Categories
Uncategorized

কোরআন শিক্ষা পর্ব -০১

____ কোরান উপলব্ধির সহজ উপায়ঃ

কোরআনে পুনারাবৃত্তি সহ মোট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৭৮,০০০ টি। এর মধ্যে ১০ টি অব্যয় পদ সূচক শব্দ জানা হলে ২৩,০০০ শব্দ জানা হয়ে যায় এবং ১১ টি হা/না বাচক শব্দ জানতে পারলে ৫৭০০ টি কোরানের শব্দ আয়ত্ত হয়ে যায়। তার মানে ৫০℅ কোরআনের শব্দ আয়ত্ত হয়ে যায় ৭৮,০০০ – ( ২৩,০০০ + ৫৭০০) = ৫০,০০০ শব্দ বাকি থাকে। এই ৫০,০০০ শব্দ থেকে ৬টি সর্বনাদ পদ সূচক শব্দ জানতে পারলে আরো ৫০০০ শব্দ আয়ত্ত হয়ে যাবে। এখন বাকি থাকবে অজানা মাত্র ( ৫০,০০০ – ৫০০০) = ৪৫,০০০ শব্দ অজানা। এই ৪৫,০০০ শব্দের মধ্যে ক্রিয়া পদ ২০ হাজার এবং বিশেষ্য ২৫ হাজার মিলে মাত্র ২৫০টি মুল শব্দ জানতে পারলে পুরা কোরআনের ৭৮ হাজার শব্দ আয়ত্ত হয়ে যাবে। তখন কোরআন বুঝতে ও অনুবাদ অনুভব করতে মজাই আলাদা। আরবী ব্যকারনের মত কোরআনের ব্যকারনের জন্য অত বিশাল ব্যকারন জানার প্রয়োজন হয় না। ইংরেজী শিক্ষিতগণ খুব সহজেই (১০+১১+৬+২৫০) = ২৭৮ টি শব্দ রপ্ত করলেই নিজে মাদ্রাসায় আরবী না পড়েও কোরানের ভাষা সরল ভাবে বুঝতে ও অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন। হয়তো বিশাল পন্ডিত হবেন না কিন্তু পুরো কোরানের ভাষা আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। যে কোন সূরা হতে যে কোন আয়াত পাঠ করলে তার ভাবার্থ বা সরল অনুবাদ উপলব্ধি করতে আপনি সক্ষম হবেন। এর জন্য মাত্র ১৫ টি পাঠ ক্রম অনুশীলন করলেই আয়ত্তে এসে যাবে। যারা নবীন এবং ইংরেজী এবং বাংলায় দক্ষ তারা ৩০ দিনেই আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। বছরের প্রয়োজন হবে না। তবে পাঠ অনুশীলনের সাথে সাথে আপনাকে কোরানের সাথে তা মিলিয়ে দেখতে হবে এবং এই বিশেষ্য, বিশেষন, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া পদের মোট ২৭৮ টি শব্দ অর্থ সহ মুখস্থ রাখতে হবে। আমি ২৭৮ টি শব্দ মোট ৩০ টি পর্বে পাঠ অনুশীলন রুপে প্রকাশ করে যাব। কোন প্রশ্ন বা জটিলতা বোধ করলে কমেন্ট করে জানালে সমাধান দিব।

আমি আবার বলে রাখছি এতে আরবী ভাষার পন্ডিত হবেন না তবে পুরো কোরান অনুধাবনের এবং সরল অর্থ করার যোগ্যতা অর্জন করবেন ইনশাআল্লাহ। এটি আরবী গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা মাত্র। যা গবেষনা করে কোরানকে সহজ ভাবে বুঝার জন্য সাধারন শিক্ষিতদের জন্য উপস্থাপন ।

কোরআনের ব্যকারন সাধারন আরবী ভাষার ব্যকারন হতে ভিন্ন। আরবী ভাষা জানার জন্য ব্যাপক ব্যাকারন জানতে হয়। কিন্তু কোরআনের গ্রামিটিক্যাল জানার জন্য আরবী ব্যকারনের মাত্র ৬০টি বিষয়ে জানা থাকলেই যথেষ্ট। যা অধিকতর আগ্রহীদের জানার জন্য তুলে ধরা হলো। তা হলোঃ

নিজে আরবী ভাষায় পারদর্শী হয়ে নিজে অনুবাদ করে কোরানকে বুঝতে চায় যারা, তাদের আরবী গ্রামারের নিন্ম বিষয় গুলোর উপর জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।

কালাম – যুমলাহ বা মুরাক্কাব -জুলমাহ খাবরিয়াহ – জুলমাহ ইনশাইয়াহ – ইলমে সরফ – ইলমে নাহু – মাসদার – মাসদার সিয়ামি – মাসদার কিয়াসি – ইশেম – ফেল – হরফ – মুযাক্কার – মুয়ান্নাস – ওয়াহেদ – তাসনিয়া – জামাআ – মাঝি – হাল – মুসতাকবিল – জামির- ফায়েল – মাফউল – আদল – আদদ – মুবতাদাহ – খবর – মাউসুত -সিফাত – সীগাহ – বালাগাত – মুদফ – মুদফ ইলাইহী – মুসনাদ ইলাইহী – মারেফা – নাকেরা – ফেল – ফায়েল – জুমলায় ফেলিয়া – জুমলায় ইশমিয়া – মুতাআল্লিম – মাফুলে বিহি – হরফুল যার – হরফে নেদা – আমর – মুতাআ’ল্লিক -মাআ’দুফ – মাউসুফ – সিফাত – মুদব – মুদব ইলাইহী – গায়েব – হাজির- মুস্তাকবিল- ফা’লে মারুফ – ফা’লে মাজহুল – ফা’লে ইসবাতু – ফা’লে নাফি – জিনস – গায়েব – হাজির – মুতাকাল্লিম – মাসদার – বাব – ইবারত – বাহছ – ওজন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।

সর্বপোরি এত কঠিন ভাবে এত কিছু ব্যাকারন আপনার জানার সক্ষমতা না থাকলে বাদ দিন। ২৭৮ টি শব্দ অর্থ সহ মুখস্থ করে কোরানের ৭০% শব্দ ভান্ডার আয়ত্ত করুন এবং কোরআনকে নিজ ভাষায় বুঝতে উপলব্ধি করতে নিজেকে গড়ে তুলুন। তার জন্য আমি ৩০ টি পর্বে ভাগ করে এই শব্দ গুলি অর্থ সহ তুলে ধরবো। একবার আগ্রহের সাথে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে চেষ্টা করে দেখুন, আপনিও পারবেন। আমি একজন ইংরেজী শিক্ষিত কেমেষ্ট্রিতে অনার্স মাষ্টারস হয়ে যদি সাধনা করে এতদুর আসতে পারি আপনিও পারবেন। শুধু চাই একাগ্রতা, আগ্রহ, ধৈর্য এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা। মাত্র ৩০ থেকে ৯০ দিনেই আপনি কোরআনের যে কোন আয়াতের সরল অনুবাদ সহ উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ। কোরান পড়া আগে জানা থাকতে হবে।

______ইংরেজী শিক্ষিতদের ১ম পর্বঃ

কোরআনের ৭৮ হাজাট শব্দের মধ্যে নিন্মের ১০ টি শব্দ অর্থ সহ শিখতে পারলে কোরানের ২৩ হাজার শব্দ আয়ত্ত হবে। অর্থাৎ কোরানের মোট শব্দের ৩০% আয়ত্ত হয়ে যাবে। শব্দ ১০ টিঃ —–
هم – من – الله – ما -ان – لا – في- قل- عل- الذي

١) হুম ( هم) – তারা/য়ারা। ( সূরা মাউনঃ ৬)
٢) মিন ( من ) থেকে/হতে (আলাকঃ২)
٣) আল্লাহ ( الله ) = আল্লাহ ( ফাতেহাঃ ১)
٤) মা ( ما ) = কি/যা ( উদাহরন ফালাকঃ২)
٥) ইন্না ( ان ) = নিশ্চয় ( মায়েদাঃ ২)
٦) লা ( لا ) = নয়/ নেই ( বাকারাঃ ২)
٧) ফী ( في ) = মাঝে/ভিতরে ( বাকারাঃ ২)
٨) ক্বলা ( قل ) বলা/বলেছে (যিলযালঃ৩)
٩ ) আ’লা ( عل ) = উপরে ( ফাতেহাঃ ৭)
١٠) আল্লাযি(الذي ) যারা/যাদের (ফাতেহাঃ৭)

এই ১০টি শব্দ শিখলে কোরানের ২৩০০০ শব্দ শিখা হল। বাকি থাকে (৭৮০০০ – ২৩০০০) = ৫৫,০০০ মাত্র। ২য় পর্বে ১১টি শব্দ দ্বারা শিখবো কোরআনের ৫৭০০ টি শব্দ।
এবার কোরআন থেকে উদাহরনে উল্লেখিত প্রতিটি আয়াত বের করে একবার মিলিয়ে নিন এবং শব্দ ১০ টি মুখস্থ করে ফেলুন।

Categories
Innovator My text

Easy to Learn Quran Seg – 01

সহজ পদ্ধতিতে কোরআন শিখতে চাই পর্ব ০১

 

Categories
My text

ঈমান VS আমল

কেউ নামজ না পড়লে, রোজা না করলে, হজ্জ না করলে, যাকাত না দিলে, কোরবানী না করলে –সে কি কাফের হয়? না,গুনাগার হয়?

তাই ঈমানের ও আমলের সম্পর্কে আগে বুঝা জরুরী। ঈমান ঠিক নাই আমল করে বস্তা ভরলেও লাভ নাই?
কারন ঈমান যার আছে তার জন্য আমল। ঈমান যার নাই তার কোন আমলই নাই। আল্লাহ বলেনঃ ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু আকিমুস সালাত ওয়াতুজ যাকাত।

ঈমান না আনলে তাদের কিসের সালাত কিসের রোজা, কিসের হজ, কিসের কোরবানী ?
আর আমরা কি করছি ? ঈমানের আগেই আমল শুরু করে দিয়েছি।

অথচ ঈনান বিহীন কোন আমল গ্রহনীয় নয়। ঈমানের আগে কোন আমল নাই।

ঈমান মুখে মুখে ধরাবাধা গদে, আল্লাহ,রাসুল, ফেরস্তা,কিতাব, বিচার দিবসেই সীমাবদ্ধ নয় ? তাই যদি হতো সকল শর্তের পুর্বে ঈমানকে জুরে দিতেন না আল্লাহ। ঈমানের চুড়ান্ত হকীকত বুঝা যায় ইবলিশের সাথে আল্লাহর বাক্যলাপ থেকেঃ-

যখন আল্লাহ আদেশ করলেনঃ ইয়া মালাইকা ঊসজুদুলে আদামা। (হে ফেরেস্তাগন আদমকে সিজদাহ কর।)
ওয়াসজুদু ইল্লা ইবলিশ। (একমাত্র ইবলিশ ব্যাতিত সবাই সিজদা দিল।)
ইবলিশ সিজদা না দেয়ার কারনে কি কাফের হয়েছিল বা আল্লাহ তাকে কাফের বলেছেন ? না কখনোই না, কারন সিজদার আদেশ ছিল একটি আমল, সিজদা করা না করা ঈমান নয়। সে আমল করতে অস্বীকার করায় গুনাগার হয়েছে, লানতপ্রাপ্ত হয়নি।

অতঃপর আল্লাহ যখন বললেন আজাজিল কিসে তোমাকে বারন করলো, সিজদা দিতে ? এবার আজাজিল উত্তরে বললঃ আনা খাইরুম মিন হুম। (আমি তার থেকে উত্তম।)
আল্লাহ বললেন কি ভাবে উত্তম?
এবার সে আল্লাহর সর্বময় প্রজ্ঞার প্রতি যে বিশ্বাস পোষন করত তা হারিয়ে বলে বসলোঃ আনা খালাকতাম মিন নার হুয়া খালাকতান মিন তীন। (আমি আগুনের তৈরী আর সে মাটির।)
আল্লাহর প্রতি তার এই ঈমামনের অবস্থানের কারনে আল্লাহ এবার বললেনঃ ওয়া কানা আস্তাকবেরলি মিনাল কাফেরিন। যাহ তুই বের হয়ে যা কাফের অস্বীকারকারী।

এখানে লক্ষনীয় ইবলিশ আমল না করায় কাফের হয় নাই। কিন্তু যখন ঈমানের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে উত্তর দিয়েছিল আমি তার চেয়ে উত্তম, আমি আগুনের আর সে মাটির তৈরী। তখন আল্লাহ বললেন বের হয়ে যা কাফের।
কাফের উপাধী দিয়েছেন আল্লাহর প্রতি তার ঈমানের অভাবে। সুতরাং ঈমান আগে পড়ে আমল। ঈমান বীহিন আমল পন্ডু বাতিল।

Categories
My text

যাকাত সদাকা ফিতরা

সুদ,ঘুষ, প্রতারণা করে সম্পদের পাহাড় গড়ে, অন্তরের ভয়,পাপ রাশি লুকাবার জন্য সে  তখন যাকাত খুজে। যাকাতের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে পাপমুক্ত ভাবে।

যাকাত কি কালো টাকা সাদা করার অফার?
যা দিয়ে সে হারাম সম্পদ হালাল করবে?

Categories
My text

মানুষ শ্রমনির্ভর রূপে সৃষ্টি

মানুষ শ্রমনির্ভর রূপে সৃষ্টি

لَاۤ اُقْسِمُ بِهٰذَا الْبَلَدِۙ
১) আমি শপথ করিতেছি এই নগরের
وَاَنْتَ حِلٌّ ۢ بِهٰذَا الْبَلَدِۙ
২) আর তুমি এই নগরের অধিবাসী,
وَوَالِدٍ وَّمَا وَلَدَ ۙ
৩) শপথ জন্মদাতার ও যাহা সে জন্ম দিয়াছে।
لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ فِىْ كَبَدٍؕ
৪) আমি তো মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি কষ্ট-ক্লেশের মধ্যে।

অনুবাদঃ নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভর রূপে সৃষ্টি করেছি।

اَيَحْسَبُ اَنْ لَّنْ يَّقْدِرَ عَلَيْهِ اَحَدٌ‌ ۘ
৫) সে কি মনে করে যে, কখনও তাহার উপর কেহ ক্ষমতাবান হইবে না ?
يَقُوْلُ اَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًا ؕ
৬) সে বলে, ‘আমি প্রচুর অর্থ নিঃশেষ করিয়াছি।’
اَيَحْسَبُ اَنْ لَّمْ يَرَهٗۤ اَحَدٌ ؕ
৭) সে কি মনে করে যে, তাহাকে কেহ দেখে নাই ?
اَلَمْ نَجْعَلْ لَّهٗ عَيْنَيْنِۙ
৮) আমি কি তাহার জন্য সৃষ্টি করি নাই দুই চক্ষু ?
وَلِسَانًا وَّشَفَتَيْنِۙ
৯) আর জিহবা ও দুই ওষ্ঠ ?
وَهَدَيْنٰهُ  النَّجْدَيْنِ‌ۚ
১০) আর আমি তাহাকে দুইটি পথ প্রদর্শন করেছি।

না আমি শপথ করছি এই নগরের, এমন এক নগর যার নাগরিক স্বয়ং তুমি! শপথ করছি জন্মদাতার এবং যা সে জন্ম দেয়। নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য।সে কি মনে করে যে তার উপরে কারো ক্ষমতা নেই,বলে কি না অনেক টাকা উড়িয়ে দিলাম, সে কি মনে করে যে তাকে কেউ দেখছে না? আমি কি তাকে দুটি চোখ বানিয়ে দেই নি, একটা জিহব,দুটি ঠোট ?

আর আমি তাকে  দুইটি পথ প্রদর্শন করেছি।।। (সূরা বালাদ)

১-১০ নং আয়াতের তাফসীর সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ এখানে জনবসতিপূর্ণ শান্তির সময়ের মক্কা নগরীর শপথ করছেন। তিনি শপথ করে বলেছেনঃ হে নবী (সঃ) এখানে একবার তোমার জন্যে যুদ্ধ বৈধ হবে, তাতে কোন পাপ বা অন্যায় হবে না। আর ঐ যুদ্ধে যা কিছু পাওয়া যাবে সেগুলো তোমার জন্যে শুধু ঐ সময়ের জন্যে বৈধ হবে। নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ “এখানে (মক্কায়) যুদ্ধ-বিগ্রহের বৈধতা সম্বন্ধে কেউ আমার যুদ্ধকে যুক্তি হিসেবে পেশ করলে তাকে বলে দিতে হবেঃ আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রাসূল (সঃ)-এর জন্য অনুমতি দিয়েছেন, তোমাদের জন্যে দেননি।”

