পাঠ পর্যালোচনা আরবী গ্রামার -০১ সমগ্র কোরাআনে যত শব্দ আছে তা তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত। যথা: ১) ইশেম (বিষেশ্য) ২) ফা’আল (ক্রিয়া) এবং ৩) হরফ ( অব্যয়) 🛂 হরফ এবং ফাল বাদ দিলে বাকি সব ইসিম। যে শব্দ গুলি দ্বারা কোন কিছুর নাম বুঝায় তাকে এসেম বলে। যে শব্দ গুলি দ্বারা কোন কাজ বুঝায় তাকে ফাল বলে। যে শব্দগুলির কোন অবস্থায় কোন পরিবর্তন নাই তাকে হরফ বলে। হরফের সংখ্যা খুব সামান্য। এগুলি মুখস্থ রাখতে হবে। ⛔ ১) ইসিমঃ যে শব্দ দ্বারা কোন কিছুর নামকে বুঝায় তাকে ইশেম বলে। অন্যভাবে বললে হরফ এবং ফাল বাদ দিয়ে আরবী যত শব্দ আসবে সব ইসেম। এখন কথা হল ইংরেজী শিক্ষিত একজন মানুষ অর্থ না জেনেও শুধু আরবী শব্দ দেখে কি ভাবে ইসেম কোন শব্দটি তা সনাক্ত করতে পারবে তার সহজ উপায় বা আলামতঃ ✅ক) কোন শব্দের শুরুতে আলিফ লাম থাকা। ✅খ) কোন শব্দের শেষে তানভিন থাকলে। অর্থাৎ দুই যবর ,দুইপেশ, বা দুই যের থাকলে সেটি ইসেম বুঝতে হবে। ✅গ) কোন শব্দের শেষে গোল তা থাকলে ⛔ আরবী ব্যাকরণে فعل (ফে’ল) বা ক্রিয়া প্রধানত তিন প্রকার: ১. فعل ماضٍ (ফে’ল মাদী) _ অতীত কাল। ২. فعل مضارع (ফে’ল মুদারি) ু বর্তমান বা ভবিষ্যত কাল। ৩. فعل أمر (ফে’ল আমর) _ আদেশ সুচক কাল যেমনঃ اُكْتُبْ (উক্তুব) = লিখো ⛑️ ইশেম এর মত অনুরুপ ভাবে অর্থ না জেনেও কিভাবে বাক্যে কোন শব্দটি ফাল তা সহজে সনাক্ত করতে পারবে তার উপায়ঃ আরবীতে অধিকাংশ ফাল তিন অক্ষরের হয়। ফাল চার অক্ষরের বেশী হয় না। ক) শব্দের শুরুতে যজম (যের,যবর,পেশ) প্রদানকারী অক্ষর হবে। ⛔ হরফ (الحرفُ): বা অব্যয় হরফ হলো সংযোগকারী বা সম্পর্কসূচক শব্দ, যা একা কোনো অর্থ দেয় না, তবে বাক্যের মধ্যে যোগ হয়ে একটি সম্পর্ক তৈরি করে। ⛔ হরফ প্রধানত তিন প্রকার: ✅ ১) হরফে জার (حَرْفُ الجَرِّ) এটি ইসেমের আগে বসে ইসেমকে মজরুর বা যার (جرّ) করে দেয়। ✅ ২) হরফে নাসিব (حَرْفُ النَّصْبِ) এটি ফে’ল মুদারেয-এর আগে বসে তাকে মানসূব করে ✅ ৩) হরফে জাজিম (حَرْفُ الْجَزْمِ) এটি ফে’ল মুদারেয-এর আগে বসে তাকে মজজুম করে ⛔ আরবী ব্যাকরণে মাজরুর (مجرور), মানছুব (منصوب) ও মজজুম (مجزوم) — এ তিনটি পরিভাষা মূলত অবস্থাগত পরিবর্তন (الإعراب) বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে শব্দের শেষ হরকতের (যেমন: ফাতহা, কাসরা, যম্মা, সুকূন) ভিত্তিতে তার ব্যাকরণগত অবস্থা প্রকাশ পায়। এগুলোকে বাংলায় সাধারণভাবে বলা যায়: ✅ ১) মাজরুর (مَجْرُور) সাধারণত اسم (ইসম) যখন حرف جر (জার হরফ) এর পর আসে, তখন তার শেষে কাসরা (ــِ) হয়। ✅ ২) মানছুব (مَنْصُوب) ইসম বা ফেল যখন বিশেষ কারণে ফাতহা (ــَ) গ্রহণ করে, যেমন: مفعول به, ظرف, ইত্যাদি। ✅ ৩) মজজুম (مَجْزُوم) মাজজূম فعل مضارع (মুডারেঅ ক্রিয়া) কোনো جازم (জাযেম এর পর এলে তার শেষে সুকূন (ــْ) আসে বা নুন হযফ হয়। ⛑️ অনুরপ ভাবে অর্থ না জেনেও হরফ চেনার উপায়ঃ হরফ গুলো শব্দের শুরুতে ব্যবহার হয়। 🚮 মোট কথা কোরানের কোন আয়াতের ইসেম ও হরফ চিহ্নিত করলে অবশিষ্ট সব ফেল বা ক্রিয়া। ফেল খুব কম শব্দ। ইসেম শব্দ বেশী। অনুশীলনের মাধ্যমে প্রথম কোন সুরার ইডেম ফেল হরফ সনাক্ত করতে শিখুন আগে। [[ ⛔ এডভান্স লেভেলের জন্য আরো অধিক জানা প্রয়োজন বিস্তারিত: ✅ ১) مجرور – মাজরূর (Kasrah Ending) সংজ্ঞা: যখন কোনো ইসম (নাম) এর পূর্বে حرف جر (preposition – যেমন: فِي, مِن, إِلَى ইত্যাদি) আসে, তখন ইসমটি মাজরুর হয়। উদাহরণ: فِي الْبَيْتِ (ফিল বাইতি)- অর্থ: ঘরের মধ্যে ব্যাখ্যা البيتِ শব্দটি এখানে (মাজুরর) مجرور, কারণ এর আগে فِي (preposition) এসেছে। ✅ ২) منصوب – মানছূব (Fatha Ending) সংজ্ঞা: ইসম বা মুডারেঅ ফেল বিশেষ ব্যাকরণগত অবস্থায় فَتْحَة (ـَ) গ্রহণ করে। উদাহরণ: رَأَيْتُ زَيْدًا = (রা’আইতু যায়দান)= আমি জায়দকে দেখেছি। ব্যাখ্যা زَيْدًا হচ্ছে মাফ’উল (object), তাই মানছূব হয়েছে। ✅ ৩) مجزوم – মাজজূম (Sukun Ending) সংজ্ঞা: فعل مضارع যখন جازم حرف (যেমন: لَمْ, لَا النَّاهِيَة, لَمَّا ইত্যাদি) দ্বারা প্রভাবিত হয়, তখন তার শেষে সুকূন (ـْ) আসে বা نُون অপসারণ হয়। উদাহরণঃ لَمْ يَذْهَبْ (লাম ইয়াযহাব) = সে যায়নি ব্যাখ্যা يذهبْ এর শেষে سكون, তাই এটি مجزوم। উদাহরণঃ لَا تَكْذِبْ (লা তাক্যিব) = মিথ্যা বোলো না কারন تَكْذِبْ – মাজজূম (সুকূনের দ্বারা) ]]] ⛑️ নিন্মে বহুল ব্যবহৃত কিছু হরফ উল্লেখ করা হল। অবশ্য হরফ গুলি মুখস্থ রাখতে হবে। (বা) – ب (সাথে) সবসময় যের যোগে ব্যবহার হবে। বিসমিল্লাহ ( তা ) – ت (এবং) যবর দিয়ে। যেমন তাবারাকাছমুকা (কাফ) – ك (মত) যবর দিয়ে। কানাবদু (লাম) -ل (জন্য) যের দিয়ে। লিল্লাহে মা ফীসসামাওয়াতে (ওয়া )- و (এবং) ওয়া রাহ্মাতুল্লিল আলামিনল। (মুনজা )- منز (যাবৎ) (মুজা) – مذ (এবং) (খলা)- خلا (ব্যতিত) (রুবা) رب ( অল্প) ( হাশা) حسا (ব্যতিত) ( মিন) من ( হতে) ( আ’দা) عدا (ব্যতিত) ( ফী) في ( মধ্যে) (আ’ন) عن (হতে) ( আ’লা) عاي (উপরে) (হাত্তা) حتي (পর্যন্ত) ( ইলা) الي (দিকে) (ইন্না) ان (আন্না) ان (কানা) كان (লাইতা) ليت (লাকিন্না) لقن (লায়াল্লা) لعل ( ওয়াও) و ( এবং /কসম) (আও) او (আম) ام (ফা) ف (ছুম্মা) ثم (আম) ام (লাকিন) لكن ( আম্মা) اما (ইম্মা) اما (আন) ان (লান) لن (কানা) كن (আন্না) انن (আন ) ان (লাম) لم (লাম্মা) لما (লা) لا (না) (মা) ما ✅ হরফে যার ১৭ টি। এরা বাক্যের সামনে বসে পড়ের শব্দকে যার দেয়। ⛔ উপসংহারঃ সূরা এখলাস থেকে কয়টি ইসিম, কয়টি ফেল এবং কয়টি হরফ আছে তা নিজে নিজে নির্নয় করি। অর্থ জানার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আমরা ইংরেজী শিক্ষিত, আরবী জ্ঞান নেই বললেই চলে। بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ বে ইসেম আল্লাহ হু আর রহমান আর রাহিম قُل —— — هُوَ ——– اللَّهُ —— أَحَدٌ ক্বুল – হু – ওয়া – আল্লা – হু – আহাদ اللَّهُ- ————— الصَّمَد আল্লা – হু – সামাদ لَم —— يَلِد —- وَلَم —— يولَد লাম – ইয়ালিদ – ওয়া – লাম — ইউলাদ وَلَم —- يَكُلَهُ ——– كُفُوًا —- أَحَدٌ ওয়া – লাম — ইয়া কুল্লা – হু – কুফুয়ান –আ ****************** ⛑️ উত্তরঃ — সূরা ইখলাস (১১২) এর এই চারটি আয়াতের শব্দগুলো ব্যাকরণ অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে ইসেম (اسم), ফে’ল (فعل), ও হরফ (حرف) চিহ্নিত করে দেওয়া হলো। ১) إسم (ইসেম) – ১১ টি ২) فعل (ফে’ল) – ৪ টি ৩) حرف (হরফ) – ৬ টি *************** ১) قُلْ (ক্বুল) – فعل (ফেল) ২) هُوَ (হু) – اسم ইশেম ৩) اللَّهُ (আল্লাহু) – اسم ইশেম ৪) أَحَدٌ (আহাদ) – اسم ইশেম ৫) الصَّمَدُ (আস্-সামাদ) – اسم ইশেম ৬) لَمْ (লাম) – حرف হরফ ৭) يَلِدْ (ইয়ালিদ) – فعل ফেল ৮) وَ (ওয়া) – حرف হরফ ৯) لَمْ (লাম) – حرف হরফ ১০) يُولَدْ (ইউলাদ) – فعل ফেল ১১) وَ (ওয়া) – حرف হরফ ১২) لَمْ (লাম) – حرف হরফ ১৩) يَكُنْ (ইয়াকুন) – فعل ফেল ১৪)। لَهُ (লাহু) – حرف (لِ) + اسم (هُ) ১৫) كُفُوًا (কুফুয়ান) – اسم ইশেম ১৬) أَحَدٌ (আহাদ) – اسم ইশেম এবার নিজে বলুন কিভাবে قُل কে ফেল চিহ্নিত করলেন? কি ভাবে هُوَ কে হরফ বুঝলেন,? কি ভাবে বুঝলেন اللَّهُ এবং أَحَدٌ ইশেম?
Categories
