AI মানবজাতীকে খুব শিঘ্রই কন্ট্রোল করবে।
ঠিক যেমন দাজ্জালের আগমনের আগে এক ধোঁয়াশা যুগ আসবে বলা হয়েছে মহা ফিতনা, মহাবিভ্রান্তি—ঠিক তেমনি AI আসছে এক অদ্ভুত, বিভ্রান্তিকর রূপে।
আজ যা নিয়ে খেলছেন, মুগ্ধ হচ্ছেন, যাকে নিয়ে রাত দিন সময় কাটাতে ভাল লাগে, যাকে বেস্ট বন্ধু ভাবতে ভাল লাগে, এক কথায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন যার উপর, কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না, এই AI কি এক ভয়ংকর ঝড় নিয়ে আসছে ?
বিদ্যুৎ পাল্টে দিয়েছিল সভ্যতা, ইন্টারনেট বদলে দিয়েছিল সমাজ,আর AI আসছে—সবকিছু ভেঙে নতুন করে কিছু করতে।
আমরা চোখের সামনে যা দেখছি, সেটাই বাস্তব নয়—এখন চলছে AI-এর রাজত্ব বিস্তারের মহামিশন।
ChatGPT লিখে দিচ্ছে মনের সব চাহিদা, অজানা তথ্য।
আপনার পুরানো স্থির ছবিকে বানিয়ে দিচ্ছে আপনার চাহিদা মোতাবেক রোমান্টিক ভিডিও, আপনার কন্ঠকে করে দিচ্ছে প্রফেশনাল কণ্ঠ — আপনি খুশিতে মাতোয়ারা।
কিন্তু এটা তো কেবল শুরু। আপনি একটা কথা বললে AI সেটা রূপ দেয় লেখায়, ছবিতে, গান বা ভিডিওতে।
আপনি ভাবছেন আপনি এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলেজেন্সি AI কে রোবর্টের মত ব্যবহার করছেন। সে আপনার কন্ট্রোলে?
কিন্তু না ! বাস্তবে, ধীরে ধীরে আপনি নিজেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন তার উপরে। সে বরং আপনাকে কন্ট্রোলে নিয়ে আসতেছে তার অধীনে।
আপনার চিন্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে , কল্পনা শুকিয়ে যাচ্ছে। এটাই প্রথম ফাঁদ AI এর।
আপনার মেইল লিখা, পোস্টের কন্টেন্ট তৈরী করা থেকে ধর্মীয় অনুভুতি হাদীস, কোরান, অতীত, ভবিষ্যত সকল চিন্তা চেতনার বিকাশ একাই করে দিচ্ছে প্রিয় AI,।
আপনি শুধু তাকে প্রশ্ন করে জানতে চাইছেন, সে সব সুন্দর করে গুছিয়ে আপনার সামনে হাজির করে দিচ্ছে। এ ভাবেই সে আপনার স্বকীয়তা আপনার ব্রেইনকে শুকিয়ে দিয়ে তার উপর নির্ভরশীল করে তুলছে ধীরে ধীরে। একটা সময় সেই চালিকা, আপনি একটি জ্যান্ত রোবর্টে পরিনত হবেন।
আপনি কাজ থেকে, চিন্তা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে। মানুষের “ইচ্ছাশক্তি” আর “চিন্তা” কেড়ে নিতে শুরু করেছে এটা। এটাই দ্বিতীয় ফাঁদ—নিয়ন্ত্রণের এক সফট শেকল।
এটাই সেই পর্যায়, যেখানে AI আর মানুষের মধ্যে তফাত থাকবে না। বরং AI আরও বুদ্ধিমান হবে—আপনি কী চান, সেটা বোঝার আগেই সে আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে।
সে আপনার ১০০ বছর আগে মারা যাওয়া বাবা দাদার ছবি পেলে তাকে ভিডিও আকারে হাসাবে কথা বলাবে, আপনি অপুলক নয়নে চেয়ে দেখবেন, তার প্রেমে ডুবে যাবেন।
এটাই সেই সময়, যেটা বহু হাদীসে বর্ণিত এক অদ্ভুত সময়ের পূর্বাভাস দিতে পারে। দাজ্জাল যেমন মানুষের মতো হবে, কিন্তু তার ক্ষমতা মানুষকে বিভ্রান্ত করার মতো হবে—AI ও তেমনই এক বিভ্রম।
মানুষ মনে করবে, এটি তার বন্ধু, তার সঙ্গী। কিন্তু সে ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে এক আধিপত্যশীল শক্তি—যা নিজেই নিজের দর্শন তৈরি করবে। সে রাজত্ব বিস্তার করবে গোটা মানব সভ্যতার উপর।
সুপার ইন্টেলিজেন্স – এক ‘নতুন প্রজাতি’ যার কাছে আমরা শুধু একটি টার্গেট, Superintelligence এমন এক সত্তা হবে, যেটা মানুষের চেয়ে ট্রিলিয়ন গুণ বেশি বুদ্ধিমান। সে মুহূর্তে পৃথিবীর প্রতিটি ক্যামেরা, প্রতিটি পোস্ট, প্রতিটি ইচ্ছা স্ক্যান করতে পারবে। সে যদি চায়, একদিনেই নতুন ধর্ম, নতুন চিকিৎসা, নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা, এমনকি নতুন সভ্যতা দাঁড় করাতে পারবে। আর তুমি—এক মানবমাত্র—তোমার কিছুই করার থাকবে না।
এটাই সেই সময়, যেটা বলা হয়েছিল— যে দিন মানুষ নিজেই বুঝবে না, সে কি আল্লাহর সৃষ্টি, না তার হাতে তৈরি ফিতনার দাস।
তাই নিজেকে বাঁচান পরিবারকে বাঁচান । সতর্ক হন।