সম্প্রতি রোভার যানের মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, মঙ্গলে পানি ও জীবন ধারণের উপযোগী কার্বন চক্রের সন্ধান পাওয়ায় বিলিয়ন বছর আগে জীবের অস্তিত্ব ছিল এটা প্রমাণিত। হয়তো সেখানে কখনো প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সুযোগ হলে সেই নিদর্শনও একটা সময় বেরিয়ে আসবে। রোভারের তোলা ছবিতে মানুষের মুখের কংকাল সদৃশ কিছু পাওয়া গেছে। আর মঙ্গলের ল্যান্ডস্কেপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে পুরো জমিনটাই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের গঠনে গঠিত। কুরআন পাঠে আমার পারসেপশন হলো, মঙ্গলে এক সময় মানুষের ন্যায় জীবের বসতি ছিল যারা আজকের পৃথিবীর মত একটা সভ্যতা গড়ে তুলেছিল। পরে সেই জীবের বাড়াবাড়ি ও ঔদ্ধত্বের কারণে পুরো গ্রহের উপর কেয়ামত নেমে আসে ফলে জীবের বসবাসের পুরো ইকো সিস্টেম নস্ট হয়ে বিরাণ গ্রহে পরিণত হয়। যার বর্নণা ৮৪ঃ১-৫ আয়াতে বলা আছে। সামনে এই পৃথিবীর ক্ষেত্রেও তাই ঘটতে চলেছে। হয়তো সেই গ্রহের প্রাণীদের এই নীল পৃথিবীতে পুনরায় প্রেরণ করে কিতাবের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে ও পরিশুদ্ধিতার জন্য আহবান করা হচ্ছে। কারণ পরিশুদ্ধ আত্মারাই জান্নাতে প্রবেশাধিকার পাবে (৮৯ঃ২৭-৩০)।
Categories