মালতীর হিসেব আজো মিলেনি
স্বৈর শাসন দূরভীত করে নবীনের শপথ বৈষম্য বিহীন রাষ্ট্র উপহার দিবে।। ৩৬ শে জুলাই স্বৈরাচারের প্রাচীর ভেদিয়ে তারা আন্দোলনের বিজয় পতাকা ছিনিয়ে আনে। উল্লাসে সব জনতা মাতে দেশটা আজ নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে বলে। ষড়যন্ত্রকারী সুযোগ বুঝে ঘাড়ে চেপে বসে নবীনের স্বপ্ন ন্যাসাৎ করে দিতে লুট, অরাজগতা,দাঙ্গা হাঙ্গা সব প্রতিষ্ঠানে গেরিলা হামলা করে বিভৎস চিত্র এতটা ভয়ানক রুপ নেয় যেন ৭০ এর কোঠায় দাঁড়িয়ে ৭০ এর ছবি আজ আবার চোখে ভাসে পিতার সামনে বেবস্ত্র কন্যার দেহ শকুনেরা তছনছ করে নিথর দেহ মাটিতে লুটিয়ে আল সামস দায়িত্ত পালনে গর্ভের লাগাম টানে বাবা আকুতি জানায় একটি বুলেট বুকে ছুড়ে দিতে নয়তো চোখ দুটি তার ব্যানেটের খুঁচায় কেড়ে নিতে নির্মম নির্লজ্যতার দৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে। এ যেন সীমারের কাছে হোসেনের আকুতি সম সাবেক ওয়াপদা কোলনীর পাক সেনা ক্যাম্পে।। ওরা আল সামস কেউবা পেটের দায়ে কেউবা ছিল মওদূদীর আইডল ধরে ইসলাম কায়েম করবে পাক জমিনে।। মাধবীর নিথর দেহে হায়েনারা কাটা ছেঁড়া করে নির্বাক পিতার ধর্ষিতা মেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে। সন্ধের খানিক পর বুলেটের শব্দে পিতার মুক্তি মিলে ইসলামের পতাকাবাহী আল সামসের হাতে। তারা দেব বাড়ীর সব লুট করে নেয় ঘটি-বাটি থালা, গোলা ঘরের চালা, গহনা কিংবা হাতের বালা অর্জন করেছে বীর সেনা গনিমতের মাল করমর্দন করে কমান্ডার পড়িয়ে দিল বিজয়ের মালা। মাধবীকে নিয়ে মালতী আত্মগোপনের ঠাই খোঁজে দ্বারে দ্বারে অথচ তার গোলার ধানে আল বদর আল সামস আজো ভুড়ি ভোজে।। ওরা মুখে বলে ইসলাম শান্তি শান্তি মুলত এজিদের মত সুবিধার ফতুয়ায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নির্বোধেরা ধর্মের কাঁধে ভর করে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটে অনন্ত অসীম আকাশের পানে চেয়ে ইমাম মাহেদী আসবে বলে এজিদের তাবুতে আজো আযান হাঁকে বর্শার আগায় কোরআন বেঁধে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে একই আযান হোসেনের তাবুতেও চলে তফাৎ সাত হাজারের সাথে ৭২ সেনার মুখোমুখি ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়র তরে হোসেনে পরাজয় এজিদের জয় ! আজো সে ধারা অব্যহতি আছে। তাই ৭০ এর ছবি আজো চোখে ভাসে ভয় হয় আজ ২৪ শে এসে যখন দেখি মেডিক্যালে ডাক্তার কিংবা বিদ্যাপিঠে ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত হতে।। (৭০ দেখা সেঙ্গুয়া গ্রামের বাস্তব চিত্র পর্যবেক্ষন থেকে কিছু না বলা কথা)
