Categories
My text

হাদীসের প্রয়োজনীতা কতটা:

…..কোথা হতে এসেছি — আজ সব গেছি ভুলে

“আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাংগ করিলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করিলাম। (৫:৩)

আল্লাহর এ উক্তি কে যারা অস্বীকার করে তারা আল্লাহর সাথে শুধু কুফরী করে না, পাশাপাশি রেসালতের সাথেও কুফরী করে। তারা নবীর দায়িত্ব পরিপালনের প্রতি মিথ্যাচার করে।

যারা হাদীসকে দ্বীনের অপরিহার্য ঈমানের অংশ দাবী করেন তাদের আকিদা হলোঃ
নবী আমাদের জন্য শুধু কোরান রেখে গেছেন। আর এই কোরান বুঝতে হলে হাদীস লাগবে। কারন কোরানে নমাজ,রোজা,হজ,যাকাতের নির্দেশ থাকলেও বিস্তারিত বলা নেই এবং নিয়ম কানুনের উল্লেখ নাই। তাই হাদীস ছাড়া ইসলাম পরিপুর্ন পালন সম্ভব নয়, এক কথায় অচল।

নবীর দেওয়া কোরানের ব্যাখ্যা পরবর্তিতে ইমাম বুখারী গ্রন্থ আকারে সংকলন করে মুসলিম উম্মাহ কে ধন্য করে গেছেন। যার অনুসরনে আজ আমরা নমাজ কখন কয় রাকাত,কিভাবে পড়তে হবে তা জানতে পারচ্ছি।

নবী জীবিত থাকা অবস্থায় এ ব্যাখ্যা বা তার মুখ নিসৃত হাদীস কোরানের মত সংকলন করে যান নাই বা গুরুত্ত অনুধাবন করেন নাই। পরবর্তি উম্মতের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলে কোরানের মত তার বানী বা হাদীস লিখে যেতেন অথবা সাহাবীদের উপদেশ দিয়ে যেতেন।

প্রশ্ন আসে কতবড় একটা ভুল করে গেছেন নবী ( নাউঃ) অথচ ইসমাইল হোসেন (ইমাম বুখারী সাহেব) এই ল্যাপসেস বুঝতে পেরে নবীজীর মৃত্যুর ২০০ বছর পর জন্ম নিয়েও পরবর্তি উম্মতের জন্য সব নিয়ম কানুন গ্রন্থ আকারে লিপি বদ্ধ করে মুসলিম উম্মাহর দ্বীনকে পরিপুর্ন করে গেলেন। যা আজ পুর্নতা লাভ করে তৃপ্তির সাথে ইসলামের অনুসারী গন পরিপালন করে চলছে। এ হলো সকল আলেম মাশায়েখের অভিমত।

হাদীস বিহীন কোরান মানা বা নমাজ, রোজা ইত্যাদি ইবাদত বন্দেগী করা অসম্ভব বলে আলেম মাশায়েখ দ্বীনের দাঈয়ীদের দাবী।

এ থেকে প্রতীয়মা করতে চায় — ” নবী যা দিয়ে যেতে পারেন নাই, ইমাম বুখারী তা দিয়েছেন।” (নাউঃ) নবী রেখে গেছেন শুধু কোরান। কিন্তু হাদীস লিখিত আকারে রেখে যান নি। অথচ কোরানের ব্যাখ্যা হাদীস। হাদীস না হলে কোরান বুঝা অসম্ভব। দাবী প্রায় সকল আলেম মাশায়েখের। তাদের এ দাবীর পেছনে যুক্তি কোরানে নমাজ,রোজা, হজ, যাকাতের উল্লেখ থাকলেও নিয়ম কানুন বিস্তারিত দেয়া নাই। বুখারী তার হাদীস গ্রন্থের কিতাবে এসব ইবাদতের নিয়ম কানুন বিস্তারিত বলে দিয়েছেন, যে অনুযায়ী সবাই এবাদত করতে পাড়ছে।
তাই আলেম মাশায়েখদের জোড়ালো দাবী কোরানের ব্যাখ্যা হাদীস। হাদীস না হলে কোরান বুঝা অসম্ভব।

স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠে তাহলে ইসলামের পুর্নাঙ্গতায় দায়িত্ত পালনে বড় ভুমিকা কে রেখেছেন? নবী এ সকল ব্যাখ্যা বা তার হাদীস লিখে যান নাই এমন কি পরবর্তি উম্মতের কথা চিন্তা করে কোরানের মত তার বানীকে সংকলনের কোন উদ্যোগ বা পরামর্শও দিয়ে যান নাই।

মহান ইসমাইল হোসেন বুখারী রহঃ তা রচনা করে মুসলিম উম্মাকে ধন্য করেছে যুক্তি অনুযায়ী এসে যায়। তাই তাদের যুক্তির প্রেক্ষিতে বলতে চাই বুখারীর জন্য এবার দরুদ পড়ুন। এত বড় নেয়ামত যে উপহার দিয়েছে।

আর তা না হলে স্বীকার করুন রাসুল সা: দ্বীনের যাবতীয় কর্ম পরিপুর্ণ করে গেছেন তার জীবদ্দশায়। স্মরন করুন সে আয়াতের কথাঃ

” আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাংগ করিলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন মনোনীত করিলাম।’ (৫:৩)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights