Categories
Innovator

প্রাণীকুলের সালাত বনাম মানুষের

কুকুরও নামাজ পড়ে তসবীহ পড়ে। 

জমিনে বিচরনকারী সকলে এমন কি কুকুর এবং আকাশে উড্ডিয়মান  পক্ষীকুলও নামাজ পড়ে।  আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।  আসমান ও জমিনে বিচরনকারী সকল প্রানীই নামাজ পড়ে তসবীহ করে।  বিশ্বাস হচ্ছে না? দেখে নিন আল্লাহ কি বলেনঃ
“তুমি কি দেখনা, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করেছে যারা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে আছে তারা সবাই এবং যে পাখিরা ডানা বিস্তার করে আকাশে ওড়ে? প্রত্যেকেই জানে তার নামাযের ও পবিত্রতা বর্ণনা করার পদ্ধতি। আর এরা যা কিছু করে আল্লাহ তা জানেন।( সূরা -নুরঃ ৪১)

মানুষ কি মনে করে শুধু তারাই সালাত করে।  না,  বরং  আসমান ও জমিনে যত প্রাণী আছে সবাই সালাত করে ?  তবে মানুষের নামাজের মধ্যে  তিনটি শর্ত যা প্রাণীকুলের নামাজ থেকে মানুষের নামাজকে পৃথক করে দেয়।

আকাশে উড্ডিয়মান পাখিরা তাদের সালাত করে রবের নির্দেশ পালন করার মধ্য দিয়ে। মানুষের সালাতও  রবের নির্দেশ পরিপালনের মধ্য দিয়েই। তবে মানুষেকে সালাতের ৩ টি শর্ত পরিপালন করতে হয় অতিরিক্ত।

১) মানুষের সালাত তাকে অশ্লীল ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে।
اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنْكَرِ‌ؕ
( নিশ্চয় সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কার্য হইতে।)সূরা আনকাবুতঃ ৪৫

২) মানুষের সালাত মোহ গ্রস্থ্য অবস্থায় নিষিদ্ধ।
لَا تَقْرَبُوا الصَّلٰوةَ وَاَنْـتُمْ سُكَارٰى
অর্থঃ তোমরা মোহগ্রস্থ্য অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হইও না, ( সূরা নেসা – ৪৩ )

৩) মানুষ সালাতে কি বলে তা না বুঝা পর্যন্ত সালাত করে না।
حَتّٰى تَعْلَمُوْا مَا تَقُوْلُوْنَ
অর্থঃ যতক্ষণ না তোমরা যাহা বল তাহা বুঝিতে পার,

পশুপাখির সালাত, তাসবীহ রিতী আর মানুষের সালাত ও তাসবিহ পদ্ধতির পার্থক্য এটাই।  নচেৎ আসমান ও জমিনের সকল প্রানী ও পক্ষীকুল মানুষের মতই পড়ে।

২ ও ৩ নং শর্ত পরিপালনের মাধ্যমো সালাত আদায় করেও যদি ১ নং শর্তটির বাস্তবায়ন নিজের মধ্যে পরিলক্ষিত না হয় তবে বুঝে নিতে হবে আপনার সালাত আর সেই পশুর সালাত একই হচ্ছে।

তাই আল্লাহ বলেনঃ
فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلّٰىۙ ফালা সদ্দকা ওয়ালা সাল্লু
সে সত্য বলে নাই এবং সালাত আদায় করে নাই।

وَلٰكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلّ (ওয়া লাকিন কাযযাবা ওয়াতাওয়াল্লু) বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল ও মুখ ফিরাইয়া লইয়াছিল।

فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيْنَۙ (ফাওয়ায়লুল্লে মুছাল্লীন)
সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের,

الَّذِيْنَ هُمْ عَنْ  صَلَاتِهِمْ سَاهُوْنَۙ
যাহারা তাহাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন,

তবে তারা নয় الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ  دَآٮِٕمُوْنَ  (আল্লাযিনা হুম আ’লা সালাতিহিম দায়য়েমুন)

যাহারা তাহাদের সালাতে সর্বক্ষণ প্রতিষ্ঠিত,
(সূরা মা’আরিজ -২৩)

** আপনি কি সর্বক্ষন সালাতে রত ? তাহলে আপনি কেমন সালাত পড়েন? আল্লাহর মনোনীত না হুজুর /বাপ দাদার শেখানো সালাত?? 

Categories
My text

আসমান ও জমিনের সবাই সালাত করে

মানুষ কি মনে করে শুধু তারাই সালাত করে।  না,  বরং কুকুর,  বিড়াল,  কাক,  শকুন অর্থাৎ  আসমান ও জমিনে যত প্রাণী আছে সবাই সালাত করে।

“তুমি কি দেখনা, আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করেছে যারা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে আছে তারা সবাই এবং যে পাখির ডানা বিস্তার করে আকাশে ওড়ে? প্রত্যেকেই জানে তার নামাযের ও পবিত্রতা বর্ণনা করার পদ্ধতি। আর এরা যা কিছু করে আল্লাহ তা জানেন।

আকাশে উড্ডিয় মান পাখিরা তাদের সালাত কি ভাবে করে?  আমাদের বানানো সালাতের মত রুকু সিজদাহ দিয়ে?  তারা সালাত করে রবের নির্দেশ পালন করার মধ্য দিয়ে। মানুষের সালাতও  রবের নির্দেশ পরিপালন

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ یُسَبِّحُ لَهٗ مَنْ فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ الطَّیْرُ صٰٓفّٰتٍ ؕ  كُلٌّ قَدْ عَلِمَ صَلَاتَهٗ وَ تَسْبِیْحَهٗ ؕ  وَ اللّٰهُ عَلِیْمٌ ۢ بِمَا یَفْعَلُوْنَ

শব্দার্থ:  أَلَمْ =  কি দেখো নি,    تَرَ =   তুমি ,     أَنَّ =  যে,     اللَّهَ =   আল্লাহ্‌র ,     يُسَبِّحُ =   পবিত্রতা ঘোষনা করছে    لَهُ =   তাঁরই,     مَنْ =   যা কিছু ,     فِي =  মধ্যে (অাছে) ,     السَّمَاوَاتِ =  আকাশে,     وَالْأَرْضِ =  ও জমিনে,     وَالطَّيْرُ =  আর পাখিরাও ,     صَافَّاتٍ =  ঊড্ডিয়মান ,     كُلٌّ =  প্রত্যেকে,     قَدْ =   নিশ্চয়ই ,     عَلِمَ =  জেনে নিয়েছে,     صَلَاتَهُ =  তাঁর নামাযের,     وَتَسْبِيحَهُ =  পবিত্রতা ঘোষনার (নিয়ম) ,     وَاللَّهُ =  আর আল্লাহ্‌,     عَلِيمٌ =  খুব অবহিত ,  بِمَا =   ঐ বিষয়ে যা ,     يَفْعَلُونَ =  তারা করছে,

Categories
Adventure

বিচির টক শো

আমার যখন মন খারাপ থাকে এই টক শো টি দেখি। ডায়লগ গুলি ছিলঃ

আমার বিচিতে মারবে কেনো ওরা
আপনি জানেন? একটা বিচিতে লাথথি মারলে কত ব্যাথা লাগে?
* * উত্তেজিত হবেন না!!

আপনে আবার উত্তেজিত হতে না করছেন!!
উত্তেজিতের জাগাটাই বন্ধ করে দিছে আমার
** সরি আমি এসব বুঝি না।

শোনেন আপনে যা বুঝেন না তা বলবেন না
আপনের নাই আপনি বুঝবেন না !!
এটা একটা স্পর্শ কাতর জায়গা
ঐ বিচিতে যদি কেউ একটু দুষ্টামী করে টোকা দেয় তা হলেই তো দম বন্ধ হয়ে যায়।
*** ডান পাশে না বাম পাশে লেগেছে

আরে ডান পাশ না বাম পাশে এহন কি
আমি আপনারে খুইলা দেখামু
আপনি তো ভারী একটা বেয়াদব প্রকৃতির মহিলা ?? আপনি তো বিচিই চিনেন না !!
*** দেখুন বিচিটা চেনা আমার জন্য তেমন একটা ইম্পোর্টেন্ট না !!

তাহলে এত সময় আমার সাথে বকবক করলেন কেন আপনি?
আপনি মানুষের অঙ্গ প্রতঙ্গ সম্বন্ধে পড়াশুনা করবেন। না হইলে আপনাকে শিক্ষিতই মনে করি না আমি।

#আমি তো দেখি দুষ্ট উপাস্থিকা দীপ্তি ইচ্ছে করে মানিক সাহেবকে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে উত্তেজিত করেছে সেদিন। সে আরো বলে কি না ” ডান পার্শে না বাম পার্শে ” কেমন মিচকি দুষ্টামী করেছে। আমি তো অবাক এ বিচির টক শো শুনে।

Categories
Innovator

A leader

নিজ জাতির উদ্ধত আচরণে বিরক্ত হয়ে তাদেরকে ত্যাগ করে চলে যাওয়ার কারণে হযরত ইউনুস (আ.) বিপদে পড়ে যান।

যখন পালিয়ে তিনি বোঝাই নৌকায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন। অতঃপর লটারী করালে (তাঁর নাম) দোষী সাব্যস্ত হলেন। অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।[ সূরা সাফফাতঃ১৪০-১৪২]

হযরত ইউনুস (আ.) বহুদিন ধরে তাঁর জাতিকে মূর্তিপূজা, শিরক ও গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু তাঁর আহ্বান বেশিরভাগ মানুষ প্রত্যাখ্যান করে এবং হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে। এ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা ওহীর মাধ্যমে তাঁর নবীকে জানিয়ে দেন, তাঁর জাতির প্রতি শিগগিরই আজাব আসছে। একথা শোনার পর হযরত ইউনুস নিজের একজন মুমিন সঙ্গী নিয়ে শহর ত্যাগ করে সাগরের দিকে চলে যান। সেখানে গিয়ে তারা যাত্রী ও মালামাল বোঝাই একটি জাহাজে ওঠেন। সাগরের মাঝখানে একটি বিশাল তিমি মুখ হা করে জাহাজের দিকে অগ্রসর হয়। এ সময় জাহাজের লোকজন বুঝতে পারে, তিমির মুখে যেকোনো একজন যাত্রীকে দিয়ে দিলেই সে এখান থেকে চলে যাবে; তা না হলে সব যাত্রীর জীবন হুমকির মুখে পড়বে। তারা লটারির মাধ্যমে একজনকে বাছাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। লটারিতে হযরত ইউনুসের নাম ওঠে এবং তাকে তিমির মুখে ছেড়ে দেয়া হয়।

আয়াতের মর্মার্থ থেকে অনুমেয় , ওই তিমি মাছ টিকে আল্লাহ তায়ালাই পাঠিয়েছিলেন হযরত ইউনুসকে গিলে ফেলার জন্য। এ কারণে আল্লাহর ইচ্ছায়ই লটারিতে তাঁর নাম ওঠে। কিন্তু যে আল্লাহ এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন তিনিই মাছের পেটে নিজের নবীকে জীবিত অবস্থায় রেখে দেন। হযরত ইউনুস যখন দেখেন মাছটি তাকে অক্ষত অবস্থায় গিলে ফেলেছে এবং তাঁর শরীরের কোনো ক্ষতি হয়নি তখন তিনি নিজের দোষ উপলব্ধি করতে ও ভুল বুঝতে পারেন।

তিনি নিজ জাতিকে দাওয়াত দেয়ার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করার কারণে আল্লাহর কাছে তওবা- করতে থাকেন এবং কায় মনোবাক্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। হযরত ইউনুস নিজের দোষ স্বীকার করে এভাবে কান্নকাটি করার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ক্ষমা করে দেন। তিমি মাছটি সাগর তীরে এসে মুখ খুলে হযরত ইউনুসকে নিজের পেট থেকে বের করে দেয়। আল্লাহ বলছেন, নবী ইউনুস যদি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন তাহলে তাকে কিয়ামত পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হতো।

অতপর ১৪৩-১৪৬ আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ
“তখন যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।অতঃপর আমি তাঁকে এক বিস্তীর্ণ- বিজন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম,তখন তিনি ছিলেন রুগ্ন। আমি তাঁর উপর এক লতা বিশিষ্ট বৃক্ষ উদগত করলাম।[সাফফাতঃ১৪৩-১৪৬]

অতপর তাঁর তাসবীহ পাঠ ও তওবা কবুল হলে,আল্লাহ ক্ষমা করেন এবং মুক্তি দেন।

আল্লাহর নির্দেশে তিমি মাছ হযরত ইউনুসকে সাগর তীরে ফেলে যাওয়ার পর আল্লাহর এ নবী দুর্বল অবস্থায় কাদার মধ্যে পড়ে থাকেন। এ সময় তার পাশে একটি লাউ গাছ জন্মায় এবং এর পাতা তাঁকে সূর্যের প্রখর আলো থেকে রক্ষা করে এবং মাছের পেটে তাঁর ঝলসে যাওয়া চামড়া আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এভাবে হযরত ইউনুসের জীবন রক্ষা পায়। তিনি সুস্থ হয়ে আবার নিজ জাতির কাছে ফিরে যান। তিনি বিস্ময়ের চোখে দেখতে পান, তার সেই মুশরিক জাতি এক আল্লাহর ইবাদত করছে এবং আল্লাহর আজাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। আল্লাহ শুধু আজাবই উঠিয়ে নেননি বরং সেই জাতিকে স্বাভাবিক জীবন উপভোগেরও সুযোগ দিয়েছেন। হযরত ইউনুসের জাতির মানুষের সংখ্যা এক লাখের কিছু বেশি ছিল বলে আল্লাহ তায়ালা জানিয়েছেন।

” এবং তাঁকে এক লক্ষ বা ততোধিক লোকের কাছে প্রেরণ করলাম। “তারা বিশ্বাস স্থাপন করল অতঃপর আমি তাদেরকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত জীবন উপভোগ করতে দিলাম।” (সূরা সাফফাতের:১৪৮)

আমাদের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলোঃ-

* সমস্যা ও ঝামেলার মুখোমুখি হলে কর্তা ব্যক্তির দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়া কোনো সমাধান নয়। বরং যত বড় কঠিন পরিস্থিতিই আসুক দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকতে হবে।

** আল্লাহর তসবীহ পাঠ এবং কান্নাকাটি করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হযরত ইউনুস আঃ এর এই ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই শিক্ষা দিয়েছেন।

*** অতীত ভুলের স্বীকারোক্তি ও তওবার মাধ্যমে ভবিষ্যতে সঠিক পথের দিশা পাওয়ার পথ খুলে যায়। হযরত ইউনুসের জাতি তওবা করার মাধ্যমে আল্লাহর হেদায়েত লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল।

বর্তমান প্রেক্ষাপটঃ A leader can never leave his subordinates in danger times.  X-Prime minister #Shaikh Hasina Traped Same way.

Categories
Innovator

আনুগত্য (يُطِعِ)

শয়তান কুরআনের সরল পথে বসে, মানবরূপী শয়তানদের মাধ্যমে মুমিনদের কে বিভ্রান্ত করার জন্য কুরআনের যে সকল শব্দ সমূহের বিকৃত ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘আনুগত্য’ ( يُطِعِ )। 

وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مَعَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمَ ٱللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّۦنَ وَٱلصِّدِّيقِينَ وَٱلشُّهَدَآءِ وَٱلصَّٰلِحِينَۚ وَحَسُنَ أُو۟لَٰٓئِكَ رَفِيقًا

যারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করবে তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ভাজন নবী, সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তি, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের সঙ্গী হবে। আর সঙ্গী হিসেবে তারাই উত্তম।( ৪:৬৯)

* এখানে আল্লাহর আনুগত্য বলতে কুরআন কে বুঝানো হয়েছে আর রাসূলের আনুগত্য বলতে বার্তা বাহকের বার্তার আনুগত্য কে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রে কুরআন কে বুঝানো হয়েছে। وَ অব্যয়টি দিয়ে একই বিষয়কে দুই ভিন্ন রূপে বুঝাতে ব্যবহার হয়েছে। وَ অব্যয়টি যে একই বিষয়কে দুই ভিন্ন রূপে বুঝাতে ব্যবহার হয় তার প্রমানে নিচের আয়াত দুইটি লক্ষ্য করুন।

يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ قَدْ جَآءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِّمَّا كُنتُمْ تُخْفُونَ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَيَعْفُوا۟ عَن كَثِيرٍۚ قَدْ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٌ وَكِتَٰبٌ مُّبِينٌ

হে কিতাবীগণ, তোমাদের নিকট আমার রাসূল এসেছে, কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে, তার অনেক কিছু তোমাদের নিকট সে প্রকাশ করছে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। (৫:১৫)
يَهْدِى بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضْوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخْرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذْنِهِۦ وَيَهْدِيهِمْ إِلَىٰ صِرَٰطٍ مُّسْتَقِيمٍ

‘এর’ দ্বারা তিনি তাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন।(আল-মা’য়েদা ৫:১৬)

# দেখুন (نُورٌ وَّكِتَابٌ مُبِين ৫:১৫) এই আয়াতে আল্লাহ্ ‘নূর ও কিতা-বুম মুবীন’ (জ্যোতি ও সুস্পষ্ট গ্রন্থ) একই সাথে উল্লেখ করেছেন এবং এই দুইয়েরই উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআন। কেননা এই দুইয়ের মধ্যে وَ সংযোজক অব্যয়টি পাশাপাশি দুই বিশেষ্যের ভিন্নতা বুঝাতে ব্যবহূত হয়নি; বরং ভিন্ন রূপে একই বিষয়কে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই অব্যয়টি আসলে একই বিষয়ের দুই ভিন্ন রূপের সংযোজক অব্যয়। যার স্পষ্ট প্রমাণ কুরআনের পরবর্তী (৫:১৬) আয়াত, যেখানে বলা হচ্ছে يَهدِي بِهِ الله অর্থাৎ এর দ্বারা আল্লাহ হিদায়াত করেন বা সুপথ দেখান। যদি نور ও كتاب আলাদা আলাদা জিনিস হত, তাহলে কুরআনের এই বাক্যটি এইরূপ হত, يَهدِي بِهِمَا الله অর্থাৎ, সর্বনামটি একবচন না হয়ে দ্বিবচন হত (ه) একবচন না হয়ে هما দ্বিবচন হত এবং অনুবাদ ‘এর’ দ্বারা তিনি তাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন’ না হয়ে ‘উভয়’ দ্বারা তিনি তাদেরকে শান্তির পথে পরিচালিত করেন’ হত। কুরআনের এই বাক্য থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হলো যে, ‘নূর’ ও ‘কিতা-বুম মুবীন’ উভয় শব্দের উদ্দেশ্য ‘কুরআন’। وَ অব্যয়টি একই বিষয়কে বুঝানোর দুই ভিন্ন রূপের সংযোজন অব্যয় হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। আর ‘নূর’ বলতে যে কুরআনকে বুঝানো হয়েছে, তার প্রমাণে সূরা তাগাবুনের ৮ নাম্বার আয়াতটি দেখুন।

فَـَٔامِنُوا۟ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَٱلنُّورِ ٱلَّذِىٓ أَنزَلْنَاۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ

অতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এবং আমি যে নূর অবতীর্ণ করেছি তার প্রতি ঈমান আন। আর তোমরা যে আমল করছ আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।( ৬৪:৮)

# অনুরূপ ভাবে আসুন আমরা এবার গভীর ভাবে অনুধাবনের চেষ্টা করি সূরা নূরের ৫৪ নাম্বার আয়াতটি। আয়াতের শুরুতে বলা হয়েছে “আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর” আয়াতের পরের অংশে تُطِيعُو শব্দের পরে এক বচনে অব্যয় হিসাবে এসেছে هُ। এতে প্রমান হয় আল্লাহ ও রাসূল সত্তাগত ভিন্ন কিন্তু আনুগত্যের ক্ষেত্রে অভিন্ন। এই জন্যই এখানে একবচনের অব্যয় هُ ব্যবহার করা হয়েছে। আর সেই অভিন্ন বিষয়টি হচ্ছে আল্লাহর নাজিলকৃত কিতাবের আনুগত্য করা। যারা এই আনুগত্যের বিষয়টির মধ্যে পার্থক্য করে তারাই কুফরীতে লিপ্ত।

قُلْ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُوا۟ ٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوْا۟ فَإِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُم مَّا حُمِّلْتُمْۖ وَإِن تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا۟ۚ وَمَا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلْبَلَٰغُ ٱلْمُبِينُ

বলুনঃ আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌছে দেয়া। (২৪:৫৪)

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُوا۟ بَيْنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤْمِنُ بِبَعْضٍ وَنَكْفُرُ بِبَعْضٍ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُوا۟ بَيْنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا

নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের মধ্যে পার্থক্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতককে বিশ্বাস করি আর কতকের সাথে কুফরী করি’ এবং তারা এর মাঝামাঝি একটি পথ গ্রহণ করতে চায়।(আন-নিসা ৪:১৫০)

সারকথাঃ আল্লাহর আনুগত্য করা এবং রাসুলের আনুগত্য করার অর্থ আল্লাহর আনুগত্য বলতে যেমন কোরানের আনুগত্য বুঝায় তেমনি বার্তাবাহকের আনুগত্য বলতে বার্তা বা কোরআনের আনুগত্য বুঝায়। এ কথাটিকে হাদীস বেত্তারা এমন ভাবে প্রচার করে যে,আল্লাহর আনুগত্য মানে কোরানের এবং রাসুলের আনুগত্য মানে নবীর হাদীসের আনুগত্য করা। এ বলে তারা কোরআন ও হাদীসকে পাশাপাশি দাড় করাতে চায়।এমন আকিদা কিতাবের সাথে শিরক করা।

আচ্ছা ভাবুন তো রাসুল ও সাহাবী তাবেয়ীদের যুগে যখন হাদীস রচিত হয় নি তখন এ আয়াত দ্বারা কি বুঝাতো ? তখন তো হাদীসের সৃষ্টিই হয় নি। হাদীস সৃষ্টি হয়েছে নবীর ওফাতের ২৫০ বছর পড়ে। তাই অনুবাদ বুঝার ভুলের জন্য আমরা শিরক মুক্ত থাকতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করি।

Categories
My text

আরবী গ্রামার -১

দরস -০১

আরবী গ্রামার আর কোরানিক গ্রামার এক নয়। কোরান বুঝার জন্য যে গ্রামার জানা প্রয়োজন তা খুব সহজ, আরবী গ্রামারের মত অতটা জটিল নয়।
সমগ্র কোরানে পুনারাবৃত্তি সহ মোট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৭৮ হাজার। তন্মধ্যে মুল শব্দ মাত্র ১৮ হাজারের মত। ফলে ২০০ /২৫০ শব্দের সাথে পরিচয় হতে পারলে সমগ্র কোরান নিজ ভাষায় বুঝে পড়া সহজ।
সমগ্র কোরানের এই ৭৮ হাজার শব্দকে মাত্র তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
১) ইশিম
২) ফে’ল
৩) হরফ
ইশিম – নাম, গুন,বা সর্বনাম বাচক শব্দগুলি ইশিম।
ফে’ল – ক্রিয়াবাচক শব্দগুলো ফে’ল। এবং
হরফ – অব্যয় বাচক শব্দ গুলোকে হরফ বলে।

ধারাবাহিক ভাবে এগুলির আলোচনা করা হবে। তার আগে আরবী গ্রামারের কিছু প্রাথমিক ধারনা নেব।
আরবীতে এক বা একাধিক বর্ণ দারা যদি অর্থ প্রকাশ হয় তাকে শব্দ বা কালিমাহ বলে। এই একাধিক শব্দ নিয়ে যদি একটি পুর্ণাঙ্গ অর্থ প্রকাশ পায় তাকে বাক্য বা জুলমাহ বলে। এটাকে কালিমার বহুবচন হিসাবে কালিমাতুন ও বলে।
বাংলাতে যেমন পদ পাঁচ প্রকার, ইংরেজীতে আট প্রকার, তেমনি আরবীতে পদ মাত্র তিন প্রকার। ইশিম – ফে’ল – হরফ। অন্যদিকে বাংলায় বা ইংরেজীতে বচন দুই প্রকার হলেও আরবীতে বচন তিন প্রকার।
১) একবচন (ওয়াহেদ) যেমন হুয়া।
২) দ্বীবচন ( তাশনিয়া) – যেমন হুমা।
৩) বহুবচন। ( জামা’আ) যেমন হুমু।

বাংলা বা ইংরেজীতে কাল বা সময় তিন প্রকার হলেও আরবীতে কাল দুই প্রকার।
১) অতীত কাল
২) বর্তমান/ ভবিষ্যত কাল।

বাংলা বা ইংরেজীতে লিংঙ্গ যাহাই থাকুক আরবীতে লিঙ্গ দুই প্রকার।
১) পুংলিঙ্গ ( মুযাক্কার)
২) স্ত্রী লিঙ্গ ( মুয়ান্নাস)
ক্লিব লিঙ্গ বা উভয় লিঙ্গ বলে আরবীতে কোন লিঙ্গ নেই।

কোরানের ইশিমের অন্তরগত যত শব্দ আছে তা হয় মুযাক্কার না হয় মুয়ান্নাস। যেমন নাহরুন – নদী এটি স্ত্রী লিঙ্গ, সামস – সুর্য এটি স্ত্রী লিঙ্গ। কেন এবং কি ভাবে তা যথাসময়ে আলোচনা করা হবে।
আরবীতে পুরুষ বা সাখুত ৩ প্রকার।
১) গায়েব – নাম পুরুষ ( অনুপস্থিত ব্যক্তি)
২) হাযির – মধ্যম পুরুষ ( উপস্থিত ব্যক্তি)
৩) মুতাকাল্লিম – উত্তম পুরুষ ( সম্বোন্ধকারী ব্যক্তি)

আরবীতে কাল বা Tense কে যামানা বলে,বচন কে আদদ,লিংগ কে জিনস, বিশেয্য বিশেষনকে ইশিম,সর্বনাম কে দমীর / জমির, অব্যয় কে হরফ, কর্তাকে ফা’য়েল কর্মকে মা’ফউল বলে। প্রাথমিক এ ধারনাটুকু থাকা আবশ্যক। প্রথম ইশিম বিষয়ে জানবো,। কারন ইশিমের ভিতর বিশেষ্য, বিষেশন ও সর্বনাম রয়েছে। কোরানের বেশীর ভাগ ৬০% শব্দ ইশিমের অন্তর্গত। ২০% হরফের অন্তরগত বাকি ২০% মাত্র ফেল বা ক্রিয়াবাচক শব্দ। প্রায় ২০০ ক্রিয়াবাচক শব্দ শিখলেই কোরানে বর্নিত সব ক্রিয়াবাচক শব্দ জানা হয়ে যাবে। সুতরাং কোরানের সরল অনুবাদ নিজে বুঝে করা কঠিন কোন বিষয় না। আপনার মুফতি হওয়ার প্রয়োজন নেই। ইবারত,বালাগাত, তারকীব এগুলো নিয়ে টানাটানি করার দরকার নেই তো। আল্লাহ এ জন্যই সুরা ক্বমারে একবার নয় চারবার বলেছেনঃ

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْاٰنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ

শব্দার্থ: وَلَقَدْ = এবং নিশ্চয়ই , يَسَّرْنَا = আমরা সহজ করে দিয়েছি, الْقُرْآنَ = কুরআনকে, لِلذِّكْرِ = উপদেশ গ্রহণের জন্য, فَهَلْ = অতএব কি (আছে) , مِنْ = কোনো, مُدَّكِرٍ = উপদেশ গ্রহণকারী।

কুরআন আমি সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? ৫৪:১৭
উক্ত আয়াতে মানুষকে লক্ষ্য করে এমন ভাবে প্রশ্নবোধক আহ্বান ছুড়ে দিয়েছেন যেন আহব্বানটি মানুষের জন্য বিষেশ এক অফার। فَهَلْ = অতএব কি কেউ আছ???

*******************************

দরস -০২

ইশিম বা (বিশেষ্য,বিষেশন,সর্বনাম)

কোরআনের শব্দ ভান্ডারে প্রায় ৬০ ভাগ শব্দই ইশিম জাতীয় শব্দ। এই ইশিম জাতীয় শব্দ গুলোকে প্রথম দূই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) মা’রেফাহ বা নির্দিষ্ট বাচক ইশিম।
২) নাকেরা বা অনির্দিষ্ট বাচক ইশিম।

যেমন কিতাব (বই) একটি অনির্দিষ্ট বাচক ইশিম। যখন এটিকে আল কিতাব বলা হবে তখন এটি নির্দিষ্ট ইশিম বলা হবে। কোরানের বর্নিত নির্দিষ্ট বাচক ইশিম গুলি বাদ দিলে বাকি সব ইসিম গুলিকে অনির্দিষ্ট বাচক ইশিম বা নাকেরা বলা হয়।

কোরআনে বর্নিত শব্দ গুলি হতে ইশিম চেনার উপায় বা আলামত ১৪ টি।

১) কোন ব্যক্তি, বস্তু, দেশ বা স্থানের নাম হওয়া। যেমনঃ যায়েদ,মক্কা,সূর্য।
২) শব্দের শুরুতে আলিফ লাম যুক্ত থাকলে। যেমনঃ আল কিতাব
৩) শব্দের শেষে তানভিন হওয়া, অর্থাৎ দুই পেশ, দুই যবর, দুই যের হওয়া। যেমনঃ কালামুন
৪) শব্দের শুরুতে জামির বা সর্বনাম হওয়া। যেমনঃ হুয়া, আনতা
৫) শব্দটি দ্বীবচন বা বহুবচন হওয়া। যেমনঃ রিজালুন

৬) শব্দটি স্থান বা কালবাচক হওয়া। যেমনঃ মক্কা, লাইল
৭) শব্দটি সংখ্যা বাচক হওয়া। যেমনঃ একহাজার
৮) শব্দটি বিষেশন অর্থাৎ দোষ বা গুনবাচক হওয়া। যেমনঃ নতুন বই
৯) শদটি মুসনাদে ইলাইহী হওয়া। যেমনঃ যায়েদ জ্ঞানী
১০) শব্দটি মুছাফ হওয়া। যেমনঃ যায়েদের কিতাব
১১) শব্দটি হরফে যের হওয়া। যেমনঃ ঘরের সাথে
১২) শব্দটি হরফে নেদা হওয়া। যেমনঃ হে আব্দুল্লাহ
১৩) শব্দটির শেষে গোল তা থাকা। অর্থাৎ স্ত্রীবাচক হওয়া। যেমনঃ ফল
১৪) শব্দের শেষে উহ্য তা থাকা। অর্থাৎ স্ত্রীবাচক হওয়া। যেমনঃ পৃথিবী
১৫) শব্দের শেষে বড় আলিফ হওয়া, অর্থাৎ স্ত্রীবাচক হওয়া। যেমনঃ হামরাউ
১৬) শব্দের শেষে ইয়া যুক্ত থাকা। অর্থাৎ স্ত্রীবাচক হওয়া।
১৭) কালের সাথে সংশ্লিষ্ট ক্রিয়া অর্থাৎ শব্দের শেষে তে, তা, তুন, ইয়ুন, ইয়ান, নুন থাকা।
১৮) ইশমে ইশারা বা সম্বন্ধ যুক্ত হওয়া। যেমনঃ যায়েদের কলম।

এবার কোরআন খুলে শুরুতে সূরা ফাতিহা বের করে মিলিয়ে দেখে নিন সাতটি আয়াতে মোট কয়টি ইশিম বাচক শব্দ আছে এবং তন্মধ্যে মারেফাহ ইশিম কয়টি এবং নাকেরা জাতীয় ইশিম কয়টি?? এর পরে হরফ ও ফে’ল শব্দগুলি খুজে বের করা শিখবো ইনশাআল্লাহ।

Categories
My text

রোমকরা

রোমান বা ইটালী বাসীর পুর্ব পরিচয়।
—————————————–
রোমকরা পরাজিত হয়েছে। (সূরা রুম)

রোমকরা ইসহাক নবীর বংশোদ্ভোত, তারকা পুজারী। এরা সাতটি তারকার উপসনা করত। উত্তর দিক হয়ে সালাত পরতো। এদের দ্বারাই দামেস্ক শহরের পত্তন হয়েছিল। ঈসা আঃ এর নবুয়্যতের পর তিনশত বছর পর্যন্ত রোমকরা তাদের পুর্ব মতবাদের উপর অটল ছিল। তাদের মধ্যে যে বাদশাহ হত তাকে সিজার ( কাইসার) বলতো। তাদের যে বাদশাহ সর্বপ্রথম খৃস্টান ধর্ম গ্রহন করেন তার নাম কনস্টানটাইন ইবন কসতাস। বহু খৃস্টান পাদরী তার দরবারে হাজির হতো,তাদের মাঝে প্রায়সঃ ধর্ম নিয়ে তর্ক,মতানৈক্য হত। বাদশাহ তা সমাধানের জন্য ৩১৮ জন ধর্মীয় আলেমের সমন্বয়ে এক খানা কিতাব রচনা করেন —
যেখানে বাদশাহের আকীদহ ও মতাদর্শকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এই কিতাবকে আমানতে কুবরা বা সমঝোতা চুক্তি কিতাব বলা হত। এটিকে তাদের নিয়ম নীতির কিতাব বলে মানা হত এবং তাতে হারাম/হালালসহ অনেক কিছু বর্ননা করা হয়। তাদের আলেমরা মনের আনন্দে যা খুশী তাই লিখে তাতে যুক্ত করে এবং দ্বীনে মসীহকে তারা কম বেশী পরিবর্তন করে। ফলে আসল দ্বীন পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও পরিকল্পিত হয়ে যায়। তারা পুর্বদিকে মুখ করে সালাত আদায় করা শুরু করে এবং শনিবারের পরিবর্তে রবিবারকে তারা বড়দিন ধার্য্য করে। তারা ক্রুসের উপাসনা শুরু করে। শুকরকে তারা হালাল করে নেয়। নতুন নতুন উৎসব তারা আবিস্কার করে। যেমন ঈদ, ক্রুস, নৈশ ভোজের উৎসব,ইস্টার সান ডে ইত্যাদি ইত্যাদি। তারপর তাদের আলেমদের মর্যদার স্তর তারা নির্ধারন করে নিয়েছে এবং তাদের একজন বড় পাদরী হয়ে থাকে। তার অধীনে ছোট ছোট আলেমদের ক্রমিক পর্যায়ে স্তর বন্টন করে দেয়া হয়।

তারা রুহাবানিয়াত বা বৈরাগ্যের নতুন বিদআত আবষ্কার করে নেয়। তাদের জন্যই বাদশাহ বহু গীর্যা,মন্দির তৈরী করে দেয়। বাদশাহ একটি নতুন শহরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে, যে শহরের নামকরন করা হয় কনস্টানটিনোপল। সেখানে তার মা ও যীশুর নামে একটি পুণ্য সমাধী (কামাকিমা) তৈরী করে দেয়। তারা সবাই বাদশাহর দীনের উপর ছিল। এ ভাবে একের পর এক সিজার (কাইসার) হয়ে আসছিল। সর্বশেষ সিজার (কাইসার) হিরাক্লিয়াস হন। ইনিই ছিলেন সমস্ত বাদশাহদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অধিক বুদ্ধিমান। তার রাজ্য বহুদুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছিল। তার প্রতিদ্বন্দিতায় পারস্য সম্রাট কিসরা উঠে পরে লাগে। কিসরা ছিল অগ্নি উপাসক। তার রাজ্য রোম সম্রাট সিজারের চেয়ে অনেক বড় ছিল। যুদ্ধের এক পর্যায়ে রোম সম্রাট সিজার অবরোদ্ধ হয়। কিসরা কনস্টনটিনোপল দখল করে সেখানের যুবকদের হত্যা ও নারীদের বন্দী করে। দির্ঘদিন অবরোধ চলা অবস্থায় রোম সম্রাট সিজার রোমকদের তার অনুপস্থিতে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে ছোট্ট একটি সেনা বাহিনী সাথে নিয়ে যুদ্ধের দিক পরিবর্তন করে উল্টো দিকে কিসরার এলাকা পারস্যে গিয়ে পৌছেন। সেখানে তখন খুব কম সংখ্যক সৈন্যই অবস্থান করছিল, যেহেতু সবাই কিসরার সাথে যুদ্ধে চলে গিয়েছিল। রোম সম্রাট সিজার কিসরার রাজধানীর রক্ষী বাহীনিকে পরাজিত করে কিসরার সিংহাসন দখল করে নেন এবং তার ছেলেকে বন্দী করেন। তার ছেলের মাথা মুন্ডন করে গাধায় চড়িয়ে পরিবারের মহিলাদের অবমাননাকর অবস্থায় কিসরার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। কিসরা পরিবারের সদস্যদের এমন অবমাননাকর অবস্থা দেখে ক্রোধে ফেটে পরেন এবং কঠিন আক্রমনের প্রস্তুতি নেন। রোম সম্রাট সিজার এটা জানতে পেরে কৌশল অবলম্বন করলেন। সিজার যাইহুন নদী অতিক্রম করে পথ পরিবর্তন করে কনস্টানটিনোপল রোম সম্রাজ্যে পৌঁছে গেলেন।।

যেদিন তিনি রাজধানীতে পৌঁছলেন সেই দিন খৃস্টানেরা আনন্দোৎসবে মেতে উঠল। কিসরা যখন এ খবর জানতে পারলো, সে বিষ্ময়কর ও হতাশ হয়ে পড়লো। তার না রোম বিজিত হলো – না পারস্য টিকে থাকল। রোমকরা জয়লাভ করল। পারস্যের নারী ও ধন সম্পদ তাদের অধিকারে এসে গেল। এ সব ঘটনা নয় বছরের মধ্যে সংঘটিত হলো। পরাজয়ের পর পুনরায় তারা বিজয় মাল্যে ভূষিত হলো।

একই সময়ে রোমানরা যেমন পারসিকদের পরাজিত করে ঠিক বদর প্রান্তে মুসলমানরা মক্কার পৌত্তলিকদের পরাজিত করে।।

Categories
Innovator

মানুষের শ্রেণীঃ

নিশ্চয় তোমরা স্তর থেকে  স্তরে  আরোহণ করিবে। (৮৪:১৯)
لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍؕ
লাতারকাবুন্না তাবাক্কান আন তাবাক।
অনুবাদঃ নিশ্চয় তোমরা ধাপে ধাপে আরোহণ করবে।

শব্দার্থ: لَتَرْكَبُنَّ = তোমরা অবশ্যই আরোহণ করবে, طَبَقًا = স্তর, عَنْ = থেকে, طَبَقٍ = স্তরে,

প্রশ্নঃ  মানুষকে ধাপে ধাপে বা একস্তর থেকে আরেক স্তরে  কোথায় আরোহন করার কথা আল্লাহ বলেছেন??

