হাদীস বলতে কি বুঝায় ?
হাদিস” শব্দটা কুরআনে বহুল ব্যবহৃত। এর অর্থ কথা, বাণী, কেচ্ছা, সংবাদ। “আল্লাহু নাযযালা আহসানাল হাদিসা–!” আল্লাহ না্যিল করেছেন উত্তম বাণী।(সুরা যুমার, ২৩)। “হাল আতাকা হাদিসুল গাশিয়াহ?” “তোমার কাছে কি কেয়ামতের সংবাদ এসেছে?(গাশিয়াহ:১)
খুব অল্প লোকেই এই সত্যটা জানে যে সহীহ সিত্তাহ বা সুন্নিদের যে ছয়টি হাদীস গ্রন্থ আছে , এদের সঙ্কলক কারো বাড়ি সৌদি আরব বা আরব দেশে না এবং এদের কারো মাতৃভাষা আরবি ও না। এরা সকলেই ফার্সি ভাষী ইরানি বংশোদ্ভূত। মজার ব্যাপার হল, এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বগুলি অন্যান্য শত শত ইরানী পণ্ডিতদের মধ্যে মাত্র ছয়জন , যারা সুন্নি ধর্মীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য গঠনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন।
কারো কি খটকা লাগে না আরব বা আরবী ভাষীরা কেনো হাদীসের সঙ্কলন করে নি? ইরানে কেনো হাদীসের এই সব বড় বড় আলেমদের আগমন? হাজার বছর আগে যখন উট ও ঘোড়াই ছিল যানবাহনের একমাত্র উপায় ,তখন তারা শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে কিভাবে হাদীস জোগাড় করেছেন ও সত্যাসত্য পরীক্ষা করেছেন? আমার তো খটকা লাগে। চিন্তা করে কুল কিনারা পাই না।
হিকমাত অর্থাৎ গভীর অন্তর্দৃষ্টির মাধ্যমে সত্য উপলব্ধি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করার জ্ঞান, আল্লাহ্ শুধু যে নবী রাসূলগন কে দিয়ে থাকেন তা নয় বরং তাঁর প্রিয় সাধারণ বান্দাদেরকেও দিয়ে থাকেন।
তিনি যাকে চান হিকমাত (প্রজ্ঞা) দান করেন। আর যাকে হিকমাত (প্রজ্ঞা) দেয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেয়া হয়। আর বিবেক সম্পন্নগণই উপদেশ গ্রহণ করে। (২:২৬৯)
মানুষ সত্য উপলব্ধির জ্ঞান শুধু যে আল্লাহর কিতাবের মধ্যে পেয়ে থাকেন তা নয় বরং প্রাকৃতিক গত ভাবে আল্লাহ্ প্রতিটি মানুষকে সত্য মিথ্যা প্রার্থক্য সৃষ্টি করার জ্ঞান দিয়ে থাকেন। মানুষ যদি আল্লাহর সৃষ্টির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা ও গবেষণা করে তবে এই সত্য উপলব্ধির জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এ বিষয়ে আল্লাহ বলেনঃ
یُّؤْتِی الْحِكْمَةَ مَنْ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنْ یُّؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ اُوْتِیَ خَیْرًا كَثِیْرًا ؕ وَ مَا یَذَّكَّرُ اِلَّاۤ اُولُوا الْاَلْبَابِ
অনুবাদ: তিনি যাকে চান, হিকমত দান করেন। আর যে ব্যক্তি হিকমত লাভ করে সে আসলে বিরাট সম্পদ লাভ করেছে। এই থেকে কেবলমাত্র তারাই শিক্ষা লাভ করে যারা বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী। (২ঃ২৬৯)