রাসুল সা: এর প্রতিষ্ঠিত ইসলাম আলী রাঃ এর শাহাদত এর পর আমীর মোয়াবিয়া রাঃ এর হাতে বন্দী হয়ে এজিদের নিকট আহত হয়।
অতপর ইরান,ইরাক,পারস্য পার হয়ে একটু একটু করে বিকৃত হয়ে এশিয়ায় তথা ভারত উপমহাদেশে এসে পৌছায়।
এ উপ-মহাদেশের খৃষ্টান মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসা গুলিতে হাদীসের সিলিবাসে সীমাবদ্ধ রেখে আলেম নামক ইসলামী স্কলার গন তৈরী হতে থাকে।
কোরানের উপর গবেষনা বিমুখ এই আলেমগন নিজেদের প্রজ্ঞা বিবেক প্রয়োগ না করে সত্য মিথ্যে যাচাই এর কোন গবেষনা না করে দরসে হাদীসের অর্জিত জ্ঞানকে তৃপ্তির সাথে সোয়াব ও জান্নাত প্রাপ্তীর আমলে সীমাবদ্ধ করে আম-জনতার মগজে ঢুকিয়ে দিতে থাকে যুগের পর যুগ । যা পালন করে সবাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আলেমদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। — লক্ষ্য একটাই পরকালের নাজাতের বিষয়ে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয় আলেমগন ধর্মকে জীবন জীবিকার পথ হিসেবে বেছে নেয়।
ফলে অবস্থা এমন একটি পর্যায়ে দাড়িয় যে সত্যটা কেউ তুলে ধরলে এই আলেম সমাজই আম জনতাকে হায়েনার মত লেলিয়ে দিয়ে ইহুদী-খৃষ্টানের দালাল,কাদেয়ানী, কাফের ইত্যাদি ইত্যাদি ফতুয়া দিয়ে ফাঁসির দাবীতে মিছিল করে। সত্য পরাভুত হয়ে নীরব অশ্রু ঝড়ায়ে নিগৃহীত হয়।আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা কাহাফ এক শত চার নং আয়াতে বলেনঃ
উহারাই তাহারা,’পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে।তার পরপরই আবার বলেনঃ
‘উহারাই তাহারা, যাহারা অস্বীকার করে উহাদের প্রতিপালকের আয়াত সমুহকে এবং তাঁহার সঙ্গে উহাদের সাক্ষাতের বিষয়ে। ফলে উহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়; সুতরাং কিয়ামতের দিন উহাদের জন্য ওজনের কোন ব্যবস্থা রাখিব না।
2 replies on “বিবর্তন ধারা”
Your article helped me a lot, is there any more related content? Thanks!
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মুল্যবান রিভিউ এর জন্য।