Categories
My text

আদম ও ঈশার দৃষ্টান্ত একই

খৃষ্টান সম্প্রদায় প্রশ্ন করে পিতা ছাড়া কোন সন্তান জন্ম নিতে পারে না।  যেহেতু ঈশার পিতৃ পরিচয় পাওয়া যায় না তাই ঈশা আল্লাহর পুত্র। আর এ কারনেই তারা শিরককারী এবং কিতাবী হলেও মুসলমান হতে খারিজ।

তাদের এ যুক্তির জবাবে আল্লাহ বলেন নিশ্চয় ঈশার দৃষ্টান্ত আদমের ন্যায়।  আদমের পিতা কে ছিল?  আমি কি পিতা মাতা বিহীন আদমকে সৃষ্টি করি নি?

اِنَّ مَثَلَ عِيْسٰى عِنْدَ اللّٰهِ كَمَثَلِ اٰدَمَ‌ؕ
(ইন্না মাছালা ঈশা ইন্দাল্লাহি কামাছালি আদামা)
আল্লাহ্‌র নিকট নিশ্চয়ই ‘ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের দৃষ্টান্ত সদৃশ।

তিনি তাহাকে মৃত্তিকা হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন; অতঃপর উহাকে বলিলেন ‘হও’, ফলে সে হইয়া গেল। (ইমরান আয়াত নং ৫৯)
اِنَّ مَثَلَ عِيْسٰى عِنْدَ اللّٰهِ كَمَثَلِ اٰدَمَ‌ؕ خَلَقَهٗ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهٗ كُنْ فَيَكُوْنُ
ইন্না মাছালা ঈশা ইন্দাল্লাহি– নিশ্চয় আল্লাহর নিকট ঈসার উপমা

কা মাছালি আদামা — আদমের উপমার মত

খালাকাহু মিন তুরাবিন — তাকে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন মাটি হতে
ছুম্মা কালা লাহ কুন ফাইয়াকুন — অতঃপর তাকে তিনি বলেছিলেন হও সে তখনি হয়ে যায়।

إِنَّ = নিশ্চয় | مَثَلَ = উদাহরণ | عِيسَىٰ = ঈসার
عِنْدَ = নিকট | اللَّهِ = আল্লাহর | كَمَثَلِ = উপমার মত
آدَمَ = আদমের | خَلَقَهُ = তাকে তিনি সৃষ্টি করেছিলেন
مِنْ = হতে | تُرَابٍ = মাটি | ثُمَّ = তারপর |
قَالَ = তিনি বলেছিলেন | لَهُ = তাকে | فَيَكُونُ = সে তখন ইহয়ে যায়

সুরা ফাজর

শপথ ফজরের,শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার,
যা জোড় ও যা বিজোড় এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে।

এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে।

আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,

যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি

এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।

এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।

অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন। নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।

মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন।

এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন।
এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না।এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না।এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেলএবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস।এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন,এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?

সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না।

হে প্রশান্ত মন,
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষ ভাজন হয়ে। অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।

হে প্রশান্ত চিত্ত !
يٰۤاَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَٮِٕنَّةُ  ۖ
সূরা নম্বরঃ ৮৯, আয়াত নম্বরঃ ২৭
তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট ফিরিয়া আস সন্তুষ্ট ও সন্তোষ ভাজন হইয়া,
ارْجِعِىْۤ اِلٰى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً‌ ۚ
সূরা নম্বরঃ ৮৯, আয়াত নম্বরঃ ২৮

 

 

 

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by ExactMetrics