_______ মোল্লা বনাম আল্লাহঃ
বর্তমানে অধিকাংশ লোকই মোল্লার কথা বিশ্বাস করে কিন্তু আল্লাহর কালামের কথা বললে বিশ্বাস করে না। আল্লাহর কুরআনের প্রকৃত রসূলের সাথে আরবের প্রতারক রসূলের মোকাবিলা ১৪০০ বছর থেকে চলে আসছে যার ফলে ৩ শ্রেণীর মুসলমানেরা কুরআন ছেড়ে ১০ টি হাদিসের দিকে বেটে গেছে। #রবের কুরআনের কথা বললেই হয়ে যাবেন ধর্মের জ্ঞানীদের নিকট অজ্ঞ, মূর্খ,উম্মাদ। জ্ঞানীরা যে জ্ঞানের কথা বলে তা স্রষ্টার কথার সাথে মিলে না। #কবরবাসীকে যেমন কোন কিছু শুনানো যায় না,ঠিক ধর্মের মাদরাসা থেকে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও কুরআনের আয়াত দিয়ে কোন কিছু শুনানো যাবে না। ইসলামের যারা নেতৃত্ব দিবে তারা সুবিধা নেবে কম এবং মানুষকে সুবিধা দেবে বেশি। এই নীতি অনুসরণ করে যিনি সকল ধরনের লোভ লালসার ঊর্ধ্বে থেকে, অর্থ সম্পদের প্রাচুর্য না গড়ে, সকল সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করে, সাধারণ জীবনযাপনকে আদর্শ হিসেবে গ্ৰহন করে, খেয়ে না খেয়ে, দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে বিশ্বের মানুষকে মহা সত্যের দিকে আহবান জানাবেন এবং সকলকে মহা ক্ষতি থেকে বাঁচতে সাবধান সতর্ক করবেন, আল্লাহকে রাজি খুশি করাই যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য তারাই হলেন আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা। ইংরেজি জানলেই শিক্ষিত হয়না ,,,আরবী জানলেই ইমানদার হয়না,,,আমেরিকার মাতৃভাষা ইংরেজি, কিন্তু সেখানে ইংরেজিতে কথা বলা বহু মূর্খ্য অশিক্ষিত আছে,, তেমনি সৌদির মাতৃভাষা আরবি, সেখানেও বহু কাফের, মুনাফেক,মুশরিক আছে,, তাই সৌদি আরব ইসলামের মানদণ্ড নয়, ইসলামের মানদণ্ড একমাত্র আল কুরআন ও কাবা ,,, নিজের মাতৃভাষায় কুরআন মানুন,পড়ুন, বুঝুন,আমল করুন ও প্রচার করুন। রবের শান্তির রাজ্যে যারা সত্য বুঝে, সত্য মানে তারাই জ্ঞানী, তারাই শিক্ষিত। কুরআন পরিতাজ্যের কারণে ই হুজুর ইমাম সাহেবের টিফিন ক্যারিয়ার সবার বাড়ি বাড়ি যায়,সুদখোর,ঘুষখোরসহ সবার বাড়ির খাবারই হুজুরের ঘরে চলে আসে। ঐ একই টাকায় বেতনে হুজুর খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে আর বলে সুবহানাল্লাহ। যারা সত্য বলে না ও সত্য ধারণ করতে পারে না তারাই পথভ্রষ্ট শয়তানের দোসর। আল্লাহকে কেউ সরাসরি দেখতে পায় না, কিন্তু তাঁর হুকুমে শিরধার্য্য,এখন তাঁর হুকুম আমরা কোথায় পাবো? অবশ্যই তাঁর মনোনীত সমগ্র মানব জাতির জন্য নাজিল কৃত স্বীয় কালাম আল-কিতাব,(কুরআন)। তাঁর কুরআনের সাথে শরিক করা আর তাঁর হুকুমে শরিক করা কোনো তফাৎ নেই। ১৮/২৬ ১৮/১১০ ৪/৪৮ ৫/৭২ . যারা আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী জীবনের সকল কাজ কর্ম ফয়সালা করে না বরং আরব্য প্রফেটের,বুখারীর ও লিংকনের বিধান দ্বারা ফায়সালা করে,তারাই তো আয়াত গোপনকারী কাফের, অপরাধী জালেম এবং মুক্তমনা ফাসেক লোক। (৫/৪৪) আমিই তো তাওরাত (বিশেষ আইন) নাজিল করেছি। তাতে সঠিক পথের বিবরণ ও আলো মওজুদ রয়েছে। তাওরাত অনুসারে ফায়সালা দিবে- সকল (বিশেষ খবরদাতা) নবীগণ, যারা আল্লহ্ তা’আলার মুসলিম তারাও ফায়সালা দিবে হিদায়াতের দাবীদার ইয়াহুদীদেরকে, আর যারা রব্বানীয়ুন (যারা নিজেদেরকে রবওয়ালা দাবী করে) এবং আহ্বারদেরকে (যারা ধর্ম গুরু ও ভদ্র অফিসার সাজে) কারণ, তাদেরকে আল্লহ্ তা’আলার লিখিত আল কিতাবের হিফাজতকারী রূপে নিযুক্ত করা হয়েছে এবং তারা তার সত্যতা প্রমাণকারী শহীদ হিসেবেই রয়েছে। সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করবে না মোটেই, আর শুধু আমার (শাস্তিকেই) ভয় করবে। আর আমার আয়াতসমূহের বিনিময়ে সামান্য মূল্য তোমরা গ্রহণ করবে না। আল্লহ্ যে বিধান পাঠিয়েছেন সে অনুসারে যে বিচারকেরা বিচার করে না, এমন-ধারার বিচারকেরাই তো আয়াত গোপনকারী (কাফির)। (৫/৪৫) আর মানুষের জন্য আমি আইনে (তাওরাতে) নির্দেশ লিখে দিয়েছি জানের বদলে জান (নাফসা বিন নাফসি), চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত আর সব রকমের জখমের কিসাস তথা বদলা ঠিক এই হিসেবে। কিন্তু যদি কেউ তা সদাকাহ (মাফ) করে দেয়, তবে সেটা তো তার জন্যে কাফফারা (দাবী অনুযায়ী প্রতিদান) হিসেবে গণ্য হবে। যে বিচারকেরা আল্লহ্ তা’আলার নাজিল করা বিধান মোতাবেক ফায়সালা দেয় না, এমন-ধারার বিচারক সমাজই তো (দুর্নীতিবাজ) জালিম। (৫/৪৭) আর ইনজীলধারীদের উচিত আল্লহ্ ইনজীলেও যেসব নির্দেশ দান করেছেন, সে অনুসারেই ফায়সালা করা। #আমাদের দেশে কুরআন শিক্ষার নামে, আরবি বর্নমালা শেখায়, কিন্তু অর্থ শেখায় না, যার কারনে কুরআন তাদের জীবনে কোনো কাজে আসে না, (৭/১৭৫) মানুষকে সেই লোকটির অবস্থা পড়ে শুনাও, যাকে আমার আয়াতসমূহ দান করেছি, কিন্তু সে তা পরিত্যাগ করেছে। তারপরে সে ব্যক্তিত্বের চাহিদা শায়ত্বনের পিছনে চলে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।(৭/১৭৬) অবশ্য সে লোকটি উপযুক্ত হলে এ সব আয়াতের মাধ্যমে তাকে উঁচু আসনে তুলে দিতাম। কিন্তু সে যে অধঃপতনের দিকেই এগিয়ে গেছে। আর নিজের খেয়ালখুশির অনুসরণ করেছে। সুতরাং তার উপমা হচ্ছে ঠিক সেই কুকুরের মতোই। যদি তাকে বোঝা চাপিয়ে দাও, তাহলে জিভ বের করে থাকবে। আর যদি ছেড়ে দাও, তবুও জিভটা বের করেই রাখবে। এই উপমাটি হচ্ছে সেই কওমের সাথে, যারা আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা জানে। অতএব এই বিবরণ মানুষকে বিস্তারিতভাবে শুনিয়ে দাও, যেন তারা চিন্তা করে দেখে। (৭/১৭৭) যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা জানবে, তাদের উদাহরণ বড়ই জঘন্য। তারা তো জুলুম করে নিজেদেরই ক্ষতি করে থাকে। (৭/১৭৮) যে আল্লহ্ তা’আলার হিদায়াত চায়, সেই হিদায়াত পায়। আবার যে পথভ্রষ্ট হতে চায়, সেই তো ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (১৫/৮৭) আমিই তো তোমাকে সাতটি পুনরাবৃত্তিশীল (সুরা ফাতেহা ও সাত চক্করের তওয়াফ) আর পঠিত মহান কুরআন দান করেছি। (১৫/৮৮) তুমি সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ করবে না, আমি যা কিছু তাদের ভোগ দখলের জন্য দিয়েছি। তাদের মধ্যে নানা শ্রেণীর লোক রয়েছে। তাদের জন্য তুমি শোকার্ত হবে না, আর মুমিনদের জন্য তোমার বাহু এগিয়ে দিবে। (১৫/৮৯) আর তুমি ঘোষণা করো! আমি তো সুস্পষ্ট সতর্ককারী।(১৫/৯০) যেভাবে আমি বিভক্তকারীদের (শিয়া,সুন্নি,সালাফিদের) উপরেও নাজিল করে থাকি। (১৫/৯১) যারা এই পঠিত কুরআনকে (৩০,৪০,৯০ পারায়) বিভক্ত করে রেখেছে। (১৫/৯২) তোমার রবের কসম! অবশ্যই তাদের সবাইকে আমি জিজ্ঞাসা করবো,(১৫/৯৩) যেসব কাজ তারা করেছে। ৯/৮২ সুতরাং এখন ওরা কিছুটা হেসে নিক, ওদেরকে তো অনেক বেশি কাঁদতে হবে। সেই সব কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ওরা যা কিছু করেছে। ৯/৮০ তুমি তাদের জন্য তাওবাহ ইসতিগফার করো কিংবা না-ই করো, এমনকি তুমি যদি তাদের জন্য সত্তর বারও ইসতিগফার করো তবুও আল্লহ্ তাদেরকে মাফ করবেন না। শুধু এই জন্যই যে ওরা আল্লহ্ ও আল্লহ্’র বার্তাবাহক রাসূলের সাথে কুফুরি করেছে। আসলে আল্লহ্ মুক্তমনা ফাসিকুন কওমকে সরল সত্য সনাতন পথ মোটেই দেখান না। কোরআন কারো বাপ দাদার সম্পত্তি নয় যে যার মত বুঝবে আর পন্ডিতী করবে। কোরআন বুঝতে হলে রবের রাসুল এর ছাত্র হতে হবে। (3/164) অবশ্যই মুমিনদের উপরে আল্লহ্ এভাবে মেহেরবানি করেছেন, তাদেরই মধ্য হতে তাদেরই জন্য বার্তাবাহক রাসূল প্রেরণ করেছেন। যে তাদেরকে পড়ে শোনাচ্ছে আল্লহ্ তা’আলার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করছে (অপবিত্র মতবাদ থেকে), এবং তাদেরকে লিখিত আল-কিতাব ও বিজ্ঞান শিখাচ্ছে। যদিও অতীত থেকেই তারা প্রকাশ্য গোমরাহীর মধ্যেই কাটাচ্ছিল। (৬/১৫৩) আর নিশ্চয়ই এই পথই কোরআন আমার সরল পথ; এই পথই তোমরা অনুসরণ করে চলবে, এই পথ ছাড়া অন্য কোন পথের অনুসরণ করবেনা, তাহলে তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে নিবে। আল্লাহ তোমাদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন তোমরা সতর্ক হও। ডজন ডজন আয়াত আছে সরল পথ কোরআন, পীর নয়। (৩৩:৬৬) যেদিন আগুনের মধ্যে আগুনের বাসিন্দাদের চেহারা ওলট পালট করা হবে, সেদিন ওরা বলবে, হায়! আমরা যদি আল্লহ্ তা’আলার অনুগত হতাম, আর আমরা যদি বিশেষ বার্তাবাহক রাসূলের অনুগত হতাম! (৩৩:৬৭) তারা একথাও বলবে, হে আমাদের রব! আমরা তো আমাদের সাদাত তথা পীরদের ও কুবারা তথা নেতাদের কথাই মেনে চলেছি। তাই তো আমরা (কুরআনের) পথচ্যুত হয়েছি।(৩৩:৬৮) হে আমাদের রব! আপনি ওদেরকে দ্বিগুণ আযাব দিন। আর ওদেরকে চরম অভিশাপ দিন।
বিচার দিবস নিয়ে কুরআনের শত্রুদের ১০টি মনগড়া স্যাটানিক হাদিস ২২/৪৯-৫৭ (৪৯) তুমি ঘোষণা করে দাও! শোন, হে মানব জাতি! আমি তোমাদের জন্যই সুস্পষ্ট সতর্ককারী। (৫০) সুতরাং যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করতে থাকবে, তাদের জন্যই তো ক্ষমা ও সম্মানজনক রূজি মওজুদ রয়েছে। (৫১) আর যারা আমার আয়াতসমূহকে হেয় প্রমাণ করার জন্য চেষ্টা পাচ্ছে, তারাই তো সংকীর্ণ জায়গার যাতনার সাহাবী। (৫২) তোমার আগে (বিশেষ বার্তাবাহক) রাসূল ও (বিশেষ খবরদাতা) নবীদের মধ্যে যাদেরকে পাঠিয়েছি, তারা যখন নিজেদের আকাঙ্ক্ষা পেশ করতো, তখন ব্যক্তিত্বের চাহিদার পূজারী শায়ত্বন তাদের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে বাধা প্রদান করতো। কিন্তু ব্যক্তিত্বের চাহিদার পূজারী শায়ত্বনের বাধাকে দূর করে আল্লহ্ নিজের আয়াত মজবুতভাবে কায়েম করে থাকেন। আসলে আল্লহ্ হলেন মহাজ্ঞানী ও মহা-বৈজ্ঞানিক। (৫৩) যেন এভাবে যাদের মনে ব্যাধি রয়েছে, তাদেরকে পরীক্ষা করা যায়। আর যাদের মন কঠিন হয়ে গেছে শায়ত্বন যা কিছু ছড়িয়েছে তাতে। আর নিশ্চয় অত্যাচারী জালিমরা শায়ত্বনের পথে অনেক দূরেই চলে গেছে। (৫৪) আর যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, আর এভাবে যেন জানতে পারে যে, নিশ্চয় সত্য জ্ঞান তোমার রবের পক্ষ থেকেই এসেছে। সুতরাং তারা তাতে ঈমান এনেছে, তাইতো তাদের অন্তর এর দ্বারা অবশেষে নরম হয়ে যায়। আসলে আল্লহ্ তা’আলাই যে তাদেরকে সত্য পথ দেখিয়ে থাকেন, যারা ঈমান এনে থাকে। (৫৫) আর অবাধ্য লোকগুলোর অন্তরে কিন্তু তাতে হামেশাই সন্দেহ থাকে, যতক্ষন না তাদের উপরে হঠাৎ বিশেষ সময় (কিয়ামত) এসে যায়। কিংবা তাদের উপরে এমন আযাবের দিন এসে যাবে, যেদিন তারা মুক্তির কোনও পথ খুঁজে পাবে না। (৫৬) একমাত্র রাজত্ব, সেদিনও তো শুধু আল্লহ্ তা’আলারই থাকবে। তাদের মধ্যে আল্লহ্ তা’আলাই ফায়সালা করবেন। সুতরাং যারা ঈমান আনবে আর সংশোধনের কাজও করে আসবে, তারাই তো নানাবিধ নিয়ামতে ভরপুর জান্নাতে থাকবে। (৫৭) আর যারা কাফির হয়ে অমান্য করবে, আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রমাণ করবে, তাদের জন্য তো চরম অপমানজনক আযাব রয়েছে। দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যয়।
বিপরীতে হাদীস গুলো___ ১) (মিশকাত ৫২৯৮)মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন সমবেত হবে।। ২) (বুখারী–মুসলিম)কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ পাবে না। ৩) (মিশকাত ৫৩০২) প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন লোক জাহান্নামী বলে ঘোষিত হবে। ৪) (বুখারী ৪৭৪১) ঐ দিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমন কি ঘাম তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছাবে। ৫) (বুখারী) সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং মানুষের আমল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে। ৬) (বুখারী–মুসলিম মুমিনদের হিসাব হবে মুখো মুখি। ৭) (মিশকাত) যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করা হবে সে ধ্বংস হবে। ৮) (মিশকাত ৫৩১৫) সে দিনের সময়সীমা হলো ৫০ হাজার বছরের সমান। ৯) (মুসলিম–মিশকাত ১৭৭৩) তবে ঐ দিন মুমিনদের জন্য একটি ফরজ সালাত আদায়ের সময়ের ন্যায় মনে হবে। (বাইহাকি–মিশকাত ৫৫৬৩) ।
ইসলামকে বুখারীর ধর্ম বানিয়ে আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থাপনা থেকে মানুষকে দূরে সরে নিয়ে গিয়েছে ফলে ১৪০০ বছর থেকে বিশ্বের শিয়া সুন্নি সালাফি মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কাছে তুচ্ছ।
কেননা_ইসলাম_হচ্ছে_দ্বীন_ধর্ম_নয়। অথচ দ্বীন ইসলাম, ইসলাম ধর্ম হওয়ার কারণে গোটা বিশ্বে মুসলমানদের আজ এত ভোগান্তি এবং বিভিন্ন দল মতে বিভক্ত, ফলে তারা শান্তি পূর্ণ সমাজ পরিবার এবং রাষ্ট্র গঠন থেকে বিমুখ হয়ে অন্যের মুখাপেক্ষী এবং উপাসনায় মগ্ন।
#কোরআন হচ্ছে মানবজাতির জীবন ব্যবস্থাপনার জন্য পথ নির্দেশনা, অথচ মুসলমানরা এটাকে বানিয়েছে উপাসনা এবং আরবিতে লম্বা সুর করে তেলাওয়াত করার বই! সমাজ থেকে নাস্তিকতা এবং ধর্মান্ধতা দূর করার জন্য, আমাদের কুরআনের উত্তম পন্থায় যুক্তি ও বাস্তবতা দিয়ে আলোচনা করা দরকার।
বিশ্বে প্রচলিত ধর্মগ্রন্থ গুলোর কারনে নাস্তিক হওয়াটা দোষের কিছু নয়, কেননা প্রচলিত এই সমস্ত ধর্মের সাথে বাস্তবতার সাংঘর্ষিকতা রয়েছে, তবে কুরআনের মূল মেসেজের বিষয়টা ভিন্ন, কেননা কোরআন হচ্ছে মানুষের জন্য উপদেশ এবং সতর্কবাণী, যা মানুষের জীবন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
#অযোগ্য ব্যক্তিরা সম্পদ এবং ক্ষমতার অধিকারী হলে, দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণ হয়ে দাঁড়ায়।
মানুষের আদালতে রয়েছে আইন রয়েছে বিচার ব্যবস্থা, তবু কজন পেয়েছেন সঠিক বিচার, কয়জন করেছে ইনসাফ? কেউ মারছে কেউ মরছে, জালিমের অত্যাচারে মজলুমরা কাঁদছে, ধর্ষকদের আনন্দ উল্লাসে ধর্ষিতাদের চিৎকার কত মা বোন হারিয়েছে জীবন নির্বিচারে হায়, এটাই কি তবে শেষ সমাধান? মানুষের কৃতকর্মের শেষ বিচার হবে, নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় মজলুমরা বিচার পাবে। মুক্ত মানুষ মুক্ত চিন্তায় হয়ে পশুদের মত স্বভাব বানিয়ে নিয়েছে।
১৬/৯০কুরআনের মূল মেসেজ সঠিকভাবে না জানার কারণে কেউ হয় ধর্মান্ধ,কেউ হয় নাস্তিক,অথবা কেউ পাপ কাজে করে সীমালংঘন।
#পাপ হচ্ছে ময়লার মতো, ময়লা যেমন দেহের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। ঠিক তেমনি পাপ মানুষের সুন্দর মন মানসিকতাও নষ্ট করে দেয়।
#মানব জাতির মুক্তি ও সফলতার পথ ধর্মে নয়। পৃথিবীতে কোন ধর্মই মানবজাতিকে মুক্তি এবং সফলতার পথ দেখিয়ে দিতে পারিনি, বরং ধর্মের নামেই মানবজাতির মধ্যে চলছে গৃহযুদ্ধ, দাঙ্গা হাঙ্গামা, ফ্যাসাদ প্রতিহিংসা অহংকার, মতানৈক্য বিভেদ ও দলমত।
#কি_দেখছি_আর_কি_শুবছি মুসলমান ঘরে জন্ম নিলে যদি জান্নাত পাওয়া যায়! তবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঘরে জন্ম নিলে জাহান্নামী কি করে হয়? স্রষ্টা তো একজন, তবু একই স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষের ভিতরে কেনো এত মতানৈক্য? কেউ তাকে ডাকে মসজিদে কেউ বা মন্দিরে, কেউ ডাকে তাকে গির্জায়,আসলে তিনি কোথায়? ধর্ম যদি সত্য হয় তবে এত কেন ভেদাভেদ, কোন ধর্মই সত্য নয় এটাই তার প্রমাণ।
#ধর্ম অস্বীকার করা মানে সত্য অস্বীকার করা নয়, তবে প্রচলিত এই সমস্ত ধর্মের সাথে কোরআনের কোন সম্পর্ক নেই, এছাড়া প্রচলিত ইসলাম এবং মুসলমান শিয়া সুন্নি সালাফিদের সাথেও কোরআনের কোন সম্পর্ক নেই, কোরআন সম্পূর্ন আলাদা একটা কিতাব যা সমস্ত মানবজাতির জন্য, আর তাইতো যারা এক স্রষ্টাকে বিশ্বাস করবে এবং নিজেদের কর্ম সংশোধন করে সৎকর্ম করবে, কোরআনের ভাষায় তারাই সুপথপ্রাপ্ত, তারাই সফলকাম,তারাই শান্তিকামী এবং তারাই জান্নাতি।
(৩:১০০) শোন হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কিতাবধারী মুসলমানদের কোনো দলকে মান্য করো, তাদেরকে লিখিত আল কিতাব দান করা সত্বেও, তাহলে তারা তোমাদেরকে ঈমান আনার পরে আয়াত গোপনকারী কাফিরদের দলে ফিরিয়ে আনবে।
(৩:১০১) তোমরা কেমন করে অবাধ্য হবে? যখন তোমাদেরকে আল্লহ্ তা’আলার আয়াত পড়ে শোনানো হচ্ছে। আর তোমাদের নিজেদের ব্যক্তিত্বের মধ্যেই আল্লহ্ তা’আলার বার্তাবাহক রাসূল মওজুদ রয়েছে। যে কেউ মজবুতভাবে আল্লহ্ তা’আলাকে আঁকড়ে ধরে, তাকে সু-প্রতিষ্ঠিত পথের দিকে হিদায়াত করে দেওয়া হয়।
(৩:১০২) তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোন! সবাই তোমরা আল্লহ্ তা’আলার তাকওয়া অর্জন করো, সত্যিকার অর্থে আল্লহ্’র তাকওয়া। তোমরা আর কোনো অবস্থায় মরবে না, মুসলিমূন নামে ছাড়া।
(৩:১০৩) আর তোমরা সবাই আল্লহ্ তা’আলার রজ্জু (কুরআনকে) একত্রে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর, তোমরা ফের্কা ফের্কা হয়ে যেও না, তোমরা স্মরণ করো, আল্লহ্ যে নিয়ামত তোমাদেরকে দান করেছেন, যখন একে অন্যের দুশমন ছিলে, কিন্তু আল্লহ্ তোমাদের মনে আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আল্লহ্ তা’আলার নিয়ামতের ফলে একে অন্যের ভাই-রূপে গণ্য হয়েছো, অথচ তোমরা অগ্নিকুণ্ডের কিনারায় দাঁড়িয়েছিলে। আল্লহ্ তোমাদেরকে তা থেকে বাঁচিয়েছেন। আল্লহ্ এমনি করে বিস্তারিতভাবে নিজের সব আয়াতগুলি তোমাদের জন্য বুঝিয়ে দিচ্ছেন। যেন তোমরা হিদায়াতের পথে এগিয়ে যেতে পারো।
(৭/৩৫) শোন হে মানব সন্তান! যখন তোমাদের কাছে আমার সকল বার্তাবাহক রাসূলগণ তোমাদের মধ্য হতে আসবে আর তোমাদেরকে আমার আয়াতসমূহের সাথে সম্পর্ক জুড়ে দিবে, তখন যে কেউ মুত্তাকী হবে, শুধরে নিবে, তাদের জন্য কোনও ভয় থাকবে না, আর তারা আদৌ শোকার্ত হবে না।
(৭/৩৬) কিন্তু যারা আমার আয়াতসমূহ মিথ্যা জানবে, অহংকারের সাথে সে সব অমান্য করবে। এমন সব মিথ্যুক এবং অহংকারীরা আগুনের সাহাবী হবে। সেইখানে ওরা চিরকাল থাকবে।
(৫/১৯) হে কিতাবধারী মুসলমানগণ! তোমাদের কাছে আমার বার্তাবাহক রাসূল এসেছে, এখন তো সে তোমাদেরকে বুঝিয়ে বলছে। সকল বিশেষ বার্তাবাহক রাসূলগণের আগমন ধীরে ধীরে শেষ হওয়ায় যেন তোমরা বলতে না পারো যে, আমাদের কাছে তো কোন সুসংবাদ দাতা আসেনি। কোনো সতর্ককারীও আসেনি। তাই এখন তো তোমাদের কাছে সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী এসে পড়েছে। আসলে আল্লহ্ তো সকল বিষয়ের উপর কুদরত রাখেন।
#যেই নারী-পুরুষেরা, লম্বা দাড়ি-টুপি জুব্বা পাগড়ি এবং মুখ ঢাকা বোরকা হাত’মোজা ও পা’মোজা পরবে তারাই হলো প্রফেট বুখারীর ভক্ত।
#সাধারণ মানুষ তাদেরকেই প্রকৃত মুসলিম মনে করে, যদিও তাদের অনেকে অশ্লীল এবং অন্যায় কাজে জড়িত থাকে। অথচ যারা এই সমস্ত বিষয়গুলোর সাথে সংযুক্ত নেই কিন্তু তারা ঈমানের সাথে কর্ম সংশোধন করে সৎকর্ম করে, তাদেরকে এই সমাজ কাফের মনে করে, কেননা ধর্মের মূল শিক্ষা হচ্ছে লেবাস এবং উপাসনা।
কিন্তু আমরা যদি কোরানের প্রবেশ করি তাহলে দেখব ধর্মের এই লেবাস এবং মনগড়া উপাসনার সাথে কোরআনের কোন সম্পর্ক নেই, কেননা কোরআন হচ্ছে মানুষের জীবন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থার গাইডলাইন, কোরআনের ভাষায় ২/১৮৫ ১৭/৯ কোরআনের মূল কাজ হচ্ছে মানুষের জীবন ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া। ৩/১৯ ৫/৩
#আর আমরা শান্তিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এবং সুস্থ বিচার ব্যবস্থা ও আল্লাহর বিধানের কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়া বলতে লেবাস এবং মনগড়া উপাসনা বুঝে থাকি, এজন্যই আজ সমাজের এই দুরবস্থা।
কেননা এই সমাজে লেবাসধারী হাজী এবং নামাজী ব্যক্তিদের অভাব নেই, শুধু অভাব হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশিত বিধান দ্বারা কর্ম সংশোধন করে সৎকর্ম করা ব্যক্তিদের, যারা ব্যক্তি পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রে আল্লাহর দেয়া আইন বিধান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে।
এজন্যই সমাজে ধর্মব্যবসা, দুর্নীতি, খাদ্যে ভেজাল মিশানো সহ নানান অপকর্মের প্রতিযোগিতা চলছে, ফলে সমাজে আর্থিক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা আজও রয়ে গিয়েছে, অথচ কোরআন এসেছিল মানবজাতির এই সমস্যার অবকাশ ঘটিয়ে তাদেরকে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন ব্যবস্থার পথ দেখিয়ে দিতে।
#অথচ মানুষ আল্লাহর দেয়া দ্বীন অর্থাৎ জীবন ব্যবস্থাপনা বাদ দিয়ে মানুষের তৈরি লেবাস এবং উপাসনা গ্রহণ করেছে, এজন্য এরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসেবে মানে কিন্তু বিধান দাতা হিসেবে নয়। আর এদের সম্পর্কে কোরআন বলে, ৪৩/৮৭ আর এজন্যই আল্লাহ কুরআনে অভিযোগ করেছেন, ২/৮-১২ ৪৩/১৫ .
#হাদিসকে কুরানের মানদণ্ডে যাচাই করতে হবে। আর কুরানের মানদন্ডে যাচাই করলে আপনি হাদিসের অসাড়তা বুঝতে পারবেন। এই হাদিস তৈরি কারীরাই কুরানের অর্থকে বিকৃত করেছে। কুরানের প্রকৃত অনুবাদ পড়লে আপনি সহজেই হাদিসের নামে জালিয়াতি বুঝতে পারবেন। আল-কোরআন হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠকের নিকট পাঠানো অহি। ৪২/৫১,৫২
যারা বলে কুরানের আয়াতের পরিবর্তন হতে পারে তারা হয়ত ওহীর সংজ্ঞা জানে না। এবং তারা হয়তো যানেনা কুরান আল্লাহর পক্ষ থেকে আক্ষরিক শব্দ নয় বরং সার্বজনীন তথ্য, বাস্তব সত্য, প্রকৃতির নিয়ম, ঘটনা এবং প্রাকৃতিক ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা যা কোনো ভাষার আক্ষরিক শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ২৫/৩৩
এই বিশ্বজগত একটি সুনির্দিষ্ট স্বয়ংক্রিয় নিয়মে চলে। যাকে আমরা প্রকৃতির নিয়ম বলি। এই প্রকৃতির নিয়মই হলো স্রষ্টার বিধান বা কালিমাতুল্লাহ। এই বিধানের কোন পরিবর্তন নাই কোন পরিবর্ধন নাই।(6:115) لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِ কুরান হল প্রকৃতির ভাষা। প্রকৃতির নিয়মে সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন নেই। সমস্ত ভাষার শব্দ সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। বিশেষ করে অন্যান্য ভাষার প্রভাবের কারণে। তাই ভাষার আক্ষরিক শব্দের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে পরিবর্তিত হয় । কিন্তু সত্য, প্রকৃতির নিয়ম ও ফলাফল কখনও পরিবর্তিত হয় না। তাই অহি আল্লাহর আক্ষরিক কালাম নয় বরং আল্লাহর বিধি-বিধানের ফলাফলের ব্যাখ্যা, যা সর্বদাই অপরিবর্তনীয়, বাস্তব এবং প্রামাণিত সত্য, যা নবী রাসূলগণ তাদের নিজস্ব আক্ষরিক শব্দে এবং তাদের নিজস্ব ভাষায় প্রকাশ করে, প্রচার করার জন্য লিখেছেন। তাই কেউ কোরআনে কোন পরিবর্তন আনতে চাইলে বা তাদের নিজস্ব মতবাদ প্রচার করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাদের এই পরিবর্তনকে সংশোধন করার জন্য তাই আল্লাহ তাআলা সর্বযুগে নবী রাসূলগনকে পাঠান।
আল কুরানের ৪২:৫১ নং আয়াতে কুরআন নিজেই নিশ্চিত করে যে অহী আল্লাহর আক্ষরিক বাণী নয় বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি অনুপ্রেরণা। তাই, কুরআন বা অন্যান্য অহির মতো ওহীর লিখিত স্ক্রিপ্ট রক্ষা করার জন্য আল্লাহর কোন দায়িত্ব নেই তবে তিনি সর্বদা তাঁর নিয়ম এবং তাদের প্রয়োগ বা অনুশীলন রক্ষা করেন যাতে আপনি কোন পরিবর্তন খুঁজে পাবেন না। এগুলো আল্লাহর প্রকৃত শব্দ এবং এগুলো অবশ্যই সুরক্ষিত। আল্লাহ বলেন- কিন্তু তুমি আল্লাহর বিধানের কখনই কোন পরিবর্তন পাবে না এবং তুমি আল্লাহর বিধানের কখনই কোন ব্যতিক্রমও দেখতে পাবে না।(৩৫:৪৩) ।
#বিশ্বাস হল ধর্মের প্রধান হাতিয়ার। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করানোর কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বাস করতে বলা হয়। স্রষ্টাকে উপাস্য বানিয়ে তার মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে স্রষ্টার নৈকট্য লাভের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি বস্তু বা স্থানকে মাধ্যম বানিয়ে, শুরু হয় ব্যাক্তি পূজা যা পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির মূর্তির পূজা আকারে পর্যন্ত প্রকাশ পায়। বস্তুর পূজা আকারে বিভিন্ন প্রাণী, গ্রহ, নক্ষত্র, বা অতি প্রাকৃতিক বস্তু যেমন জিন, ফেরেস্তা ইত্যাদির পূজা করা হয়।
আর বিভিন্ন স্থানকে অতি পবিত্র জ্ঞান মনে করে, ওই স্থানসমূহে অবস্থান করে কোন কিছু চাইলে স্রষ্টা কবুল করবেন, বা মনোবাসনা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করে।
#অথচ আল কোরআন বলছে আল্লাহ কোন উপাস্য নন, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী (৩:২) আল্লাহর মনোরঞ্জনের জন্য কোন কার্যক্রমের দরকার নেই। তিনি সৃষ্টিকুল হতে অমুখাপেক্ষী (১১২:২) তিনি তাঁর সৃষ্ট জগতকে একটি নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতিতে আবদ্ধ করেছেন। অর্থাৎ তাঁর সৃষ্ট জগত একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে (৮৭:২,৩)
যে সকল সৃষ্টি তার নিয়ম তান্ত্রিক পদ্ধতির বাইরে অবস্থান করবে, তাদের ধ্বংস অনিবার্য। যেমন ব্লাকহোল।
আল-কুরআন মুলত মানব জাতির জন্য একটি গাইড লাইন (৪১:৩,৪) সুতরাং মানুষ তার ভালোর জন্যই আল্লাহর বিধানকে অনুসরণ করা উচিত। কিন্ত কিছু মানুষ তাদের স্বার্থে আল্লাহর বিধানকে বিকৃত অথবা গোপন করে তাদের নিজস্ব মতবাদ তৈরি করে প্রচার করেছে।
#কোরআনকে বুঝতে হলে তৎকালীন আরব সমাজের ধর্মীয় এবং সামাজিক অবস্থা জানা দরকার। পূর্ব যুগে আরবে ধর্ম ছিল পৌত্তলিক (বহুঈশ্বরবাদ), খ্রিস্টান, ইহুদি এবং ইরানী ধর্মের মিশ্রণ।
#আরবীয়দের ধর্ম বহুদেবতায় প্রভাবশালী বিশ্বাস ব্যবস্থা, এবং অন্যান্য অতিপ্রাকৃত সত্তা যেমন জিনের প্রতি অথবা প্রেতাত্মায় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ছিল।
#মক্কার স্থানীয় উপাসনালয়ে দেব-দেবীদের পূজা করা হতো। মক্কা শহরের প্রাচীন উপাসনালয় কাবায় অনেকগুলি মূর্তি রাখা ছিল যেখানে প্রায় ৩৬০ টি মূর্তি ছিল এবং সারা আরব থেকে উপাসকদের আকৃষ্ট করত। 3/96
#পৌত্তলিক ধর্ম :- প্রাক-ইসলামী আরবের প্রধান দেবতা ছিল হুবাল, চাঁদের সিরিয়ান দেবতা। হুবালের তিন কন্যা ১) আল লাত,(মক্কার আরবীয় পুরাণের প্রধান দেবী) ২) আল-উজ্জা এবং ৩) আল মানাত। আল লাত ছিল পাতালের সাথে যুক্ত দেবী। আল-উজ্জা, সর্বশক্তিমান বা শক্তিশালী দেবী, উর্বরতা দেবী, তাকে যুদ্ধের আগে সুরক্ষা এবং বিজয়ের জন্য আহ্বান জানানো হত। মানাত ছিল ভাগ্যের দেবী; বুক অফ আইডলস বইয়ে ইহাকে সমস্ত মূর্তিগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন বলে বর্ণনা রয়েছে। 53/19,20
ওয়াদ ছিল বনু কালবের মূর্তি, সুওয়া রুহাত বাসীর মুর্তি, ইয়াগুছ ছিল বনু গুতাইফ বিন বনু মুরাদের মূর্তি, ইয়াউক ছিল ইয়েমেনের হামাদানের মুর্তি, নসর ছিল হিমায়ারদের মুর্তি। এসকল মুর্তির জন্য তারা সুন্দর সুন্দর ঘর নির্মাণ করত যেগুলোকে তারা কাবা শরীফের মত সম্মান ও শ্রদ্ধা করত। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা দারোয়ানও পাহারাদার নিযুক্ত করত। এগুলোতে তারা হাদিয়া উপঢৌকন পেশ করত। 71/23,24
মুর্তির বা প্রতিমার ইবাদতের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে প্রচলিত কিছু প্রথা ও ঐতিহ্য। তাদের সকল ইবাদত এর ধরন ছিল : ১। তারা এগুলো চারপাশে এসে জড়ো হয়ে বসত। জোরে জোরে তাদেরকে ডাকত। মুসিবতের সময় তাদের সাহায্য সহযোগিতা প্রার্থনা করত। তাদের বিশ্বাস ছিল এগুলো আল্লাহর কাছে তাদের জন্য সুপারিশ করবে, তাদের ইচ্ছা ও অভিরুচি পূর্ণ করবে।
২। তারা এগুলির হজ করত এবং এগুলোর চারপাশে তাওয়াফ করত। তাদের কাছে এসে বিনয়ের সঙ্গে দাঁড়াতো মাথা নত করে এগুলোর পায়ে সালাম ঠুকত করত।
মক্কার তীর্থযাত্রায় আরাফাত পর্বত , মুজদালিফা , মিনা এবং মধ্য মক্কার স্থানগুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে সাফা এবং মারওয়ার পাশাপাশি কাবা অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রথম দুটি স্থানে তীর্থযাত্রীরা উকুফ বা উপাসনায় দাঁড়িয়ে থাকত। মিনায় পশু কোরবানি করা হত। আরাফাত থেকে মুজদালিফা এবং মিনা থেকে মক্কা পর্যন্ত মূর্তি বা মূর্তির দিকে একটি পূর্ব-সংরক্ষিত পথে দলবদ্ধ যাত্রাকে ইজাজা এবং ইফাদা বলা হয়, যা সূর্যাস্তের আগে সংঘটিত হত।
কাবার কাছাকাছি বেটিল অবস্থিত ছিল যা পরে মাকাম ইব্রাহিম নামে পরিচিত হয় ;। আল-হিগর নামক একটি স্থান যাকে পবিত্র প্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত বলে মনে করা হত, একটি সাবায়িয়ান শিলালিপির থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে মুগ্র নামক একটি স্থান এবং জমজমের কূপের কথা পাওয়া যায় যা প্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। সাফা এবং মারওয়া ছিল দুটি উৎসর্গ করার পাহাড়ের নিকটবর্তী, একটিকে বলা হত মুতইম আল তায়ের এবং আরেকটি মুজাউইর আল-রিহ যা আবু কুবাইসের একটি পথ ছিল।
৩। এগুলির উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন কুরবানী ও নজরানা পেশ করত। এগুলির বেদীতে তারা বিভিন্ন পশু বলি দিত। কখনো অন্য কোথাও কুরবানী হলে এগুলো নামে করত।
৪। তারা তাদের পছন্দমতো এগুলোর জন্য তাদের খাদ্য ও পানীয়র একটা অংশ নির্ধারিত করে রেখেছিল। একইভাবে তাদের ক্ষেতের ফসল আর চতুষ্পদ জন্তুর একটা অংশও তাদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
