রুহ ঢুকলে প্রাণের সঞ্চার ঘটে আবার রুহ বের করে নিলে মৃত্যু ঘঠে। রুহ তাহলে কি? কোথায় তাঁর অবস্থান?
এবিষয়ে বলতে চাইলেই (১৭:৮৫) আয়াতের রেফারেন্স দার করিয়ে থামিয়ে দেয়া হয় এ বলে যে, রুহ সম্বন্ধে খুব অল্প জ্ঞান দিয়েছেন। কেন? তাহলে কোরানের ২১ টি আয়াতে
I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.
রুহ ঢুকলে প্রাণের সঞ্চার ঘটে আবার রুহ বের করে নিলে মৃত্যু ঘঠে। রুহ তাহলে কি? কোথায় তাঁর অবস্থান?
এবিষয়ে বলতে চাইলেই (১৭:৮৫) আয়াতের রেফারেন্স দার করিয়ে থামিয়ে দেয়া হয় এ বলে যে, রুহ সম্বন্ধে খুব অল্প জ্ঞান দিয়েছেন। কেন? তাহলে কোরানের ২১ টি আয়াতে
“আদমকে সিজদার আদেশ হল, কিন্তু হাওয়া কে নয়” — এর মধ্যে যে আপাত বৈষম্য দেীখা যায়, তা আসলে সৃষ্টির উদ্দেশ্য, প্রতীকী প্রতিনিধিত্ব (رمزية) এবং কালানুক্রমিক ধারার বিষয়; লিঙ্গ ভিত্তিক মর্যাদার পার্থক্য নয়।
চলুন ধাপে ধাপে কুরআনের আলোকে বিষয়টি বিশ্লেষণ করি —
মহাপ্রলয়
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন: এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে কিয়ামতের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন… তারপর নবী সাঃ আনসারদের এক কিশোরের দিকে ইশারা করে বললেন, “যদি এই ছেলেটি বেঁচে থাকে, তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।” (সহীহ মুসলিম ২৯৫২ এবং বুখারীর
রূহ (ٱلرُّوحُ) আল্লাহ প্রতিদিন নতুন করে সৃষ্টি করেন কি না, নাকি একবারেই সব রূহ সৃষ্টি হয়ে গেছে?
১. রূহের সৃষ্টির মূলনীতি (একবারে সৃষ্টি)
কুরআনে আল্লাহ বলেন:
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنۢ بَنِيٓ ءَادَمَ مِن ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ
পাক-পবিত্ররা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। (৫৬:৭৯)
পূর্বের ৭৭ নং আয়াতের ধারাবাহিকতায় একে বলতে কুরআনকে বোঝানো হয়েছে। এর অর্থ দাড়ায় অপবিত্র কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। কুরআনে কে পবিত্র , তা পরিস্কার বলা না থাকলেও কারা অপবিত্র তা পরিস্কার বলা আছে।
কুরআনে
সংসার জগত সৃষ্টির সুচনা
ব্রাহ্মা (সৃষ্টিকর্তা) শতরূপাকে সৃষ্টি করে তিনি তাঁর নিজ রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেম/যৌনাচারে লিপ্ত হন এবং তদনুযায়ী জগত-সংসার শুরু হয়।
এই কাহিনীতে বিশ্বের উৎপত্তি সংসার জগত সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার আত্ম-প্রসারণ বা ‘লীলা’/স্বরূপ-প্রকাশ হিসেবে বর্ণিত হয় সনাতন ধর্ম মতে।
অপর দিকে
“মনুষ্য ও সংসার” সৃষ্টি হল
আল্লাহ প্রথম মানুষ আদম সৃষ্টি করেন; তার জন্য তাকে জুটি (স্ত্রী/সঙ্গী) সৃষ্টি করা হয়।
আদম ও তাঁর সঙ্গীকে জান্নাতে রাখা হয়েছিল; এক বিধি ভঙ্গের ফলে তারা জান্নাত থেকে পৃথিবীতে প্রেরিত হন — পৃথিবীতে সংসার, পরিশ্রম ও পরীক্ষা শুরু
আদমের পোষাকে আবৃত ও লুকায়িত হইয়া আমিই ফেরেস্তাগনের সিজদা গ্রহন করেছি লাম এবং মোহাম্মদ সাঃ এ-র সুরতে আমি নিজেই প্রশংসাকারী ও প্রশংসিত হইয়াছি।
(ইবনুল আরাবি রহঃ)
একই ব্যাক্তি মুহাম্মদ এবং আহাম্মদ কেন?
“মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কাউকে পিতা নন; বরং
শ্যামপুর মিয়া বাড়ির স্মৃতির পাতায় শাবানা
শ্যামপুর মিয়া বাড়ির আঙিনায় যে বাতাস বয়ে যায়, তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অগণিত স্মৃতি, অগণিত গল্প। সেখানেই জন্ম নেয় একদিন এক ফুটফুটে কন্যা, যে রত্না থেকে শাবানা হয়ে ছাপ ফেলেছিল সমগ্র বাংলার হৃদয়ে।
রত্না থেকে শাবানা : এক কিংবদন্তির জন্ম
অধ্যায় ১ : প্রথম আলোয় পদার্পণ
১৯৬৬ সালের ২৯শে জুলাই—বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ক্যালেন্ডারে বিশেষ এক তারিখ। সেদিন মুক্তি পেল মুস্তাফিজ পরিচালিত সাদা-কালো ছবি “ডাক বাবু”। ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শনের সময় দর্শকরা পরিচিত মুখের পাশাপাশি দেখতে পেল
আদমকে ধোকা দিল ইবলিশ আর ইবলিশকে ধোকা দিল কে? তার মানে ইবলিশ উপাধী প্রদানের আগেও শয়তান ছিল।
মুহতারাম। আপনি আলীগর মাদ্রাসার কোরান বিভাগের প্রধান। আমি একরামুল হক বাংলাদেশ থেকে প্রশ্নকারী। আমি আপনার সাথে শয়তানের সৃষ্টির সুচনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আমি প্রশ্নকারী আপনি উত্তরদাতা
শোকের জুম্মাকে যারা মোবারক বানালো !
১০ অক্টোবর ৬৮০ খৃষ্টাব্দে ইরাকে হোসেইনের তাবুতে জুম্মার আযান হয়েছিল পাশাপাশি ১০ অক্টোবর ৬৮০ খৃষ্টাব্দে এজিদের তাবুতেও জুম্মার আযান হয়েছিল।
সে সময় পাক্কা মুসলমানের দুইটি জামাত দুই তাবুর দেকে জুম্মার জন্য সমবেত হয়েছিল।
অতীত জীবনের গল্প
সংকলক: এ,কে,এম একরামুল হক
১৯৬০ সালের এক সন্ধ্যায়, রংপুরের আকাশের নিচে, দুটি ভাই-বোন—এফতেদা বেগম রুবী ও আতাউর রহমান মিন্টু—এক অদ্ভুত প্রতিজ্ঞায় বাঁধা পড়লেন। পারিবারিক ঘনিষ্ঠতার টানেই তারা ওয়াদা করলেন, “যার আগে ছেলে
প্রবাদ বাক্য ① اِصْبِرْ تَظْفَرْ উচ্চারণ: ইসবির তাযফার অর্থ: ধৈর্য ধরো, সফল হবে। (সংক্ষিপ্ত ও ছন্দময়; ধৈর্যের সুফল বোঝায়) ② مَنْ جَدَّ وَجَدَ উচ্চারণ: মান জাদ্দা ওয়াজাদা অর্থ: যে পরিশ্রম করে, সে পায়। (ছন্দ ও পুনরুক্তি দ্বারা সহজে মনে থাকে) ③ كَمَا تَزْرَعْ تَحْصُدْ উচ্চারণ: কামা তাজরা‘ তাহসুদ অর্থ: যেমন
আমি এ,কে,এম একরামুল হক রুবেল। জন্ম ৯ই মার্চ, ১৯৬০। আমি একাধারে ইতিহাস প্রেমী, স্মৃতিচারণকারী এবং আমার পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
আমার বংশের শিকড় গেঁথে আছে আরব দেশের ইয়েমেনে। সেই বংশের প্রবাহকে ধরে রাখতে আমি আমার পূর্বপুরুষদের লিপিবদ্ধ করছি।
আদম কাহিনীর প্রতীকী বিশ্লেষণ — মাতৃগর্ভ = বেহেশত,আমি সুফি চিন্তা এটা আমার গবেষণা ;- আমার গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোরআনে আদমের কাহিনীকে যদি আক্ষরিক নয় বরং প্রতীকীভাবে পড়া হয়, তাহলে তা আসলে প্রতিটি মানুষের জন্মপূর্ব ও জন্ম-পরবর্তী জীবনের রূপকচিত্র। ১. বেহেশত = মাতৃগর্ভের নিরাপদ জগত কোরআনের বর্ণনা: “তাদের জন্য রয়েছে বাগান,
সরদার বংশের ইতিহাস ও স্মৃতিচারণ
আমি এ,কে,এম একরামুল হক রুবেল। জন্ম ৯ই মার্চ, ১৯৬০। আমি একাধারে ইতিহাস প্রেমী, স্মৃতিচারণকারী এবং আমার পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
আমার বংশের শিকড় গেঁথে আছে আরব দেশের ইয়েমেনে। সেই বংশের প্রবাহকে ধরে রাখতে আমি আমার পূর্বপুরুষদের
অন্তর আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে —
তবুও কেন জিজ্ঞাসা?
মানুষের সত্তা রহস্যময় এক সংগঠন। তার মধ্যে রয়েছে নফস (আত্মা), ফু’আদ (অন্তর), আক্ল (বুদ্ধি), ক্বলব, রুহ এবং হাওয়াস (ইন্দ্রিয়)। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেন: “নিশ্চয়ই শ্রবণ, দৃষ্টি ও অন্তর — সবকিছুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে।” [ ১৭:৩৬] এই আয়াত
_____ পাঠ পর্যালোচনা পর্ব – 03
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত,(৩৯:২৩) الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ دَآٮِٕمُوْنَ.
(আল্লাজিনা – হুম – আ’লা – সালাতিহিম – দাইমুন)
মাত্র ৫টি শব্দ নিয়ে এ আয়াতটি। গ্রামার জানার আগে প্রথমে আমাদের কোন শব্দের আদল বা মুল শব্দ নিরুপন করা শিখতে হবে।
_ পাঠ পর্যালোচনা অনুশীলন পর্ব-০২
‘অনুসরণ কর তাহাদের, যাহারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না এবং যাহারা সৎপথপ্রাপ্ত। (৩৬:২১)
اتَّبِعُوْا مَنْ لَّا يَسْـــَٔلُكُمْ اَجْرًا وَّهُمْ مُّهْتَدُوْنَ (ইত্তাবিউ মান লা ইয়াসআলুকুম আজরাওঁ ওয়া হুম মুহতাদুন।)
শব্দার্থ: اتَّبِعُوا = তোমরা অনুসরণ করো, مَنْ = (তার) যে,
পাঠ পর্যালোচনা আরবী গ্রামার -০১ সমগ্র কোরাআনে যত শব্দ আছে তা তিনটি শ্রেনীতে বিভক্ত। যথা: ১) ইশেম (বিষেশ্য) ২) ফা’আল (ক্রিয়া) এবং ৩) হরফ ( অব্যয়) 🛂 হরফ এবং ফাল বাদ দিলে বাকি সব ইসিম। যে শব্দ গুলি দ্বারা কোন কিছুর নাম বুঝায় তাকে এসেম বলে। যে শব্দ গুলি দ্বারা
আরবী গ্রামার হরফ (حرف) বা অব্যয় পর্ব_০৫ সংজ্ঞা: حرف (হরফ) এমন একটি শব্দ যা নিজে কোনো অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, বরং বাক্যে অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে কোনো অর্থ প্রকাশ করে। ✅ হরফ মূলত ৩ প্রকার: ১️) حرف جرّ (হরফে জার) নাম (ইসম)-এর আগে বসে তাকে জার করে দেয়
আরবী গ্রামারে فعل (ফে’ল) বা ক্রিয়া পর্ব _০৪ ফে’ল দ্বারা সময় (যেমন: অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ) বোঝানো হয়। ফে’ল এমন একটি শব্দ যা কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো ঘটনার সংঘটন বুঝায়। আরবী ভাষায় ফে’ল প্রধানত তিন প্রকার: ১) অতীত কাল فعل ماضٍ (ফে’লুন মাদিন) ২️) বর্তমান ও ভবিষ্যৎ فعل مضارع (ফে’লুন
