Categories
My text

ইবলিশ কেন কাফের

আবা ওয়াসতাকবারা ওয়া কানা মিনাল কাফিরিন”أَ

بَىٰ وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ

ইবলিশের উচ্চতর পরিষদ থেকে বহিস্কৃত হয়ে গিয়ে শয়তান হবার জন্য এই একটি ফ্রেজ বা বাক্যাংশ কোরআনে বার বার ব্যবহৃত হয়েছে।

১। আরবীতে ‘আবা'(أَبَىٰ) শব্দটির অর্থ মানতে অসীকৃতি জানানো।
২। আরবী ‘ইস্তাকবার’ اسْتَكْبَرَ শব্দটির অর্থ অহংকার করা, নিজেকে বড় মনে করা, নিজের বিবেচনা প্রয়োগে যা বোঝা যায়, সঠিক নির্দেশনার বিপরীতে হলেও তাকেই প্রাধান্য দেয়া ইত্যাদি।

ইবলিশ ছিল আল্লাহর উচ্চতর পরিষদের সদস্য, ফেরেশতারাও তাই ছিলো, এবং সেখানে মানুষের অভিষেক ঘটতে যাচ্ছিলো সুপিরিওর সদস্য হিসেবে। সেসময়ের আল্লাহর একটি মাত্র আদেশ অমান্য করা এবং তার বিপরীতে নিজের বিবেচনায় বুঝতে পারা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত মতামতকেই প্রাধান্য দিয়ে “আল-কাফের” দলের সূচনা করেছিল সে।

এই “আল-কাফের” শব্দটির একটি চমৎকার সমার্থক ফ্রেজ খুঁজে পেয়েছি ভাই স্যাম গ্যারান্স এর অনুবাদ থেকে, তা হচ্ছে SPURNERS OF GUIDANCE WHILE CLAIMING VIRTUE। অর্থাৎ বাংলা করলে দাঁড়ায় “প্রকৃত নির্দেশনাকে পদদলিত করেও যে নিজের সঠিকতার যুক্তি দেয়”

বর্তমানে কোরআন চর্চাকারী সমগ্র পৃথিবী ব্যাপীই বাড়ছে, আমাদের এই “ব্রান্ড” মুসলিম অধ্যষিত দেশেও গত ৩-৪ বছরে এই সংখ্যাটা বেশ চোখে পড়ার মতো। তো, যারা কোরআন চর্চা করেন এবং করতে চান, তাদের ক্ষেত্রে আমার একটি একান্ত অনুরোধ রইলো, আল্লাহর কালাম চর্চায় যথাসম্ভব ধীর হোন, কোন তাড়াহুড়া করবেন না। আর নিজের মধ্যে এবং নিজের বিবেচনাবোধকে কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নেবার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আল্লাহর কালামের বিবেচনায় আপনার সিদ্ধান্ত টি আগে বেড়ে গেলো নাতো? অন্যকে বোঝানোর ক্ষেত্রে এমন কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাতো যা আসল নির্দেশনাকে ছাড়িয়ে গিয়ে আপনার চিন্তাকেই বড় করে তুলছে! খুবই সাবধান থাকেন এ ব্যাপারে।

👉 ইবলিশ ও শয়তানকে আপনার মৌলিক গবেষনার সাবজেক্ট বানান। নিজের শত্রুকে যত বেশি চিনে রাখতে পারবেন, পথ চলা ততই সহজ হবে।

তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ্‌কে সিজদা করে যাহা কিছু আছে আকাশমণ্ডলীতে ও পৃথিবীতে, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রমণ্ডলী, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং সিজদা করে মানুষের মধ্যে অনেকে ? আবার অনেকের প্রতি অবধারিত হইয়াছে শাস্তি। আল্লাহ্ যাহাকে হেয় করেন তাহার সম্মানদাতা কেহই নাই; আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা তাহা করেন। (২২ঃ১৮)

Categories
Blog

শয়তানের বানী

পেশাব কিভাবে করতে হয়,? পায়খানা করে কিভাবে শৌচ (মুছতে হয়) করতে হয়? (sex) কিভাবে করতে হয়? স্বামীর মন খারাপ থাকলে স্ত্রী কত ঢুক বুকের দুধ খাওয়াবেন? (sex) করার সময় দোয়া না পড়লে  (penis) মধ্যে শয়তান ঢুকে যাবে… হাদীসে বর্নিত এ বানী গুলোকে আপনি নবীর বানী বলে মনে করেন। একবারও কি বিবেকের কাছে প্রশ্ন জাগে না যে,  উম্মতকে এসব শিক্ষা দিতে আল্লাহ  নবীকে কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছেন ?

যে বাণী গুলোকে আপনি নবীর বাণী বলে মনে করেন মুলত সে গুলি শয়তানের বাণী, নবীর নামে প্রচার করা হয়েছে। নবী কখনো অশ্লীল, অবৈজ্ঞানিক, অবাস্তব, অসামাঞ্জস্য কোন কথা কখোনই বলেন নাই বা বলতে পারেন না। কারন তিনি স্বয়ং রব দ্বারা সার্বক্ষন কন্ট্রোলিত ছিলেন। তার প্রমাণ নীচের আয়াতটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।

“আমি যদি আপনাকে সতর্ক না করিতাম তবে আপনিতো প্রায় তাদের প্রতি ঝুকেই পড়েছিলেন।”

নবীর সকল বানী কোরানেই লিপি বদ্ধ রয়েছে।

এ উপ-মহাদেশের খৃষ্টান মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত মাদ্রাসা গুলিতে হাদীসের সিলেবাসে সীমাবদ্ধ রেখে আলেম নামক ইসলামী স্কলারগন তৈরী হতে থাকে। কোরানের উপর গবেষনা বিমুখ এই আলেমগন নিজেদের প্রজ্ঞা বিবেক প্রয়োগ না করে সত্য মিথ্যে যাচাই এর কোন গবেষনা না করে দরসে হাদীসের অর্জিত জ্ঞানকে তৃপ্তির সাথে সোয়াব ও জান্নাত প্রাপ্তীর আমলে সীমাবদ্ধ করে আম-জনতার মগজে ঢুকিয়ে দিতে থাকে যুগের পর যুগ । যা পালন করে সবাই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আলেমদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে,লক্ষ্য একটাই পরকালের নাজাতের  বিষয়ে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়  আলেমগন ধর্মকে জীবন জীবিকার পথ হিসেবে বেছে নেয়।

শুরু হয় মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ মাদ্রাসার গড়ার প্রতিযোগিতা। কর্মস্থলের সুযোগ বৃদ্ধি ও পরিধি প্রসারের মহা উৎসবে তারা ব্যস্ত হয়ে ইসলামকে পাচটি মৌলিক বিষয়ে সীমাবদ্ধ রেখে জনতাকে কোরান বিমুখ করে তুলে। এতেকরে মানুষ মুল ইসলাম থেকে ছিটকে পরে হুজুর ভিত্তিক দ্বীন ও ধর্ম  পালনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে।

ফলে অবস্থা এমন একটি পর্যায়ে দাড়িয় যে সত্যটা কেউ তুলে ধরলে এই আলেম সমাজই আম জনতাকে হায়েনার মত লেলিয়ে দিয়ে ইহুদী-খৃষ্টানের দালাল,কাদেয়ানী, কাফের ইত্যাদি ইত্যাদি ফতুয়া দিয়ে ফাঁসির দাবীতে মিছিল করে। সত্য পরাভুত হয়ে নীরব অশ্রু ঝড়ায় নিগৃহীতে।


Verified by MonsterInsights