মানুষের চারিত্রিক অবস্থানের উপর ভিত্তি করে   কোর’আনে ৪টি স্তরের মানুষের  কথা ব্যক্ত করেছেন।  যাকে স্তর বা সিড়ি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে । যেমনঃ

বাশার [الْبَشَر ]

নাস [النَّاس ], এবং

ইনসান [ الْإِنْسَان ]

খলিফা –[-خَليفَةً]

উপরের এ চারটি শব্দের অর্থই মানুষ। কিন্তু চারটি শব্দ দ্বারা একই চরিত্রের মনুষকে বোঝানো হয় না। অর্থৎ, প্রত্যেকটি শব্দ-ই আলাদা আলাদা চরিত্রের মানুষকে নির্দেশ করে। আল কোর’আনের মুজেযা এটাই।

কোর’আনে একই জিনিসের অনেকগুলো সমর্থক শব্দ থাকলেও প্রত্যেকটি শব্দের আলাদা আলাদা সংজ্ঞা থাকে। প্রতিটি শব্দ-ই ইউনিক। ফলে, কোর’আনের একটি শব্দের স্থানে অন্য কোনো সমর্থক শব্দ বসানো যায় না।

বাশার, নাস এবং ইনসান – এ তিনটি শব্দ মানুষের তিনটি স্তরবিন্যাসকে নির্দেশ করে। মানুষের এই তিনটি স্তরবিন্যাস তাদের ধর্মের কারণে হয়নি। বরং মানুষের স্বভাব ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে এই তিনটি স্তরবিন্যাস করা হয়েছে।

ইনসান শব্দটি আরবি ‘নাসিয়ূন‘ উৎস-মূল থেকে সৃষ্টি হয়েছে। যার অর্থ ভুলে যাওয়া বা ভুল হওয়া। সে হিসেবে তার সাদামাটা অর্থ হল, ইনসান এমন সৃষ্টির নাম যে, বারে বারে তার অতীত ভুলে যায়, তার ওয়াদার কথা ভুলে যায়, স্বীয় প্রভুর কথা ভুলে যায়।
আরেক ভাবে যার অর্থ সে বারে বারে ভুল করে।
কোর’আনে যত যায়গায় ‘ইনসান’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, তত যায়গায় মানুষের নেতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছ। কোর’আন থেকে এবার কয়েকটি উদাহরণ দেখুন।

قُتِلَ الۡاِنۡسَانُ مَاۤ اَکۡفَرَہٗ ﴿ؕ۱۷﴾ -আবাসা-১
অর্থঃ মানুষ ধ্বংস হোক! সে কত অকৃতজ্ঞ।

اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لِرَبِّہٖ لَکَنُوۡدٌ ۚ﴿۶﴾ সূরা আদিয়াত-৬
অর্থঃ নিশ্চয় মানুষ তার রবের প্রতি বড়ই অকৃতজ্ঞ।

اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ﴿۲﴾ সূরা আসর-২
অর্থঃ নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মাঝে নিপতিত।

এছাড়াও সূরা ইউনূসের-১২, হুদ-০৯,ইব্রাহিম -৩৪, বণী ইসরাইল-৬৭, ১০০, ঝুমার-০৮ ও ৪৯, যুখরফ-১৫, সূরা কেয়ামাহ-৩৬ নং আয়াতের মাঝে এরকম কিছু নেতিবাচক চারিত্রিক বিশিষ্টয়ের কথাই উল্লেখ আছে। কিন্তু ‘ইনসান’ স্তরের উপরেও মানুষের অনেক স্তর আছে।
এখন চলুন, সেগুলো দেখে নেয়া যাক।

মর্যাদাগতভাবে ‘ইনসানের’ উপরের স্তরে যেই মানুষেরা আছে, তাদেরকে কোর’আনে বলা হয়েছে ‘নাস’ [النَّاس ]। নাস শব্দের অর্থও মানুষ। কিন্তু ‘নাস’ স্তরের মানুষের মাঝে ভালো মানুষও আছে, আবার খারাপ মানুষও আছে।

‘নাস’ নামক ভালো মানুষের উদাহরণ।

১) মানুষের মধ্য থেকেই আল্লাহ রাসূল মনোনীত করেন।

“আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা।” [সূরা ২২/হাজ্জ – ৭৫]

২) ইসলামের বিজয় দেখলে যারা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করবে, তারা ‘নাস’ স্তরের মানুষ।

“এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন।” [ ১১০ঃ ২]

৩) আল্লাহর জন্যে নিজের প্রাণ উৎসর্গকারী মানুষেরাও ‘নাস’ স্তরের মানুষ।

“আর মানুষের মাঝে এমন কিছু মানুষ রয়েছে, যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভার্থে আত্ম-বিক্রয় করে থাকে। আল্লাহ হলেন তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত মেহেরবান।” [ সূরা ২/বাকারা – ২০৭]

এখন দেখুন, ‘নাস’ নামক খারাপ মানুষদের উদাহরণ।

১) ‘নাস’ স্তরের মানুষেরা হবে জাহান্নামের জ্বালানি।

“আর যদি তোমরা (কোর’আনের অনুরূপ) কিছু না আনতে পার, অবশ্য তা তোমরা কখনও তা আনতে পারবে না, তাহলে সে দোযখের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর। যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য। [ ২ঃ ২৪]

২্) ‘নাস’ স্তরের মানুষদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।

“নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।” [সূরা ২৭/নামল – ৭৩]

৩) ‘নাস’ স্তরের মানুষদের কেউ কেউ খুবই ঝড়গাটে ও তর্কপ্রিয়।

“মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ এমন আছে, পৃথিবীর জীবন সম্পর্কে যার কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। সে তার অন্তরের বিষয়ে আল্লাহকে সাক্ষী রাখে। প্রকৃতপক্ষে সে কলহপ্রিয়।” [সূরা ২/বাকারা – ২০৪]

৪) ‘নাস’ স্তরের অধিকাংশ মানুষ-ই অজ্ঞ।

“আপনি বলুন, আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন, অতঃপর তিনি মৃত্যু দেন, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না। [সূরা ৪৫ঃ ২৬]

লক্ষ্য করুন।

কোর’আনে ‘ইনসান’ শব্দটি যতবার ব্যবহার করা হয়েছে, তত বারই সকল মানুষকে একসাথে বুঝানো হয়েছে, এবং সেখানে মানুষের ভালো কোনো চারিত্রিক গুনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে – মানুষেরা অকৃতজ্ঞ, মানুষেরা অজ্ঞ, মানুষেরা তর্ক প্রিয়, ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু কোর’আনে যখন ‘নাস’ শব্দ দিয়ে মানুষকে বুঝানো হয়েছে, তখন কিছু কিছু মানুষকে ভালো বলা হয়েছে, এবং অধিকাংশ মানুষকে-ই খারাপ বলা হয়েছে। যেমন, উপরের আয়াতগুলোতে বলা হচ্ছে – অধিকাংশ মানুষ অকৃতজ্ঞ, অধিকাংশ মানুষ অজ্ঞ, অধিকাংশ মানুষ তর্কপ্রিয়।

সুতরাং, এ থেকে বোঝা যায় যে, মানুষের স্তরবিন্যাসে ইনসানের উপরের স্তরে রয়েছে ‘নাস’ নামক স্তর।

তারপর আসুন, ‘নাস’-এর উপরের স্তরে যেসব মানুষদের রাখা হয়েছে, কোর’আনে তাদেরকে বলা হয়েছে ‘বাশার’। ‘বাশার’ শব্দের অর্থও মানুষ। কিন্তু এরা ‘নাস’ স্তরের মানুষদের মত না। কোর’আনে ‘বাশার’ শব্দটি সাধারণত উন্নত চরিত্রের মানুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।

‘নাস’ স্তরের অধিকাংশ মানুষ-ই খারাপ, কিন্তু ‘বাশার’ স্তরের অধিকাংশ মানুষ-ই ভালো। ‘বাশার’ স্তরের মানুষেরা হোক মুসলিম বা অমুসলিম, তাদের চরিত্র সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত হয়ে থাকে।

কোর’আন থেকে এবার কয়েকটি উদাহরণ দেখুন।

১) যে মানুষকে সেজদা করার জন্যে আল্লাহ তায়ালা ইবলিসকে আদেশ দিয়েছেন, সে ছিল ‘বাশার’ স্তরের মানুষ।

“(ইবলিস) বলল: আমি এমন নই যে, একজন মানুষকে সেজদা করব, যাকে আপনি পচা কর্দম থেকে তৈরি ঠনঠনে বিশুষ্ক মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। [সূরা ১৫/হিজর – ৩৩]

২) নবী ও রাসূলগণ ছিলেন ‘বাশার’ স্তরের মানুষ।

“তাদের রাসূলগণ তাদেরকে বললেন: আমারাও তোমাদের মত মানুষ, কিন্তু আল্লাহ বান্দাদের মধ্য থেকে যার উপরে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত তোমাদের কাছে প্রমাণ নিয়ে আসা আমাদের কাজ নয়; আল্লাহর উপর ইমানদারদের ভরসা করা উচিত।” [সূরা ১৪/ইব্রাহিম – ১১]

৩) ঈসা (আ)-এর জন্মের সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে রুহ এসে ‘বাশার’ বা মানব আকৃতি ধারণ করে।

“অতঃপর (লোকজন) থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে (মারিয়াম) পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল।” [সূরা ১৯/মারিয়াম – ১৭]

৪) আল্লাহ তায়ালা ‘বাশার’ স্তরের মানুষের কাছে তাঁর বার্তা পাঠান।

“মানুষের এমন মর্যাদা নাই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন। কিন্তু ওহীর মাধ্যমে, অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে, অথবা তিনি কোন দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।” [সূরা ৪২/শূরা – ৫১]

দেখুন, ‘বাশার’ স্তরের মানুষেরা ‘নাস’ ও ‘ইনসান’ স্তরের মানুষ থেকে অনেক উন্নত। সকল নবী ও রাসূল ছিলেন ‘বাশার’। ‘বাশার’ স্তরের মানুষের নিকট আল্লাহ ওহী পাঠান। কোর’আনে ‘বাশার’ শব্দটি ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

‘বাশার’ শব্দমূল থেকে আসা আরেকটি শব্দ কোর’আনে প্রচুর ব্যবহার করা হয়েছে। তা হলো ‘বুশরা’। এর অর্থ সুসংবাদ।

এখানে একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন –

কেউ ‘বাশার’ হয়ে গেলেই তিনি পূর্ণ সফল হয়ে যান না। তাকে মুমিন হতে হয়, মুসলিম হতে হয়, এবং তারও উপরে আরো অনেকগুলো উন্নত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এ জন্যে কোর’আনে ‘বাশার’ স্তরের মানুষদের বলা হচ্ছে –

“মানুষের জন্যে সতর্ককারী। তোমাদের মধ্যে যে সামনে অগ্রসর হতে চায়, এবং যে পিছিয়ে পড়তে চায়, তার জন্যে (সতর্ক)।” [সূরা ৭৪/মুদ্দাছছির – ৩৬, ৩৭]

দেখুন,

‘বাশার’ শব্দ দিয়ে কোর’আনে নিউট্রাল মানুষদের বোঝানো হয়। অর্থাৎ, যারা ভালো ও মন্দের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থান করে। ‘বাশার’ স্তরের মানুষেরা ‘ইনসান’ ও ‘নাস’ স্তরের মানুষের মত খারাপ না, আবার তারা পূর্ণ সফলও না। তারা ইচ্ছা করলে ইনসানের স্তরে নেমে যেতে পারে, আবার তারা ইচ্ছা করলে অনেক উন্নত স্তরে পৌঁছে যেতে পারে।

এখনে একটি প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যখন সৃষ্টি করেছিলেন, তখন আমরা কোন স্তরের মানুষ ছিলাম? বাশার, নাস, নাকি ইনসান?

উত্তরটা কোর’আনে আছে। আল্লাহ বলছেন –

“স্মরণ করুন, যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটির মানুষ সৃষ্টি করব।” [সূরা ৩৮/সাদ – ৭১]

এখানে যে ধরণের মানুষের সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে, তারা ছিলেন ‘বাশার’ স্তরের মানুষ। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে ‘ইনসান’ বা ‘নাস’ বানিয়ে সৃষ্টি করেননি। বরং তাকে ‘বাশার’ স্তরের ভালো মানুষ হিসাবে-ই সৃষ্ট করেছেন। কিন্তু মানুষ তার চারিত্রিক কারণে-ই নাস এবং ইনসান হয়ে যায়।

এরপর আসুন,

ইনসান, নাস ও বাশার – এ তিনটি স্তরের পাশাপাশি মানুষের আরেকটি স্তর আছে, যার নাম খালিফা। পৃথিবীর অন্য সকল প্রাণী ও বস্তু থেকে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে অধিক সম্মানিত করেছেন। কিন্তু শর্ত হলো, মানুষকে চরিত্রগতভাবে সুন্দর হতে হবে।

আর তোমার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদিগকে বললেনঃ আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি বানাতে যাচ্ছি।(২ঃ৩০)

ফিরেস্তাগন অবাক হয়ে গেলেন, কারন তারা খলিফার মর্যদা জানতেন। যে মুল মালিকের পুর্ন ক্ষমতা প্রাপ্ত। যার ভাল মন্দ করার, শাসন বিচার,কর্তৃত্ব করার এখতিয়ার থাকবে।

এর পর আল্লাহ বলেন মানুষের ভিতর হতে ছেকে তোমাদেরকে নির্বাচন করেছি তোমরা যেন আমার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত রাখ জমিনে।

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। ( ইমরানঃ১১০)

তোমাদের মানুষের মধ্য হতে উত্তম হিসেবে নির্বাচিত করেছি এ জন্য যে, তোমরা ভাল কাজের আদেশ করবে এবং মন্দ কাজের নিষেধ করবে।

সুতরাং,
ইনসান, নাস, বাশার ও খলিফা – আমরা যেখানেই বা যে স্তরেই থাকি না কেন, আমাদেরকে আরো উপরের স্তরে যেতে হবে। এক-এক করে, মুমিন, মুসলিম এবং তারও উপরের স্তরগুলোতে পৌঁছাতে হবে।

আমরা ইচ্ছা করলে ইনসান, এবং অধিকাংশ ‘নাস’-এর মত নিম্নস্তরে চলে যেতে পারি, আবার ইচ্ছা করলেই আমাদের ‘বাশার’ স্তর থেকে অনেক উপরের স্তরে চলে যেতে পারি। কারন আমাদের খলিফা আখ্যায়িত করে সে ক্ষমতা আমাদের নিকট ন্যাস্ত করেছেন। প্রয়োজন – আমাদের ইচ্ছার।

Categories
Uncategorized

ধর্মের গ্যারাকলঃ

বিশ্বাস ভাঙার আগ পর্যন্ত কঠিন মিথ্যাও সত্য লাগে। আর লালিত বিশ্বাসে স্থির থাকলে সত্যটাও মিথ্যে মনে হয়।

Categories
My text

মহাশুন্যঃ

কোরআনকে কেন বিজ্ঞানময় বলেঃ

পৃথিবী স্থির না কি সূর্য স্থির?  কোরানের সাথে বিজ্ঞানের সাংঘর্ষিক বক্তব্যের সমালোচনাঃ

★আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে। [২৭:৭৫]

★(১) পৃথিবীর কিছু জায়গা আছে যেখানে বছরে ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত থাকে অথচ সূর্য ১ স্থানে স্থির নয়। তাহলে কিভাবে সেসব স্থানে এই রাত দিন সম্ভব ? জবাব,-সূর্যের আলো থাক বা না থাক রাতের অন্ধকার এবং দিনের আলো আলাদা আলাদা পর্দা, শক্তি বা  আবরন। পবিত্র কোরআনে আছে,-“তিনি রাতকে দিনের ভিতরে প্রবেশ  করান এবং দিনকে রাতের ভিতরে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত। [৫৭:৬] আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।[৪০:৬১] “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [২১:৩৩] সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [ ৩৬:৪০]

★(২) কথায় আছে,- কান টানলে মাথা আসে এবং তদন্তে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। পৃথিবী ঘুরছে সাথে ঘুরছে বায়ুমণ্ডলও।এখন প্রশ্ন :-স্যাটেলাইট কি বায়ুমণ্ডলের ভিতরে নাকি বাইরে? যদি ভিতরে থাকে তাহলে যার যার স্যাটেলাইট তার তার দেশের আকাশ সীমানার ভিতরে আছে,আর যদি বাইরে থাকে তাহলে তাহা অন্য দেশের আকাশ সীমানার উপরে চলে যাবে কারণ পৃথিবী নিজ অবস্থানে ঘুরছে এবং তাহা অন্য দেশের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। এবং এই স্যাটেলাইট  তার নিজ দেশের সার্বক্ষণিক ম্যাসেজ দিতে সক্ষম নয়। বায়ুমণ্ডলের উপরে মানে মহাশূন্যে যদি থাকে তাহলে স্যাটেলাইট কিভাবে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে যেখানে পৃথিবী এক স্থানে থাকেনা, মানে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ৩৬৫ দিনে ঘন্টায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার বেগে প্রদক্ষিণ করে। স্যাটেলাইট ও কি সূর্যকে  পৃথিবীর মতো সমান তালে প্রদক্ষিণ করার ক্ষমতা রাখে ? অস্থীর পৃথিবীকে নিরাপদ রেখেছে বায়ুমণ্ডল তাহলে প্রশ্ন:- চলমান স্যাটেলাইটকে অক্ষত রাখলো কে যদি তা বায়ুমণ্ডলের বাইরে থাকে এবং ঘন্টায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার বেগে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।  স্যাটেলাইটের একটা নাট বল্টুও  কি  খুঁজে পাওয়া যাবে ? বায়ুমণ্ডলের বাইরে অবস্থান থাকলে মধ্যকর্ষণ শক্তির প্রভাব থাকার কথা নয়, তারপরও  মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব থাকলে নিজ দেশের সীমানা পার হবার কথা নয় । বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্যাটেলাইট থাকলে কি করে তা না হারিয়ে নিজ নিজ দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পৃথিবী সহ অন্য গ্রহ উপগ্রহের ছবি  ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করতে পারে যেহেতু পৃথিবী ঘোরার সাথে স্যাটেলাইটও ঘুরে ? আমার মূল প্রসংগ স্যাটেলাইটকে ঘিরে নয়, আমার মূল প্রসংঙ্গ পৃথিবী চাদঁ সূর্যকে ঘিরে । পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে নাকি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে । পৃথিবী স্থির তাই স্যাটেলাইটও স্থীর। পৃথিবী যদি অস্থীর হয় তাহলে স্যাটেলাইটও অস্থীর হবে  এটাই হচ্ছে আমার মূল প্রসংগ।

পবিত্র কোরআনে  আছে, -“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [৩৫:৪১”]।

★৩) জানুন, -পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত এবং সূর্যে যেতে কত কিলোমিটার বেগে কত সময় লাগতে পারে ? একটি  ঘড়ির মতো সূর্যকে সেন্টারে রেখে ঘণ্টা বা মিনিটের কাটার মতো পৃথিবীর যদি একই জায়গায় ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে তাহলে এই মাথা থেকে ঐ মাথায় যেতে লাগবে অর্ধেক সময় মানে ১৮২`৫ দিন। আর সেন্টার মাপলে তার অর্ধেক মানে মাত্র ৯১`২৫ দিন বা তারও কম সময় যেহেতু এ্যাংগেলে ঘুরে নয় বরং সোজা যাবে। গবেষকগন বলছেন দূরত্ব প্রায় ১৫কোটি কিলোমিটার, মানে ঘণ্টায় যায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার যেতে হয় । পৃথিবী এত বেগে চললে কারো কি সাধ্য আছে পৃথিবী থেকে বের হয়ে সেখানে আবার ফিরে আসা যেমন বিদ্যুৎ বেগে চলন্ত ট্রেনে লাফ দিয়ে উঠা ?  পৃথিবীর সাথে চাদঁও সূর্যকে আরো বেশী বেগে প্রদক্ষিণ করছে কারণ সূর্যের পাশাপাশি চাদঁ পৃথিবীকেও প্রতিদিন প্রদক্ষিণ করছে এবং সাথে সাথে লাটিমের মতোও নিজ জায়গায় ঘুরছে।  নভোচারী বা রবোটদের টার্গেট স্থানে আসতে আসতে পৃথিবী চাদঁ উধাও হয়ে যাবে। যদি পৃথিবীর সীমারেখা পার হয়ে কেউ বা কিছু সত্যি সত্যি বাইরে যায় এবং ফিরে আসতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে “পৃথিবী স্থীর “এবং পৃথিবী নয় বরং বাকী সবকিছুই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। পবিত্র কোরআনও একই দলিল দিচ্ছে -” নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [ ৩৫:৪১]।

★৪) মহাকাশ আলোকিত নাকি অন্ধকার? যেহেতু সূর্যের আলোর কারণে পৃথিবীর কোন্ এক সাইড বা দিকে দিন হয় এবং সূর্য কখনোই ডুবেনা,এবং একই ভাবে আলো ও তাপ দেয় সেহেতু মহাকাশ সর্বদা আলোকিত। রাত শেষে সূর্য মুখী পৃথিবীর একটি দিক  দিনে প্রবেশ করে মানে আলোকিত হয়। রাতে সূর্যের বিপরীত দিক থাকায় ভূপৃষ্ঠে এবং আশেপাশে  সূর্যের আলো না পরায় এবং ছায়ার কারণে অন্ধকার থাকে, কিন্তু দূর থেকেও মহাকাশকে অন্ধকার দেখায় কেন ? পবিত্র কোরআনে আছে-তিনি রাতকে দিনের ভিতরে প্রবেশ  করান এবং দিনকে রাতের ভিতরে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত। [৫৭:৬] আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।[৪০:৬১] “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [ ২১:৩৩] সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।  [৩৬:৩৮] এখানে বলা হয়েছে সূর্য চাদেঁর মতো মানে লাটিমের ন্যায়  ঘুরছে। উপরোক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে সূর্যও  চন্দ্রের মতো আপন কক্ষপথ আছে এবং ঘুরে। অপর আরেকটি আয়াতে বলা আছে-“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে ? [৩৫:৪১] এই আয়াতে আসমানে এবং পৃথিবীকে স্থীর বলা হলে  উপরোক্ত ২ টি আয়াতে এটি দাড়ালো যে, -“আসমান এবং পৃথিবী স্থীর, সূর্য এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে তাদের নিজ কক্ষপথে ঘুরে”। অনেকের মতে এখানে নিজ কক্ষপথ বলতে লাটিমের ন্যায় ঘুরা বুঝিয়েছেন, প্রদক্ষিণ নয় । তাহলে তাদের নিকট প্রশ্ন :-“যদি তা-ই হয় তাহলে ঘণ্টায় ৬৬,৬৬৬ বেগে পৃথিবী ঘুরলে চাদেঁ মংগলে নভোচারী রোবট গেলে আবার কত কিলোমিটার বেগের নভোযান নিয়ে তারা আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে?দুনিয়ার সবাইতো আর মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। পৃথিবী  ঘণ্টায় ৬৬৬৬৬ বেগে চললে এবং নিজ অবস্থানে ঘুরলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকতো কোন থিউরীতে ? আমি  কিছু কোরআন না পড়ুয়া গবেষকদের কঠোর সমালোচনা করছি। পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতের গবেষণা করে নিচে বর্ণিত কিছু যুক্তি এবং প্রমাণ তুলে ধরলাম।

★৫) আলোকিত মহাকাশে আলোর ভিতর দিয়ে আলোর গতিবেগ পরিমাপ করে গবেষকদের আলোকবর্ষ হিসাব সত্যিকার অর্থে আশ্চর্যজনক মাইল ফলক আবিষ্কার যাহা প্রমাণের দলিল নাই, মানে ১ সেকেন্ডে আলো কতটুকু দূরে আসলেই গেলো এবং সেখানে তারা পৌছে মেপেছে এই রকম কোন দলিল নেই।

★৬) যাই হোক এবার আসি একটি ছোট্ট গবেষণায়, -“ঘুরছে এমন কিছুর উপর দাড়িঁয়ে  জাম্প বা  লাফ দিয়ে ঠিক ঐ একই স্থানে বা টার্গেট স্থানে পৌঁছানো যাবেনা । চাদঁ ঘুরছে তাই একই স্থানে কেউ লাফ দিয়ে একই স্থানে বা টার্রগেট স্থানে কেউ নামতে পারে না বা নামতে পারবেনা চ্যালেঞ্জ । পৃথিবী স্থীর তাই টার্গেট স্থানে কিছু ফেলা বা অবতরণ করা সম্ভব।

★৭) কিভাবে গবেষকরা বলতে পারে যে,- পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘুরছে, যেখানে যত উপরে উঠা যায় তত মেঘের নিচে সব সমুদ্র দেখায় ? যদি পৃথিবী ঘুরতো তাহলে ঢাকা থেকে বিমান সৌদি আরবে উড়ে যেত না।বিমান বা হেলিকপ্টার সোজা উড়ে উপরে বসে/স্থীর থাকতো, পৃথিবী ঘুরে সৌদি আরব নিচে চলে আসতো আর বিমান বা হেলিকপ্টার  নিচে নেমে অবতরণ করতো। যদি পৃথিবী এক দিক থেকে আরেক দিকে ঘুরতো তাহলে বাতাস শুধু বিপরীত দিক থেকে আগত থাকতো মানে এক দিক থেকে প্রবাহিত হতো। একটা নদী বা একটা সমুদ্রের তীরে গিয়ে পাবেন-” ঢেউ এবং বাতাস আপনার দিকে আসছে। আপনি যদি ঘুরে সমুদ্রের অন্য দিকে যান তা-ও ফলাফল একই রকম পাবেন, আবার যদি  একদমই উল্টো দিকে যান  ধরুন আগে ছিলেন ভারতে আর এখন গেলেন শ্রীলংকায় তারপর আবারও দেখবেন বাতাস এবং ঢেউ আপনার দিকেই আসছে। আপনি বেশী দূরে নয় যে কোন একটা দ্বীপে যান, ধরুন সেন্টমার্টিন দ্বীপে যান সেই দ্বীপের যে কোন দিকের সমুদ্রের সামনে যাবেন, আপনি পাবেন বাতাস এবং ঢেউ আপনার দিকেই আসছে। এটা সম্পূর্ন আল্লাহরই কারিশমা। পুরা বিষয়টার কোন্ ব্যাখা কোন গবেষক বিভ্রান্ত ছাড়া কোন ব্যাখা আপনাকে দিতে পারবেনা।

★৮) পৃথিবী যদি নিজ কক্ষে ঘুরে দিন রাত হয়ে থাকে এবং বছরের সাথে তাল মিলিয়ে সূর্যের কাছে বা দূরে যায় যাহার কারণে ঋতু পরিবর্তন হয় তাহলে একই সময় ইংল্যান্ড বাংলাদেশে গরমকাল আর সেই একই সময় অষ্ট্রেলিয়াতে শীত কাল হবে কেন ? এসব আল্লাহর কারিশমা বুঝা ছাড়া মাথা নষ্ট করে কোনই লাভ নাই। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে সব নিচের দিকে নামে  সূত্রটি যেমন ভূল প্রামাণিত হয়েছে মদিনা গিয়ে তেমনি বিজ্ঞানের এই নিজ কক্ষে ঘুরার সুত্রটিও ভূল এটা তারাই আবার গবেষণা করলেই পাবে।

★ ৯) সাথে বসে থাকা মানুষটির শরীর থেকে রক্ত  কফ মল মূত্র বের না করে শরীরে  নানান রোগ ভাইরাসের রেজাল্ট ঘোষণা করা অসম্ভব, অথচ সুদূর  সূর্য থেকে মাটি বা কোন উপাদান সংগ্রহ না করে সূর্য কি কি উপাদান দিয়ে গঠিত এবং তা সব সময় জ্বলছে  তা বলা  পীর মানে গবেষক আর তাদের শেখানো মুরিদদের পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়, আবার আসে তারা পণ্ডিত পরিচয় দিয়ে মহা জ্ঞানী সাজতে। মূলত সূর্য আল্লাহর কারিশমা যাহা উনি না বললে কারো কিছুই জানা অসম্ভব। তেমনি শত আলোক বর্ষ দূরের গ্রহের বেলায়ও আমার এমনটাই মতমত।