৫। কৃষিজাত ফসলাদি, চতুষ্পদ জন্তুর মধ্যে তাদের জন্য মানত করত। এসকল মূর্তির পাশাপাশি তারা বিভিন্ন পাথরের পূজা করত। তীর নিক্ষেপ করে ভাগ্য নির্ধারণ করত। এটাকে তারা বলত আযলাম। তারা জুয়াখেলায় এই আযলাম ব্যবহার করত। আরবের মুশফিকরা এগুলোর পাশাপাশি গণক আররাফ এবং জ্যোতিষীদের কথায় বিশ্বাস করত। তাছাড়া আরবরা আরও বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাস করত। শিরক ও মূর্তি পূজা ছিল জাহিলি যুগের আরবদের দুটি বৃহৎ ধর্মীয় নিদর্শন।
ইহুদি ধর্মঃ ইহুদি ধর্ম প্রাচীনতম একেশ্বরবাদী ধর্মগুলির মধ্যে একটি। প্রাক-ইসলামিক আরবে ইহুদি উপজাতির একটি সমৃদ্ধ সম্প্রদায় বিদ্যমান ছিল। এতে স্থানীয় এবং যাযাবর উভয় সম্প্রদায়ই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইহুদিরা রোমান আমল থেকে আরবে চলে আসে। আরবীয় ইহুদিরা আরবি এবং সেইসাথে হিব্রু এবং আরামাইক ভাষায় কথা বলত এবং ব্যাবিলোনিয়া ও ফিলিস্তিনের ইহুদি ধর্মীয় কেন্দ্রগুলির সাথে যোগাযোগ ছিল। ইয়েমেনি হিমিয়ানরা ৪র্থ শতাব্দীতে ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল, এবং মধ্য আরবের কিছু কিন্দাহ উপজাতি যারা হিমিয়ানদের অধিনস্থ ছিল, তারাও ৪র্থ/৫ম শতাব্দীতে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। হেজাজে ইহুদি ধর্মান্তরিত দেরকে অন্যান্য ইহুদি এবং অ-ইহুদিরা একইভাবে ইহুদি হিসাবে গণ্য করত এবং পোশাক এবং তাদের খাবারের বিষয়ে ব্যাবিলনীয় রাব্বিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিত। একটি আরব উপজাতি ইহুদি বাসিন্দাদের অধ্যুষিত একটি শহরে বসতি স্থাপনের শর্ত হিসাবে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছিল। ইয়াসরিব তথা মদিনার কিছু আরব মহিলারা তাদের সন্তান বেচে থাকার শর্তে ইহুদি বানানোর মানত করত বলে কথিত আছে, কারণ তারা ইহুদিদেরকে “জ্ঞান ও কিতাব” বলে মনে করত। ঐতিহাসিক ফিলিপ হিট্টি সঠিক নাম এবং উদ্ভাবিত শব্দভাণ্ডার থেকে অনুমান করেছেন যে ইয়াসরিবের ইহুদি উপজাতিরা বেশিরভাগই আরব এবং আরামিয়ান বংশোদ্ভূত ইহুদি গোষ্ঠী নিয়ে গঠিত। ইহুদি কবিলাগুলোর মধ্যে ছিল : বনু খাইবর, বনু নজির, বনু মুস্থালিক, বনু কাইনুকা, ও বনু কুরাইজা।
খ্রিস্টধর্মঃ- ৩২৪ খ্রিস্টাব্দে কনস্টানটাইন বাইজেন্টিয়াম জয় করার পর, খ্রিস্টধর্ম আরবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধান উপজাতি যারা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিল তারা হল হিময়ার, গাসান, রাবিয়া, তাগ’আব, বাহরা, তুনুখ, তাই এবং খুদা’র কিছু অংশ, নাজরানের বাসিন্দা এবং হীরার আরবরা। ঐতিহ্যগতভাবে, ইহুদি এবং খ্রিস্টান উভয়ই ইব্রাহীম,ইসহাক এবং ইয়াকুবের ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। আরবে খ্রিস্টান প্রভাবের প্রধান ক্ষেত্রগুলি ছিল উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে এবং দক্ষিণে ইয়েমেন। উত্তর-পশ্চিম ছিল রোমান সাম্রাজ্যের খ্রিস্টান মিশনারী কার্যকলাপের অধীনে,যেখানে রোমানদের একটি রাজ্যের বাসিন্দা ঘাসনিডরা খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। দক্ষিণে, বিশেষ করে নাজরানে, ইথিওপিয়ার লোহিত সাগরের অপর পাড়ে অবস্থিত খ্রিস্টান রাজ্য অ্যাক্সামের প্রভাবের ফলে খ্রিস্টধর্মের একটি কেন্দ্র গড়ে ওঠে। দক্ষিণের ঘাসানাইড এবং খ্রিস্টান উভয়েই মনোফিজিটিজম গ্রহণ করেছিল। খ্রিস্টধর্মের প্রসার ৬২২ খ্রিস্টাব্দে mohammader উত্থানের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যায়।
ইরানি ধর্মঃ
পারস্য উপসাগর ও দক্ষিণ আরবে সাসানিয়ান সামরিক উপস্থিতির কারণে এবং হেজাজ ও ইরাকের মধ্যে বাণিজ্য পথের কারণে
mohammader juge আরবে ইরানী ধর্মের অস্তিত্ব ছিল।
উপদ্বীপের উত্তর-পূর্বে কিছু আরব জরথুষ্ট্রীয় ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং নজদে বেশ কিছু জরথুষ্ট্রীয় মন্দির নির্মিত হয়েছিল ।
বনু তামিম গোত্রের কিছু সদস্য mohammader ধর্ম গ্রহণ করেছিল। আরবে ম্যানিসিইজমের অস্তিত্বের প্রমাণও রয়েছে কারণ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক সূত্র “জান্দাকাস” এর উপস্থিতি নির্দেশ করে।
mohammader juge মক্কায় ম্যানিচেইজম এবং মাজদাকিজমের আবির্ভাব সম্পর্কিত অনুরূপ সংরক্ষণ ট্রম্পফ এবং মিকেলসেন এট আল দ্বারা দেওয়া হয়েছে।
জরথুষ্ট্রবাদ পূর্ব আরবেও ছিল এবং পারস্য-ভাষী জরথুষ্ট্রীয়রা এই অঞ্চলে বাস করত।
খ্রিস্টপূর্ব ২৫০ থেকে শুরু হওয়া এই অঞ্চলে পারস্য সাম্রাজ্যের শাসনের সময় আধুনিক বাহরাইন সহ এই অঞ্চলে ধর্মের প্রচলন হয়েছিল।
এটি মূলত পারস্য বসতি স্থাপনকারীরা বাহরাইনে অনুশীলন করত। আধুনিক ওমানের পারস্য-শাসিত অঞ্চলেও জরথুষ্ট্রবাদের চর্চা ছিল । আধুনিক ইয়েমেনের পারস্য-শাসিত এলাকায়ও এই ধর্মের অস্তিত্ব ছিল । ইয়েমেনের পারস্য বিজয়ী আবনার বংশধররা ছিল জরথুষ্ট্রবাদের অনুসারী।
সামাজিক অবস্থা :
mohammader purber যুগে আরবরা বিভিন্ন গোত্রে দলবদ্ধ হয়ে বাস করত। সামান্য বিষয়ে গোত্র গুলোর মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকত।
mohammader আগে আরবে প্রচলিত প্রথাগত উপজাতীয় আইনে আনুযায়ী, একটি সাধারণ নিয়ম হিসাবে,
মহিলাদের কার্যত কোন আইনি মর্যাদা ছিল না; পিতারা তাদের মেয়েদের বিবাহের জন্য একটি মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দিত,
স্বামী ইচ্ছামতো মিলন বন্ধ করতে পারত এবং মহিলাদের খুব কম বা কোন সম্পত্তি বা উত্তরাধিকারের অধিকার ছিল না।
মহিলাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলির মধ্যে একটি ছিল সন্তান উৎপাদন, বিশেষ করে পুরুষ সন্তান; মহিলারা রান্না করত, পশুদের দুধ দিত, কাপড় ধোয়া, মাখন ও পনির প্রস্তুত করা, কাতানো উল এবং তাঁবুর জন্য কাপড় বোনা।
উচ্চবিত্ত মহিলারা সাধারণত উপজাতীয় মহিলাদের চেয়ে বেশি অধিকার ভোগ করত এবং তারা সম্পত্তির মালিক হতে পারত বা এমনকি আত্মীয়দের কাছ থেকে উত্তরাধিকারী হতে পারত।
উপজাতীয় সংঘর্ষে নারীদেরকে প্রায়ই উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো বা দখল করা হতো।
নারী ও মেয়েদের হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনাও ছিল।
mohammader juge আরবে সাধারণ নারীগণ অধিকারের বিলাসিতা উপভোগ করতে না পারলেও উচ্চবিত্ত মর্যাদার অনেক নারীই তা ভোগ করত। তারা উচু বংশের বাড়িতে বিয়ে করত এবং কখনও কখনও সম্পত্তির মালিক হত এমনকি আত্মীয়দের কাছ থেকে উত্তরাধিকারী হতে সক্ষম হত।
mohammader juge যুগেও নারীদের পর্দা দিয়ে নিজেদের ঢেকে রাখার প্রচলন ছিল। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য এবং পারস্যে, ঘোমটা ছিল অভিজাত এবং উচ্চ শ্রেণীর মহিলাদের সম্মানের প্রতীক।
রাসূলে কারীম কি কখনো কোরআনের বাহিরে কোন ওহীর অনুসরণ করেন ?
আজ সালাফি মুসলমান সুন্নি মুসলমান এবং শিয়া মুসলমান সমাজ কোরআনের বিপরীত অনেক গ্রন্থ মেনে চলেছে
তারা কি ঠিক করছে ,,,,
আসুন এ ব্যাপারে আমরা কোরআন থেকে জেনে নেই
আল্লাহ কি বলছেন
(৬/৫০) তুমি ঘোষনা করে দাও! আমি তো আর তোমাদেরকে এ কথা বলছি না যে, আমার কাছে আল্লহ্ তা’আলার ভান্ডারসমূহ রয়েছে। কিংবা আমি গোপন কিছু জানি। আর এ কথাও তো বলছি না যে, আমি শক্তির মালিক। আমি তো শুধু সেই হুকুমই মেনে চলছি, যা আমার কাছে (কুরআনের মাধ্যমে) ওহীযোগে পৌঁছে থাকে। তুমি বলে দাও! অন্ধ আর চক্ষুষ্মান ব্যক্তি কি সমান? কেনো তোমরা চিন্তা করো না?
(৬/৫১) তুমি মানুষকে এই কুরআনের মারফতে সতর্ক করো, যারা নিজেদের রবের দরবারে হাজির হওয়ার ব্যাপারে ভীত সন্ত্রস্ত রয়েছে। তাদের জন্য তিনি ছাড়া আর তো কেউ বন্ধু ও সাহায্যকারী নেই, কোনও সুপারিশকারীও যে নেই। যেন তারা মুত্তাকীন হতে পারে।
(৪৬/৯) তুমি বলে দাও! আমি তো আর রাসূল হিসেবে মোটেই নতুন নই। আর আমি জানি না আমার সাথে কি ব্যবহার করা হবে, আর তোমাদের সাথেই বা কেমন করা হবে। আমি তো শুধু তাই মেনে চলি, যা আমার কাছে (কুরআন থেকে) ওহী যোগে আসে। আর আমি সুস্পষ্ট সতর্ককারী বৈ তো নই।
(২/৭৮) আর মানুষের মধ্যে অনেকেই অশিক্ষিত রয়েছে , তারা আল কিতাবের খবর রাখে না, কিন্তু মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া। আর তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
(২/৭৯) আর ধ্বংস হবে তারা যারা নিজেদের হাতের দ্বারা কিতাব লিখে, তারপর তারা বলে এ আল্লহ্ তা’আলার নিকট থেকে এসেছে, বিক্রীর জন্য এর সাথে কিছু মূল্য নিয়ে থাকে আর ধ্বংস হবে তারা যাকিছুই তারা হাত দিয়ে লিখে। আর ধ্বংস হোক তারা, তা থেকে যা তারা অর্জন করে থাকে।
নোট,
বর্ণিত আয়াত তিনটি বলছে
রাসূলে কারীম কখনো কুরআনের বাহিরে অন্য কোন গ্রন্থের ধারেকাছেও যাননি। আজ যারা বলে যাচ্ছে তারা রাসূলে কারীম এর অন্তত অনুসারী না আমলে।
তবে তাদের দাবি হলো তারা অনুসারী
আর এই দাবিটি হচ্ছে তাদের মৌখিক দাবি।
আরব ইতিহাসের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আল কোরআন কিভাবে বলে যে ওই লোকটি ইসলামের নবী ছিল ?
