বর্তমানের অধিকাংশ মানুষ প্রায়শই দাবি করেন যে শুধুমাত্র মুসলমানরাই জান্নাতে যাবে, আর অন্যরা জাহান্নামে। কিন্তু এই দাবির প্রেক্ষিতে আমার কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে:
1. একটি শিশু যদি অমুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে—যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য কোনো ধর্মের পরিবারে—তাহলে সেই শিশুটির অপরাধ কী? আল্লাহ কেন তাকে একটি অমুসলিম পরিবারে পাঠালেন?
2. যদি একটি শিশু পৃথিবীতে জন্ম থেকেই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে সেই শিশুটির অপরাধ কী? যেখানে কোরআন বলে, “কেউ কারো বোঝা বহন করবে না।”
3. একটি শিশু যদি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মায়, অন্যদিকে আরেকটি শিশু যদি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করে, তাহলে সেই দরিদ্র শিশুটির অপরাধ কী? আল্লাহ কেন তাকে দরিদ্র পরিবারে পাঠালেন? কোরআন তো বলে, মানুষ তার প্রচেষ্টার ফল পায়। তাহলে এটি কি পূর্বজন্মের কর্মফল?
4. প্রচলিত অনুবাদ অনুসারে কোরআন পুরুষ ও নারীর ব্যাপারে কথা বলে, কিন্তু হিজড়াদের সম্পর্কে কোরআন নীরব কেন? তাহলে কি কোরআন মূলত আত্মার সাথে কথা বলে?
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কোরআন তাদের জন্য, যারা গভীরভাবে চিন্তা-গবেষণা করতে সক্ষম।
জান্নাত জাহান্নাম ততদিন বিদ্যমান যতদিন আসমান এবং জমিন বিদ্যমান সূরা হুদ আয়াত 107 এবং 108।
এ আয়াতে কি বুঝেন? আবার অন্যত্র আল্লাহ বলেন:
সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে যত দিন আকাশ মণ্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকিবে যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন ; নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক তাহাই করেন যাহা তিনি ইচ্ছা করেন।
পরিশুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত বারবার পৃথিবীতে আসতে হবে শাস্তি ভোগের জন্য। পরিশুদ্ধ হতে পারলে চিরস্থায়ী আবাসে অবস্থান করবে।
পক্ষান্তরে, যাহারা ভাগ্যবান তাহারা থাকিবে জান্নাতে, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে, যত দিন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী বিদ্যমান থাকিবে, যদি না তোমার প্রতিপালক অন্যরূপ ইচ্ছা করেন; ইহা এক নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। (১১ঃ১০৮)
পৃথিবীতে আমাদের জীবন ই প্রথম জীবন নয়। (দলিল ২:২৮, ৭:১৭২,১৮ :৫১, ৪০:১১, ৯০:৪, ১০:৪৪, ৬৭:২,২:৩৮, ৩৩:৭২-৭৩, ৫৬:৬০-৬২)।
