“কোরআনে” যার কোন নিয়ম নাই — ‘তা পালন করতে, পূর্বতনদের আচরণ এবং নিয়ম’ই ফলো করি আমরা। সেই নিয়ম না-মানলে যে ‘দোজখে যাবো তা’ কিন্তু নয়। —বিরাশীবার কোরআনে সালাত কায়েমের কথা বলা আছে, কিন্তু নামাজ পড়ার কথা একবারও বলা হয়নি। কোরআনে আছে- রুকুকারী, সিজদাকারী, সালাতকারী, তাওয়াফকারী, এতেকাফকারী। *** আর- এগুলোকে একত্রিত করেই, আমরা আমাদের নামাজ পড়ার প্রক্রিয়াটি চালাই।। অথচ– “সালাত” কায়েম করা হচ্ছে —- শয়নে – স্বপনে – জাগরণে, প্রতিমুহূর্তে উপলব্ধি করা যে – কেউ একজন আমার সাথে লেপ্টে রয়েছে – ছায়ার মতো। আসলে- “সালাত” অর্থ আল্লাহর বিধানের প্ৰতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শনপূর্বক – তদানুযায়ী সৎ কর্ম সম্পাদন করা যা’ সদা সর্বদা ব্যক্তিগত থেকে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে কায়েম বা জারী রাখতে হয় – এটাই সালাত কায়েম। কিন্তু- নিজেকে বিরাট কারো কাছে সমর্পণ করার আনন্দ পাওয়া যায় নামাজে। মনে হয় – নামাজে দাঁড়িয়ে নিজেকে জবাই করে’ রক্ত দিয়ে তাঁর পা’ ধুয়ে দেই। * *মূলত- নামাজ পড়লে আল্লাহ্র সাথে অভিমান করা যায়। না-পাওয়ার সান্ত্বনা মেলে ঝগড়া করা যায়। ** নামাজে তাঁর কাছে ‘ প্রাণভরে ভেউ ভেউ করে কাঁদা যায়। চোখ দিয়ে নির্মল পবিত্র অশ্রুধারা নির্গত হলে, অনেক কষ্ট ধুয়ে মুছে যায়। কিন্তু’ না-পড়লে নিজের মনের কাছে চোরের মতো লাগে। নামাজ ‘ না-পড়লে মনে হয়, কিছু যেন একটা করার ছিল, অথচ ‘ বাকি রয়ে গেল?? — মনের মধ্যে রাজ্যের বিষণ্ণতা এবং ব্যথা নিয়ে’ একবার শুধু- নামাজে দাঁড়িয়ে দেখ, কে যেন মাথার উপরে শীতল আঁচল বিছিয়ে দিয়েছে ! জীবনের দুর্বিষহ ভার আর বাষ্পাকুল পৃথিবীর এই শ্বাসরোধী চন্দ্রাতপতলে শুধু নামাজে দাঁড়িয়ে দেখ-জীবনটা’ কতো নির্মল আনন্দে ভরে ওঠে। নামাজ পড়লে, মনের শূন্যতা চলে যায়, বিরাট কারও উপরে- জীবনের দুর্বিষহ ভার ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকা যায়। এখনো কি বলবে,আমি নামাজ বিরোধী ?
Categories
