Categories
My text

নবী প্রচলিত সালাত পড়েন নাই

নবী মুহাম্মদ সা: আমাদের এ প্রচলিত সালাত কখনোই পড়েন নাই। পড়ার প্রশ্নই উঠে না। কারন নবীকে সালাত পড়ার  জন্য প্রেরণ করা হয় নি বরং সালাত শেখানোর জন্য প্রেরন করা হয়েছ।

সালাত পড়ার মত কোন জিনিস নয় বরং সালাত কায়েম করার জিনিস। সালাত একটি দ্বীনি ব্যবস্থা। জীবন যাপন পদ্ধতি। অথচ কোরান বিমুখ অজ্ঞরা নবী সাঃ কে  রোগাক্রান্ত অবস্থাতেও কাঁধে ভর দিয়ে নিয়ে এসে সালাতের ইমামতি করার  হাদীস রচনা করেছে। কতটা গর্হিত কাজ করেছে এ মুর্খের দল কোরানের আলোকে তা দেখে নেই।

প্রচলিত সালাতে সুরা ফাতিহা পড়া হয়। সুরা ফাতেহায় বলা হয়ে থাকে আপনি আমাকে সরল সঠিক পথ দেখান। আমরা সরল পথে নেই তাই আমরা বলে থাকি।  প্রশ্ন হল নবী যদি বলেন হে আল্লাহ আমাকে সরল পথ দেখান। তাহলে বিষয়টা কি দ্বারায়? তিনি কি সরল সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত নন?  (নাউযুবিল্লাহ)। এবার দেখি এ বিষয়ে কোরান কি বলে?

কোরআনে, সুরা হজ্জে আল্লাহ বলেনঃ
১) আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত করিয়া দিয়াছি ‘ইবাদত পদ্ধতি – যাহা উহারা অনুসরণ করে। সুতরাং উহারা যেন তোমার সঙ্গে বিতর্ক না করে এই ব্যাপারে। তুমি উহাদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহ্‌বান কর, তুমি তো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত। (২২:৬৭)

সুরা ইয়াসিনে আল্লাহ ঘোষনা দিয়ে জানালেন রাসুলকেঃ
আপনি  অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত; আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (৩৬:৪)

কোরানের সূরা যুখরফে আল্লাহ বলেনঃ
২) সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)

কোরানের সুরা ফাতহায় আল্লাহ বলেনঃ
৩) তিনিই তাঁহার রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করিয়াছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করিবার জন্য। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট।(৪৮:২৮)

এ আঅত গুলি থেকে সুস্পষ্ট ভাবে জানা যায় রাসুল সরল পথে প্রতিষ্ঠিত এবং ওহীর মাধ্যমে রাসুল সাঃ কে তা অবহিতও করা হয়েছে। ওহী যোগে আল্লাহ  নিশ্চিত করার পরও কি রাসুল সরল পথে পরিচালিত করার জন্য কি প্রার্থণা করবেন?  এটা কি কোন সুস্থ মস্তিস্ক  বিশ্বাস করবে?
সরল পথে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো তার প্রতি কোরান নাযিল করা হয়েছে। নচেৎ তার উপর কোরান নাযিলই  হত না।

আরেকটু লক্ষ্য করুন। আল্লাহ বলছেন অপবিত্র অবস্থায় আমার কোরান স্পর্শ করা যায় না। এখানে উপদেশ বা অনুরোধ করে বলেন নাই যে তোমরা অপবিত্র অবস্থায় কোরান স্পর্শ করো না। বলেছেন অপবিত্র অবস্থায় কোরান স্পর্শ করা যায় না। অর্থাৎ এই কাগজের কোরান স্পর্শ করার কথা বলা হয় নি।  বলা হয়েছে অপবিত্র অবস্থায়  অর্থাৎ ( সরলপথ প্রাপ্ত না হয়ে) কোরান কেউ ধারন করতে চাইলেও পারবে না সেটাই বুঝানো হয়েছে।

এই সরল পথে প্রতিষ্ঠিত রাসুল সাঃ কে যদি কেউ  দাঁড় করিয়ে বলাতে চায় যে  আমাকে সরল পথে পরিচালিত করুন।তাহলে ব্যাপারটা কত হাস্যকর ও লজ্জাস্কর ?  কতটা ভয়ংকর?  নবীর নামে অপবাদ ? আল্লাহর কোরানের আয়াতের অপব্যাখ্যা বলে বিবেচ্য।

যেখানে আল্লাহ স্বয়ং রাসুলকে নির্দেশ করে বলেছেন আপনি রাসুলদের অন্তর্গত, আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত, আপনাকে কিতাব দেওয়া হল,  আপনি তা প্রচার করুন।

আর সেই রাসুলকে মুর্খ পন্ডিতরা নামাজ পড়িয়ে ছাড়ছে !সরল পথ প্রাপ্তীর জন্য প্রার্থণা করাতে বাধ্য করাচ্ছে !! কতবড় অপবাদ রাসুলের শানে?

উপসংহারে বলতে চাইঃ
১) আগে বুঝতে হবে নামাজ কি? এবং কেন?

২) নবীকে নামাজ পড়ার জন্য প্রেরণ করা হয়নি। নামাজ শিখানোর জন্য প্রেরিত হয়েছেন।

৩) নামাজ পড়ার বিষয় নয়।  নামাজ ধারন করার বিষয়, নিজের মধ্যে কায়েম করার বিষয়।

৪) নামজ হচ্ছে দ্বীন বা আল্লাহর স্বভাব। আল্লাহর নীতি।সেই নীতির যে স্বভাব সেই স্বভাব ধারন করা হচ্ছে সালাত। সেই সালাতে আল্লাহ সর্বদা দন্ডায়মান থাকতে বলেছেন।

সূরা মাআরিজ আয়াত নং ২৩ এ আল্লাহ বলেন: যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত,
الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ  دَآٮِٕمُوْنَۙ

এই ভাবে যুগে যুগে কোরানের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে যারা তাদেরকে কঠিন আজাবের সম্মুখিন হতে হবে একদিন।

যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হইবে;(২৩;৩৪)

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by ExactMetrics