পেশাব কিভাবে করতে হয়,? পায়খানা করে কিভাবে শৌচ (মুছতে হয়) করতে হয়? (sex) কিভাবে করতে হয়? স্বামীর মন খারাপ থাকলে স্ত্রী কত ঢুক বুকের দুধ খাওয়াবেন? (sex) করার সময় দোয়া না পড়লে (penis) মধ্যে শয়তান ঢুকে যাবে… হাদীসে বর্নিত এ বানী গুলোকে আপনি নবীর বানী বলে মনে করেন। একবারও কি বিবেকের কাছে প্রশ্ন জাগে না যে, উম্মতকে এসব শিক্ষা দিতে আল্লাহ নবীকে কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছেন ?
যে বাণী গুলোকে আপনি নবীর বাণী বলে মনে করেন মুলত সে গুলি শয়তানের বাণী, নবীর নামে প্রচার করা হয়েছে। নবী কখনো অশ্লীল, অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব, অসামাঞ্জস্য কোন কথা কখোনই বলেন নাই বা বলতে পারেন না। কারন তিনি স্বয়ং রব দ্বারা সার্বক্ষন কন্ট্রোলিত ছিলেন। তার প্রমাণ নীচের আয়াতটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
“আমি যদি আপনাকে সতর্ক না করিতাম তবে আপনিতো প্রায় তাদের প্রতি ঝুকেই পড়েছিলেন।”
নবীর সকল বানী কোরানেই লিপি বদ্ধ রয়েছে।
এ উপ-মহাদেশের খৃষ্টান মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসা গুলিতে হাদীসের সিলেবাসে সীমাবদ্ধ রেখে আলেম নামক ইসলামী স্কলারগন তৈরী হতে থাকে। কোরানের উপর গবেষনা বিমুখ এই আলেমগন নিজেদের প্রজ্ঞা বিবেক প্রয়োগ না করে সত্য মিথ্যে যাচাই এর কোন গবেষনা না করে দরসে হাদীসের অর্জিত জ্ঞানকে তৃপ্তির সাথে সোয়াব ও জান্নাত প্রাপ্তীর আমলে সীমাবদ্ধ করে আম-জনতার মগজে ঢুকিয়ে দিতে থাকে যুগের পর যুগ । যা পালন করে সবাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আলেমদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে,লক্ষ্য একটাই পরকালের নাজাতের বিষয়ে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয় আলেমগন ধর্মকে জীবন জীবিকার পথ হিসেবে বেছে নেয়।
শুরু হয় মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ মাদ্রাসার গড়ার প্রতিযোগিতা। কর্মস্থলের সুযোগ বৃদ্ধি ও পরিধি প্রসারের মহা উৎসবে তারা ব্যস্ত হয়ে ইসলামকে পাচটি মৌলিক বিষয়ে সীমাবদ্ধ রেখে জনতাকে কোরান বিমুখ করে তুলে। এতেকরে মানুষ মুল ইসলাম থেকে ছিটকে পরে হুজুর ভিত্তিক দ্বীন ও ধর্ম পালনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে।
ফলে অবস্থা এমন একটি পর্যায়ে দাড়িয় যে সত্যটা কেউ তুলে ধরলে এই আলেম সমাজই আম জনতাকে হায়েনার মত লেলিয়ে দিয়ে ইহুদী-খৃষ্টানের দালাল,কাদেয়ানী, কাফের ইত্যাদি ইত্যাদি ফতুয়া দিয়ে ফাঁসির দাবীতে মিছিল করে। সত্য পরাভুত হয়ে নীরব অশ্রু ঝড়ায় নিগৃহীতে।
