সত্যিকার “হাদীস”কি?
✅ ‘রাব্বুল আ-লামীন’ কুরআনকে সর্বোত্তম হাদীসের গ্রন্থ বলেছেন এবং মুশরিকদের কুরআনের সমকক্ষ হাদীস আনতে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
➡️ “না তারা বলেঃ এই কুরআন সে নিজে রচনা করেছে? বরং তারা অবিশ্বাসী। যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবেএর অনুরূপ কোন হাদীস (بِحَدِيثٍ) উপস্থিত করুক। – [৫২: ৩৩-৩৪]
✅ আল্লাহ কুরআনকে উত্তম ‘হাদীস’ গ্রন্থ বলেছেন,
➡️ “আল্লাহ উত্তম হাদীস ( أَحْسَنَ الْحَدِيثِ ) তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর, যারা তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়। এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। – [৩৯:২৩]
✅ কিছু মানুষ আল্লাহর চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে ঠিকই এক কুরআনের বদলে অসংখ্য কথিত সহীহ হাদীসগ্রন্থ আনয়ন করেছে। পড়ে দেখুনতো – এগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ কী না? কুরআনের মতো পূনঃ পূনঃ পঠিত হয় কী না? এতে চামড়ার উপর তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে কী না? তাদের চামড়া ও অন্তর আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয় কী না?
আমাদের প্রভু পরিস্কার বলেছেন যে তার হাদীস তথা কুরআনে সকল সত্য নিহীত।
➡️ “আল্লাহ ব্যতীত আর কোনোই উপাস্য নেই। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন কেয়ামতের দিন, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাছাড়া আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য হাদীস (حَدِيثًا) আর কার হবে! – [৪:৮৭]
✅ সর্বশক্তিমান আল্লাহ কুরআনের হাদীস সম্পর্কে যারা মিথ্যা বলে তাদেরকে ভয় দেখিয়ে বলেছেন।
➡️ “অতএব, যারা এই হাদীসকে ( الْحَدِيثِ) মিথ্যা বলে, তাদেরকে আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি কোথা থেকে তাদের শাস্তি দিব যে, তারা জানতে ও পারবে না। – [৬৮:৪৪]
✅ আল্লাহ আমাদের সূরা মুরসালাতের শেষে তার হাদীস তথা কুরআন ছাড়া অন্য কোন হাদীসে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন।
➡️ “এখন কোন হাদীসে (حَدِيثٍ) তারা এরপর বিশ্বাস স্থাপন করবে? – [৭৭:৫০]
✅ এই একই সাবধানবাণী তিনি পুনরাবৃত্তি করেছেন।
➡️ “তারা কি প্রত্যক্ষ করেনি আকাশ ও পৃথিবীর রাজ্য সম্পর্কে এবং যা কিছু সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তা’আলা বস্তু সামগ্রী থেকে এবং এ ব্যাপারে যে, তাদের সাথে কৃত ওয়াদার সময় নিকটবর্তী হয়ে এসেছে? বস্তুতঃ এরপর কোন হাদীসের (حَدِيثٍ) উপর ঈমান আনবে? – [৭:১৮৫]
✅ সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান- মুসলমান ভাইয়েরা মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহর বাণী তথা হাদীস তথা কুরআনের আয়াত নিয়ে একটু ভাবনা চিন্তা করুন। এক আল্লাহ ছাড়া আমাদের যেমন আর কোন প্রভু নেই , তেমনি এক কুরআন ছাড়া আর কোন সহীহ গ্রন্থ নেই। এক আল্লাহ যেমন বিশ্বাসীদের জন্য যথেষ্ঠ , তেমনি শুধুমাত্র কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য যথেষ্ঠ।
➡️ “এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন হাদীসে (حَدِيثٍ) বিশ্বাস স্থাপন করবে। প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপাচারীর দুর্ভোগ। সে আল্লাহর আয়াতসমূহ শুনে, অতঃপর অহংকারী হয়ে জেদ ধরে, যেন সে আয়াত শুনেনি। অতএব, তাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দিন। – [৪৫: ৬-৮]
➡️ “একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর হাদীস (لَهْوَ الْحَدِيثِ) সংগ্রহ করে কোন জ্ঞান ছাড়াই এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। যখন ওদের সামনে আমার আয়তসমূহ পাঠ করা হয়, তখন ওরা দম্ভের সাথে এমনভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন ওরা তা শুনতেই পায়নি অথবা যেন ওদের দু’কান বধির। সুতরাং ওদেরকে কষ্টদায়ক আযাবের সংবাদ দাও। – [৩১: ৬-৭]
2 replies on “আল্লাহর হাদীস কোরানঃ”
Thanks for sharing. I read many of your blog posts, cool, your blog is very good. https://accounts.binance.com/kz/register-person?ref=RQUR4BEO
Thank you for praising