আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির সাথে তাঁর সম্পর্ককে তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করে ‘রব্বুন নাস’ (মানবজাতির প্রতিপালক, প্রভু ও বিধানদাতা), ‘মালিকুন নাস’ (মানবজাতির মালিক, শাসক, অধিপতি) ও ‘ইলাহুন নাস’ (মানবজাতির উপাস্য ও তাদের উপর সার্বভৌম সত্তা) হিসেবে প্রকাশ করেছেন। তিনি রব হিসেবে কিতাব বা বিধান নাযিল করেছেন, মালিক হিসেবে ঐ বিধান অনুযায়ী মানুষকে পরিচালনা ও তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচার-ফায়সালা করার জন্য নবী-রসূল মনোনীত করেছেন এবং শেষ নবীর পর মু’মিনদের পরামর্শক্রমে তাদের নেতৃত্বের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে উলিল আমর হিসেবে নির্বাচিত করার ব্যবস্থা দিয়েছেন এবং ইলাহ হিসেবে মানবজাতির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতার জন্য একক বিশ্বকেন্দ্র বা মূল ক্বিবলা হিসেবে কা’বাতুল বাইতুল হারাম বা আল মাসজিদুল হারামকে নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং আল্লাহর একত্ববাদভিত্তিক সংবিধান, সরকারব্যবস্থা ও রাজধানীকে গ্রহণ করার সাথে উলিল আমরের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং যারা আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাব, রসূল ও উলিল আমর এবং আল মাসজিদুল হারাম ও মাসাজিদসমূহকে তাদের সংবিধান, সরকারব্যবস্থা ও সদর দপ্তর হিসেবে গ্রহণ করে সংঘবদ্ধ হবে তারাই বিশ্বজনীন মুসলিম উম্মাহ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তবে যারা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী নয়, তাদেরকে পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি না করে তাদের ধর্মকর্ম পালনের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে
Categories

One reply on “সুরা নাস এ রবের সিফত”
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.