১৮২৯ সনে বেঙ্গল সতীদাহ প্রবিধান (রেগুলেশন XVII) ভারতের তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে সতীদাহ প্রথাকে রহিত করে দিয়েছোন।
এ প্রথা অনুযায়ী স্ত্রীর আগে স্বামী মারা গেলে মৃত স্বামীর চিতার সাথে জ্যান্ত স্ত্রীকেও দহন করা হত। অথচ স্ত্রী আগে মারা গেলে তার চিতার সাথে স্বামীকে দহন করা হতো না।
কি অদ্ভুত নারীর প্রতি ধর্মীয় বৈষম্য !!
এমনি একটি বৈষম্য হাদীস ভিত্তিক ইসলামী আইনে দেখা যায়। যদিও কোরআন তা অনুমোদন করে না।
কোরআন বর্ণিত যেনাকারী যদি বিবাহীত হয় তবে তার শাস্তি নারী এবং পুরুষ উভয়কেই ১০০ বেত্রাঘাত করা, (২৪:২)। আর যেনাকারী যদি অবিবাহীত হয় তবে উভয়কেই তার অর্ধেক। অর্থাৎ ৫০ টি করে বেত্রাঘাত নির্ধারণ করা হয়েছে, (৪:২৫)। কত সুক্ষ আল্লাহর শাস্তি। নারী এবং পুরুষের সম শাস্তির বিধান করেছেন। সাথে যৌন অপরাধ নির্ণয়ে ইসলাম নির্ধারিত বিভাজন রেখা (বিবাহিত-অবিবাহিত) সর্বোৎকৃষ্ট।
কিন্তু হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ’ বেত্রাঘাত ও রজম অর্থাৎ পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড,(সহিহ মুসলিম)। অথচ আল্লাহ কোরআনে এমন শাস্তির কথা উল্লেখ করেন নাই।
সুতরাং পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হাদিস মনে হয় রাসুল সাঃ নিজেও জানেন না। এটা পরবর্তীদের বানানো ভয়ংকর বানোয়াট কুখ্যাত কালো আইন—- যা সনাতন ধর্মের সতীদাহ প্রথাকে হার মানায়।
ইসলামিক চিন্তাবিদদের বিষয়টি ভেবে দেখার দাবী রাখে।
2 replies on “সতীদাহ”
I don’t think the title of your article matches the content lol. Just kidding, mainly because I had some doubts after reading the article.
Thank you for your valuable comments