Categories
Uncategorized

অমিতের প্রেম

ফেইসবুকে প্রেম 

একাদশ শ্রেনির ছাত্র অমিত! যেমন দুড়ন্তন তার মধ্যে সব দিকে ভালো। পড়ালেখা আর খেলাধুলা করেই সারাদিন কেটে যায়।
.
ফেইসবুকে তার একটি আইডি আছে – মাঝে মাঝে ফেইসবুকে আসে একটু আকটু লেখা লেখি করে এরপর আবার ফেবু থেকে বের হয়ে যায়।

অমিত প্রায় ৩ দিন পর ফেইসবুক লগিন করে! এবং দেখতে পায় একটি মেয়ে আইডি থেকে রিকুয়েস্ট দিয়েছে আইডির নাম মেঘ কন্যা।
.
অমিত রিকুয়েস্ট টি দেখে একটু চোপ থেকে কিছুক্ষণ পর রিকুয়েস্ট গ্রহন করে। এর কিছুক্ষণ পরই এই মেঘ কন্যা আইডি থেকে অমিত কে নক করে!
.
:- Thanks For u…
:- Thanks কেন?..
:- রিকুয়েস্ট গ্রহন করায়।
:- ও আচ্চা.. কেমন অাছেন??..
:- ভাল – আপনি! এই ভাবেই শুরু হয় তাদের
কথা – আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়।
.
একজনের ভাল মন্দ – পছন্দ – অপছন্দ সব
কিছু জেনে নেয়।
.
অমিত এখন পড়ালেখা, খেলাধুলা ভুলে সারাক্ষন ফেইসবুকে সময় দেয় এবং মেঘ কন্যা নামের মেয়ের সাথে কথা বলে।
.
এই ভাবেই চলতে থাকে প্রায় অনেকদিন
প্রায় ৭ মাস হয়ে গেল।
.
কিন্তু মেঘ কন্যা কোনভাবেই তার ছবি অথবা নাম্বার অমিত কে দিতে রাজি নয়! অমিত যখন তার কাছে পিক অথবা নাম্বার চায় মেঘ কন্যা তখন যেন কেমন খারাপ আচরন করে এবং মেসেজের রিপ্লে দেয় না। বন্ধুত্ব নষ্ট হবার ভয়ে অমিত তেমন কিছু বলে না! ..
.
কিন্তু আর কত দিন – সে যে আর পারছে না মেয়েটির সাথে কথা বলতে বলতে অমিত মেঘ কন্যা মেয়েটি কে ভালবেসে ফেলে আর সে তার ভালবাসার কথাটা অনেক বার বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে না – ভয় হয় প্রোপজ করলে যদি মেয়েটি চলে যায়। মেঘ কন্যা কে সে হারাতে পারবে না ।

একদিন অমিত কঠিন শপথ করলো এবং ভাবলো আজ মেঘ কন্যা কে প্রপোজ করবে। মনের সব আবেগ দিয়ে একটা ভালবাসার জনে প্রেমের প্রোপজাল লেটার লিখলো। এবং মেঘ কন্যা কে মেসেজে লেখাটি সেন্ড করলো এবং তখন শুধু মেয়েটি বললো অনেক ভাল হয়ছে! অনেক সুন্দর হয়ছে ইত্যাদি।
.
মেঘ কন্যা ও বুঝতে পারছে অমিত থাকে
লাভ করে কিন্তু সে তেমন কিছু বলছে না।

অমিত ভাবছে কি করবে! মেয়েটি কে তার প্রপোজ করা প্রয়োজন! সেই জন্যে একদিন সড়াসড়ি বলে দিল

:- তোমার সাথে কথা বলতে, বলতে
তোমাকে কখন যে ভালবেসেছি তা
নিজেও জানি না। I Love You… (অমিত)
:- আমার সাথে মজা করছো! – এইসব নিয়ে
কি কেউ মজা করে (মেঘ কন্যা)
:- মজা না!!!! আমি তোমাকে সত্যি লাভ
করি – এখন তোমার উত্ররের অপেক্ষায় ।
(অমিত)
:- আমি তোমার উত্রর দিব ; তার আগে
আমার একটি শর্ত আছে (মেঘ কন্যা)
:- কি শর্ত – আমি তোমার সকল শর্তে
রাজি। (অমিত)
:-এখন থেকে আগামি দুই দিন তুমি ফেইসবুকে আসতে পারবে না! দুই দিন পর এসে আমার ইনবক্ম চেক করলেই সকল উত্তর পেয়েই যাবে (মেঘ কন্যা)
– মেঘ কন্যার এই শর্তে অমিত রাজি !

অপেক্ষার সময় যেন ফুরায় না! সে শুধু সারাক্ষন অপেক্ষা করছে কখন সময় শেষ হবে দুই দিন পৃর্ন হবে।

এরপর অনেক অপেক্ষার পর দুই দিন শেষ হল! নানা কৌতুহল নিয়ে অমিত ফেইসবুকে লগিন করে – এবং সাথে সাথে মেঘ কন্যার আইডি খুজতে থাকে  কিন্তু আইডি খুজে পাচ্ছে না। এরপর সে মেসেজ গিয়ে দেখে মেঘ কন্যা নামে কোন আইডির সাথে মেসেজ নেই –

কৌতূহল হয়ে
লাষ্ট আইডির সাথে মেসেজ দেখে ‘আইডি নেম হাবিব আদনান মেসেজটি পড়ে তার চোখ দিয়ে চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে লাগলো। মেসেজে লেখা আমি একজন ছেলে আমার নাম হাবিব আদনান। .

অমিত কিছুক্ষণ পড় দেখতে পেল মেঘ কন্যা নামের হাবিব আদনান নামে ছেলেটি তাকে ব্লক করে দেয়! এরপর তখন নীল রংয়ের লেখাটি কালো রংয়ের হয়ে যায়।
.
অমিত যেন বোবা হয়ে গেল –
সে বুঝতে পারলো তার সাথে কি কি হয়েছে

তার চোখ দিয়ে শুধু পানি ঝড়তে থাকলো ! এবং তখনি পুরো জীবনের জন্যে ফেইসবুক থেকে বিদায় নেয় সে –

এরপর আর কখনো অমিত নামের ছেলেটি
কে কখনো ফেইসবুকে আসতে দেখা যায়নি।

ও যে জানেই জানে সবই জানে খেলে লুকোচুরি,
ও যে মানেই মানে সবই মানে সুখের জারিজুরি।

ও যে কৃষ্ণ সেজে বাঁশি বাজায় হৃদয় গহীনে
ও যে নয়ন জলে ভাসায় তরী নিশীথ স্বপনে।

Categories
Uncategorized

ধর্মের গ্যারাকলঃ

বিশ্বাস ভাঙার আগ পর্যন্ত কঠিন মিথ্যাও সত্য লাগে। আর লালিত বিশ্বাসে স্থির থাকলে সত্যটাও মিথ্যে মনে হয়।

Categories
Uncategorized

আমার দেশ আমার বাক

দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করার জন্য। যাতে করে একটি অজুহাত দিয়ে তারা আমাদের এই দেশের উপর অন্যকোন পক্ষ অনুপ্রবেশ করতে পারে। তাই আমাদেরকে সতর্ক এবং সাবধান হতে হবে। এমন কোন কর্মকান্ড করা যাবে না যাতেকরে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়!

সরকার পদত্যাগ করছে ঠিক আছে, কিন্তু যোদ্ধ রয়ে গেছে,, দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু সংস্কার হয় নি, এটা মনে রাখবেন। আওয়ামী ক্যাডার প্রশাসন এখনো হাল ছাড়ে নি।
দেশে চক্রান্ত চলতেছে,, সবাই সাজাগ থাকবেন,আনন্দ উল্লাস করার সময় এখন না, যত দ্রুত সম্ভব নতুন সরকারের আগমন ঘটান, পারলে আজ রাতের ভিতরে সরকার তৈরি করুন না হয় অনেক বিপদ হতে পারে।

দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। দয়া করে বিজয় উল্লাস থামান। শেখের বেটি কি প্লান করে গেছে কে জানে? জানলে ঘুম হারাম হয়ে যাবে।
সংসদে সব আগে থেকেই ভাংগা ছিল। এত ইম্পর্টান্ট ফাইলের ড্রয়ারে চাবি লাগানোই ছিল কেন? গনভবনে এত ইজিলি ঢুকতে পারলো কিভাবে মানুষ? গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দিয়ে গেছে।
কুইক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত না হলে ,এই অবস্থার সর্বোচ্চ সুবিধা নেবে ভারত। অলরেডি কাউন্টার ক্যু এর হুমকি চলতেছে। দয়া করে এলাকাভিত্তিক ভাবে দাংগা হাংগামা বন্ধের চেষ্টা করুম। নাহলে আন্তর্জাতিক ভাবে আমরা গৃহযুদ্ধ বিবেচনায় ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছি। প্রতিবেশীকে এই সুযোগ কখনই দেয়া যাবে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করুন। উল্লাস পরে করবেন।
যা এখন করনীয়ঃ
১) সবার আগে সংসদ বিলুপ্ত করা উচিত বিচার বিভাগে দলীয় ভাবে নিয়োগ বাতিল করতে হবে

২) অতি দ্রুত সরকার গঠন করে সরকার সুন‍্য দেশকে শত্রুদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার ব‍্যাবস্থা জরুরি মনে করি।

চারদিন আগে যে জামায়াত নিষিদ্ধ করলেন, আজ আবার সেই দলের আমিরের সাথে ১ম সারিতে বৈঠক করলেন!

