Categories
Blog

হাদীসের কুফল

রবের  কুরআনের কথা বললেই হয়ে যাবেন ধর্মের জ্ঞানীদের নিকট অজ্ঞ, মূর্খ,উম্মাদ। ঐ জ্ঞানীরা যে জ্ঞানের কথা বলে তা স্রষ্টার কথার সাথে মিলে না।কবরবাসীকে যেমন কোন কিছু শুনানো যায় না,ঠিক ধর্মের মাদরাসা থেকে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও কুরআনের আয়াত দিয়ে কোন কিছু শুনানো যাবে না।

data-mce-placeholder=”1″>

ধর্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই যুগে যুগে মানুষ নিজেরাই কিতাব লিপিবদ্ধ করে, নবী রাসুল এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের নামে প্রচার করেছেন!

মানুষকে সেই লোকটির অবস্থা পড়ে শুনাও, যাকে আমার আয়াতসমূহ দান করেছি, কিন্তু সে তা পরিত্যাগ করেছে। তারপরে সে ব্যক্তিত্বের চাহিদা শায়ত্বনের পিছনে চলে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। (৭:১৭৫)

অবশ্য সে লোকটি উপযুক্ত হলে এ সব আয়াতের মাধ্যমে তাকে উঁচু আসনে তুলে দিতাম। কিন্তু সে যে অধঃপতনের দিকেই এগিয়ে গেছে। আর নিজের খেয়ালখুশির অনুসরণ করেছে। সুতরাং তার উপমা হচ্ছে ঠিক সেই কুকুরের মতোই। যদি তাকে বোঝা চাপিয়ে দাও, তাহলে জিভ বের করে থাকবে। আর যদি ছেড়ে দাও, তবুও জিভটা বের করেই রাখবে। এই উপমাটি হচ্ছে সেই কওমের সাথে, যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা জানে। অতএব এই বিবরণ মানুষকে বিস্তারিতভাবে শুনিয়ে দাও, যেন তারা চিন্তা করে দেখে। (৭:১৭৬)

৯/৮০ তুমি তাদের জন্য তাওবাহ ইসতিগফার করো কিংবা না-ই করো, এমনকি তুমি যদি তাদের জন্য সত্তর বারও ইসতিগফার করো তবুও আল্লহ্ তাদেরকে মাফ করবেন না। শুধু এই জন্যই যে ওরা আল্লহ্ ও আল্লহ্’র বার্তাবাহক রাসূলের সাথে কুফুরি করেছে। আসলে আল্লহ্ মুক্তমনা ফাসিকুন কওমকে সরল সত্য সনাতন পথ মোটেই দেখান না।

অবশ্যই মুমিনদের উপরে আল্লহ্ এভাবে মেহেরবানি করেছেন, তাদেরই মধ্য হতে তাদেরই জন্য বার্তাবাহক রাসূল প্রেরণ করেছেন। যে তাদেরকে পড়ে শোনাচ্ছে আল্লহ্ তা’আলার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করছে (অপবিত্র মতবাদ থেকে), এবং তাদেরকে লিখিত আল-কিতাব ও বিজ্ঞান শিখাচ্ছে। যদিও অতীত থেকেই তারা প্রকাশ্য গোমরাহীর মধ্যেই কাটাচ্ছিল।(৩:১৬৪)

আর নিশ্চয়ই এই পথই কোরআন আমার সরল পথ; এই পথই তোমরা অনুসরণ করে চলবে, এই পথ ছাড়া অন্য কোন পথের অনুসরণ করবেনা, তাহলে তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে নিবে। আল্লাহ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা সতর্ক হও। (6:153)

(৫৪) আর যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আর এভাবে যেন জানতে পারে যে, নিশ্চয় সত্য জ্ঞান তোমার রবের পক্ষ থেকেই এসেছে। সুতরাং তারা তাতে ঈমান এনেছে, তাইতো তাদের অন্তর এর দ্বারা অবশেষে নরম হয়ে যায়। আসলে আল্লহ্‌ তা’আলাই যে তাদেরকে সত্য পথ দেখিয়ে থাকেন, যারা ঈমান এনে থাকে। (২২:৫৪)

আর অবাধ্য লোকগুলোর অন্তরে কিন্তু তাতে হামেশাই সন্দেহ থাকে, যতক্ষন না তাদের উপরে হঠাৎ বিশেষ সময় (কিয়ামত) এসে যায়। কিংবা তাদের উপরে এমন আযাবের দিন এসে যাবে, যেদিন তারা মুক্তির কোনও পথ খুঁজে পাবে না।  (২২:৫৫)

(১০০) শোন হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কিতাবধারী মুসলমানদের কোনো দলকে মান্য করো, তাদেরকে লিখিত আল কিতাব দান করা সত্বেও, তাহলে তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে আয়াত গোপনকারী কাফিরদের দলে ফিরিয়ে আনবে।  (3:100)

(১০৩) আর তোমরা সবাই আল্লহ্ তা’আলার রজ্জু (কুরআনকে) একত্রে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর, তোমরা ফের্কা ফের্কা হয়ে যেও না, তোমরা স্মরণ করো, আল্লহ্ যে নিয়ামত তোমাদেরকে দান করেছেন, যখন একে অন্যের দুশমন ছিলে, কিন্তু আল্লহ্ তোমাদের মনে আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আল্লহ্ তা’আলার নিয়ামতের ফলে একে অন্যের ভাই-রূপে গণ্য হয়েছো, অথচ তোমরা অগ্নিকুণ্ডের কিনারায় দাঁড়িয়েছিলে। আল্লহ্ তোমাদেরকে তা থেকে বাঁচিয়েছেন। আল্লহ্ এমনি করে বিস্তারিতভাবে নিজের সব আয়াতগুলি তোমাদের জন্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন। যেন তোমরা হিদায়াতের পথে এগিয়ে যেতে পারো। (3:103)

কুরানের প্রকৃত অনুবাদ পড়লে আপনি সহজেই হাদিসের নামে জালিয়াতি বুঝতে পারবেন। দু’ব্যক্তিকে আল্লাহ অতিশয় ঘৃণা করেন। এদের একজন হল সে — ” যাকে মুর্খতা অজ্ঞতা ঘিরে আছে। সে অজ্ঞদের মাঝেই চলাফেরা করে। । সে কোরআন ও সুন্নাহকে পরিত্যাগ পুর্বক নিজের ইচ্ছামত বিধি নিষেধ জারি করে। এভাবে তার অনুরাগীর একটা পরিমন্ডল তৈরী করে নেয় এবং তাদের নিজেদের বানানো ধর্মীয় বিধান জনপ্রিয় করে তুলে। প্রকৃত সে দুষিত পানি দ্বারা তৃষ্ণা নিবারন করে এবং যা অর্জন করে তা অর্থহীন। সাধারন মানুষ তাকে পরহেজগার পন্ডিত মনে করে কিন্তু আসলে সে তা নয়। সত্য জানার মানার তাদের আর কোন আগ্রহ থাকে না। অন্যকেও এপথ অনুসরনের জন্য লোকদের আমন্ত্রন করে থাকে।  ভ্রান্তি ও বিপথ সৃষ্টির হোতা এসব মানুষগুলো  অন্যদের পাপের বোঁঝাও  বহন করবে মর্মে আল্লাহ  কোরআনে বলেনঃ ” নিশ্চয় তারা তাদের পাপের বোঁঝা বহন করবে এবং নিজেদের বোঝার সাথে অন্যের বোঝাও। (২৯ঃ১৩)

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *