রুহ ঢুকলে প্রাণের সঞ্চার ঘটে আবার রুহ বের করে নিলে মৃত্যু ঘঠে। রুহ তাহলে কি? কোথায় তাঁর অবস্থান?
এবিষয়ে বলতে চাইলেই (১৭:৮৫) আয়াতের রেফারেন্স দার করিয়ে থামিয়ে দেয়া হয় এ বলে যে, রুহ সম্বন্ধে খুব অল্প জ্ঞান দিয়েছেন। কেন? তাহলে কোরানের ২১ টি আয়াতে
রুহ ঢুকলে প্রাণের সঞ্চার ঘটে আবার রুহ বের করে নিলে মৃত্যু ঘঠে। রুহ তাহলে কি? কোথায় তাঁর অবস্থান?
এবিষয়ে বলতে চাইলেই (১৭:৮৫) আয়াতের রেফারেন্স দার করিয়ে থামিয়ে দেয়া হয় এ বলে যে, রুহ সম্বন্ধে খুব অল্প জ্ঞান দিয়েছেন। কেন? তাহলে কোরানের ২১ টি আয়াতে
পাক-পবিত্ররা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। (৫৬:৭৯)
পূর্বের ৭৭ নং আয়াতের ধারাবাহিকতায় একে বলতে কুরআনকে বোঝানো হয়েছে। এর অর্থ দাড়ায় অপবিত্র কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। কুরআনে কে পবিত্র , তা পরিস্কার বলা না থাকলেও কারা অপবিত্র তা পরিস্কার বলা আছে।
কুরআনে
সংসার জগত সৃষ্টির সুচনা
ব্রাহ্মা (সৃষ্টিকর্তা) শতরূপাকে সৃষ্টি করে তিনি তাঁর নিজ রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেম/যৌনাচারে লিপ্ত হন এবং তদনুযায়ী জগত-সংসার শুরু হয়।
এই কাহিনীতে বিশ্বের উৎপত্তি সংসার জগত সৃষ্টি ও সৃষ্টিকর্তার আত্ম-প্রসারণ বা ‘লীলা’/স্বরূপ-প্রকাশ হিসেবে বর্ণিত হয় সনাতন ধর্ম মতে।
অপর দিকে
শোকের জুম্মাকে যারা মোবারক বানালো !
১০ অক্টোবর ৬৮০ খৃষ্টাব্দে ইরাকে হোসেইনের তাবুতে জুম্মার আযান হয়েছিল পাশাপাশি ১০ অক্টোবর ৬৮০ খৃষ্টাব্দে এজিদের তাবুতেও জুম্মার আযান হয়েছিল।
সে সময় পাক্কা মুসলমানের দুইটি জামাত দুই তাবুর দেকে জুম্মার জন্য সমবেত হয়েছিল।
অন্তর আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে —
তবুও কেন জিজ্ঞাসা?
মানুষের সত্তা রহস্যময় এক সংগঠন। তার মধ্যে রয়েছে নফস (আত্মা), ফু’আদ (অন্তর), আক্ল (বুদ্ধি), ক্বলব, রুহ এবং হাওয়াস (ইন্দ্রিয়)। আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেন: “নিশ্চয়ই শ্রবণ, দৃষ্টি ও অন্তর — সবকিছুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে।” [ ১৭:৩৬] এই আয়াত
_____ ” عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ ” আলাই্হা তিসাতা আশার। “তার উপর রয়েছে উনিশ।” সূরা মুদ্দাসসির বিশ্লেষণ: عَلَيْهَا = তার উপর, تِسْعَةَ عَشَرَ = উনিশ। এই আয়াতটির পুর্ববর্তি ও পরবর্তি আয়াতের বর্ননানুযায়ী তাফসীরকারক গন বলেন আয়াতে জাহান্নামের ভয়াবহতা বর্ণনার পর বলা হচ্ছে, “তার উপর রয়েছে উনিশজন” — অর্থাৎ উনিশজন ফেরেশতা জাহান্নামের
#আলিফ – লাম – মীম” এর তাফসীরঃ #এটি এক প্রকার “ঐশিরীয় সংকেত”, যেটির মাধ্যমে তিনি মানুষকে কৌতূহলী করেন ও আকর্ষণ করেন। আলিফ লাম মীম” ইত্যাদি হচ্ছে সেই অপারেটিং সিস্টেমের প্রোটেকটেড হেডার ফাইলস বা এনক্রিপ্টেড বুট কোড। মানুষ সেটার অর্থ বুঝতে পারছে না, কারণ সে উপযুক্ত ডিকোডার (হেদায়াত ও তাকওয়া) ছাড়া
কোরআন পাঠের আহবান কেন?
কখনও কখনও মানুষ সত্য শুনতে চায় না কারণ তারা তাদের বিভ্রান্তিগুলি ধ্বংস করতে চায় না।”
ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ জন্মগত ভাবে যে বিষয়টি সত্য জেনে আসছে তা অন্য কেউ মিথ্যা বললে সহজে মেনে নিতে পারে না।
মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتّٰى يَاْتِيَكَ الْيَـقِيْنُ
এবং ইবাদত কর = ওয়া আবুদু (وَاعْبُد ) তোমার রবের = রাব্বুকা ( رَبَّكَ ) যতক্ষন পর্যন্ত না = হাত্তা ( حَتّٰى ) তোমার কাছে না আসে = ইয়া ইয়াতিইয়াকা দৃঢ় বিশ্বাস = ইয়াকীন ( الْيَـقِيْنُ ) ১) তুমি তোমার রবের ইবাদত কর
ফাদক ভূমি বিতর্ক (قضية فدك)
“যা কিছু আল্লাহ তাঁর রাসূলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন…।” (৫৯:৬)
ফাদক ছিল একটি উপযোগী জমি — খাইবার যুদ্ধের পরে মুসলিমদের হাতে আসে, তবে যুদ্ধ ছাড়াই আত্মসমর্পণ করে।
এটি “ফাই'” সম্পত্তি ছিল, যা সরাসরি রাসূল ﷺ এর অধীনে আসে (সূরা হাশর 59:6)
পৃথিবীতে আমাদের জীবন ই প্রথম জীবন নয়।
الْجَـنَّةِ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا مَا دَامَتِ السَّمٰوٰتُ وَالْاَرْضُ ( সূরা হুদ আয়াত ১০৮)
১) আল জান্নাতি (الْجَـنَّةِ) = জান্নাতের ২) খালেদিনা (خٰلِدِيْنَ) = বসবাসকারীরা ৩) ফীহা মা (فِيْهَا مَا) = তার মধ্যে যতক্ষন ৪) দামাতি (دَامَتِ)
ইরানের জয় – পরাজয়ে ব্যাথিত নই
ইসলামের আবির্ভাব সময় রোমে ও ইরান দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে চলছিল দীর্ঘদিনের যুদ্ধ। শক্তিতে ইরান ছিল প্রবল রোম দুর্বল।
৬১৪ খৃঃ পারস্যের সম্রাট খসরু পারভেজ বাইজেন্টাইন রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জেরুজালেম দখল করে নেয়। বাইজেন্টাইনরা (রোমান খ্রিস্টানরা) চরমভাবে পরাজিত হয়।
আবূ লাহাবের ৫ জন সন্তান ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তার মধ্যে দু’জন ছেলে সাহবী ছিলেন- উতবা ও মা’তাব। আর তিনজন মেয়ে সাহাবীয়্যাহ ছিলেন- যুর্রাহ, খালেদাহ ও আয্যাহ।
তারা সবাই তেলাওয়াত করতেন-
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
‘ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দু’হাত এবং সে নিজেও ধ্বংস হোক।
বিষয়টা কেমন?
মানুষের পুর্ণতা ৪০ এ আসেঃ
মক্কা জীবনের চল্লিশ বছর নীতি নৈতিকতারই ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তুললেন এক মহা চরিত্রবান মহা মানব। সে যখন চল্লিশ বৎসরে উপনীত হয় তখন বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক ! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাহাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি, [ ৪৬ঃ
আহলে কোরানদের দ্বীন প্রচার
মুহম্মদ সা: নাজ্জাশীকে পত্র লিখে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। আপনি যদি সে নীতি অনুসরন করে দাওয়াতি কাজ করতে চান, তবে চরম ভুল করবেন। কারন………
দীর্ঘ তিন বছর আবু শোয়েবের বয়কট অস্বীকার করবেন কি করে। এটা কিন্তু কোরানে নেই। যদিও নিপীরিত
ʿ(عَرَفَات) আরাফাত শব্দের অর্থ একে অপরকে চেনা।
আরাফাতে অবস্থান ৯ জিলহজের দিনে (যোহর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়) আরাফার ময়দানে কিছুক্ষণ অবস্থান করা। এটি হজের মূল রুকন।
লাখো হাজী আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে — জাতি, বর্ণ, ভাষা নির্বিশেষে — সকলেই নিজ পরিচয় ভুলে একমাত্র “আব্দুল্লাহ” হিসেবে
Khorshed Khorshed মুত্তাকীন অর্থ আল্লাহভিরু এমন মনগড়া অনুবাদ করলে হবে না ভাই। আরবী ভাষা অনেক সমৃদ্ধ। মুত্তাকিন আরবী শব্দের আদল বা রুট ইয়াকিন। একিন থেকে মুত্তাকীন। একিন অর্থ পুর্ণ সজাগ বা সচেতন। ইংরেজীতে এলার্ট। ঈমান আনার পর যে রবের সকল বিধান বিষয়ে পুর্ণ সজাগ, এলার্ট বা সচেতন তাকে একিন বলে।
মুত্তাকী এর বাংলা কি?
কোরআনে যে শব্দ গুলির কোন বাংলা অনুবাদ অদ্যবধি করা হয় নি তার মধ্যে অন্যতম একটি শব্দ মুত্তাকী ( الْمُتَّقِيْنَ) । এই মুত্তাকীন শব্দটি আমাদের সবার জানা কিন্তু এর বাংলা কি? তা বলতে পারে না।
কোরআনে মুত্তাকী শব্দটি নিয়ে ২৫ টি আয়াত
এতিম কে এবং কেন এতিম বলা হয়:
এতিমকে গলা ধাক্কা দিওনা। কোন সে এতিম ?(১০৭:২) এতিম কাকে বলে ? মা বাবা যার নেই তাকে? না ! কখনোই না ! আমরা এতিম বলতে যা বুঝি আল্লাহ তাকে এতিম বুঝান নাই। যেমন আর, কে ইন্ডাস্ট্রির মালিকের মা বাবা নাই। কিংবা
আদম আঃ এর কি হাশর হবে ?
পাপের শাস্তি ভোগার পর আল্লাহর হেদায়েত মেনে তওবা করার পর যখন তওবা কবুল হল, তখন আর পুনরায় শাস্তি কি হতে পারে? তাহলে তার হাশরের ময়দানে বিচারের জন্য উপস্থিত কেন হতে হবে। আল্লাহ কি তাকে আবার বিচার দিবসে ডাকবেন এমন
সাধারন ভাবে আমরা বুঝি ধর্ম যুদ্ধে বা আল্লাহর পথে মারা গেলে শহীদ। কিন্তু আল্লাহর বর্ননায় শহীদ তাকেই বলে যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি তারাই শহীদ ও সিদ্দীক। যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলে ঈমান আনে, তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নিকট সিদ্দীক ও শহীদ।(৫৭:১৯)
পক্ষান্তরে ফীসাবিলিল্লাহে মৃত্যু বরন
বাক্কা না মক্কা?
প্রাচীন ব্যাবিলন ছিল মেসোপটেমিয়ার একটি বিখ্যাত সভ্যতার কেন্দ্র এবং গুরুত্বপূর্ণ নগরী। এই প্রাচীন ব্যাবিলন (Babylon) শহরের বর্তমান নাম আল-হিল্লা (Al-Hillah), যা বর্তমান ইরাক দেশের ভিতরে অবস্থিত। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের বর্ননা থেকে প্রতিয়মান হয় ইব্রাহীম আঃ তৎসময় এই ব্যাবিলন শহরেই জন্ম গ্রহন করেছিলেন এবং
যাকাত বিষয়ে প্রচলিত ধারনাঃ
সুদ,ঘুষ, প্রতারণা মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে, অন্তরের ভয়,পাপ রাশি লুকাবার জন্য ভীরু মন তখন যাকাত খুজে। যাকাতের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে পাপ মুক্ত ভাবে। যাকাত কি কালো টাকা সাদা করার অফার? যা দিয়ে হারাম সম্পদ হালাল করা যায় ? বছরে একবার যাকাত দিয়ে ভাবে
এবং তাহাদেরকে করিয়াছিলাম নেতা,তাহারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথ প্রদর্শন করিত ….. 21:73
তালমূদের বর্ণনা মতে হযরত ইবরাহীমের জন্ম দিনে জ্যোতিষীরা আকাশে একটি আলামত দেখে তারেহ — এর গৃহে যে শিশুর জন্ম হয়েছে তাকে হত্যা করার পরামর্শ দিয়েছিল।
তদনুসারে সে তাকে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু তারেহ
আত্মশুদ্ধিঃ
قَدْ اَفْلَحَ مَنْ زَكّٰىهَا ۪ ۙ
( কাদ আফলাহা মান ঝাক্কাহা)
যে ব্যাক্তি নিজের ভুল সংশোধন করার কাজে নিয়োজিত, সেই সফলকাম হয়। [আশ-শামস]
মানুষের নফসের ও সেই সত্তার কসম যিনি তাকে ঠিক
হাদীসকে কেনো ” খবর ” বলা হয় ? হাদীস শাস্ত্রে হাদীসের একটি পরিভাষা হলো “খবর” । খবর সত্য কিংবা মিথ্যা হতে পারে। কারন সব হাদীস রাসুলের নামে প্রাচারিত হলেও সব হাদীস রাসুলের নয়। রাসুলের নামে প্রাচারিত হাদীসে হাজার হাজার নয়—- লক্ষ লক্ষ হাদীস জাল সাব্যস্ত হয়েছে। হাদীস সংকলক ইসমাইল বোখারী
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَاْكُلُوْنَ اَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِؕ وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِىْ سَبِيْلِ اللّٰهِۙ )فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْ (9:34) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّ( ইয়া আয়ূহাল্লাযিনা) — ওহে মুমিনগণ كَثِيْرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ ( কাছিরাম মানাল আহাবারী ওয়ার রুহবানী) -পন্ডিত ও
দান-সাদকা পর্ব-৫ (শেষ পর্ব):
🧿সাদকার আয়াতসমূহের বিষয় ভিত্তিক বিন্যাস
✅ ১. সাদকার হকদার সম্পর্কিত আয়াত সমূহ–
সূরাঃ আল-বাকারা [2:215]
(হে নবী), তারা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে,
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ
(রাব্বানা লা তু আ খিযনা ইন নাছিনা আও আখতানা)
শব্দার্থ: ( রাব্বানা) হে আমাদের রব, ( লা তু আখিযনা) আমাদের পাকরাও করো না ( ইন নাছিনা) যদি আমরা ভুলে যাই ( আও আখতানা) অথবা ভুল করি
নামাজ আমাদের প্রধান ইবাদত। অথচ নামাজের বিস্তারিত কোন দিক নির্দেশনা কোরানে থেকে পাওয়া যায় না। এর জন্য নির্ভর করতে হয় হাদীসের উপর। হাদীস সৃষ্টি না হলে নামাজের রাকাত, ফরজ, সুন্নত, নফল নির্ধারন করাই সম্ভব হতো না। ইমাম বুখারী আমাদের নামাজের মত গুরুত্ত পুর্ণ এবাদত পালনের নিয়ম কানুন