Categories
My text

পুলসিরাত

পুলসিরাত কি 

বিশাল জাহান্নামের জলন্ত আগুনের উপর দিয়ে চুলের মত এক দীর্ঘ সেতু নির্মান করেছেন বুখারী রহ:।  যা পার হয়ে জান্নাতে যেতে হবে। যার ঈমান আমল ভাল সে বিদ্যুতের গতিতে পার হবে। কেহ দৌড়িয়ে, কেহ হামাগুড়ি দিয়ে। এক কথায় যার যার আমল অনুযায়ী। আর যার আমল ভাল নেই সে পা ফসকে জাহান্নামে পড়ে যাবে।

যদি এমন পুল সবাইকে পার হতেই হবে  তবে ফয়সালা দিবসে মিজানের  পাল্লায় সবার পাপ পুন্যির হিসাব করে আমল নামা হাতে দেয়ার কোন দরকার আছে কি?  না কি সেটা এডমিড কার্ডের মত কোন বিষয় ?

পক্ষান্তরে নবীর বর্ননায় কোরানে পাওয়া যায়ঃ
এবং তোমাদের প্রত্যেকেই উহা অতিক্রম করিবে; ইহা তোমার প্রতিপালকের অনিবার্য সিদ্ধান্ত। পরে আমি মুত্তাকীদেরকে উদ্ধার করিব এবং জালিমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় রাখিয়া দিব।

এ আয়াত বুখারীর বক্তব্যের সত্যতা আংশিক মিললেও সেই বিশাল পুলের কোন বর্ননা নাই। পুল তো দুরে থাক পদ্মা সেতুর মতও কোন অস্তিত্ত নেই। তবে আছে সিরাত বা পথ এর উল্লেখ। যা সুরা ফাতেহাতে আমরা প্রতি নিয়ত প্রার্থনায় পাঠ করি।

আসল কথা হলো আয়াতে সেই সিরাত বা পথ বলতে নিজের নফস কে কন্ট্রোল রাখা বুঝিয়েছেন। খান্নাস মুক্ত নাফস তৈরী করে সেই সিরাত পার হতে উপদেশ দিয়েছেন। আর এই খান্নাস মুক্ত নাফসকে মুত্তাকী বলেছেন। এই মুত্তাকী বা সচেতন মানুষই পারবে ঐ পথ পারি দিতে।  পক্ষান্তরে অজ্ঞ উদাসীন ব্যক্তিরা  জাহান্নামে পতিত হবে।

 (মুত্তাকীর বাংলা সচেতন  এবং তার বিপরীত শব্দ জালিম। জালিমের বাংলা অজ্ঞ উদাসীন।) 

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by ExactMetrics