ধর্ম থেকে নৈতিকতা পৃথক হয়ে গেছে; কিন্তু আচার-অনুষ্ঠান ধর্মের সঙ্গে যুক্ত আছে।
ধর্ম শিক্ষার সিলেবাসে সততা, সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা ও বিনত হওয়ার শিক্ষা নাই কিন্তু আচার-অনুষ্ঠান পালন এবং শাস্ত্র মুখস্থ করার শিক্ষা আছে।
শাস্ত্র ও শাস্ত্রজ্ঞরা শিখিয়েছেন- “তারাই ধার্মিক- যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, শাস্ত্র সম্মত আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, স্বর্গ-নরক, দেবদূত, অবতার এবং শাস্ত্রে বিশ্বাস করে”।
ধর্মগুলো এই সত্যটি প্রতিষ্ঠা করতেই চায় না যে, বিশ্বাস যাই হোক- সৎ, সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ, বিশ্বস্ত, পরোপকারী, বিনয়ী ব্যক্তি ধার্মিক।
ধর্মগুলোতে ‘কিছু উদ্দেশ্য’ হাসিলের জন্য ‘কিছু পদ্ধতি’ দেওয়া আছে যা স্রষ্টার নির্দেশনা নয়, নিজেদের আরোপিত পদ্ধতি।
যেমন, ইসলাম ধর্মে সালাত একটি পদ্ধতি। সালাহ অর্থ দহন- কোনোকিছুকে কাঙ্ক্ষিত আকার দেওয়ার জন্য পোড়ানো। বাঁকা বাঁশ সোজা করার জন্য কিংবা ধাতব পদার্থকে নির্দিষ্ট আকার দেওয়ার জন্য যেমন দহন একটি পদ্ধতি তেমনি মানব চরিত্রের বক্রতা সোজা করার জন্য দহন একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি অনুশীলনের উদ্দেশ্য হলো সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, বিশ্বস্ততা ও বিনয় অর্জন।
মানুষ উদ্দেশ্য ভুলে গেছে, আর পদ্ধতি নিয়ে মেতে আছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, একবেলাও যদি কেউ সময় নামাজ না পড়ে, তবে ২কোটি ৮৮ লক্ষ বছরের নরক বাস নির্ধারিত আছে।
যারা ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে একই উদ্দেশ্য হাসিল করার প্রচেষ্টা করছে তাদেরকে বিধর্মী, কাদিয়ানী, কাফের, নাস্তিক, মুরতাদ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে ! এর চেয়েও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, হামলা করা, হত্যা করা।
যে আরেকজনকে শয়তান আখ্যা দেয়, সে নিজেই শয়তান হয়ে যায় নি তো!
One reply on “ধর্ম থেকে নৈতিকতা পৃথক হয়ে গেছে”
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?