আরব্য মোহাম্মদের নয় রবের মুসলিমরা কেবল রবের হুকুম মেনে চলবে
৩৯/১১-১৪ আয়াত মতে ।
মৃত আরব্য মোহাম্মদের নয় চলমান জীবিত রাসুলের সাহাবাদের সত্য পরিচয় জেনে নিন
৪৮/২৯ আয়াত থেকে ।
আরব মহম্মদ সত্যিই কি জীবনকালে সর্বক্ষেত্রে যাতনাতে ছিলেন ? এই বিষয়ে কুরআন কি বলে?
২১/১৯-২৯ আয়াত দেখে নিতে পারেন ।
আরব্য মহম্মদের মনগড়া আশারায়ে মুবাশশেরা এবং তার মনগড়া ধর্মের রসম-রেওয়াজ জেনে নিন
২২/১১-১৩ আয়ত মতে কুরআন থেকে ।
দুইজন মুহাম্মদের মধ্যে মুসলিমরা কোন মুহম্মদকে মেনে চলবে কুরআনের নাকি আরবের
৩৩/৪০
৩/১৪৪ আয়াত কি বলে ?
মৃত মহম্মদের অনুসারীরা পরকালে যাতনাতে যাওয়ার মেইন কারণ গুলি কি কি
২১/৯৮-১০১
পরকালে আরব মহম্মদ সত্যিই কি নিজ উম্মতদের থেকে পলায়ন করে প্রমাণ করবে যে সে শাফিউল মুজনেবীন না
২৮/৭৪,৭৫
আরবের মহম্মদের নামের দশটি হাদিস মানলে দোজখে যেতে হবে কেমনে
৪৫/৬, ১৮
৩৯/২৩
৩১/৬,৭
আরব্য মহম্মদকে ভালবাসতে হবে সেজন্য কি কোরআনের কোন একটি আয়াতও রয়েছে আসুন জেনে নেই
৩/৩১,৩২
২০/১৩৪
২৮/৪৭
রহমতুল্লিল আলামীন হিসেবে আল্লাহ কাকে পাঠিয়েছেন আরব্য মোহাম্মদকে না ঈসা ইবনে মারইয়ামকে
১৯/১৬-৩৪
২১/১০৭
৩/৪৫-৫৩
রাসুল রাসুল এবং রাজার রাসূলের মাঝে তফাৎ কোথায় আসুন জেনে নেই
১২/৫০
৫/৬৭
৯/৩৩
আরবের মহম্মদের আনিত ধর্মকে কি রবের মুসলিমরা মানতে পারে আসুন বিস্তারিত জানি
৪৮/২৮
৬১/৯
আরব্য মহম্মদের অনুসরণ এবং অনুকরণ কেমনে কোরআন বিরোধী আসুন জেনে নেই
৪/৬৪
২০/১৩৪
২৮/৪৭
আল্লাহ তাআলা কি প্রত্যেকটি জনপদে নবী পাঠান, না কেবল আরব্য মহম্মদকে পাঠিয়ে রেখেছেন আসুন জানি
৭/৯৪-৯৯
ঈসা রাসূলেরও কি স্ত্রী সন্তান ছিল এ ব্যাপারে কোরআন কি বলে
১৩/৩৬-৩৮
আরবের মোহাম্মদ সাহেব কি হাদিস দ্বারা ফায়সালা দেননি আসুন জেনে নেই
১৬/৬৩,৬৪
সকল নবী রাসূলদের কি ফায়সালার গ্রন্থ কি আলাদা আলাদা ছিলো আসুন বিস্তারিত জানি
৩৮/২৬
২/১৪৭
৫/৪৪,৪৫,৪৭
আরব্য মহম্মদ কি নিজের নামে কলেমা বানাতে পারেন এ ব্যাপারে কোরআন কি বলে
৪৭/১৯
২১/২৫
৩৭/২৫
আজ জুবুর কি সকল বার্তাবাহক রাসূলদেরকে দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে কোরআন কি বলে
৩৫/২৫
মদিনার মসজিদে আকসা এবং গম্বুজ এর নিচে কি আরব্য মোহাম্মদ ও তার ৩ জন ভক্তদের কবর রয়েছে
১৮/৯-২২
মৃত আরব্য মোহাম্মদকে মানতে হবে, না চলমান মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহকে মানতে হবে
৫/৬৭
৩/১৪৪
মৃত মহম্মদ কি জীবিত মানুষের জন্য ইস্তেগফার করতে পারেন
৪/৬৪,৬৫
আরব্য মোহাম্মদ মুসলমান শিয়া-সুন্নি সালাফিদের দৃষ্টিতে মদিনার কবরে জীবিত
একথা কি ঠিক
৩৫/১৯-২৪
আরব্য মোহাম্মদকে নয় চলমান রাসুল না পাঠালে আল্লাহ কখনো কোথাও আযাব দেন না
১৭/১৫
আরব্য মোহাম্মদ কি রবের শান্তির রাজ্যের প্রতিটি জনপদে এসে দাঁড়াতে পারেন
২৫/৫০-৫২
সমগ্র মানব সমাজের জন্য রাসুলুল্লাহ হিসেবে কাকে পাঠানো হয়েছে আরব্য মোহাম্মদকে না ঈসা ইবনে মরিয়মকে
৭/১৫৭,১৫৮
কিতাবে মুসা এবং মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহর কিতাব কি এক জিনিস
৪৬/১২
১১/১৭
৬/১৫৩-১৫৫
সকল রাসূলগণ বয়ানের আয়াতের সাথে এসেছেন কিন্তু আরব্য মহম্মদ বানোয়াট রাসুল এসেছেন হাদিসের সাথে
৫৭/২৫
আরব্য মোহাম্মদকে কি আল্লাহ কোন দেশ প্রধান ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলেন
৭৩/১৫-১৯
সকল জিন ও ইনসের কাছে কি আরব্য মোহাম্মদ রাসুল হয়ে এসেছেন
১৪/৪
৬/১৩০,১৩১
সুপ্রতিষ্ঠিত পথে চলতে হলে আরবের মহম্মদের হাদিস লাগবে, না কিতাবে মুসা লাগবে
৪৬/১২
১১/১৭
৬/১৫৩-১৫৫
সকল রাসূলদের মতো চলমান রাসূলও যদি বিশেষ সত্য পেয়ে থাকেন তাহলে আরব্য মহম্মদ হাদিস পেলেন কেমনে
৫৭/২৫
২/১৪৭,১১৯
১৭/১০৫
চলমান রাসূলের সাথে ১৪শ বছরের মৃত মহম্মদের কি কি পার্থক্য রয়েছে
২/১৩৪
৪৮/৮
৩৫/২৪
আরব এলাকা থেকে ইহুদীদেরকে বের করার এবং মুরতাদ হত্যা করার কথা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ কি কোরআন মেনে বলে গেছেন
৬/৪৮
১৪শ বছর থেকে আরব্য মহম্মদের পর আল্লাহ কি নতুন কোনো রাসুল পাঠান না
৪৬/৯
৪২/৫১
২/১২৯
আরব্য মৃত মহম্মদকে মেনে শিয়া-সুন্নি সালাফি মুসলমানেরা কি বুঝাতে চায়
১৪/৮-১১.
মনে রাখবেন —
হিন্দুদের আনকাহি মন্ত্রটিই হলো মুসলমানদের প্রথম কলেমা
খুব নোংরা জলকে যেমন ফিল্টারেও পরিশোধন করা যায় না,
তেমনি খুব বেশি আরবের ব্যক্তি পূজারী খারাপ মানুষকে ভালোবেসেও কুরআনের পথে আনা যায় না।
তাই এদের সাথে যে ব্যবহার আমাদেরকে দিতে হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ বলছেন,
(২৫/৬৩) আর রাহমানের বিশেষ বান্দাগণ তো তারাই, যারা দুনিয়ার বুকে ধীর পায়ে চলাফেরা করে। আর অশিক্ষিত মূর্খরা যখন তাদের সামনে কিছু বলে, তখন তারা বলে, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
এদেরকে ত্যাগ করা উচিত। তা না হলে নিজের ক্ষতি ক্ষতি হবে।
এর পরেও যারা গালমন্দ করবে তারা সেই নোংরা আরব ব্যক্তির ফলোয়ার যারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে।
রবের শান্তির রাজ্যে সকল মুসলিমদের জানা উচিৎ,
যোগ্য মানুষ কখনও অন্যের সমালোচনা করে না কিন্তু যোগ্যতাহীন মানুষ
গুলোই অন্যের সমালোচনা করে।
উত্তরণ বেদে বলা হয়েছে
“লা-ইলাহা হরতি পাপম ইল্লা ইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি তজপি নাম মুহামদম ”
সূত্র, উত্তরণ বেদ। আনকাহি, পঞ্চম অধ্যায়
অর্থ ” লা ইলাহা কহিলে পাপ মোচন হয়। ইল্লাল্লা কহিলে উচ্চ পদবী যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করিতে চাও, তবে মোহাম্মদ নাম জপ কর।”
[136] قُولُوٓا۟ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ
[২:১৩৬] তোমাদের সকলকে ঘোষণা করতে হবে, আমরা আল্লহ্ তাআলার উপর ঈমান এনেছি, আমাদের কাছে যা নাজিল হয়েছে তার উপর আমরা আস্থাবান। ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তাঁর সন্তানদের কাছে যা নাজিল হয়েছে, মূসা ও ঈসাকে যাকিছু দেওয়া হয়েছে, আর সকল বিশেষ খবরদাতা নবীগণকে তাদের রবের পক্ষ থেকে যাকিছু দেওয়া হয়েছে তার উপরও আমরা ঈমান এনেছি। তাদের মধ্যে কারোর ব্যাপারে আমরা কোনোরকম পার্থক্য করব না। আমরা তো একমাত্র আল্লহ্ তাআলারই অনুগত মুসলিম।
ইসলামের বিশেষ বার্তাবাহক রাসূলের শেখানো কলেমা হলো,
ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍۢ مِّن رُّسُلِهِۦ ۚ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ ٢٨٥
(২/২৮৫) বিশেষ বার্তাবাহক রাসূল ঈমান এনেছে যা কিছু রাসূলের রবের পক্ষ থেকে রাসূলের কাছে নাজিল করা হয়েছে, আর তদ্রুপ মুমিনরাও, এদের সবাই ঈমান এনেছে আল্লহ্, মালায়িকাহ ও রবের লিখিত (১১৪ টি সূরা) সমূহের উপরে এবং সকল রাসূলদের উপরে। রবের বার্তাবাহক রাসূলদের মধ্যে কারোর সাথে পার্থক্য আমরা করবো না, আর তাদের ঘোষণা আমরা শুনেছি এবং মেনেও নিয়েছি। আমরা ক্ষমা চাই, হে আমাদের রব! আপনার কাছেই তো ফিরে যেতে হবে।
❤️ আলকিতাব কি ?
বিশেষ লিখিত গ্রন্থ। ২১/১০ নং আয়াত মতে ।
কুরআন আল কিতাবের ১ টি সেফাতি নাম।
কুরআন কার ?
সৃষ্টি কর্তার ।
কাদের জন্য ?
সৃষ্টি জীবের পথ দেখানোর জন্য।
এর বয়স কত ? ৪৬/৪ নং আয়াত মতে এই আল কুরআন সারা জাহানের জন্য দুনিয়ার প্রথম দিনের প্রথম গ্রন্থ। এই কুরআনের আগে অন্য কোন কিতার পৃথিবীতে ছিলোনা ।
তাহলে মানুষ যে বলছে, মৌলভী হুজুর যে বলছে কুরআন আগে তাওরাত জাবুর ইন্জিল এসব কিতাব ছিলো ?
মানুষ তো প্রমাণ ছাড়া অনেক কিছুই বলে , কুরআন না পড়ে । তাদের ধারণা মতে কুরআন ১৪শ বছরের কিতাব তাই এরকমটি বলছে । আল কুরআন এটিও মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে ৩/৬৫ নং আয়াত মতে তাওরাত জাবুর ইন্জিল এসব কিতাব কুরআনের পরে অবতীর্ণ করা হয়েছে ।
এটা কি হিন্দুদেরও গ্রন্থ ? অবশ্যই !
৮১/২৭ নং আয়াত কুরআন সকল জাতির জন্য ।
সনাতন ও সত্য পথ দেখায় কুরআন ১৭/৯ নং আয়াত মতে ।
কুরআন যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ভুল এবং কুরআনের একটি শব্দও যে আজ পর্যন্ত বিক্রিত হয়নি, অবিক্রিত আছে, এটা পৃথিবী সকল ধর্ম বর্ন জাতীর লোকে জানে এবং বিশ্বাসও করে।
কিন্তু দুংখ হলো এই কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ কি বলেছেন কেন বলেছেন সেটা কেউ জানলোনা, অনেকে জেনেছে কিন্তু মানেনা, মানলোনা, ঈমান আনলো না,সবাই যার যার মনোনিত পন্ডিতদের স্বরচিত বই, পুস্তক,হাদিস নিয়ে ব্যস্ত।
যেমন,
হিন্দুরা, গীতা, ঋগবেদ পড়ে ও মানে।
ইহুদি খৃস্টানদের বাইবেল,
আহলে হাদিসদের বুখারী মুসলিম,
হানাফিদের, মেশকাত, তিরমিজি, আবুদাউদ, নাসাঈ,ফাজায়েল, মোকসেদ,
সিয়াদের অনুরুপ ৪ খানা হাদিস।
সকল জাতীর পৃথক পৃথক কিতাব রয়েছে।
আর এই কারনেই আল্লাহ বলেছেন,
তাদের অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনেনা, :২:১০০
অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা। ২:২৪৩
অধিকাংশ মানুষ পাপাচারী, ৩:১১০, ৫:৫৯
অধিকাংশ মানুষ বুঝেনা, ৫:১০৩
অধিকাংশ মুর্খ, ৬:১১১
অধিকাংশ মুশরিক, ১২:
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ওয়া খাতামান নাবিয়্যীন তিনি কি মক্কা-মদিনার লোক ছিলেন ?
❤️২৮/৪৪-৪৬ আয়াত মতে —
(৪৪) তুমি তো আর সেই সময় মূসার বাহুতে ছিলে না, আমি যখন মূসাকে হুকুম দিই। আর তুমি তো দর্শকরূপেও সেখানে উপস্থিত ছিলে না।
(৪৫) আমি কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অনেক গুলো দল দৃশ্যমান করে থাকি আর তাদের আমলদারী বাড়িয়ে দিই। আর তুমি তো মাদয়ানবাসীদের সাথে বসবাস করতে না, যাতে তুমি তাদেরকে আমার আয়াতসমূহ পড়ে শোনাতে। আমি কিন্তু বরাবর রাসূল পাঠাচ্ছি।
(৪৬) তুমি তো আর তুর (উঁচু) পাহাড়ের পাশে উপস্থিত ছিলে না ! যখন আমি মূসাকে ডাক দিই। কিন্তু এ যে, তোমার রবের পক্ষ থেকেই রাহমাত, যেনো তুমি এমন কওমকে সতর্ক করো, যাদের কাছে তোমার আগে কোনো সতর্ককারী পৌঁছায় নি, যেনো তারা স্মরণ রাখতে পারে।
নোট, আমি আমরা কেউ ছিলাম না
মাডয়ান সেন্টার অফ দি ওয়ার্ল্ড এলাকার তুমি বাসিন্দা ছিলেনা
মক্কা টাওয়ার রয়েছে সেখান থেকে ইস্ট ওয়েস্ট নর্থ সাউথ সব একই দূরত্ব কোরআনের দৃষ্টিতে
এই তিনটি আয়াতের তুমি বলে যাকে খেতাব করা হচ্ছে তাকে যদি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ মানা হয়
তাহলে তিনি অন্তত এই তিনটি আয়াত এর দৃষ্টিতে পৃথিবীর মধ্যে স্থান মাদিয়ানের কেউ ছিলেন না
৪৩/২৬-৩১
(২৬) আর যখন ইবরাহীম তার (হিন্দু) বাবাকে ও তার কওমকে বলে, তোমরা যে সব (প্রতিমার) পূজা অর্চনা করছো, আমি সে সব থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
(২৭) তবে কিনা, যে সৃষ্টিকর্তা আমাকে সৃষ্টি করেছেন, সেই সৃষ্টিকর্তাই তো আমাকে পথ দেখিয়ে থাকেন।
(২৮) আর ইবরাহীম তার সন্তানদের কাছে একটি স্থায়ী কালিমাহ (কুরআন আকারে) রেখে গেছে, যেনো লোকজন তার উপরে ফিরে আসতে পারে।
(২৯) বরং আমিই তাদেরকে আর তাদের বাবা, দাদা, নানা, পরনানাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ সাজ সরঞ্জাম দান করেছি। এমন কি তাদের কাছে এই সত্য সঠিক (কুরআন) আর সুস্পষ্টভাষী রাসূল এসেছে।
(৩০) আর যখনই তাদের কাছে সত্য সঠিক (কুরআন) পৌঁছে, তখন তারা বলে, এ যে যাদু। আর আমরা এ জিনিস মানবো না।
(৩১) আর মানুষেরা বলে, এই কুরআন সেই বিশেষ (মক্কা-মদীনার) দু’টো জনপদের একটি বিশেষ ব্যক্তির কাছেই কেনো নাজিল হয় না?
নোট,
মানুষেরা এই কথা শোনার পর জাদু মনে করে
তাই তাদের দাবী হল এ কেমন কথা
দুটি বিশেষ শহরের মক্কা-মদিনার একজন বিশেষ লোকের উপরে এই কোরআন কেন নাযিল হয় নি
চিরকাল তারা ইতিহাসের দৃষ্টিতে
মিথ্যা হাদিসের দৃষ্টিতে
আকাবির এবং আসলাফদের দৃষ্টিতে ভুল শুনে এসেছে
তাই নিজেদেরকে শুধরে নিতে পারছে না
তাদেরকে কোরআনের আয়াত দেখালে তারা গালি দেয়
মক্কা-মদিনা পৃথিবীতে এই দুটি শহর একমাত্র বিশেষ শহর
কেউ যদি বলে লন্ডন এবং নিউইয়র্ক
কেউ যদি বলে জেরুজালেম এবং দামেস্ক
কেউ যদি বলে বাগদাদ এবং তেহরান
কেউ যদি বলে কাবুল এবং দিল্লি
আমরা মুসলিমরা সেটি মানতে পারিনা
মক্কা মদিনা নিয়ে কুরআন
(১৭/১) পবিত্র মহামহিম সে রবের রব, যে রব নিজ বান্দাকে এক রাতে মাসজিদে হারাম থেকে মাসজিদে আকচা (মদীনার মাসজিদ) পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। যার চারদিকে আমি বরকত মহিমায় ঘিরে রেখেছি। যেন আমার কতগুলো নিদর্শন আমি তাকে দেখাতে পারি। একথা সত্য সুনিশ্চিত যে একমাত্র সেই রব সব কিছু শোনেন ও দেখেন।
শিয়া সুন্নি ও সালাফি সমাজের লোকেরা
ভারত উপমহাদেশের লোকেরা ধারণা করে বলছে
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ মক্কায় জন্ম নিয়ে মদিনাতে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তিনি মক্কার লোক ছিলেন
কোরআন কোথাও সেটি বলছে না
অথচ হাজার হাজার ইতিহাসের গ্রন্থ হাদিসের গ্রন্থ ফলসফার গ্রন্থ সেটাই বলছে যেটা কোরআন বলছে না
এমনদের মুখোশ আল্লাহ এইভাবে উন্মোচন করে দিয়েছেন
(১৭/৯) একথা সত্য সুনিশ্চিত যে, এই কুরআন সরল সহজতর পথই দেখায়। আর মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয়, যারা সংশোধনের কাজ করছে, তাদের জন্য বিরাট পারিশ্রমিক রয়েছে।
(২/৭৮) আর মানুষের মধ্যে অনেকেই অশিক্ষিত রয়েছে, তারা আল-কিতাবের খবর রাখে না, কিন্তু মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ছাড়া। আর তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
(২/৭৯) আর ধ্বংস হবেই তারা, যারা নিজেদের হাতের দ্বারা কিতাব লিখে, তারপর তারা বলে, এ আল্লহ্ তা’আলার নিকট থেকে এসেছে, বিক্রির জন্য এর সাথে কিছু মূল্য নিয়ে থাকে। আর ধ্বংস হবে তারাও, যা কিছুই তারা হাত দিয়ে লিখে। আর ধ্বংস হবে তারাও, তা থেকে যা তারা অর্জন করে থাকে।
গোটা জগতের মুসলমান শিয়া-সুন্নি সালাফীরা এই কথার উপরে একমত যে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ মক্কায় জন্ম গ্রহণ করে মদিনাতে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং মক্কা-মদিনার লোক ছিলেন তিনি
অথচ কোরআনের কোন একটি আয়াতে আল্লাহ সেটি বলছেন না
(১২/১০৬) মানুষের মধ্যে অধিকাংশরাই আল্লহ্ তা’আলার উপরে আস্থাবান কিন্তু তারা শিরিকও করছে।
যে সমস্ত লোকেরা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব বিন হাশেমকে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ মনে করে চলেছেন তারা সবাই কোরআনের বিরুদ্ধে কথা প্রচার করে চলেছেন যে তিনি কুরাইশ বংশে এবং বনু হাশেম এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন
অথচ কুরআন বলছে
(৬১/৬) আবার যখন মারইয়ামের পুত্র ঈসা বলে, হে বানী ইসরাঈল ! তোমরা শোনো ! আমি তোমাদের জন্যই আল্লহ্ তা’আলার রাসূল হিসেবে এসেছি। আমার আগে আত-তাওরাত তথা বিশেষ আইনে যা রয়েছে সে সবের সত্যতা প্রমাণ করছি। আর আসছি একটি সুসংবাদ নিয়ে, আমার পরে একজন রাসূল আসছে তার নাম হবে আহ্মাদ (আল্লহ্ তা’আলার সর্বাধিক প্রশংসাকারী)। তারপরে সেই (আহ্মাদ রাসূল) যখন সুস্পষ্ট দলিল প্রমাণ নিয়ে আসে, তখন তারা বলে, এ যে স্পষ্ট যাদু।
(৬১/৭) তার চাইতে বড় অপরাধী জালিম আর কেই বা হতে পারে ? যে নাকি আল্লহ্ তা’আলার উপরে মিথ্যা চাপিয়ে যায়। অথচ সে লোকটাকে ইসলামের দিকেই দাওয়াত দেয়া হয়। নিশ্চয়ই আল্লহ্ অপরাধী জালিম কওমকে সরল সঠিক পথ মোটেই দেখান না।
কোরআন যে ইসলামের দিকে মানুষকে ডাকে সেটি আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে পাঠানো কুরআনের 114 টি সূরার 6348টি আয়াতের শান্তির ছায়া তলে
(২/২০৮) তোমরা যারা ঈমান এনেছ, শোন! তোমরা সবাই ইসলামের শান্তির ছায়াতলে পরিপূর্ণ-রূপে প্রবেশ করো। আর শায়ত্বনের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।
(২/২০৯) তাই তোমরা যদি স্পষ্ট দলিল প্রমাণ পাওয়ার পরেও বিচ্যুত হও, তাহলে জেনে রাখবে, নিশ্চয় আল্লহ্ হলেন মহা-সম্মানিত ও মহা-বৈজ্ঞানিক।
কোরআন সে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর কথা বলে সেই মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ চারটি ছেলে এবং চারটি মেয়ে ছিল না
সেই মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সর্বকালে কোরানের পাতায় খাতামান নাবিয়্যীন হিসেবে জীবিত রয়েছেন
তবেই তো তিনি কারোর বাবা দাদা নানা পর নানা নন
যারা কারোর বাবা দাদা নানা পর নানা হয় তারা অবশ্যই মৃত্যুবরণ করে
আর মক্কার মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব বিন হাসিম এর চারটি পুত্র সন্তান এবং চারটি কন্যা সন্তান ছিল
এ কারণেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে কিন্তু কোরআনের মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ একেবারে আলাদা
(৩৩/৪০) মুহাম্মাদ তো আর তোমাদের মধ্যেকার কোনো পুরুষের আবা (বাবা, দাদা, নানা ও পরনানা) নয়। কিন্তু মুহাম্মাদ তো আল্লহ্ তা’আলার প্রেরিত রাসূল ও সকল (বিশেষ খবর দাতা) নবীদের সীলমোহর। আর আল্লহ্ তো সব কিছুই বেশ জানেন।
আমরা মুসলিমরা যদি পৃথিবীর অধিক মানুষের কথা মতো নিজেদের মতবাদ ঘুরে নেই তাহলে তারা আমাদেরকে কুরআনের মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ থেকে হটিয়ে ইতিহাসের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব বিন হাশিম এর দিকে এনে দাড় করাবে
কোরআন বলছে
৬/১১২-১১৭
(১১২) ঠিক এভাবেই তো আমি প্রত্যেক নবীর বিরুদ্ধে শায়ত্বনরূপে মানুষ ও জিনগুলোকে (বানোয়াট ধর্মের নেতা কর্মীদেরকে) দুশমন-রূপে পাই। ধোঁকা দেওয়ার জন্যই তারা একে অন্যকে চটকদার কথা শেখায়। তোমার চিরস্থায়ী লালন-পালনকারী রব যদি ইচ্ছা না করতেন তাহলে ওরা এমন কথা বলতে পারতো না। ওদেরকে ছেড়ে দাও। ওরা উদ্ভট কাজকর্ম নিয়েই থাকুক।
(১১৩) এবং তাদের হৃদয় এমন ধারা করে থাকে শুধু এই জন্য যে, আখিরাতে যাদের আস্থা নেই তারা যেন পছন্দ করে। আর তারাও যেন ঠিক ওদের মতই অপকর্ম শুরু করে দেয়।
(১১৪) আল্লহ্ ছাড়া আর কাউকে আমি হাকিম তথা ব্যবস্থাপক হিসেবে খুঁজবো নাকি ? অথচ আল্লহ্ নিজেই তো তোমাদের কাছে বিস্তারিত বিবরণ-পূর্ণ একটি লিখিত কিতাব নাজিল করেছেন। আর যাদেরকে লিখিত কিতাব দান করা হয়েছে, তারা জানে যে, এই কিতাব সত্যই তোমার রবের পক্ষ থেকেই সঠিকভাবেই নাজিল করা হয়েছে। সুতরাং তোমরা কোনো সন্দেহ পোষণকারীদের দলে শামিল হবে না।
(১১৫) তাইতো সত্য ও ন্যায়ের দিক থেকে তোমার রবের কালিমাহ-ই তো পরিপূর্ণ। রবের কালিমাহর পরিবর্তন করার মতো কেউ নেই। রবই তো সব শোনেন ও জানেন।
(১১৬) আর এই দুনিয়ার বুকে যারা বাস করছে, তাদের অধিকাংশদের কথাই যদি তুমি শোনো, তাহলে তোমাকে তারা আল্লহ্ তা’আলার পথ (কুরআন) থেকে বিভ্রান্ত করে ফেলবে। কারণ মানুষেরা তো উদ্ভট কল্পনা ছাড়া আর কিছুই অনুসরণ করে না। মানুষেরা শুধু আন্দাজের উপরেই চলে।
(১১৭) নিশ্চয় তোমার রব ভালো করেই জানেন, রবের কুরআনের পথ হতে কে বিভ্রান্ত হয়েছে আর তাদেরকেও রব বেশ জানেন যারা রবের অনুসরণ করে চলেছে।
যে সমস্ত লোকেরা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহকে আখেরী নবী বলে তারা আরেকটি মিসগাইড এ রয়েছে
কোরআন কোথাও আখির শব্দটি ইবনে আব্দুল্লাহর জন্য আনেনি
কোরআন বলছে
(৫৭/৩) একমাত্র আল্লহ্ হলেন আউয়াল (শুরু), আখির (শেষ), জাহির (প্রকাশ্য), বাতিন (গোপন)। আসলে একমাত্র আল্লহ্ হলেন সর্ব বিষয়ে মহাজ্ঞানী।
মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ তিনি সত্যায়িত করেন সর্বযুগে
সকল নবী রাসূলদেরকে খাতামান্নাবীঈন হয়ে
সেটি 33 নম্বর সূরা আহঝাবের 40 নম্বর আয়াত থেকে আমরা জানলাম
আয়াত প্রচারের কারণে যারা প্রশংসার যোগ্য হয় তারা সব সময় জীবিত থাকে তাদের ওপরে কোরআন থেকে নাজিল হতে থাকে
সেটি আমাদেরকে মানতে হবে
(১৭/৮২) আর আমিই তো কুরআন থেকে সেই জিনিস নাজিল করে থাকি, যাতে মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও রাহমাত মওজুদ রয়েছে। আর জালিমদের জন্য তাতে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নেই।
(৪৭/২) আর যারা ঈমান এনে সংশোধনের কাজ করে, আর (আয়াত প্রচারের কারণে প্রশংসিত) মুহাম্মাদ এর কাছে (কুরআন থেকে) যাকিছু নাজিল করা হয়েছে, সে সবের প্রতি যারা আস্থাবান, আসলে তা যে তাদেরই রবের পক্ষ থেকে সত্য সঠিকভাবেই নাজিল হয়েছে। আল্লহ্ তাদের দোষ-ত্রুটি দূর করবেন, আর তাদের অবস্থা শুধরে দিবেন।
(৩/১৪৪) আর (আয়াত প্রচারের কারণে প্রশংসিত) মুহাম্মাদ হলো একজন রাসূল, তা ব্যতীত অন্য কিছুই নয়। মুহাম্মাদের পূর্বে সকল রাসূলগণ অতীত হয়ে গেছে। তাই, সে যদি মৃত্যুবরণ করে, অথবা তাকে কতল করা হয়, তাহলে তোমরা কি পিঠ ফিরে যাবে ? যদি কেউ পিঠ ফিরে যায়, তাহলে তাতে আল্লহ্ তা’আলার কিছুমাত্র ক্ষতি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, এমন বান্দাদেরকে আল্লহ্ শীঘ্রই পুরস্কার দিবেন।
ইতিহাসের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব বিন হাসেম
যার চারটি ছেলে এবং চারটি মেয়ে ছিল
কোরআনের কোন আয়াত দিয়ে প্রমাণ করা যাচ্ছে না যে তিনি আল্লাহ তাআলা রাসূল ছিলেন
কারণ আল্লাহ তাআলার রাসূল সর্বদা জীবিত থাকেন
আর ইতিহাসের ইবনে আব্দুল্লাহ তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন
আল্লাহ তাআলা রাসূল কোন পুরুষের বাবা দাদা নানা পরনানা নন
কিন্তু ইতিহাসের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ তিনি ছিলেন কারোর বাবা দাদা নানা পরনানা তাই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন
তবে কোরআন থেকে আমরা জানলাম মক্কার এবং মদিনার কোন একজন বিশেষ ব্যক্তির উপর কোরআন নাজিল হয়নি
এমন কি কোন ব্যক্তি দুনিয়ার মধ্যস্থানের বিশেষ একজন আরবের উপরেও কোরআন নাজিল হয়নি
আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআনের আয়াতের মাধ্যম দিয়ে সঠিক মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দান করুন
আর আমাদের অধিক মানুষের ব্রেনে যে সমস্ত লোকেরা মনগড়া প্রোগ্রামিং করে তাদেরকে কোরআন চ্যুত করেছে ওদের থেকে সব সময় বেঁচে চলার চেষ্টা করুন ।
Thank you —
October 12. 2025.

2 replies on “মোল্লা বনাম আল্লাহ”
ধন্যবাদ। সুন্দর।
Thanks