__________ কদর রাত্রিঃ
কদর রাত্রিতে ফিরেস্তাগন, রুহ অর্থাৎ আল্লাহর বিভিন্ন আদেশ নিয়ে অবতীর্ণ হন।
সুরা কদরে ” তানাজজালু মালাইকাতুহু ওয়া রুহ — এর অনুবাদ দাড়ায় ” আমরা অবতীর্ণ করি ফেরেস্তাগনকে এবং রুহকে অর্থাৎ আদেশকে ।
উক্ত সূরার ভিতরে কোরান বলে কোন আরবী শব্দই নেই। আছে মালাইকা এবং রুহ নাযিলের কথা। রুহ এর অনুবাদ কোরান লিখে বুঝানো হল রমজান মাসে কদর রজনীতে কোরান নাযিল হয়েছে।
হেরা গুহায় কোরানের প্রথম যে আয়াত নাযিল হয়েছিল ——-” পড় তোমার প্রভুর নামে ” তা তো রমজান মাস ছিল না।
মক্কা জীবনে ” হে চাঁদর আবৃত ব্যক্তি” আয়াত তো রমজান মাসে অবতীর্ন হয় নি। হয়েছে শাওয়াল মাসে।
এভাবে কোরান বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন মাসে খন্ড খন্ড ভাবে নাযিল হয়েছে বলে ইতিহাস বলে এবং কোরান নিজেও দাবী করে।
প্রকৃত কথা কদর রজনী এমন একটি বরকত ময় রজনী, যে রজনীকে আল্লাহ হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলেছেন। এই রজনীর বিশেষত্ত হল এই যে, সে রজনীতে আল্লাহর ফেরেস্তা গন বিভিন্ন আদেশ সহ অবতীর্ণ হয়। এখানে কোরান নাযিলের কোন উল্লেখ নেই। কোরান বলতে কোন শব্দই নেই উক্ত সুরার কোন আয়াতে।
বরং কোরানের রেফারেন্স অনুযায়ী লাইলাতুল কদর রজনী বছরের যে কোন মাসে যে কোন দিনে হতে পারে। যা আল্লাহ জানিয়ে দেন নাই। তা এজন্য যে মানুষ যেন সারা বছর তা তালাশ করে। আর এ রজনীতে কোরান নাযিলের কোন কথাও আল্লাহ বলেন নাই। এটা মোল্লাদের বানানো কথা। হাদীস ভিত্তিক কথা। যে হাদীসের উক্তি কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক তা কখনোই রাসুলের বাণী নয়। মানব রচিত অনুমান ভিত্তিক বাণী।
ভয়ভীতি আর জান্নাতের শর্টকাট রাস্তার লোভ দেখানো এ দুটোই ধর্মজীবি মোল্লাদের ব্যবসার পুঁজি।
আর সাধারন অজ্ঞ মানুষগুলি এবং দুর্নীতি পরায়ন মানুষ গুলি এ দুটোতেই দুর্বল হয়ে পড়ে মুক্তির আশায়। তাই যুগে যুগে ধর্মজীবির অনুসারী বেশী।
মানব রচিত হাদীস নিয়ে আল্লাহ বলেনঃ “মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য মিথ্যে হাদীস রচনা করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্ প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা – বিদ্রপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি। (31:6)
ধর্মজিবীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ সতর্ক করে বলেনঃ ” হে মু’মিনগণ! আলেম এবং দরবেশগনের মধ্যে অনেকেই তমাদের ধন – সম্পদ অন্যায় ভাবে ভোগ করিয়া থাকে এবং লোককে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে। (9:34)