- ইয়েমেন থেকে ফারাহ ইয়েমেনীকে নিয়ে যুবক GBS ইংরেজ শাসিত ভারত বর্ষে অধিকার বঞ্চিত জনগোষ্ঠির পাশে এসে দাঁড়ায়। যে জনপদ মুসলিম শাসক গণ দীর্ঘ ৬০০ বছর শাসন করেছে। সে জনপদের জন গোষ্ঠি আজ ইংরেজ শাসিত। পারস্যের ফারাহ সেই যে এল আর কোন দিন ইরান ফিরে যেতে পারেনি।
https://youtu.be/LyJcLE05kWE
রাজত্বকাল ১৭৫৬–১৭৫৭
পলাশীর যুদ্ধে বিজয়ের পর ব্রিটিশরা বাংলার উপর আধিপত্য লাভ করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী শাসন করে ( ১৭৫৭- ১৮৫৭) । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষমতা ব্রিটিশ সরকারের কাছে চলে যায়। বৃটিশ শাসন করে (১৮৫৭-১৯৪৭)
১৭৫৭ সনে নবাব শাসন ভুলুন্ঠিত হওয়ার পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন এর যাতাকল চলছিল। জমিদারী প্রথা চালু করে এ জনপদের মানুষ দিয়েই এ জনপদের মানুষের শাসন -শোসনের লক্ষ্যে চালু করা হয় জমিদারী প্রথা। ভারত বর্ষের সনাতন ধর্মের শিক্ষিত প্রভাবশালী গন তাদের সভাসদের ইন্ধন যোগায়ে নিজেদের সুবিধা লুটতে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত ছিল। ফলশ্রুতিতে জমীদারদের অধিকাংশই সৃষ্টি হয় হিন্দু সম্প্রদায় থেকে । হাতে গোনা গুটি কয়েক নামে মাত্র মুসলমান জমিদার ছিল। ইংরেজদের সাথে হিন্দু জমিদারদের সখ্যতা আর তোষামতির তোপের মুখে কোনঠাসা হয়ে ছিল মুসলমান জমিদারগন। এমনি পরিস্থিতিতে GBS এর একমাত্র প্রেরনা ছিল ফারাহ ইয়েমেনীঃ
https://youtu.be/qOsWv9oefqo
১৭৬১ সনে রবীঠাকুর জোড়াসাকোয় জমিদার পরিবার জন্ম নিয়ে যখন কাব্য সাহিত্যে ইংরেজদের নজরে এল – তার বেশ কদর । এমনি সময় ১৮৯৯ সনে আসানসোলে এক দরিদ্র মুসলমান পরিবার জন্ম নিলেন বিদ্রহী ধুমকেতু কাজী নজরুল। ইয়েমেনী GBS এরই ভিতরে চড়াই উত্তারায়ের মধ্যদিয়ে মাত্র আটটি পরগনার জমিদারী নিয়ে দিন কাটানো অবস্থায় দূটি পুত্র সন্তান একটি কন্যা সন্তান রেখে ১৮৪৯ সনে মৃত্যু বরন করেন GBS.
https://youtu.be/ei2g_ISV0hQ
বড় পুত্র ANS বাবার জমিদারীর হালধরে ইংরেজদের বেশ কাছাকাছি চলে গেলেন। তিনি পরগনা বৃদ্ধী করলেন। সাথে অনেকটা পুরানো সংস্কৃতির গন্ডি পেরিয়ে ভারত বর্ষের সাংস্কৃতিতে খাপ খাইয়ে নিলেন। হিন্দু জমিদারদের সাথে পাল্লা দিয়ে দিনের পর দিন অটোমেন সম্রাজ্যের মত পরগনা, জোত, তালুক একের পর এক বৃদ্ধী করে চলতে লাগলেন। ইংরেজ শাসকগন তার বিচক্ষনতা ও বীরত্বে মুগ্ধ। ইতোমধ্যে এক কন্যা দুই পুত্রের জনক হয়ে গেলেন।
নবাব পরিবারের উত্তরসূরীর সাথে কন্যার বিয়ে দিয়ে মুর্শিদাবাদে আরো প্রভাব বিস্তার করেন। চির পরিচিত এ সংসার ছেড়ে রুপমা চলে যায় অন্য এক সংসারে। একদিকে যেমন ছেড়ে যাওয়ার বিরহ ব্যাথা অন্যদিকে নতুনের হাতছানি তাকে বিহ্বলিত করে তুলে। গানের মাঝে তার হৃদয়ের অনুভুতি প্রকাশিত হয়ঃ
https://youtu.be/R7W2ra34IUk
দ্বীগুন কর ও খাজনা আদায়ের নিশ্চয়তা দিয়ে মুর্শিদাবাদের জমিদার বাহাদূর শ্রী যুক্ত অবনি রায়ের জমিদারী ছিনিয়ে নিলেন। এদিকে বড় পুত্র KBSকে মেদেনীপুর জমিদার কন্যা AMV এর সাথে বিয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত জমিদারী বিস্তার লাভ করার মনোবাসনা স্থির করেন । মেদেনীপুরের কন্যা AMV সাহেবার বিহ্বল হৃদয়ের অবস্থা গানের মাঝে দেখা যাকঃ
