Categories
My text

অজ্ঞতা ঘৃনার জন্ম দেয়

সাবেক মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাতের হত্যাকারীকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক প্রেসিডেন্ট সাদাতকে কেনো হত্যা করেছ তুমি ?

হত্যাকারী জবাব দিয়েছিলো – “কারণ সে সেক্যুলার ছিলো ।”

বিচারক তখনই পরের প্রশ্নটি করলেন – “সেক্যুলার মানে কী ?”

হত্যাকারী জানালো – “আমি জানি না ।”

প্রয়াত মিশরীয় লেখক নাগিব মাহফুজকে ছুরি মেরে হত্যা চেষ্টাকারীর একজনকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক – “নাগিব সাহেবকে তুমি ছুরিকাঘাত করেছো কেনো ?”

জবাবে সন্ত্রাসী বলেছিলো – “কারণ সে ধর্মবিরোধী ‘চিলড্রেন অভ গেবালাবি’ উপন্যাসটি লিখেছে ।”

বিচারক আগ্রহ দেখালেন – “উপন্যাসটি পড়েছো তুমি‌ ?”

অপরাধী জবাব দিয়েছিলো – “না” ।

মিশরীয় সাহিত্যিক ফারাজ ফাউদাকের হত্যাকারী সন্ত্রাসীটিকে বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন – “ফারাজ ফাউদাকে মেরে ফেললে কেনো ?”

হত্যাকারী জবাব দিয়েছিলো – “কারণ তার ঈমান নাই‌।”

বিচারক জানতে কৌতূহলী হলেন – “তুমি কিভাবে বুঝলে যে তাঁর ঈমান নেই ?”

সন্ত্রাসীর জবাব ছিলো – “তার বইগুলা পড়লেই সব বোঝা যায় ।”

বিচারকের কৌতূহল বেড়ে গেলো – “তাঁর কোন্‌ বইটিতে তুমি তাঁর ঈমানহীনতার প্রমাণ পেলে ?”

হত্যাকারী স্বীকার করলো – “বইয়ের নাম আমি জানি না । আমি পড়িনি ওসব ।”

বিচারক বিস্মিত হলেন – “কেনো পড়োনি ?”

খুনীটি বলেছিলো – “আমি লিখতে-পড়তে জানি না‌ ।”

ঘৃণা, কখনোই জ্ঞানের মাধ্যমে ছড়ায় না । ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ে অজ্ঞতার মাধ্যমে । সমাজ অজ্ঞতার খেসারত ও অজ্ঞ করে রাখার খেসারত এভাবেই দেয় । সুতরাং কারো বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে – “তুমি আদৌ বিষয়টি পরিস্কার ভাবে, প্রমান সহকারে জানো কিনা ?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights