Categories
My text

জাহান্নাম কোথায়?

জাহান্মাম কোথায়? 

 জাহান্নাম আছে সত্য।  কিন্তু সেটা কোথায়?  এ প্রশ্নের জবাবে আপনি নিজেই খুজে বের করতে পারবেন জাহান্নাম আসলে কোথায় অবস্থিত। প্রথমে নিজেই প্রস্ন করুন ——–

আদম আঃ এবং হাওয়া আঃ কোথায় ছিলেন?
উত্তর জান্নাতে। হ্যা,এটাই সত্য কথা।

প্রশ্নঃ সেখানে উনারা কি করেছিলেন?
উত্তরঃ পাপ করেছিলেন।তারপর কি হল?

উত্তরঃ তারপর আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি স্বরূপ
পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন।

প্রশ্নঃ তাহলে,শাস্তি কোথায় হয়?
উত্তরঃ কারাগারে/ জাহান্নামে।

প্রশ্নঃ উনারা কোথায় এসেছিলেন শাস্তি পাওয়ার জন্য??
উত্তরঃ জাহান্নামে।

তার অর্থ দাড়ায়,পৃথিবীটাই জাহান্নাম।আর এই পৃথিবী নামক জাহান্নামেই আদম ও হাওয়া আঃ এসেছিলেন।

এখন আসল কথায় আসি,শুধু মাত্র আদম ও হাওয়া আঃ নয়,আমরা প্রতিটা মানুষই অন্যায়কারী/পাপী ছিলাম। তাই আমাদেরকেও কর্মফল ভোগ করার জন্য এই পৃথিবী নামক জাহান্নামে পাঠানো হয়েছে।কারণ,জাহান্নাম ছাড়া,শাস্তি ভোগ করার আর কোন যায়গা নাই বা সুযোগ নাই।

এই পৃথিবী নামক জাহান্নামে এসে,আমরা যে যার,কর্মফল অনুযায়ী কম/বেশি সবাই শাস্তি ভোগ করছি।তাই বলা যায়,আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত।এ জীবনে ভাগ্যের কখনোই পরিবর্তন হবে না।

তোমাদের অবশ্যি স্তরে স্তরে এক অবস্থা থেকে আর এক অবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ৮৪:১৯

জান্নাত জাহান্নাম ততদিন বিদ্যমান যতদিন আসমান এবং জমিন বিদ্যমান সূরা হুদ আয়াত 107 এবং 108

তারপরও আমাদের একমাত্র করনীয়,আল্লাহর ইবাদত করে যাওয়া। অর্থাৎ যে যে অবস্থানে আছি,সেই অবস্থান থেকেই আল্লাহ প্রতি ঈমান এনে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী সৎ কর্ম করে যাওয়া এবং সকল অন্যায় থেকে দুরে থাকা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।

আল্লাহ বলেন,আমাকে কর্যে হাসানা/উত্তর ঋণ দাও। আল্লাহ আরো বলেন, ফাদখুলি ফি ইবাদি,ওয়াদ খুলি জান্নাতি। সুতরাং আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও,এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ করো ২৯;৩০।

অথচ,আমরা কেউই জানি না, জান্নাত কি!
আমরা যেটা জানি,সেটাই কি জান্নাত? যেখানে একজন পুরুষ ৭০ টা হুর পাবে! মদ,মধু,দুধের নহর/নদী পাবে ইত্যাদি।না! সেটা জান্নাত নয়।ওটা কাল্পনিক জান্নাত।মানুষের বানানো জান্নাত।

আসলে জান্নাত হল,আল্লাহ সাক্ষাৎ পাওয়া!আল্লাহর সাক্ষাৎ পাওয়াই জান্নাত।

আমাদেরকে যেখান থেকে পাঠানো হয়েছে সেখানে চলে যাওয়া অর্থাৎ আল্লাহ সাথে মিশে যাওয়া বা আল্লাহতে বিলিন হয়ে যাওয়া।

আর এইরূপ সাফল্যের জন্য সাধকদের উচিত সাধনা করা,( ৩৭:৬১)

বিশ্বাস হচ্ছে না! বিশ্বাস না হওয়ারই কথা!

আল্লাহ বলেন, তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একক নফস থেকে ৪;১।অর্থাৎ আল্লাহর নফস থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্ট।আর সকল সৃষ্টি,এক উৎস থেকে বিকশিত হয়েছে।

আবার আপনার কাছেই ফিরে যাবো ২;২৮৫।৪২;১৫।১০;৪।অর্থাৎ আল্লাহর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে।

তবে,পরিশুদ্ধ অন্তর/নফস ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না বা আল্লাহর সাক্ষাৎ পাবে না বা আল্লাহতে মিশে যেতে/বিলিন হতে পারবেন না।

তাই,দয়াময় আল্লাহ,জাহান্নাম নামক এই পৃথিবীতে মানুষকে বার বার জন্ম দেয়/দিচ্ছে।কারণ,মানুষ যেন,পরিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ পায়।

তারপরও যারা,বার বার সুযোগ পেয়েও পরিশুদ্ধ হতে পারবে না ,তারাই হবে চিরস্থায়ী জাহান্নামী।তার মানে দাড়ায়,মহাবিশ্ব একেবারে ধ্বংস/কিয়ামত হবে না।

জান্নাত জাহান্নাম ততদিন বিদ্যমান যতদিন আসমান এবং জমিন বিদ্যমান সূরা হুদ আয়াত 107 এবং 108

এ আমার গবেষনার ব্যক্তিগত উপলব্ধি। একে মেনে নিতে আহবান করছি না। যুক্তি ও রেফারেন্সের প্রতি দ্বীমত পোষন করলে রেফারেন্স সহ মন্তব্য পেশ করার অনুরোধ রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights