Categories
My text

কায়েমী এবং দায়েমী সালাত

কায়েম শব্দটি অভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে- অবিরত, প্রতিষ্ঠিত, খাড়া, এবং সর্বদা। এবং দায়েম শব্দটি অভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে- স্থায়ী, অবিরাম, স্থিতিশীল, সর্বদা, অবিরাম। এই দুইটি শব্দের একই অর্থ বহন করে।

এখানে আমাদের আলেম সাহেবগন মাদ্রসার শিশুদের ছোট বেলা থেকে শিক্ষা দিয়ে আসছেন ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহিত পড়াই হলো কায়েম করা। নিজে পড়া এবং সবাইকে নিয়ে জামাতে পরার নামই কায়েম করা।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনের একাধিক বারই বলেছেন যার যার বোঝা তাকেই বহন করতে হবে। তবে জামাতে নামায আদায় করলেই কায়েম হবে কি করে?

আর যার যার কায়েমী নামায যদি তার তার হয় তবেই সেটা কায়েম করা সম্ভব। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাচ্ছি কায়েম যার যার তার তার।

সালাতের উদ্দেশ্য এবং বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন সম্বন্ধে আমাদের সমাজে মোটেই ধারণা নেই। আমাদের সালাত হলো উঠ বস করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সালাতকে যেদিন আদায়কারীর বাস্তবে রূপ দিতে পারবে সেদিন সালাত ও যাকাত প্রতিষ্ঠিত হবে।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা মরিয়াম এর ১৯:৩১ নং আয়াতে সালাত কায়েম করতে বলেছেন জন্ম হইতে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত অবিরতভাবে, নিরর্বিছিন্ন, বিরতিহীন ভাবে।
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত,
الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ دَآٮِٕمُوْنَۙ
সূরা নম্বরঃ ৭০, আয়াত নম্বরঃ ২৩

অত:পর যার এ বিষয়ে দ্বীমত পোষন করে,তাদের জন্য

তুমি কি দেখিয়াছ তাহাকে, যে দীনকে অস্বীকার করে ?
اَرَءَيْتَ الَّذِىْ يُكَذِّبُ بِالدِّيْنِؕ
সূরা নম্বরঃ ১০৭, আয়াত নম্বরঃ ১

সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের,
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيْنَۙ
সূরা নম্বরঃ ১০৭, আয়াত নম্বরঃ ৪
যাহারা তাহাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন,
الَّذِيْنَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُوْنَۙ
সূরা নম্বরঃ ১০৭, আয়াত নম্বরঃ ৫

ফয়সালা দিবসে যখন জিজ্ঞাসিত হবে,
উহারা বলিবে, ‘আমরা মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না,(৭৪:৪৩)
قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَۙ

তাই উপদেশ তাদের জন্য,
এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাই না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।
وَاْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلٰوةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا ؕ لَا نَسْـــَٔلُكَ رِزْقًا ؕ نَحْنُ نَرْزُقُكَ ؕ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰى
সূরা নম্বরঃ ২০, আয়াত নম্বরঃ ১৩২

সালাতকে আল্লাহর মনোনীত পদ্ধতির বাহিরে যাহারা বিভিন্ন মনগড়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করতো তাদের লক্ষ্য করে বলেন:

“কাবাগৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাহাদের সালাত, সুতরাং কুফরীর জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর।” (৮:৩৫)

উহাদের পরে আসিল অপদার্থ পরবর্তীরা, তাহারা সালাত নষ্ট করিল ও লালসা-পরবশ হইল। সুতরাং উহারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, (সূরাঃ ১৯,আয়াতঃ ৫৯)

পক্ষান্তরে আল্লাহর সালাত বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশনাঃ

হে মু’মিনগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হইও না, যতক্ষণ না তোমরা যাহা বল তাহা বুঝিতে পার, (৪ঃ ৪৩)

One reply on “কায়েমী এবং দায়েমী সালাত”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights