Categories
Entertainment

বন্ধু তোর লাইগা রে

Categories
Folk Song

শ্যাম সুন্দর

বন্যা তালুকদার বৃষ্টি

Categories
My text

উম্মী

  • কুরআন বুঝতে হলে..

অন্যান্য সকল ভাষার মতো, আরবি ভাষা হল একটি জীবন্ত ভাষা , যা সময়ের সাথে সাথে বিকশিত এবং পরিবর্তিত হয়েছে। যদি কুরআন না থাকত, তাহলে আরবি ভাষাটি সম্ভবত আরামাইক, সিরিয়াক বা ল্যাটিন ভাষার মতো একইভাবে মারা যেত বা অদৃশ্য হয়ে যেত। মিশরীয় এবং অন্যান্য আরব দেশের আরবি উপভাষাগুলির সাথে কুরআনের অনন্য আরবির কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে আমরা কুরআনের পরিভাষা বোঝার জন্য বাইরের উৎস ব্যবহার করতে পারি না। উদাহরণস্বরূপ, কোরানে সুন্নাহ শব্দের অর্থ আল্লাহর পদ্ধতি, শরিয়া বা পথ: “আল্লাহ নবীর জন্যে যা নির্ধারণ করেন, তাতে তাঁর কোন বাধা নেই পূর্ববর্তীদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর সুন্নাত (سُنَّةَ)। আল্লাহর আদেশ নির্ধারিত, অবধারিত।”(৩৩:৩৮) , যেখানে সুন্নীরা একই শব্দটি ব্যবহার করে তাদের হাদিসগুলি বোঝাতে এবং তারা এই শব্দটিকে ভুলভাবে বর্ণনা করে।

কুরআনী পরিভাষা অনুযায়ী ‘উম্মি’ অর্থ বিধর্মী (যাদের তাওরাত বা ইঞ্জিলের জ্ঞান নেই) , সেখানে আব্বাসীয় যুগের আরবি এবং আজকের আরবীতে ‘উম্মি’ শব্দের অর্থ “নিরক্ষর”। কুরআনের শব্দ ‘হাদ’ মানে আল্লাহর আইন বা অধিকার, যেখানে সুন্নীরা শব্দটিকে “দণ্ড/শাস্তি” বোঝাতে তৈরি করেছে। এইভাবে পার্থিব, মানবসৃষ্ট ধর্মগুলি মেনে চলাদের ধর্মীয় প্রভাবের কারণে কুরআনে ব্যবহৃত একটি প্রদত্ত শব্দ কখনও কখনও নির্দিষ্ট যুগের মধ্যে আরবীতে বিভিন্ন অর্থ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, কুরানের পরিভাষায় ‘ওলী/আউলিয়া’ নশ্বর মানুষ দেবতাদেরকে বোঝায় যাদেরকে মুশরিকরা আল্লাহর সাথে পূজা করত: “… যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে আউলিয়া (أَوْلِيَاءَ ) গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।..” (৩৯:৩)। তবুও, সুফিরা তাদের সাধু/শেখ/গুরুদের বোঝাতে ‘আওলিয়া’ শব্দটি ব্যবহার করে। আরো একটি বহুল প্রচলিত ও ব্যাবহৃত শব্দ ‘মাওলানা’ কুরআনি পরিভাষায় আল্লাহকেই বোঝায়। “.. তুমিই আমাদের প্রভু (مَوْلَانَا) ..।”(২:২৮৬)। তবুও , আমাদের হুজুররা মাওলানা খেতাব দিয়ে নিজদেরকে প্রভু আল্লাহর আসনে বসিয়েছে।

তাই কুরআনের পরিভাষা বোঝার জন্য আরবি ভাষার অভিধানের উপর নির্ভর করা যায় না। কুরআনের কোন আরবি শব্দের মানে বাক্যের প্রসঙ্গে এবং অন্য আয়াতে একই শব্দের ব্যাবহারের মাঝে খুঁজতে হবে।
৬৮:৫২ আর এ কুরআন তো সৃষ্টিকুলের জন্য শুধুই উপদেশবাণী।

Categories
Bangla Cenema

ছায়াছবির গান

Categories
My text

ওয়াক্তিয়া সালাতঃ

ওয়াক্তিয়া সালাত বনাম কোরানের সালাতঃ

সুরা মরিয়ম, আয়াত ৫৯ এ আল্লাহ বলেন ” অতঃপর তাদের পরে প্রতিনিধি আসলো তারা সালাত বরবাদ করলো এবং লোভলালোসার অনুসরণ করলো, ফলে সত্তর গোমরাহিতে নিক্ষিপ্ত হলো”

এখানে বলা হচ্ছে তাদের পরে প্রতিনিধি আসলো, প্রশ্ন হচ্ছে কাদের পরে প্রতিনিধি আসলো?  ৫৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন ” এরা হচ্ছে তাঁরা যাদের উপর আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন নবীদের মাঝে যারা আদমের বংশধর, নুহুর সাথে যাদের নৌকায় আরোহন করা হয়েছিল, ইব্রাহিম এবং ইসমাইলের বংশধর এবং যাদের হেদায়েত করেছি এবং মনোনীত করেছি,”

তাঁরা কি করতো ঐ একই আয়াতে শেষাংশে বলা হচ্ছে ” যখন তাঁদের  কাছে দয়াময়ের আয়াত পাঠ করা হয় তখন তাঁরা ক্রন্দনরত হয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে”।

৬০ নং আয়াতে বলা হচ্ছে ” তারা ব্যতিত এবং যারা ফিরে এসেছে এবং  ইমান এনেছেন এবং ভালো কাজ করেছে অতঃপর তাদের আমি জান্নাতে দাখিল করবো বিন্দু মাত্র জুলম করা হবে না”।
এ আয়াতে বুঝা যায় যারা ফিরে আসবে।  কোথায় ফিরে আসবে – যখন আয়াত পাঠ শুনবে তখন ক্রন্দনরত অবস্থায় সেজদায় লুটিয়ে পড়ায়।

এখানে লক্ষ্যনীয়, আয়াত পাঠ শ্রবণ করা/ পাঠ করা  এবং সেজদায় লুটিয়ে পড়া- এদূটি আনুষ্ঠানিকতা প্রচলিত সালাতে বিদ্যমান। কিন্তু কোন সালাতিকে ক্রন্দন রত দেখা যায় না। ক্রন্দনরত বা উল্লসিত  মানুষ তখনই হয় যখন বিষয়টি বুঝতে পারে এবং অনুধাবন করতে পারে । তাহলে বুঝা যাচ্ছে শ্রুত/ পঠিত আয়াতের অর্থ বুঝা এবং অনুধাবন করা জরুরী। তবে কি এজন্যই বলা হয়েছে ” তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না যা বলছ তা বুঝতে পারো। এখান থেক একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে আমরা যে প্রচলিত নামাজ পড়ি তা আমরা বুঝি না, অন্যদিকে আল্লাহ যে সালাতের কথা বলছেন তাতে পঠিতব্য বিষয় বুঝতে পারা জরুরী।
তাই তো সুরা নেসার ৪৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “হে মু’মিনগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হইও না, যতক্ষণ না তোমরা যাহা বল তাহা বুঝিতে পার,(৪:৪৩)

আবার ২৯ঃ৪৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন ” তোমার প্রতি যে গ্রন্থ অহী করা হয়েছে তা পাঠ কর এবং সালাত কায়েম করো। নিশ্চয় সালাত  অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’
এই আয়াত যখন পড়ি তখন বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে আল্লাহ কি আমাদের এই নামাজ পড়তে বলেছেন? এই প্রচলিত  নামাজ আজীবন পড়লেও এই আয়াতের সত্যতা প্রমাণিত হবে না। তাহলে এই নামাজ কি সালাত?

অন্যদিকে কোরআন আত্মস্থ করা মানুষ জানবে আল্লাহ কি করতে বলেছেন এবং কি কারতে নিষেধ করছেন। সে অনুযায়ী কর্ম করলে খারাপ এবং অশ্লীল কাজ সংঘটিত হবে না। তাহলে কি কোরআন জানা এবং পরিপালন করাই কি সালাত? আবার যখন অন্য  আয়াতে বলে ” সালাত কায়েম করো দিনের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম প্রহরে” তাহলে এই দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম প্রহরে যে সালাত কয়েম করতে বলছে সেটা কি সালাত?  তবে কি দিনের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম প্রহরে কোরআনের বিধি বিধান নিয়ে আলোচনা করা এবং সেগুলি পরিপালন করার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করাই কি সালাত?

অপর আয়াত ৭০ নং সুরা মাআরিজ ২২, ২৩ বলা হচ্ছে ২২ ” ইল্লাল মুসাল্লিম” অর্থ – সালাতিরা ব্যাতিত। কোন সে সালাতি?” আল্লাজিনা হুম আলা সলাতিহিম দায়েমুন” অর্থ – এবং যারা তাদের সালাতে সর্বক্ষন নিয়োজিত থাকে। কিন্তু সর্বক্ষন তো কোরআন পড়ায় নিয়োজিত থাকা সম্ভব নয়? কিন্তু সকল কর্মে আল্লাহর বিধি বিধান মেনে চলা সম্ভব। আর সেসব বিধি বিধান মেনে চল্লে খারাপ এবং অশ্লীল কাজ থেকে সয়ংক্রিয় ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হবে। তাহলে কি আল্লাহর দেয়া বিধি বিধান মেনে চলাই সালাত কায়েম করা?

আবার এই আয়াতে বলছে সর্বক্ষণ সালাতে নিয়জিত থাকতে কিন্তু উপরের আয়াতে বলা হচ্ছে – সালাত কায়েম করো দিনের দু’প্রান্তে এবং রাতের প্রথম প্রহরে। তাহলে কি এই দূই সালাত দুরকম? অথবা সালাত কায়েম করা এবং সালাতে নিয়জিত থাকা ভিন্ন জিনিস?

সুরা ময়েদা (৫/৬) বলা হচ্ছে “হে মুমিনগন যখন তোমরা সালাতে দাড়াবে তখন তোমাদের মুখ, হাত…ধৌত করবে”।
এই আয়াতে বলা হচ্ছে ‘যখন’ অর্থাৎ যেক্ষনে বা যে মুহূর্তে বা যে সময় সালাতে দাড়বে। তাহলে বুঝা যাচ্ছে সার্বক্ষণিক সালাতের বাহিরে ক্ষনে ক্ষনে সালাত  আছে। কখন সেই ক্ষন? উত্তর বলা হয়েছে ১৭/৭৮ আয়াতে, ২৪/৫৮, ৩০/১৭,১৮, ২/২৩৮। এছাড়াও ৪/১০৩ আয়াতে বলা হয়েছে ” নিশ্চয় সালাত মুমিনদের জন্য ওয়াক্তের সাথে বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। কোরআনের এসব বর্ণনা থেকে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, সার্বক্ষণিক সালাত বা দায়েমী সালাতের সাথে ওক্তিয় সালাতও আছে এবং সে সালাতও করা  বধ্যতা মূলক।

২২ নং সুরা হাজ্জ ৭৭ আয়াত ” হে ইমানদারগন রুকু করো, সেজদা করো এবং তোমাদের রবের দাসত্ব করো এবং ভালো কাজ করো হয়তো তোমারা সফলকাম হবে”।

এই আয়াত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় – ইমানদারদের সম্মোধন করা হয়েছে। ইমানদার কারা যারা কোরআন সহ অন্যন্য নির্দেশিত বিষয়ে ইমান এনেছেন। কোরআনে ইমান আনার অর্থ কোরআনে নির্দেশিত বিষয়ে সশ্রদ্ধ চিত্তে মেনে নয়া। আয়াতের শেষ অংশে বলছে ভালো কাজ করো। তো ইমান আনলে এবং ভালো কাজ করলে তারা জান্নাত পাবে এ কথা বহু আয়াতে উল্লেখ আছে। তাহলে এই আয়াতের মাঝখানে রুকু করো, সেজদা করো কেন বলা হয়েছে? তাহলে কি এই আয়াত থেকে এমন সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, ভালো কাজের সাথে রুকু সেজদা করার নির্দেশ রয়েছ ইমানদারের উপর।

অনেকে বলেন রুকু সেজদা কেমনে করবেন তা তো কোরআনে নাই, তার মানে এই রুকু সেজদা দিয়ে আমরা যে ওক্তিয় সালাতে রুকু সেজদা করি সেটা বুঝানো হয়েছে কি? উত্তর পাওয়া যায় সুরা হজ্জের ২৬ আয়াতে ” যখন আমি নির্ধারণ করে দিলাম ইব্রাহিমের জন্য ঘরের অবস্থান, যেন আমার সাথে কোন কিছুর শরীক করো না এবং আমার ঘর পবিত্র রাখ পরিভ্রমণ কারীদের জন্য, দাড়ানোদের জন্য এবং রুকু সেজদা করিদের জন্য”। এ আয়াতে দেখা যায় রুকু সেজদা করার নির্দেশ আছে,  এবং তা ইব্রাহিম আঃ এর সময় এবং তার আগে পরের নবীদের থেকে ধারা বাহিক ভাবে চলে আসছে। সেই ভাবে তখন থেকে আজ পর্যন্ত সব ইমানদারের জানা আছে রুকু সেজদা কি বা কেমন। এই জন্য আবার নতুন করে কোরআনে বিশদ প্রদর্শনীর প্রয়োজন পড়ে না। বিশ্বাস করতে হবে কোরআন পূর্বের আসমানী কিতাবের ধারা বাহিকতায় সর্বশেষ নাজিল কৃত আসমানী কিতাব। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, যেমন আমরা ক্লাস ফাইভে যা অধ্যায়ন করি ক্লাস সিক্সে তা হুবহু পড়ি না, তবে ক্লাস ফাইভে এর জ্ঞান নিয়ে ক্লাস সিক্সে উচ্চতর জ্ঞানের বই পড়ি। আসমানী কিতাবের ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমনই। কোরআন স্টেজে এসে আমাদের যতটুকু জানানো প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই নাজিল করা হয়েছ।

৩০ সুরা রোম আয়াত ১৭,১৮,- আল্লাহ বলেন ” তোমরা আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সন্ধ্যায় ও প্রভাতে –

“আসমান ও জমিনের সকল প্রসংশা তার জন্য এবং যখন তোমরা এশা এবং জোহর করো”।

এদুটো আয়াত থেকে সুস্পষ্ট যে দায়েমী সালাতে সর্বক্ষণ আল্লাহর বিধি বিধান মেনে চলার পাশাপাশি সকাল, সন্ধ্যা, জোহর এবং রাত্রে বিশেষ ভাবে আল্লাহর  পবিত্রতা এবং প্রসংশা করার নির্দেশ রয়েছ। এই পবিত্রতা এবং প্রসংশা করার সশরীরে প্রদর্শন হচ্ছে ওক্তিয় সালাত।

২ সুরা বাকারার ১৪৩ এবং ১৪৪ এ কিবলার কথা উল্লেখ আছে। ৪৪ আয়াত আল্লাহ বলেন ” আকাশের দিকে তোমার মুখতোলা আমি দেখেছি, অতঃপর তোমাকে এমন এক কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে যা তুমি সন্তুষ্ট হও, অতএব তুমি সম্মানিত মসজিদের দিকে মুখ ফিরাবে, এবং যেখানেই থাকো সেটির দিকে মুখ ফিরাবে….. “

এ আয়াতে দেখা যায় শুধু মাত্র ওক্তিয় সালাতের সময় মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরায়, কিন্তু দায়েমী সালাতে সব সময় মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরায়ে থাকা অসম্ভব, আবার কোরআন তেলায়তে তা করা হয় না, তাহলে দায়েমী সালাত এবং কোরআন তেলওয়াতের বাহিরে একটি কার্যক্রম আছে যখন মসজিদুল হারামে দিকে মুখ ফিরানো বাধ্যতা মূলক। তাহলে সে কার্যক্রমই কি ওক্তিয় সালাত?

Categories
Adventure

বেড়াজাল

১ম অধ্যায় 

কখনও কখনও মানুষ সত্য শুনতে চায় না কারণ তারা তাদের বিভ্রান্তিগুলি ধ্বংস করতে চায় না।”

ধর্মীয় বিষয়ে মানুষ জন্মগত ভাবে যে বিষয়টি সত্য জেনে আসছে তা অন্য কেউ মিথ্যা বললে সহজে মেনে নিতে পারে না।

মানুষ ধর্মীয় বিষয়ে তার জানা গুলো ডাহা মিথ্যা হলেও তার জানা গুলোকেই একমাত্র সত্য মনে করে  এবং বাকি সব  মিথ্যা মনে করে।

একজন ব্যক্তি যখন হঠাৎ জানতে পারে তার ধর্মীয় বিষয়ে জানা গুলো অনেক কিছুই মিথ্যা  তখন সে উত্তেজিত হয়। সে মেনে নিতে পারে না। যুগে যুগে এ সংঘর্ষ সকল নবী রাসুলদের সাথেও হয়ে আসছে।

যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’এমন কি, তাহাদের পিতৃ পুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও। (২ঃ১৭০)

দীর্ঘ দিনের পালিত অভ্যাস, বাপদাদার যে ভাবে এবাদত করতে দেখে আসতেছে, অধিকাংশ লোকেকে যে ভাবে ধর্ম কার্যাদি সম্পাদন করতে দেখে আসতেছে তা থেকে সড়ে এসে যত সত্য কথায় উপস্থাপন করা হোক না কেন, মানুষ তা গ্রহন করতে রাজি না, যদিও কোরান থেকে দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। আর এমন হবে তা আল্লাহ জানেন বলেই নবী ও তার পরবর্তি অনুসারীদের লক্ষ্য করে আল্লাহ বলেনঃ

যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে ; আর তাহারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।(৬ঃ১১৬)

মানুষের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে; তাহাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথ নির্দেশ, না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব।(২২ঃ৮)

সে বিতণ্ডা করে ঘাড় বাঁকাইয়া লোকদেরকে আল্লাহ্‌র পথ হইতে ভ্রষ্ট করিবার জন্য। তাহার জন্য লাঞ্ছনা আছে ইহলোকে এবং কিয়ামত দিবসে আমি তাহাকে আস্বাদ করাইব দহন-যন্ত্রণা। (মুমিনুন ২৩,আয়াত ৯)

তোমরা তাহাদের মত হইও না যাহারা তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর বিচ্ছিন্ন হইয়াছে ও নিজেদের মধ্যে মতান্তর সৃষ্টি করিয়াছে। তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে।
(ইমরান ৩,আয়াত ১০৫)

তারপর লোকেরা তাদের মাঝে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেবে। প্রত্যেক দলই তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে উৎফুল্ল থাকবে । (মুমিনিন ২৩,আয়াত ৫৩)

বরং মানুষের মধ্যে কতক অজ্ঞানতা বশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে এবং অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের। (২২ঃ৩)

আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তোমাদের নিকট বিশদ ভাবে বিবৃত করিতে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের রীতিনীতি তোমাদেরকে অবহিত করিতে এবং তোমাদের ক্ষমা করিতে। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। – (সূরা নম্বরঃ ৪, আয়াত নম্বরঃ ২৬)

তাদের মধ্যে এমন আহম্মক লোক আছে যাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কেতাব সম্বন্ধে কোনোই জ্ঞান নেই, তারা শুধু অবাস্তব ধারণায় বিশ্বাসী। – [বাকারা-৭৮]

অধিকাংশ ঈমান এনে এবাদত করছে ঠিকই কিন্তু উল্টো পথে এবং তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ভাবছে আমরা অনেক ভাল আমল করছি।  প্রকৃত সব পন্ডুসার।

চলমান ২ অধ্যায় 

Categories
Bangla Cenema

সাগর কুলের নাইয়ারে

মুল শিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমিন।

প্লেব্যাকঃ পুতুল। ছায়াছবিঃ রুপবান।

Categories
My text

নবী প্রচলিত সালাত পড়েন নাই

নবী মুহাম্মদ সা: আমাদের এ প্রচলিত সালাত কখনোই পড়েন নাই। পড়ার প্রশ্নই উঠে না। কারন নবীকে সালাত পড়ার  জন্য প্রেরণ করা হয় নি বরং সালাত শেখানোর জন্য প্রেরন করা হয়েছ।

সালাত পড়ার মত কোন জিনিস নয় বরং সালাত কায়েম করার জিনিস। সালাত একটি দ্বীনি ব্যবস্থা। জীবন যাপন পদ্ধতি। অথচ কোরান বিমুখ অজ্ঞরা নবী সাঃ কে  রোগাক্রান্ত অবস্থাতেও কাঁধে ভর দিয়ে নিয়ে এসে সালাতের ইমামতি করার  হাদীস রচনা করেছে। কতটা গর্হিত কাজ করেছে এ মুর্খের দল কোরানের আলোকে তা দেখে নেই।

প্রচলিত সালাতে সুরা ফাতিহা পড়া হয়। সুরা ফাতেহায় বলা হয়ে থাকে আপনি আমাকে সরল সঠিক পথ দেখান। আমরা সরল পথে নেই তাই আমরা বলে থাকি।  প্রশ্ন হল নবী যদি বলেন হে আল্লাহ আমাকে সরল পথ দেখান। তাহলে বিষয়টা কি দ্বারায়? তিনি কি সরল সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত নন?  (নাউযুবিল্লাহ)। এবার দেখি এ বিষয়ে কোরান কি বলে?

কোরআনে, সুরা হজ্জে আল্লাহ বলেনঃ
১) আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত করিয়া দিয়াছি ‘ইবাদত পদ্ধতি – যাহা উহারা অনুসরণ করে। সুতরাং উহারা যেন তোমার সঙ্গে বিতর্ক না করে এই ব্যাপারে। তুমি উহাদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহ্‌বান কর, তুমি তো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত। (২২:৬৭)

সুরা ইয়াসিনে আল্লাহ ঘোষনা দিয়ে জানালেন রাসুলকেঃ
আপনি  অবশ্যই রাসূলদের অন্তর্ভুক্ত; আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত। (৩৬:৪)

কোরানের সূরা যুখরফে আল্লাহ বলেনঃ
২) সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)

কোরানের সুরা ফাতহায় আল্লাহ বলেনঃ
৩) তিনিই তাঁহার রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করিয়াছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করিবার জন্য। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট।(৪৮:২৮)

এ আঅত গুলি থেকে সুস্পষ্ট ভাবে জানা যায় রাসুল সরল পথে প্রতিষ্ঠিত এবং ওহীর মাধ্যমে রাসুল সাঃ কে তা অবহিতও করা হয়েছে। ওহী যোগে আল্লাহ  নিশ্চিত করার পরও কি রাসুল সরল পথে পরিচালিত করার জন্য কি প্রার্থণা করবেন?  এটা কি কোন সুস্থ মস্তিস্ক  বিশ্বাস করবে?
সরল পথে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো তার প্রতি কোরান নাযিল করা হয়েছে। নচেৎ তার উপর কোরান নাযিলই  হত না।

আরেকটু লক্ষ্য করুন। আল্লাহ বলছেন অপবিত্র অবস্থায় আমার কোরান স্পর্শ করা যায় না। এখানে উপদেশ বা অনুরোধ করে বলেন নাই যে তোমরা অপবিত্র অবস্থায় কোরান স্পর্শ করো না। বলেছেন অপবিত্র অবস্থায় কোরান স্পর্শ করা যায় না। অর্থাৎ এই কাগজের কোরান স্পর্শ করার কথা বলা হয় নি।  বলা হয়েছে অপবিত্র অবস্থায়  অর্থাৎ ( সরলপথ প্রাপ্ত না হয়ে) কোরান কেউ ধারন করতে চাইলেও পারবে না সেটাই বুঝানো হয়েছে।

এই সরল পথে প্রতিষ্ঠিত রাসুল সাঃ কে যদি কেউ  দাঁড় করিয়ে বলাতে চায় যে  আমাকে সরল পথে পরিচালিত করুন।তাহলে ব্যাপারটা কত হাস্যকর ও লজ্জাস্কর ?  কতটা ভয়ংকর?  নবীর নামে অপবাদ ? আল্লাহর কোরানের আয়াতের অপব্যাখ্যা বলে বিবেচ্য।

যেখানে আল্লাহ স্বয়ং রাসুলকে নির্দেশ করে বলেছেন আপনি রাসুলদের অন্তর্গত, আপনি সরল পথে প্রতিষ্ঠিত, আপনাকে কিতাব দেওয়া হল,  আপনি তা প্রচার করুন।

আর সেই রাসুলকে মুর্খ পন্ডিতরা নামাজ পড়িয়ে ছাড়ছে !সরল পথ প্রাপ্তীর জন্য প্রার্থণা করাতে বাধ্য করাচ্ছে !! কতবড় অপবাদ রাসুলের শানে?

উপসংহারে বলতে চাইঃ
১) আগে বুঝতে হবে নামাজ কি? এবং কেন?

২) নবীকে নামাজ পড়ার জন্য প্রেরণ করা হয়নি। নামাজ শিখানোর জন্য প্রেরিত হয়েছেন।

৩) নামাজ পড়ার বিষয় নয়।  নামাজ ধারন করার বিষয়, নিজের মধ্যে কায়েম করার বিষয়।

৪) নামজ হচ্ছে দ্বীন বা আল্লাহর স্বভাব। আল্লাহর নীতি।সেই নীতির যে স্বভাব সেই স্বভাব ধারন করা হচ্ছে সালাত। সেই সালাতে আল্লাহ সর্বদা দন্ডায়মান থাকতে বলেছেন।

সূরা মাআরিজ আয়াত নং ২৩ এ আল্লাহ বলেন: যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত,
الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ  دَآٮِٕمُوْنَۙ

এই ভাবে যুগে যুগে কোরানের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে যারা তাদেরকে কঠিন আজাবের সম্মুখিন হতে হবে একদিন।

যদি তোমরা তোমাদেরই মত একজন মানুষের আনুগত্য কর তবে তোমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হইবে;(২৩;৩৪)

Categories
My text

নারীর পর্দা

নারীদের প্রচলিত হিজাব বা পর্দা প্রথার প্রচলন ভাবিয়ে তুলে —–

————–****—————–

“ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে/সতীত্ব বজায় রাখে। তারা যেন, যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া, তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে”। তারা যেন তাদের বুকগুলি তাদের ‘খিমার’ দিয়ে ঢেকে রাখে। [ ২৪ঃ৩১] They shall cover their chests with their ‘khimar’.

২৪;৩১ নং আয়াতে উল্লেখিত ‘খিমার’ শব্দের প্রকৃত অর্থ কি?

বেশীরভাগ অনুবাদক হাদিসের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই আয়াতে উল্লেখিত ‘খিমার’ শব্দের অনুবাদ করেছেন ‘ঘোমটা’ যার ফলে তারা মহিলদের মাথা ঢাকতে বা ঘোমটা দিতে বলেন। কেউ কেউ তো আবার মহিলাদের মুখও ঢাকতে বলেন!

কিন্তু সত্য হল এই যে ‘খিমার’ কথার সরল অর্থ হল ‘আবরণ’। আরবিতে যে কোন আবরণকে ‘খিমার’ বলা হয়। যেমন;- পর্দা একটি খিমার, টেবিল ক্লথ যা একটি টেবিলের উপরে পাতা থাকে, অর্থাৎ এটা টেবিলকে আচ্ছাদিত করে, এটি হল একটি খিমার, কম্বলকে একটি খিমার বলা যেতে পারে এবং আরও অনেক আছে।

একইভাবে, বিভিন্ন রকম পোশাক যেমন ব্লাউজ, কোর্ট, শাল, চাদর, শার্ট, বা অন্য যে কোন পোশাককে খিমার বলা যেতে পারে, কারণ এটি শরীরকে ঢেকে রাখে। খামার এবং খিমার একই রুটের শব্দ। খামার শব্দটি মাদকদ্রব্যের জন্য কুরআনে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু মাদক দ্রব্য সেবনকারীর মনকে ইহা(মাদক দ্রব্য) আচ্ছাদিত করে রাখে, সেইজন্য খামার শব্দের ব্যবহার হয়।

আল্লাহ মহিলাদেরকে তাদের খিমার (ঢাকনা / পোশাক) ব্যবহার করতে বলছেন, যা একটি পোশাক, কোট, শাল, ব্লাউজ, স্ক্কারফ ইত্যাদি ব্যবহার করে তাদের বক্ষকে ঢেকে রাখতে হবে। তাদের মাথা, মাথার চুল বা মুখ ঢাকার কথা এখানে বলা হয় নি। যদি আল্লাহ্‌ চাইতেন যে মহিলারা যেন তাদের মাথা, মাথার চুল, মুখ ইত্যাদি ঢেকে রাখে, তাহলে তিনি খুব সহজেই তা বলতে পারতেন, কেননা আল্লাহ্‌র stock of word- এর কোন কমতি নেই।

বাংলায় ‘বক্ষ’, তার আরবি শব্দ হল ‘jayb’, যা কিনা এই আয়াতে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু ‘মাথা কিংবা মাথার চুল’ অর্থাৎ ‘ras(মাথা), shaar(চুল)’ এই সমস্ত আরবি শব্দ এখানে ব্যবহৃত হয় নি।

কাজেই, এই আয়াতের আদেশ একদম পরিস্কার অর্থাৎ ‘বক্ষকে ঢাকতে হবে’ এবং শুধুমাত্র বক্ষকে ঢাকার নির্দেশ এটাও প্রমাণ করে যে বক্ষের উপরের অংশ(গলা, মুখ, মাথা, চুল) ইত্যাদিকে ঢাকার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

এই ২৪;৩১ নং আয়াতে উল্লেখিত “যা সাধারণতঃ প্রকাশমান,” বলতে কি বোঝায়?

২৪;৩১ নং আয়াতে ‘জিনাত’ শব্দের অর্থ বোঝায় ‘সজ্জা বা ভূষণ’ যা মহিলদের সৌন্দর্য বাড়ায়। এটা সত্য যে মহিলাদের মাথার চুল তাদের সৌন্দর্য বাড়ায়। অন্যান্য অংশও আছে যেমন;- মহিলাদের চোখ, অধর(ঠোঁট) ইত্যাদি ইত্যাদি। কাজেই তাহলে মহিলারা কি তাদের মুখসহ সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে?

২৪;৩১ আয়াতে আল্লাহ্‌ কিন্তু তা বলেন নি। আল্লাহ্‌ বলেছেন যে মহিলাদের ‘সাধারণত প্রকাশমান সৌন্দর্য’ যেটা তারা সেটা দেখাতে পারে।

বিশেষ একটি জামাত এখন নারীর এ পর্দাকে আরো জটিল করে আল্লাহর বিধান পরিত্যাগ করে নিজেদের মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করে বসে আছেন।

নারীর পর্দা বিষয়ক এ আলোচনায় যদি কোন দ্বীমত পোষন হয় তবে দলিল সহ অবহিত করার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
*********

Categories
My text

আসমানী কিতাব

ওহী শব্দের অর্থ জ্ঞান, যে জ্ঞান প্রাপ্ত, সে তো ওহী প্রাপ্ত।

আসমানী কিতাব একখানা, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত,কোনো পরিবর্তন নাই, শুধু ভাষার পরিবর্তন হয়েছে মাত্র,

ইহাই আল্লাহ্‌র বিধান-প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, তুমি আল্লাহ্‌র বিধানে কোন পরিবর্তন পাইবে না। (৪৮ঃ২৩)

আর বিভিন্ন ভাষায় ওহী প্রাপ্ত রা যখন নিজের মাতৃ ভাষায় কিতাব কে সংস্করণ করেছেন, তখন পূর্বে ওহী প্রাপ্ত দের কাহিনীও সংযুক্ত করা হয়েছে,

ইন্জিল শব্দের অর্থ সুসংবাদ
তাওরাত শব্দের অর্থ বিশেষ আইন
ফুরকান শব্দের অর্থ সত্য মিথ্যা যাচাই কারি
যবুর শব্দের অর্থ বিশেষ সুর,

সর্বশেষ বনী ঈসরায়েলের যে ব্যাক্তী এরাবিয়ান ভাষায় কিতাব সংস্করণ করেছেন তার নাম আহমেদ,

এর আগের জ্ঞান প্রাপ্ত ব্যাক্তীর নাম ঈসা,যিনি সুরিয়ানি ভাষায় কিতাব সংস্করণ করেছেন,

তার আগের জ্ঞান প্রাপ্ত ব্যাক্তীর নাম মূসা, যিনি হিব্রু ভাষায় কিতাব সংস্করণ করেছেন, আল্লাহ কোরানে বলেনঃ

আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তাহার স্বজাতির ভাষাভাষী করিয়া পাঠাইয়াছি তাহাদের নিকট পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করিবার জন্য, আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা বিভ্রান্ত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।(১৪ঃ৪)

অন্যদিকে…..

মুহাম্মদ শব্দের অর্থ প্রশংসিত, এটা আদম জাতের পদবি মাত্র, মুহাম্মদ কারো পিতা, ছেলে, নানা,দাদা, বড়দাদা নন,,

মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নহে ; বরং সে আল্লাহ্‌র রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ। ( ৩৩ঃ৪০)

মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র; তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে। (৩ঃ১৪৪)

মুহাম্মদ সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত বিদ্যমান।

en_USEnglish
Powered by TranslatePress
Verified by MonsterInsights