★১০) আপনি একটি চাকা বিশিষ্ঠ চেয়ারে বসুন এবং মাঝখানে কিছু একটাকে ভিডিও করুন। ওটা স্থীর থাকবে আর আপনি চারদিকে ঘুরে ভিডিও করুন। ভিডিওটার ছবি দেখলে মনে হবে -আপনি স্থীর আছেন আর সামনের জিনিসটা ঘুরছে । যেহেতু পৃথিবীর চারপাশে সব ঘুরছে আর আপনি চাদঁ বা অন্য কোন গ্রহে বসে ভিডিওটা করছেন সেহেতু মনে হবে আপনি স্থীর আছেন আর পৃথিবী ঘুরছে।

★১১) পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে এক এক দেশের স্যাটেলাইট তার নিজ দেশের তথ্য দিতে পারত না কারণ সে তার নিজ দেশের সীমানার উপরে থাকত না।

★১২) আকাশের দিকে কিছুসময় তাকান,-দেখতে পাবেন কিছু মেঘ ডান দিক থেকে বামে যাচ্ছে  আবার তার উপরের সাড়ির মেঘ বাম দিক থেকে ডানে যাচ্ছে, পৃথিবী ঘুরলে বায়ু প্রবাহের কারণে  মেঘে এক দিকেই যেতো।পবিত্র কোরআনে আছে -“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে ? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল। [সুরা ফাতির – ৩৫:৪১]

অতএব চীনের আধুনিক একটি নদীতে বাধঁ নির্মাণ করে পৃথিবীর ঘুরবার গতিকে কমিয়ে দেবার দাবী ১০০% অবান্তর, যেহেতু পৃথিবী ঘুরছেই না। অন্য আয়াতে আছে- “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [সুরা আম্বিয়া – ২১:৩৩]

★১৩) সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক অনেক গুনে বড়, অতএব প্রথম ভূল হচ্ছে টেবিলের উপর বড়  গ্লোব আর ছোট মোমবাতি নয় বরং বড় চুলার আগুন এবং তার সামনে খুবই ছোট একটি মারবেল বা এই ধরণের  আয়তনের কিছু রেখে  পৃথিবীতে আলোর সীমানা কভার হবার ভাবটা অনুমান করা উচিৎ, তাতে ফলাফল চিন্তার বিষয় দাড়াঁবে ১০০%। অন্য আরেকটি আয়াতে আছে, “সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [৩৬:৩৮]

সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [৩৬:৪০] পৃথিবীকে ঘিরেই সব ঘুরছে এবং দিন রাত্রী আল্লাহর সৃষ্টি আরেকটি অলৌকিক কারিশমা। পবিত্র কোরআনে আছে,” আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি। [সুরা ক্বাফ – ৫০:৩৮]”  অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। [৪১:৯+১০]

★১৪) তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে। [৫৫:১০] তারমানে অন্য কোন গ্রহ উপগ্রহে আর কোন জীব এলিয়েন বলতে কিছু নাই, তবে মহাকাশে বিভিন্ন জায়গায়  জ্বীন আছে বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। যেহেতু  চাদঁ সহ সব গ্রহ উপগ্রহ ঘুরছে মানে অস্থীর সেহেতু এ গুলি বসবাস যোগ্য নয়।

১৫) ১০০ গজ তফাৎ রেখে ২টি ফুটবল রাখুন। ১ম বলের সামনে দাঁড়িয়ে অপর প্রান্তের বলটিকে ছোট দেখাবে। অপর প্রান্তের বলটির সঠিক আয়তন জানতে সেই বলটির কাছে যেতে হবে। ছবি তুলে ঝুম করলে ইচ্ছা মত বলটিকে ছোট বড় করা যাবে কিন্তু বলটির সঠিক আয়তন বলতে হলে বলটির কাছে অবশ্যই যেতে হবে। এত শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে শত আলোকবর্ষ দূরের সূর্য গ্রহ দেখে পরিমাপ ও কিছু অনুমান করা গেলে চাদেঁ নভোচারী বা রোবট পাঠানোর কি প্রয়োজন ?

★১৬) কোন একটি নির্ধারিত স্থানে  সূর্য মাথার উপর যত আসবে তত তাপ বাড়ে  এবং তা অনুধাবন  করা যায়, কিন্তু সকাল ও সন্ধায় তাপ কম হবার কারণ গবেষক গন বলেন যে, -ঐ স্থান থেকে সূর্যের দূরত্ব কিছুটা বাড়ায় তাপমাত্রা কমে। উল্লেখ্য যে, আপনি আমি সূর্যের উদয় এবং ডুবা বা অস্ত যায় দেখলেও সূর্য কখনোই উদয় বা অস্ত যায়না, সে শুধু পৃথিবীর চার পাশে  ঘোরে এবং তাপ দেয়, কোথাও অস্ত যাওয়া দেখা যায় তো কোথাও উদয়। মূল প্রসংগে আসা যাক,-“অতি সামান্য দূরত্বের কারণে দুপুরে খাড়া তাপ দেয়া স্থান থেকে   সকাল বিকালের সূর্যের তাপ যদি কমে এবং দুপুরে  কাছে আসায় বাড়ে তাহলে চাদেঁর তাপমাত্রা অনেক অনেক বেশী হবার কথা কারণ চাদঁ সূর্যের আরো বেশী নিকটে, এবং সত্যিকার অর্থে কেউ চাদেঁ যেতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছেনা,খটকা লাগছে।আরেকটি কথা  যা না বললেই নয়,গবেষকগন বলছেন যে মহাশূন্যে বাতাস নেই এবং চাদেঁ কম পরিমাণে বাতাস আছে তাহলে গাছ বিহীন মহাশূন্য এবং চাদঁকে শীতল রাখলো কে যে নভোচারীরা  মহাশূন্যে নভোযানকে নিয়ন্ত্রণ রেখে সেখানে যেতে পারে ? এবং নভোযান গুলো কিসের উপর ভর করে বা ধাক্কা দিয়ে উপরে উঠতে পারে যেমনটা মাছ পাখি বিমান হেলিকপ্টার উড়তে পারে ?  শুধু মহা শূন্য এবং পৃথিবী স্থীর । মোট কথা, “সেন্টার বুঝতে ভূল হয়েছে,সূর্য নয় বরং সেন্টারে আছে পৃথিবী এবং সব কিছু পৃথিবীকে ঘিরেই ঘুরছে।মহান আল্লাহ পৃথিবী সহ সৌরজগতের সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা সব কিছু সৃষ্টি করেছে ৬ দিনে তারমধ্যে পৃথিবীতেই সময় লাগিয়েছেন ২ দিন, বাকী সব ৪দিনে, মানে এক তৃতীয়াংশ সময় লাগিয়েছে শুধু উনার প্রীয় পৃথিবীর জন্য। অতএব আপনাকে বুঝতে হবে পৃথিবী হচ্ছে স্পেশাল।

এই পৃথিবীকে কিছু গবেষক দাড়ঁ করিয়েছেন অন্য সব গ্রহের লাইনে। এতে পৃথিবীর মান যায়। পৃথিবীর সেবায়ই চন্দ্র সূর্য আলোক সজ্জা  সব কিছু, অতএব পৃথিবীই আছে সৌরজগতের কেন্দ্র বিন্দুতে,কেন্দ্রবিন্দুতে।আল্লাহর আরশ ফেরেশতাগন  জ্বীন  দোজখ জান্নাত বিচার শাস্তি সব কিছুই এই মানুষে ঘিরে আর এই মানুষই হচ্ছেন পৃথিবীর বাসিন্দা, অতএব পৃথিবী স্পেশাল, মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব। এখন প্রশ্ন সুরা তালাকের শেষ এবং শেষের আগের আয়াত কি বলছে,ঐ সব পৃথিবীতে কারা আছে? আরশ হচ্ছে আরশের অধিপতি আল্লাহররাজ দরবারের মতো যেখানে জান্নাত দোজখ নেই।তিনি প্রথম আসমানে সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা স্হাপিত করেছেন পৃথিবীর জন্য।বাকী গুলোতে নেই কেন? বাকী গুলো জান্নাত যাহা আরশে স্হাপিত নয় বলে মনে করি।পৃথিবীর যাবতীয় সুখ শান্তি চাওয়া পাওয়া পূরণ হবার জায়গা ঐ সব পৃথিবী।শেষ আয়াতের  আগের আয়াত এমনটাই মনে হচ্ছে।

★★★ আসমানি কিতাব তাওরাত এবং ইন্জিল একই আল্লাহর বাণী। তাই এগুলিতেও সূর্য এবং পৃথিবী ঘুরার বিয়য়ে মত পার্থক্য নেই। ততকালীন সময়ে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরার মতপার্থক্য এবং বিরোধীতা করায় আসমানী কিতাব অবমাননার দ্বায়ে কিছু ইহুদী এবং খৃষ্টানরা জ্যোতির্বিদ জিওর্দানো ব্রোনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে যিনি কিনা পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরার থিউরির সর্ব প্রথম জনক।

★★★  বিজ্ঞান বলেনি যে,-“পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, বরং কিছু গবেষক বলেছে যে,-“পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে”। কারো মতামত প্রকাশ বিজ্ঞান নয়। বিষয়টি ল্যাবে টেষ্টযোগ্য নয়। আমিও একজন তাদের মতো গবেষক তবে মহান আল্লাহর দেয়া পবিত্র কোরআন পড়ুয়া।  পার্থক্য এতটুকু।

আপনি এ ট্রপিকসটা পড়তে বড় জোর আধা ঘন্টা সময় ব্যায় করলেন !  আর আমার এটি লিখতে অর্ধ বছর সময় তন্য তন্য করে কোরআন পড়তে হয়েছে।।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress
Verified by MonsterInsights