আবেগ যখন কাজ করে বিবেক তখন ঘুমিয়ে থাকেঃ
১) হযরত ওমর (রাঃ) কে শহীদ করেছে মুসলমানরা,আমেরিকা-রাশিয়া, ইসরাঈলীরা নয়।
২। হযরত ওসমান রাঃকে যারা শহীদ করেছে, ৪০ দিন তাঁর বাড়ির সামনে আযান দিয়ে জামাত করে নামাজ পড়েছে এরাও ছিল মুসলমান,ইসরাইলের ইহুদী না।
৩। হযরত আলী রাঃকে যে শহীদ করেছে, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে মুজলিম, ইনি এমন মুসলমান যে, তার আমল দেখে সাহাবীরা পর্যন্ত লজ্জা পেত, তার চেহারা দিয়া নূর চমকাইতো, ঘুমাইলে জিহবা যিকির করতো। অথচ তিনি বলেছিলেন যে, আলীর চেয়ে বড় কাফের আর কেউ নেই। এরাও নামাজী ছিলো, কপালে দাগও ছিল।
৪। হযরত হুসাইনকে যারা শহীদ করেছে তারা খুনের পর আযান দিয়ে জুম্মার নামাজ পড়েছিল। হুসাইনকে শহীদ করার পর নিস্প্রান দেহের পাশে দাঁড়িয়ে আছরের নামাজ পড়েছে। হুসাইনের দেহের উপর দিয়ে তারা ঘোড়া চালিয়ে দিলো, তাতে মৃতদেহ থ্যাতলিয়ে গেলো কিন্তু কোনো মুসলমানের চোখে পানি আসলো না। এরাও নামাজী, এরাও দাড়িওয়ালা, এরাও কপালে দাগওয়ালা ছিল।
৫। আল্লার ঘর বাইতুল্লাহ শরীফে কোনো কাফের-মুশরিক আগুন দেয়নি, দিয়েছিলো মুসলমানরাই। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে তীর দিয়ে শহীদ করা হলো, পা দু’টো উল্টা দিক করে ঝুলিয়ে রাখা হলো। এই নির্মম কাজটাও করলো মুসলমানরাই।
৬। মসজিদে নববীতে ৭ দিন গাধা এবং ঘোড়া বাঁধলো, গাধা-ঘোড়া পেশাব- পায়খানা করলো, আযান-একামত বন্ধ করে দিলো। এসব কিন্তু আমেরিকা- রাশিয়া- ইজরাইল করেনি, করেছে মুসলমান। যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, তারাই এক কাজগুলি করেছে। সেই কাতারের মুসলমানকেই নাগরিকত্বহীন দাবীদার মুসলমান বলছি। আর এদের উত্তর সূরী আজো সংখ্যা গরিষ্ঠ।
এদের উত্তর সূরীরা আজো,উমরের মত, উসমানের মত, জুবায়েরের মত, হোসাইনের মত ঈমান পোষনকারীদের ইহুদী, নাসারা, খৃষ্টান বলে গালি দিয়ে থাকে।
এগুলি আমার কথা নয় ইসলামের ইতিহাস, হাদীস, নাহাজাল বালাগ, বিদায়া ওয়াল নেহায়ায় বর্নিত। আয়েশা রাঃ এর ক্রন্দন।