জ্বিন সম্পর্কে কিছু পয়েন্ট:
* মানুষের মত জ্বিন সৃষ্টির উদ্দেশ্যও আল্লাহর দাসত্ব করা। (৫১:৫৬)
* মানুষের সাথে জ্বিনরাও রাসূল পেয়েছে (৬:১৩০)। জ্বিনরা কুরআনের বার্তাও পেয়েছে এবং তাদের জাতিকে সতর্কও করেছে (৩৭:১৫৮; ৪৬:২৯-৩১; ৭২:১)।
* ভাল জ্বিনেরা মনে করেছিল মানুষ ও জ্বিন আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা বলে না। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল ছিল। (৭২:৫)
* মানুষের মত জ্বিনদের মধ্যে ভালমন্দ দুইই আছে। যারা খারাপকে সঙ্গী হিসেবে নেয় বা নিজেই খারাবী করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (৪১:২৫; ৪৬:১৮; ৭২:১৪)
* তারা মসজিদেও অবস্থান করে।(72:18)
* প্রত্যেক নবীরই যেমন কিছু মানুষ শত্রু আছে তেমনি কিছু জ্বিন শত্রুও আছে যারা নবী সম্পর্কে উদ্ভট কথা রচনা করে। (৬:১১২)
* মানুষের মত জ্বিনদেরও হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। (৫৫:৩১)
* প্রতিফলের সময় মানুষ জ্বিন কাওকেই পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। (৫৫:৩৯)
* খারাপ মানুষের মত খারাপ জ্বিনেরাও নরক আজাব ভোগ করবে। (৭:৩৮; ৭:১৭৯; ১১:১১৯; ৩২:১৩; ৩৪:১২; ৭২:১১; ৭২:১৫)
* জান্নাতের সঙ্গী/সঙ্গিনীদের মানুষ ও জ্বিন কেউই কল্পনা করতে পারে নি/ ছুঁয়ে দেখেনি। (৫৫:৪৬; ৫৫:৭৪)
* অনেকেই আল্লাহর সাথে জ্বিনদের উপাস্য রূপে গ্রহণ করে। (৩:১০০; ৬:১২৮; ১৮:৫০; ৩৪:৪১; ৩৭:১৫৮; ৭২:৬)
* কিয়ামতের দিন দোষীরা নিজের দোষ ঢাকতে কুমন্ত্রণাদাতা জ্বিন ও মানুষকে দোষারোপ করবে। (৪১:২৯)
———–
* জ্বিনকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের আগেই প্রখর আগুন দিয়ে। (১৫:২৭; ৫৫:১৫)
* ইবলিসও জ্বিন ছিল। জ্বিনদের একটা অংশ এখনও মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয় শয়তানের বংশধর বলে অভিহিত করা হয় তাদের। (১৮:৫০; ১১৪:৬; ৪১:২৯)
* মানুষের মতই জ্বিনদের জ্ঞানও সীমিত, অদৃশ্য বিষয়ে তাদের জ্ঞান নেই। (৩৪:১৪)
* জ্বিনরা ব্যাপক শক্তি ও ক্ষমতা সম্পন্ন। তারা এক মুহূর্তে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সিংহাসন নিতে সক্ষম। (২৭:৩৯)
* সোলায়মান মানুষ ও পাখিদের সাথে জ্বিনদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। (২৭:১৭)
* সোলায়মানের অনুগত জ্বিনরা দুর্গপ্রাসাদ, ভাস্কর্য, বসার ডেগ, থালা, ইত্যাদি তৈরি করতো। (৩৪:১২)
* জ্বিনদের আকাশ সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে। তাদের আকাশে স্টেশন বিদ্যমান। (৭২:৮-৯)
* মানুষের মত জ্বিনেরাও আকাশ পৃথিবীর সীমারেখা ভেদ করে যেতে পারে না (আল্লাহ নির্দেশ ব্যতিরেকে)। (৫৫:৩৩)
* জ্বিনরা মানুষের সাথে একত্রিত হয়ে চেষ্টা করলেও কুরআনের মত কিছু রচনা করতে পারবে না। (১৭:৮৮)