এরপর আল্লাহ্ তাআ’লা পিতা এবং সন্তানের শপথ করেছেন।  পিতা দ্বারা হযরত আদম (আঃ) কে এবং সন্তান দ্বারা সমগ্র মানব জাতিকে বুঝানো হয়েছে। এখানে সাধারণভাবে সকল পিতা এবং সকল সন্তানের কথা বলা হয়েছে।

অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ আমি মানুষকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর, সুষম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অধিকারী করে সৃষ্টি করেছি। মায়ের পেটেই তাকে এই পবিত্র গঠন-বিন্যাস এবং উন্নত আকৃতি প্রদান করা হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি)“হে মানুষ! কিসে তোমাকে ভোমার মহান প্রতিপালক সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করলো যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন এবং সুসমঞ্জস করেছেন। যেই আকৃতিতে চেয়েছেন তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।” (৮২ ৬-৮) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অথাৎ “আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দরতম গঠনে।” (৯৫:৪)  মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, মানুষ প্রথমে ছিল বীর্য বা শুক্র, তারপরে হয়েছে রক্তপিন্ড এবং এরপরে হয়েছে গোশতটুকরা। মোটকথা, মানুষের জন্ম খুবই বিস্ময়কর এবং কষ্টকরও বটে, যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তার মাতা তাকে কষ্ট করে গর্ভে বহন করেছে এবং কষ্ট করে প্রসব করেছে।” (৪৬:১৫) মা সন্তানকে দুধ পান করানোতে এবং লালন-পালন করাতেও কঠিন কষ্ট স্বীকার করেছে।

মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন তারা কি মনে করে যে, তাদের উপর কেউ ক্ষমতাবান হবে না? অর্থাৎ তারা ধারণা করে যে, তাদের ধন-মাল নিতে কেউ সক্ষম নয়? তারা কি মনে করে যে, তাদের উপর কারো কর্তৃত্ব নেই? তারা কি জিজ্ঞাসিত হবে না যে, তারা কোথা থেকে ধন-সম্পদ উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে? নিঃসন্দেহে তাদের উপর আল্লাহর কর্তৃত্ব রয়েছে এবং আল্লাহ তাদের উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।

তারা বলে বেড়ায়ঃ আমরা বহু ধনমাল খরচ করে ফেলেছি। তারা কি মনে করে যে, তাদেরকে কেউ দেখছে না? অর্থাৎ তারা কি নিজেদেরকে আল্লাহর দৃষ্টি থেকে অদৃশ্য মনে করে?

এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি কি মানুষকে দেখার জন্যে দুটি চক্ষু প্রদান করিনি? মনের কথা প্রকাশ করার জন্যে কি আমি তাদেরকে জিহ্বা দিইনি? কথা বলার জন্যে, পানাহারের জন্যে, চেহারা ও মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যে কি আমি তাদেরকে দুটি ওষ্ঠ প্রদান করিনি? সুতরাং আমার সন্তুষ্টিমূলক কথা মুখ থেকে বের কর এবং অসন্তুষ্টিমূলক কথা থেকে জিহ্বাকে বিরত রাখো।

এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা বলেনঃ আমি তাদেরকে ভালো মন্দ দুটি পথই দেখিয়েছি। যেমন আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্র বিন্দু হতে, তাকে পরীক্ষা করবার জন্যে, এ জন্যে আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তিসম্পন্ন। আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে।” (৭৬:২-৩)
তারপর আরেকটু এগিয়ে জানিয়ে দিলেন …
এবং এই পথই আমার সরল পথ। সুতরাং তোমরা ইহারই অনুসরণ করিবে এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করিবে না, করিলে উহা তোমাদেরকে তাঁহার পথ হইতে বিচ্ছিন্ন করিবে। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা সাবধান হও। (৬:১৫৩)

en_USEnglish
Powered by TranslatePress