মিরাজ রজনীঃ
১০ম নবুয়তী বর্ষের শেষ দিকে চাচা আবুতালিব মারা যান। তার পরপরই একমাত্র শান্তনার আশ্রয়স্থল বিবি খাদিজা চির বিদায় নেন। পরপর শক্ত দুটি বিয়োগ ব্যথ্যায় নবী মোহম্মদ সাঃ যখন সংসার জীবনে বিমুঢ় হয়ে পড়েন। তার কিছু পড়েই আল্লাহ ১১ তম নবুয়তী সনে মিরাজ এর সুসংবাদ জানিয়ে দেন ভ্রমনের জন্য।
“পবিত্র ও মহিমময় তিনি যিনি তাঁহার বান্দাকে রজনীতে ভ্রমণ করাইয়াছিলেন আল-মসজিদুল হারাম হইতে আল-মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যাহার পরিবেশ আমি করিয়াছিলাম বরকতময়, তাহাকে আমার নিদর্শন দেখাইবার জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। ” (১৭ঃ১)
সূরা নাজমে তার সহায়ক বর্ননা পাওয়া যায়ঃ
1] নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়।
[2] তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
[3] এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
[4] কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
[5] তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
[6] সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল।
[7] উর্ধ্ব দিগন্তে,
[8] অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল।
[9] তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।
[10] তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন।
[11] রসূলের অন্তর মিথ্যা বলেনি যা সে দেখেছে।
[12] তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে যা সে দেখেছে?
[13] নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল,
[14] সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে,
[15] যার কাছে অবস্থিত জান্নাতুল মাওয়া ।
[16] যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল।
[17] তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি।
[18] নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
হাদীস থেকে জানা যায় আত্তাহিয়াতু আল্লাহর সাথে আমাদের মহানবী (সঃ) কথোপকথন এর একটি অংশ। যদিও কোরান থেকে তার কোন স্পষ্টতা মিলে না।
মহানবী (সঃ) যখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন শুরু করে তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেন নি !
তাহলে কি বলেছিলেন তিনি ?
আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক,এ কথা কোন স্রষ্টার প্রতি বলা শোভন নয়। কারন আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সকল শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল !
মহানবী (সঃ) আল্লাহকে উদেশ্য করে কি বলেছিলেনঃ-
বল, ‘আমার সালাত, আমার ‘ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্রই উদ্দেশ্য।(‘সূরা ৬, আয়াত ১৬২)
আত্তাহিয়াতু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবাতু।
অর্থাৎ শাররীক ইবাদত,মৌখিক ইবাদত ও পবিত্রতা আল্লাহর জন্য।
উওরে মহান আল্লাহ বলেনঃ-
আসসালা – মু ‘ আলায়কা আইয়ুহান নাবিইয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া- বারাকাতুহু
অর্থঃ- হে নবী ! আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক ।
এতে মহানবী বলেনঃ-
আসসালা – মু আলায়না ওয়া আলা ইবা – দিল্লা – হিছ ছা – লেহীন।
অর্থঃ-আল্লাহর সমৃদ্ধি শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে।
মহান আল্লাহ এবং মহানবীর এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেনঃ-
আশহাদু আল লা – ইলা – হা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু ।
অর্থঃ-আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে , আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে , মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল ‘।
2 replies on “মেরাজ রজনী”
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
Thank you for your thirst