেই আল্লাহ্র বিধানে আল্লাহ্র নিকট মাস গণনায় মাস বারটি; তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, ইহাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। (9:36)
পৃথিবী সৃষ্টির শুরু হতে যদি আল্লাহর বিধানে মাস বারটি হয় তবে কোন নবী কোন মাসে সিয়াম সাধনা করতেন?
‘এখন আমি তোমার প্রতি ওহী করলাম, ‘তুমি একনিষ্ঠ ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর … (১৬:১২৩)। তাহলে ইবরাহীমের রমযান মাস পেলেই আমার জন্য যথেষ্ট।
এছাড়া কুরআন বলছে ‘তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন নূহকে, আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং মতভেদ করো না (৪২:১৩)।
নুহু নবীর অনেক পরে মূসা, মূসা নবীরও অনেক অনেক পরে ঈসা।
ঈসায়ী সাল গণনা অনুসারে মুহাম্মাদ সা: এর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে এবং তিনি হিজরত করেন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে। রাসূল মুহাম্মাদ ইনতেকাল করেন ৬৩২ খ্রিস্টব্দে। মুহাম্মাদ সাঃ এর মৃত্যুর ৭ বছর পর খলিফা ওমর হিজরতকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য হিজরি সন চালু করেন।
কুরআনে দেখুন,হে মু‘মিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে দেওয়া হয়ে ছিল … … … … … … … রমযান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসের সাক্ষ্য দিবে তারা যেন এতে সিয়াম সাধনা করে … … (২:১৮৩, ১৮৫)।‘এই যে মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কেবল কুফরি বৃদ্ধি করা .. .. (৯:৩৭)।
প্রতি বছর হিজরীতে ১১ দিন পিছানো হয় কেন? মুহাম্মাদের সময় ও তাঁর মৃত্যুর পরে (৬:২২ খ্রি:-৬৩৯খ্রি:) মুসলিমরা কোন মাসকে রমযান মাস ধরে সিয়াম সাধনা করত?
হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হইল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হইয়াছিল, যাহাতে তোমরা মুত্তাকী হইতে পার -(২:১৮৩)
সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেহ পীড়িত হইলে বা সফরে থাকিলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করিয়া লইতে হইবে। ইহা যাহাদেরকে সাতিশয় কষ্ট দেয় তাহাদের কর্তব্য ইহার পরিবর্তে ফিদ্য়া – একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা।২:১৮৪
লোকে তোমাকে নূতন চাঁদ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে। বল, ‘উহা মানুষ এবং হজ্জের জন্য সময় নিদের্শক।(২: ১৮৯)