Categories
My text

রাসুল সাঃ কে কটুক্তি

রাসুলের অপমানে দিল্লী মার্চ শয়তানের ইন্দনঃ

শেষ নবীর জীবদ্দশায় নবীকে বহুভাবে আক্রমন করা হয়েছে, সমালোচনা ও কটুক্তি করা হয়েছে – কুরআন কোথাও বলে না এজন্যে রাসূলকে কোন প্রতিশোধ নিতে ।

বরং বলা হয়েছে, তোমাকে যেমন মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, একই ভাবে পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণকেও মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তুমি ধৈর্য্য ধারণ কর। ” আর তারা যদি তোমার প্রতি মিথ্যারোপ করে তবে বলো – আমার কাজ আমার জন্য, আর তোমাদের কাজ তোমাদের জন্য, তোমরা দায়ী নও আমি যা করি সে বিষয়ে আর আমিও দায়ী নই তোমরা যা করো সে বিষয়ে।(১০:৪১)

অতএব তুমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও এবং অপেক্ষা করো, তারাও অপেক্ষা করুক।(৩২ঃ৩০)

নিশ্চয় তোমার পূর্বেও রাসুলদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ/সমালোচনা ও কুটোক্তি করা হয়েছিল, তারপর তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতো তাই তাদেরকে পরিবেষ্টন করলো।’ (২১/৪১)

সুতরাং কিতাবাল্লাহ্ অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি সকল যুগেই রাসূলগণ ঠাট্টা-বিদ্রুপ, সমালোচনা ও কুটোক্তি, মিথ্যারোপ আর অসঙ্গত আচরণের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

নবী-রাসুলদের নিয়ে সমালোচনা ও কুটোক্তি সম্পর্কে কুর’আনের অনেক আয়াত আছে, তবে সমালোচনা ও কুটক্তির জন্য শাস্তির কোনো বিধান দেয়া হয়নি, একটি আয়াতও নেই।

সমালোচনা ও কুটোক্তির জবাবে নবী ও বিশ্বাসীদের প্রতি উপদেশ ছিলো যুক্তি ও ন্যায়বিচারের সাথে কথা বলার, অজ্ঞদের উপেক্ষা করার, শত্রুর প্রতিও শান্তি সূচক সম্বোধনের, ধৈর্যধারণের ও সর্বোপরি আল্লহ’র উপর সোপর্দ করার।

পরিতাপের বিষয় অন্ধ মোল্লাতন্ত্র কুর’আনের শিক্ষা ভুলে নবীর নামে নানা বিভ্রান্তিকর হাদিসের রেফারেন্স দেখিয়ে ইসলাম ও নবীর সম্মান হেফাজতের কথা বলে পালটা ঘৃণা ও সহিংস বিক্ষোভকে বৈধতা দিয়ে থাকে, যা কিনা কুর’আনের শিক্ষা তথা আল্লহ’র নির্দেশের পরিপন্থী।

রাসূলের প্রতি আপনার যে ভালোবাসা – এমন তো না যে তা আল্লাহর চেয়ে বেশী। তাকে সে সময়েও মানুষ গালি দিয়েছে, কুটোক্তি করেছে -এখনো দেয়। তো হয়েছেটা কী ?

আপনি যদি তাকে ভালোবেসে তার শিক্ষা জীবনে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন – তাহলে তাকে গালি দেওয়া মানুষটাও একদিন তার ভুল বুঝবে – এই বিশ্বাস যদি আপনার মধ্যে না থাকে – আপনি সম্ভবত রসূলকে চিনতেই পারেন নি।

রাসূল সাঃ এর কটুক্তিকারীকে হত্যার বিধান কে দিল? আল্লাহ্ অমুসলিদের দেবতা কে গালি দিতে নিষেধ করেছেন। করান এর ফলে তারা অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্ কে গালি দিবে। কিন্তু আল্লাহ্ বলেননি যদি তারা গালি দেয় তবে হত্যা করো।

কুরআনের এতোসব সুস্পষ্ট বিধান বিবৃত থাকার পরও কেউ আল্লাহর রাসূলের নাম ভাঙ্গিয়ে ‘বুখারির সহিহ হাদিসের’ দোহাই দিয়ে বলে উঠবে – মুরতাদকে হত্যা করার দলিল হচ্ছে – নবী (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ধর্ম ত্যাগ করে তাকে হত্যা কর” – এর সবই বাতিল – এগুলো শয়তানি চক্রের তৈরি করা মনগড়া কথা মালা। এসব জমিনে ফ্যাসাত সৃষ্টিকারী শয়তানের অপকৌশল।

3 replies on “রাসুল সাঃ কে কটুক্তি”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights