Categories
Blog Innovator My text

পৃথিবী স্থির না সূর্য স্থির

বিজ্ঞানের দাবী সূর্য স্থীর কোরানের দাবী পৃথিবী স্থীর। যুক্তি উপস্থাপন করে প্রমাণ করব কোরানে বর্ননা সত্য বিজ্ঞানই মিথ্যে।  

কোরান বলছে “সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [সুরা ইয়া-সীন – ৩৬:৩৮

তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [সুরা আম্বিয়া – ২১:৩৩] সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [সুরা ইয়া-সীন – ৩৬:৪০]

এ আয়াতে বুঝায় সুর্য এবং চন্দ্র উভয়ে ঘুড়ে। পক্ষান্তরে বিজ্ঞান বলে – “পৃথিবী ঘুরছে সাথে ঘুরছে বায়ুমণ্ডলও।

এখন প্রশ্ন-স্যাটেলাইট কি বায়ুমণ্ডলের ভিতরে নাকি বাইরে ? যদি ভিতরে থাকে তাহলে যার যার স্যাটেলাইট তার তার দেশের আকাশ সীমানার ভিতরে আছে,আর যদি বাইরে থাকে তাহলে তাহা অন্য দেশের আকাশ সীমানার উপরে চলে যাবে কারণ পৃথিবী নিজ অবস্থানে ঘুরছে এবং তাহা অন্য দেশের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি।এবং এই স্যাটেলাইট তার নিজ দেশের সার্বক্ষণিক ম্যাসেজ দিতে সক্ষম নয়। বায়ুমণ্ডলের উপরে মানে মহাশূন্যে যদি থাকে তাহলে স্যাটেলাইট কিভাবে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে যেখানে পৃথিবী এক স্হানে থাকেনা, মানে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ৩৬৫দিনে ঘন্টায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার বেগে প্রদক্ষিণ করে? স্যাটেলাইট ও কি সূর্যকে পৃথিবীর মতো সমান তালে প্রদক্ষিণ করার ক্ষমতা রাখে?

অস্হীর পৃথিবীকে নিরাপদ রেখেছে বায়ুমণ্ডল তাহলে প্রশ্ন :-চলমান স্যাটেলাইটকে অক্ষত রাখলো কে যদি তা বায়ুমণ্ডলের বাইরে থাকে এবং ঘন্টায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার বেগে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে ? স্যাটেলাইটের একটা নাট বল্টুও কি খুঁজে পাওয়া যাবে??

বায়ুমণ্ডলের বাইরে অবস্থান থাকলে মধ্যকর্ষণ শক্তির প্রভাব থাকার কথা নয়, তারপরও মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব থাকলে নিজ দেশের সীমানা পার হবার কথা নয় । বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্যাটেলাইট থাকলে কি করে তা না হারিয়ে নিজ নিজ দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পৃথিবী সহ অন্য গ্রহ উপগ্রহের ছবি ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করতে পারে যেহেতু পৃথিবী ঘোরার সাথে স্যাটেলাইটও ঘুরে ? আমার মূল প্রসংগ স্যাটেলাইটকে ঘিরে নয়, আমার মূল প্রসংঙ্গ পৃথিবী চাদঁ সূর্যকে ঘিরে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে নাকি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। পৃথিবী স্হীর তাই স্যাটেলাইটও স্হীর। পৃথিবী যদি অস্হীর হয় তাহলে স্যাটেলাইটও অস্হীর হবে এটাই হচ্ছে আমার মূল প্রসংগ।

পবিত্র কোরআনে আছে,-“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [সুরা ফাতির – ৩৫:৪১”]।

★ -পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত এবং সূর্যে যেতে কত কিলোমিটার বেগে কত সময় লাগতে পারে?একটি ঘড়ির মতো সূর্যকে সেন্টারে রেখে ঘণ্টা বা মিনিটের কাটার মতো পৃথিবীর যদি একই জায়গায় ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে তাহলে এই মাথা থেকে ঐ মাথায় যেতে লাগবে অর্ধেক সময় মানে ১৮২`৫ দিন। আর সেন্টার মাপলে তার অর্ধেক মানে মাত্র ৯১`২৫ দিন বা তারও কম সময় যেহেতু এ্যাংগেলে ঘুরে নয় বরং সোজা যাবে। গবেষকগন বলছেন দূরত্ব প্রায় ১৫কোটি কিলোমিটার, মানে ঘণ্টায় যায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার যেতে হয় । পৃথিবী এত বেগে চললে কারো কি সাধ্য আছে পৃথিবী থেকে বের হয়ে সেখানে আবার ফিরে আসা যেমন বিদ্যুৎ বেগে চলন্ত ট্রেনে লাফ দিয়ে উঠা ? পৃথিবীতে ফিরতে ১বার মিস করলে আরেক সুযোগ আসবে ৩৬৫ দিন পর।  যদি পৃথিবীর সীমারেখা পার হয়ে কেউ বা কিছু সত্যি সত্যি বাইরে যায় এবং ফিরে আসতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে “পৃথিবী স্হীর “। পবিত্র কোরআনও একই দলিল দিচ্ছে -” নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [সুরা ফাতির – ৩৫:৪১]।

★ সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [সুরা ইয়া-সীন – ৩৬:৩৮] এখানে বলা হয়েছে সূর্য চাদেঁর মতো মানে লাটিমের ন্যায় ঘুরছে। উপরোক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে সূর্যও চন্দ্রের মতো আপন কক্ষপথ আছে এবং ঘুরে। অপর আরেকটি আয়াতে বলা আছে-“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [সুরা ফাতির – ৩৫:৪১]।এই আয়াতে আসমানে এবং পৃথিবীকে স্হীর বলা হলে উপরোক্ত ২টি আয়াতে এটি দাড়ালো যে, -“আসমান এবং পৃথিবী স্হীর, সূর্য এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে তাদের নিজ কক্ষপথে ঘুরে”।

অনেকের মতে এখানে নিজ কক্ষপথ বলতে লাটিমের ন্যায় ঘুরা বুঝিয়েছেন, প্রদক্ষিণ নয়। তাহলে তাদের নিকট প্রশ্ন :-“যদি তা-ই হয় তাহলে ঘণ্টায় ৬৬,৬৬৬ বেগে পৃথিবী ঘুরলে চাদেঁ মংগলে নভোচারী রোবট গেলে আবার কত কিলোমিটার বেগের নভোযান নিয়ে তারা আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে? দুনিয়ার সবাইতো আর মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। পৃথিবী ঘণ্টায় ৬৬৬৬৬ বেগে চললে এবং নিজ অবস্থানে ঘুরলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকতো কোন থিউরীতে ? আমি কিছু কোরআন না পড়ুয়া গবেষকদের কঠোর সমালোচনা করছি। পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতের গবেষণা করে নিচে বর্ণিত কিছু যুক্তি এবং প্রমাণ তুলে ধরলাম। 

★যাই হোক এবার আসি একটি ছোট্ট গবেষণায়,  -“ঘুরছে এমন কিছুর উপর দাড়িঁয়ে জাম্প বা লাফ দিয়ে ঠিক ঐ একই স্হানে বা টার্গেট স্হানে পৌঁছানো যাবেনা ।চাদঁ ঘুরছে তাই একই স্হানে কেউ লাফ দিয়ে একই স্হানে বা টার্গেট স্হানে কেউ নামতে পারেনা বা নামতে পারবে না চ্যালেঞ্জ । পৃথিবী স্হীর তাই টার্গেট স্হানে কিছু ফেলা বা অবতরণ করা সম্ভব।

★ যদি পৃথিবী ঘুরতো তাহলে ঢাকা থেকে বিমান সৌদি আরবে উড়ে যেতোনা। বিমান বা হেলিকপ্টার সোজা উড়ে উপরে বসে/স্হির থাকতো, পৃথিবী ঘুরে সৌদি আরব নিচে চলে আসতো আর বিমান বা হেলিকপ্টার নিচে নেমে অবতরণ করতো।

★ পৃথিবী যদি নিজ কক্ষে ঘুরে দিনরাত হয়ে থাকে এবং বছরের সাথে তাল মিলিয়ে সূর্যের কাছে বা দূরে যায় যাহার কারণে ঋতু পরিবর্তন হয় তাহলে একই সময় ইংল্যান্ড বাংলাদেশে গরমকাল আর সেই একই সময় অষ্ট্রেলিয়াতে শীত কাল হবে কেন? এসব আল্লাহর কারিশমা বুঝা ছাড়া মাথা নষ্ট করে কোনই লাভ নাই।

নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে সব নিচের দিকে নামে সূত্রটি যেমন ভূল প্রামাণিত হয়েছে মদিনা গিয়ে তেমনি বিজ্ঞানের এই নিজ কক্ষে ঘুরার সুত্রটিও ভূল এটা তারাই আবার গবেষণা করলেই পাবে। 

★ আপনি একটি চাকা বিশিষ্ঠ চেয়ারে বসুন এবং মাঝখানে কিছু একটাকে ভিডিও করুন।ওটা স্হির থাকবে আর আপনি চারদিকে ঘুরে ভিডিও করুন। ভিডিওটার ছবি দেখলে মনে হবে -আপনি স্হির আছেন আর সামনের জিনিসটা ঘুরছে।যেহেতু পৃথিবীর চারপাশে সব ঘুরছে আর আপনি চাদঁ বা অন্য কোন গ্রহে বসে ভিডিওটা করছেন সেহেতু মনে হবে আপনি স্হির আছেন আর পৃথিবী ঘুরছে।

★ পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে এক এক দেশের স্যাটেলাইট তার নিজ দেশের তথ্য দিতে পারতোনা কারণ সে তার নিজ দেশের সিমানার উপরে থাকত না।

★আকাশের দিকে কিছুসময় তাকান,-দেখতে পাবেন কিছু মেঘ ডান দিক থেকে বামে যাচ্ছে আবার তার উপরের সাড়ির মেঘ বাম দিক থেকে ডানে যাচ্ছে, পৃথিবী ঘুরলে বায়ু প্রবাহের কারণে মেঘে এক দিকেই যেতো।পবিত্র কোরআনে আছে -“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল। [সুরা ফাতির – ৩৫:৪১]

অতএব চীনের আধুনিক একটি নদীতে বাধঁ নির্মাণ করে পৃথিবীর ঘুববার গতিকে কমিয়ে দেবার দাবী ১০০% অবান্তর, যেহেতু পৃথিবী ঘুরছেইনা। অন্য আয়াতে আছে- “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [সুরা আম্বিয়া – ২১:৩৩]

★সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক অনেক গুনে বড়, অতএব প্রথম ভূল হচ্ছে টেবিলের উপর বড় গ্লোব আর ছোট মোমবাতি নয় বরং বড় চুলার আগুন এবং তার সামনে খুবই ছোট একটি মারবেল বা এই ধরণের আয়তনের কিছু রেখে পৃথিবীতে আলোর সীমানা কভার হবার ভাবটা অনুমান করা উচিৎ, তাতে ফলাফল চিন্তার বিষয় দাড়াঁবে ১০০%। অন্য আরেকটি আয়াতে আছে,”সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [সুরা ইয়া-সীন – ৩৬:৩৮]

* সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [সুরা ইয়া-সীন – ৩৬:৪০] পৃথিবীকে ঘিরেই সব ঘুরছে এবং দিন রাত্রী আল্লাহর সৃষ্টি আরেকটি অলৌকিক কারিশমা। 

★ ১০০ গজ তফাৎ রেখে ২টি ফুটবল রাখুন।১ম বলের সামনে দাঁড়িয়ে অপর প্রান্তের বলটিকে ছোট দেখাবে।অপর প্রান্তের বলটির সঠিক আয়তন জানতে সেই বলটির কাছে যেতে হবে।ছবি তুলে ঝুম করলে ইচ্ছা মত বলটিকে ছোট বড় করা যাবে কিন্তু বলটির সঠিক আয়তন বলতে হলে বলটির কাছে অবশ্যই যেতে হবে।এত শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে শত আলোকবর্ষ দূরের সূর্য গ্রহ দেখে পরিমাপ ও কিছু অনুমান করা গেলে চাদেঁ নভোচারী বা রোবট পাঠানোর কি প্রয়োজন?গতকাল একটি পোষ্টে একজন কমেন্টস করেছেন যে -“মহাশূন্যে শূন্য থাকায় কিছু স্হির থাকতে পারেনা। জবাবে বলবো -“তাহলে ঘুরা ছাড়া কিভাবে একটি নভোযান টার্গেট স্হানে যেতে পারে? এবং ঘুরলে নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা নয়,টার্গেটে পৌঁছায় কিভাবে?

হেসে জবাব আসে -“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [৩৫:৪১]

★কোন একটি নির্ধারিত স্হানে সূর্য মাথার উপর যত আসবে তত তাপ বাড়ে এবং তা অনুধাবন করা যায়, কিন্তু সকাল ও সন্ধায় তাপ কম হবার কারণ গবেষক গন বলেন যে, -ঐ স্হান থেকে সূর্যের দূরত্ব কিছুটা বাড়ায় তাপমাত্রা কমে। উল্লেখ্য যে, আপনি আমি সূর্যের উদয় এবং ডুবা বা অস্ত যায় দেখলেও সূর্য কখনোই উদয় বা অস্ত যায়না,সে শুধু পৃথিবীর চার পাশে ঘুরে এবং তাপ দেয়, কোথাও অস্ত যাওয়া দেখা যায়তো কোথাও উদয়। মূল প্রসংগে আসা যাক,-“অতি সামান্য দূরত্বের কারণে দুপুরে খাড়া তাপ দেয়া স্হান থেকে সকাল বিকালের সূর্যের তাপ যদি কমে এবং দুপুরে কাছে আসায় বাড়ে তাহলে চাদেঁর তাপমাত্রা অনেক অনেক বেশী হবার কথা কারণ চাদঁ সূর্যের আরো বেশী নিকটে, এবং সত্যিকার অর্থে কেউ চাদেঁ যেতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছেনা,খটকা লাগছে।আরেকটি কথা যা না বললেই নয়,গবেষকগন বলছেন যে মহাশূন্যে বাতাস নেই এবং চাদেঁ কম পরিমাণে বাতাস আছে তাহলে গাছ বিহীন মহাশূন্য এবং চাদঁকে শীতল রাখলো কে যে নভোচারীরা মহাশূন্যে নভোযানকে নিয়ন্ত্রণ রেখে সেখানে যেতে পারে ? এবং নভোযান গুলো কিসের উপর ভর করে বা ধাক্কা দিয়ে উপরে উঠতে পারে যেমনটা মাছ পাখি বিমান হেলিকপ্টার উড়তে পারে ? শুধু মহা শূন্য এবং পৃথিবী স্হীর। মোট কথা, “সেন্টার বুঝতে ভূল হয়েছে, সূর্য নয় বরং সেন্টারে আছে পৃথিবী এবং সব কিছু পৃথিবীকে ঘিরেই ঘুরছে। মহান আল্লাহ পৃথিবী সহ সৌরজগতের সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা সব কিছু সৃষ্টি করেছে ৬ দিনে তারমধ্যে পৃথিবীতেই সময় লাগিয়েছেন ২ দিন, বাকী সব ৪দিনে, মানে এক তৃতীয়াংশ সময় লাগিয়েছে শুধু উনার প্রীয় পৃথিবীর জন্য। অতএব আপনাকে বুঝতে হবে পৃথিবী হচ্ছে স্পেশাল। এই পৃথিবীকে কিছু গবেষক দাড়ঁ করিয়েছেন অন্য সব গ্রহের লাইনে।এতে পৃথিবীর মান যায়।পৃথিবীর সেবায়ই চন্দ্র সূর্য আলোকসজ্জা সব কিছু,অতএব পৃথিবীই আছে সৌরজগতের কেন্দ্র বিন্দুতে। কেন্দ্রবিন্দুতে।আল্লাহর আরশ ফেরেশতাগন জ্বীন দোজখ জান্নাত বিচার শাস্তি সব কিছুই এই মানুষে ঘিরে আর এই মানুষই হচ্ছেন পৃথিবীর বাসিন্দা, অতএব পৃথিবী স্পেশাল, মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব।

এখন প্রশ্ন সুরা তালাকের শেষ এবং শেষের আগের আয়াত কি বলছে,ঐ সব পৃথিবীতে কারা আছে? আরশ হচ্ছে আরশের অধিপতি আল্লাহর রাজ দরবারের মতো যেখানে জান্নাত দোজখ নেই। তিনি প্রথম আসমানে সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা স্হাপিত করেছেন পৃথিবীর জন্য।বাকী গুলোতে নেই কেন? বাকী গুলো জান্নাত যাহা আরশে স্হাপিত নয় বলে মনে করি।পৃথিবীর যাবতীয় সুখ শান্তি চাওয়া পাওয়া পূরণ হবার জায়গা ঐ সব পৃথিবী।শেষ আয়াতের আগের আয়াত এমনটাই মনে হচ্ছে।

★আসমানি কিতাব তাওরাত এবং ইন্জিল একই আল্লাহর বাণী। তাই এগুলিতেও সূর্য এবং পৃথিবী ঘুরার বিয়য়ে মত পার্থক্য নেই।ততকালীন সময়ে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরার মতপার্থক্য এবং বিরোধীতা করায় আসমানী কিতাব অবমাননার দ্বায়ে কিছু ইহুদী এবং খৃষ্টানরা জ্যোতির্বিদ জিওর্দানো ব্রোনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে যিনি কিনা পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরার থিউরির সর্ব প্রথম জনক।

★বিজ্ঞান বলেনি যে,-“পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে,বরং কিছু গবেষক বলেছে যে,-“পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে”।কারো মতামত প্রকাশ বিজ্ঞান নয়।বিষয়টি ল্যাবে টেষ্টযোগ্য নয়।আমিও একজন তাদের মতো গবেষক তবে মহান আল্লাহর দেয়া পবিত্র কোরআন পড়ুয়া। 

Categories
Blog Innovator

শয়তান দেখতে কেমন

কেমন ধোকায় ফেলে রেখেছে মানুষকে দীর্ঘদিন যাবৎ ~

সাধারন ভাবে আমাদের ধারনা শয়তান আল্লাহর আলাদা সৃষ্টি কিছু। যে আমাদের রগে রগে মিশে থাকে, সকল পাপ কর্ম করায় এবং আমাদের পথভ্রষ্ট করে। তাই শয়তানকে পরাভুত করার জন্য আল্লাহর সাহায্য চেয়ে থাকি। না জানি কেমন দেখতে সেই শয়তান।৷ ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ আল্লাহ বলেনঃ “নিশ্চয় শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।”

হে মু’মিনগণ! তোমরা সর্বাত্মক ভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করিও না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা বাকারা, আয়াত ২০৮)

এখানে আল্লাহ শয়তানকে অদৃশ্য শত্রু বলেন নাই। বলেছেন প্রকাশ্য। তার মানে তার উপস্থিতি দেখা যায়, তাকে ধরা যায়, অনুভব করা যায় এমন কি চিহ্নিত করা যায় “এটা শয়তান”।
যেহেতু সে প্রকাশ্য।

শয়তান প্রকাশ্য শত্রু কি ভাবে — তা বুঝাতে শয়তানের বর্ননা বিষয়ক আয়াত গুলি পড়লেই বুঝা যায় শয়তান কোন আলাদা সৃষ্টি সত্তা নয়। আল্লাহর নির্দেশ অমান্যকারী যে কোন জীন ও মানুষই প্রকাশ্য শয়তান। যেমনঃ-

১) সে বলিল, ‘হে আমার বৎস! তোমার স্বপ্ন-বৃত্তান্ত তোমার ভ্রাতাদের নিকট বর্ণনা করিও না; করিলে তাহারা তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিবে। শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সূরা নম্বরঃ ১২, আয়াত নম্বরঃ ৫ ( এখানে ইউসুফের ভাইদের শয়তান বলে অভিহিত করেছেন।)

২) আমার বান্দাদেরকে যাহা উত্তম তাহা বলিতে বল। নিশ্চয়ই শয়তান উহাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয়; শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। ( 17:53) ( এখানে সাহাবীদের একটি গ্রুপকে কতিপয় ব্যক্তি প্রোরচনা দিয়ে দুটি দলে বিভক্ত করেছিল। সেই প্রোরচনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনে ওবাই ও তার সঙ্গীদের শয়তান উল্লেখ করা হয়েছে।)

৩) তাহার সহচর শয়তান বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাহাকে অবাধ্য করি নাই। বস্তুত সে-ই ছিল ঘোর বিভ্রান্ত। (সূরা নম্বরঃ ৫০, আয়াত নম্বরঃ ২৭)

৪) এইরূপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করিয়াছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাহাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিতেন তবে তাহারা ইহা করিত না; সুতরাং তুমি তাহাদেরকে ও তাহাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর।(সূরা নম্বরঃ ৬, আয়াত নম্বরঃ ১১২)

৫) যখন তাহারা মু’মিনগণের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান আনিয়াছি’; আর যখন তাহারা নিভৃতে তাহাদের শয়তানদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই রহিয়াছি; আমরা শুধু তাহাদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করিয়া থাকি।'(সূরা নম্বরঃ ২, আয়াতঃ ১৪)

এ আয়াতে “যখন তাহারা মুমিনের সংস্পর্শে আসে- তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি। তাদেরকে শয়তান বলেছেন, মানে সেই কুপ্রবৃতির মানুষই প্রকাশ্য শয়তান।

(ইবনে সুলুল তার কয়েক জন সাথী, যারা মদীনা বাসি। রাসুলের দরবারে থেকে সব কথা শুনে বাহিরে এসে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতো। তাদেরকে শয়তান বলা হয়েছে উক্ত আয়াতে।)
তার মানে শয়তান আলাদা কোন প্রাণী না। শয়তান মানুষের মধ্য হতে বিষেশ চরিত্রের মানুষ। তাই আল্লাহ শয়তানকে প্রকাশ্য শত্রু বলেছেন।

৬) তাহারা আল্লাহ্‌কে ছাড়িয়া শয়তানকে তাহাদের অভিভাবক করিয়াছিল এবং মনে করিত তাহারাই সৎপথপ্রাপ্ত। (৭:৩০)

তদানিন্তন আওয়ামীলীগ, তাবলীগ দল।  

 

Categories
Adventure Blog Innovator My text Other

ঈদ আনন্দের ইতিকথাঃ

ঈদ আনন্দের ইতিকথাঃ

জাহেলিয়াত যুগেও জিলকত, জিলহজ্জ, রজব, মহররম এই চারটি মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ থাকত। কোরানে বর্ণিত আয়াত দৃষ্টিতে অন্ধকার যুগের পুর্বে ঈসা বা পুর্ববর্তী নবীদের সময় হতেই এ চারটি মাসকে সবাই অনুসরন করত। যেমন সুরা তওবায় বর্নিত: 

নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হইতেই আল্লাহ্‌র বিধানে আল্লাহ্‌র নিকট মাস গণনায় মাস বারটি; তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, ইহাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। (9:36)

আর এ সময়টাতেই তার আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করত। আর তা হত মক্কায় ক্বাবা কেন্দ্রিক আয়োজন। তথায় কাব্য চর্চা থেকে শিল্প,বানিজ্য,আর্থিক চুক্তি, দাস কেনা বেঁচা,, নারী উপভোগ্য প্রদর্শনী থেকে শুরু করে বড় বড় বাজি ও মাস ব্যাপী জুয়ার আসর চলত। বাঁজি ও জুয়ার আসরে আর্থিক লেন- দেন এর পাশাপাশি শিশু, নারীদেরকেও পণ্য হিসাবে বাজি ধরত।

গীতিকাব্য ও কবিতা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ট সাতটি কবিতা সোনালী হরফে বাঁধাই করে কাবা চত্বরের দেয়ালে স্থাপন করা হত।

এতদ্ববিষয়ে নবীকে ইংগিত করে একটি আয়াত নাযিল হয়েছিলঃ “আমি এ (নবী)-কে কবিতা শিখাইনি এবং কাব্য চর্চা তার জন্য শোভনীয়ও নয়। এ তো একটি উপদেশ এবং পরিষ্কার পঠনযোগ্য কিতাব, (ইয়াসীন ৬৯)

ওকাজ মেলার সবচেয়ে ট্রাজেটি ছিল মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর। কারন তাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল না থাকায় পরিবারের নারী ও শিশুদের জুঁয়ার বাঁজিতে ধরা হত। হেরে গেলে দাস হিসাবে নিয়ে যুগের পর যুগ অমানবিক ভাবে তাদের ব্যবহার করা হত। এভাবে প্রতি বছর মেলায় তারা মালিকানার হাত বদল হয়ে জীবন যাপন করত। ফলে ওকাজ মেলার দিন ঘনিয়ে এলে মধ্যবিত্ত পরিবারের দুঃশ্চিন্তা ঘনিভুত হতে শুরু করত। যা আমাদের বর্তমান ঈদ আনন্দের ছটার মতই।

এই ওকাজ মেলা থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল ফিজার যুদ্ধ। যা দীর্ঘ ৪:বছর বিদ্যমান ছিল। রাসুল সাঃ নবুয়তের পুর্বে ১৬ বছর বয়সে এ যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছি লেন কোরাইশ গোত্রের পক্ষ থেকে। সেবার তিনি চাচা আবুতালিবকে এযুদ্ধ পরিহার করে একটি সম্প্রতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

কোরাইশ গোত্র সাদরে সে প্রস্তাব গ্রহন করেছিল এবং ফিজার যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। সে সময় হতেই যুবক মুহম্মদ কোরাইশ গোত্রের সকলে র দৃষ্টি কেড়েছিল।

সে যা হোক মদীনায় হিজরতের পর রাসুল সাঃ মদীনা বাসির ভিতর এ মেলার আয়োজন দেখে সবাইকে বললেন আমি কি তোমাদের দুইটি আনন্দ দিবসের কথা বলবো? যা ওকাজ মেলার চেয়ে উত্তম। সমবেত সকলে স্বমস্বরে বলে উঠলো ইয়া রাসুলুল্লাহ অবশ্যই। তখনও রমজানের ফরজ সিয়াম সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয় নি। রাসুল সাঃ বললেনঃ তোমরা যারা ঈমান এনছো তারা ইয়াহুদীদের বা পুর্ববর্তীদের আচার – অনুষ্ঠানের অনুসরন না করে নিজেদর মত করে আনন্দ উৎসব পালন কর। আর তা হলো নিরাপদ ও সন্মানিত মাস জিলহজ্জ ও রজবের মাসে।

মুসলমানরা এর পর হতে ওকাজ মেলায় অংশ গ্রহন না করে রজব ও জিলহজ্জ মাসে আনন্দ উৎসব পালন করতে শুরু করে। যা পরবর্তিতে কালের বিবির্তনে রোযার ঈদ ও কোরবানীর ঈদ হিসাবে জায়গা করে নেয়।

প্রকৃত কোরানের আলোকে সুনির্দিষ্ট দিনে কোম ঈদ পালনের ইংগীত নেই। মুসলিমগন তাদের বিজয় কিংবা যে কোন খুশির বিষয়ে পারিবারিক, সামাজিক বা ভৌগলিক অবস্থানে আনন্দ উৎসব পালনে কোন নিষেধা জ্ঞা নাই বরং উৎসাহিত করা হয়েছে।

আমার বক্ত’ব্য এদিকে নয়। আমার অনুভুতি ওকাজ মেলা বন্ধ হলেও তার ট্রাজেটির ছটা এখনো ঈদ উৎসবে মধ্য বিত্তের ঘাঁড়ে চেপে আছে। কেউ ৩৬ হাজার টাকায় এক জোড়া জুতো কিনছে, আবার কেউ তার পরিবারের জন্য নতুন একটি পোষাক তুলে দিতে ব্যার্থ হচ্ছে। ঈদ এলে যেন মধ্যবিত্ত পরিবার প্রধানদের ঘাঁড়ে ওকাজ মেলার ট্রাজেটি চেঁপে বসে। এর অবসান কামনা করি।

Verified by MonsterInsights