https://youtu.be/HAe7VhVA7FM
১৮৭২ সন। ইংরেজ শাসকদের প্রবর্তিত জমিদারী প্রথা চরম তুঙ্গে। মেদেনীপুর রঙের আবিরে আলোকিত। চারিদিক হিন্দু জমিদার বাবুদের কোনঠাসা পেষনের মাঝে আশার আলো মেয়ের বিয়েতে দেখতে পান । তদানিন্তন পশ্চিম বঙ্গের গীতগানগুলো বেশ মন কাড়ে। কিশোরীকে নিয়ে রসে ভরা তারি একটি গীত গান চলছিল মেদেনীপুরের বাড়িতেঃ
https://youtu.be/5ip75cHWjRQ
ভালই চলছিল তাদের নব দাম্পত্য জীবন। KVS এক পুত্রের জনক হয়ে যান। বাবার জমিদারী তদারকির ফাকে পুর্ব বাংলায় প্রায়শঃ বেড়াতে আসতেন। পুর্ব বাংলার মাটির ছোয়া তাকে কাছে পেতে চায়। ভ্রমন পিপাসু এ জমিদার পুত্রের হঠাৎ বীরভুমের এক হিন্দু প্রজার অনন্য সুন্দরী মেয়ে চন্দ্রাবলীর সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে । শেষ পরিনতিতে তিনি তাকে গোপনে বিয়ে করেন এবং সংসার হতে বিমুখ হয়ে পড়েন । দিন দিন তার সংসার বিমুখী কর্মকান্ড, আচরন পরিবারে সদস্যদের মাঝে সংশয়ের সৃষ্টি করে। প্রায়শই পুর্ব বাংলার কথা বলে দির্ঘ সময় কাটিয়ে যেতেন। রবী ঠাকুরের সাথে পুর্ব বাংলায় বেশ কয়েকবার এসেছেন। এমনি ভাবে একদিন চন্দ্রাবলীর বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় এক ঝড়। KBS তার এ আবেগের ভুলের মাশুল মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত সারাটি জীবন পোহায়ে গেছেন। বড় বৌকে সামলাতে তাকে অনেক নিষ্ঠুর শর্তকেও মেনে নিতে হয়েছিল । একটি গানের কথায় তা কিছুটা আঁচ করা যায়ঃ
https://youtu.be/oCLhEusKRPw
চন্দ্রাবলীর কিশোরকালে আবেগের বশবতী হয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে পরবর্তি জীবনভর অনুতপ্ততায় ভুগেছেন । জমিদার পরিবারে না জরিয়ে পল্লীবধু বেশে তার দিন সুখময় হত এটা আঁচ করতে পেরেছেন। মা-বাবা,ভাই-বোন সকল আত্মীয় স্বজনদের ছেড়ে যে সুখের প্রদীপের স্বপ্ন দেখেছিল তা কি আদৌ নাগালে এসেছিল ? যে কিশোরী সারা গায়ে সাঁঝের তারকার মত ছিল ,জমিদার পরিবারে বন্দী হয়ে সে মাটির প্রদীপের মর্যদাটুকুও পায় নি। অনন্তহীন বেদনার কথা গানের ভাষায়ঃ
সাঁঝের তাঁরকা আমি পথ হারিয়ে এসেছি ভুলে৷
https://youtu.be/_ViQwJUMhfk
https://youtu.be/jX_OUOY6zBc
১৮৫০ সনে বাবার মৃত্যুতে KBS জমিদারীর দায়িত্ত গ্রহন করেন।
একরোখা ব্যক্তিত্ত ও জেদের জন্য তার জোতদারী হ্রাস পেতে থাকে। ১৮৫৭ সনে ইংরেজ শাসনের অবসান হলে KBS পশ্চিম বাংলা ত্যাগ করে পুর্ব বাংলায় স্থানান্তরিত হওয়ার বাসনা পোষন করেন। পুর্ব বাংলা নিয়ে রবীঠাকুরের উপন্যাস তাকে আকৃষ্ট করে তুলেছিল।
https://youtu.be/_bX4lhdyme4
১৮৬৬ স্ত্রী AMV কে রেখে বীরভুমের হিন্দু প্রজার এক সুন্দরী মেয়ে CND কে বিয়ে করেন। বিয়ের বছর খানেক পর পুর্ববাংলার জাহাঙ্গীর নগর বিহারে যান এবং সিংহজানী মহকুমার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা শ্যামপুর বসতি গড়েন।
এর পর ভারত – পাকিস্তান ভাগ হয়ে যায় ১৯৪৭ সনে।
Upgrade Continue —-