প্রাথমিক আরবী গ্রামার পর্ব_০৩ ইসেম (الاسم) সংজ্ঞা: ইসেম হল এমন একটি শব্দ যা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, প্রাণী, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, সময় ইত্যাদির নাম বুঝায়। ইসেম আরবী ভাষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিটি বাক্যের মৌলিক গঠনেই ইসেমের ভূমিকা থাকে। ইসেমকে বুঝলে বাক্য গঠন, ই‘রাব (إعراب), ও তাফসীর সহজ হয়। ২. ইসেম-এর চিহ্ন
প্রাথমিক আরবী গ্রামার পর্ব-02 ( সর্বনাম) আরবী গ্রামারে সর্বনাম পদকে (ضمير – দামীর) বলে। ইসিম এর পরিবর্তে যে পদ ব্যবহার হয় তাকেই দমীর বা সর্বনাম বলে। দমীর তিন প্রকার। ১. মুনফাসিল দামীর (الضمير المنفصل) স্বতন্ত্র সর্বনাম ২. মুত্তাসিল দামীর (الضمير المتصل) যুক্ত সর্বনাম ৩. মুস্তাতির দামীর (الضمير المستتر) উহ্য সর্বনাম
____ আরবী গ্রামার পর্ব -০১ (ভুমিকা) আরবী গ্রামার আর কোরানিক গ্রামার এক নয়। কোরান বুঝার জন্য যে গ্রামার জানা প্রয়োজন তা খুব সহজ, আরবী গ্রামারের মত অতটা জটিল নয়। সমগ্র কোরানে পুনারাবৃত্তি সহ মোট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৭৮ হাজার। তন্মধ্যে মুল শব্দ মাত্র ১৮ হাজারের মত। ফলে ২০০ /২৫০ শব্দের
” عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ আলাই্হা তিসাতা আশার। “তার উপর রয়েছে উনিশ।” সূরা মুদ্দাসসির বিশ্লেষণ: عَلَيْهَا = তার উপর, تِسْعَةَ عَشَرَ = উনিশ। এই আয়াতটির পুর্ববর্তি ও পরবর্তি আয়াতের বর্ননানুযায়ী তাফসীরকারক গন বলেন আয়াতে জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ণনার পর বলা হচ্ছে, “তার উপর রয়েছে উনিশজন” — অর্থাৎ উনিশজন ফেরেশতা জাহান্নামের রক্ষণাবেক্ষণ কারী।
_______ كُلٌّ فِیْ فَلَكٍ یَّسْبَحُوْنَ. _____ ১) كُلٌّ (কুল্লুন) = সবই, ২) فِي (ফী) = উপর ৩) فَلَكٍ (ফালাকি ) = কক্ষপথে ৪) يَسْبَحُونَ (ইয়াছবাহুন ) = সাঁতার কাটছে অর্থঃ প্রত্যেকেই এক একটি কক্ষপথে সাঁতার কাটছে। ব্যাখ্যাঃ কুরআনের এ আয়াতটি মহাকাশ সংক্রান্ত অলৌকিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি অনন্য নিদর্শন। সূর্য, চাঁদ ও
মন যন্ত্রনা
কিসের জালায় মন মরে যায়
যখন তখন
অঙ্গ আমার কাঁপে
কোন অসুখের তাপে
Ekramul hoq
#আলিফ – লাম – মীম” এর তাফসীরঃ #এটি এক প্রকার “ঐশিরীয় সংকেত”, যেটির মাধ্যমে তিনি মানুষকে কৌতূহলী করেন ও আকর্ষণ করেন। আলিফ লাম মীম” ইত্যাদি হচ্ছে সেই অপারেটিং সিস্টেমের প্রোটেকটেড হেডার ফাইলস বা এনক্রিপ্টেড বুট কোড। মানুষ সেটার অর্থ বুঝতে পারছে না, কারণ সে উপযুক্ত ডিকোডার (হেদায়াত ও তাকওয়া) ছাড়া