Categories
Uncategorized

কোরআন শিক্ষা পর্ব -০১

____ কোরান উপলব্ধির সহজ উপায়ঃ

কোরআনে পুনারাবৃত্তি সহ মোট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৭৮,০০০ টি। এর মধ্যে ১০ টি অব্যয় পদ সূচক শব্দ জানা হলে ২৩,০০০ শব্দ জানা হয়ে যায় এবং ১১ টি হা/না বাচক শব্দ জানতে পারলে ৫৭০০ টি কোরানের শব্দ আয়ত্ত হয়ে যায়। তার মানে ৫০℅ কোরআনের শব্দ আয়ত্ত হয়ে যায় ৭৮,০০০ – ( ২৩,০০০ + ৫৭০০) = ৫০,০০০ শব্দ বাকি থাকে। এই ৫০,০০০ শব্দ থেকে ৬টি সর্বনাদ পদ সূচক শব্দ জানতে পারলে আরো ৫০০০ শব্দ আয়ত্ত হয়ে যাবে। এখন বাকি থাকবে অজানা মাত্র ( ৫০,০০০ – ৫০০০) = ৪৫,০০০ শব্দ অজানা। এই ৪৫,০০০ শব্দের মধ্যে ক্রিয়া পদ ২০ হাজার এবং বিশেষ্য ২৫ হাজার মিলে মাত্র ২৫০টি মুল শব্দ জানতে পারলে পুরা কোরআনের ৭৮ হাজার শব্দ আয়ত্ত হয়ে যাবে। তখন কোরআন বুঝতে ও অনুবাদ অনুভব করতে মজাই আলাদা। আরবী ব্যকারনের মত কোরআনের ব্যকারনের জন্য অত বিশাল ব্যকারন জানার প্রয়োজন হয় না। ইংরেজী শিক্ষিতগণ খুব সহজেই (১০+১১+৬+২৫০) = ২৭৮ টি শব্দ রপ্ত করলেই নিজে মাদ্রাসায় আরবী না পড়েও কোরানের ভাষা সরল ভাবে বুঝতে ও অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন। হয়তো বিশাল পন্ডিত হবেন না কিন্তু পুরো কোরানের ভাষা আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। যে কোন সূরা হতে যে কোন আয়াত পাঠ করলে তার ভাবার্থ বা সরল অনুবাদ উপলব্ধি করতে আপনি সক্ষম হবেন। এর জন্য মাত্র ১৫ টি পাঠ ক্রম অনুশীলন করলেই আয়ত্তে এসে যাবে। যারা নবীন এবং ইংরেজী এবং বাংলায় দক্ষ তারা ৩০ দিনেই আয়ত্ত করে নিতে পারবেন। বছরের প্রয়োজন হবে না। তবে পাঠ অনুশীলনের সাথে সাথে আপনাকে কোরানের সাথে তা মিলিয়ে দেখতে হবে এবং এই বিশেষ্য, বিশেষন, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া পদের মোট ২৭৮ টি শব্দ অর্থ সহ মুখস্থ রাখতে হবে। আমি ২৭৮ টি শব্দ মোট ৩০ টি পর্বে পাঠ অনুশীলন রুপে প্রকাশ করে যাব। কোন প্রশ্ন বা জটিলতা বোধ করলে কমেন্ট করে জানালে সমাধান দিব।

আমি আবার বলে রাখছি এতে আরবী ভাষার পন্ডিত হবেন না তবে পুরো কোরান অনুধাবনের এবং সরল অর্থ করার যোগ্যতা অর্জন করবেন ইনশাআল্লাহ। এটি আরবী গ্রামের প্রাথমিক শিক্ষা মাত্র। যা গবেষনা করে কোরানকে সহজ ভাবে বুঝার জন্য সাধারন শিক্ষিতদের জন্য উপস্থাপন ।

কোরআনের ব্যকারন সাধারন আরবী ভাষার ব্যকারন হতে ভিন্ন। আরবী ভাষা জানার জন্য ব্যাপক ব্যাকারন জানতে হয়। কিন্তু কোরআনের গ্রামিটিক্যাল জানার জন্য আরবী ব্যকারনের মাত্র ৬০টি বিষয়ে জানা থাকলেই যথেষ্ট। যা অধিকতর আগ্রহীদের জানার জন্য তুলে ধরা হলো। তা হলোঃ

নিজে আরবী ভাষায় পারদর্শী হয়ে নিজে অনুবাদ করে কোরানকে বুঝতে চায় যারা, তাদের আরবী গ্রামারের নিন্ম বিষয় গুলোর উপর জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।

কালাম – যুমলাহ বা মুরাক্কাব -জুলমাহ খাবরিয়াহ – জুলমাহ ইনশাইয়াহ – ইলমে সরফ – ইলমে নাহু – মাসদার – মাসদার সিয়ামি – মাসদার কিয়াসি – ইশেম – ফেল – হরফ – মুযাক্কার – মুয়ান্নাস – ওয়াহেদ – তাসনিয়া – জামাআ – মাঝি – হাল – মুসতাকবিল – জামির- ফায়েল – মাফউল – আদল – আদদ – মুবতাদাহ – খবর – মাউসুত -সিফাত – সীগাহ – বালাগাত – মুদফ – মুদফ ইলাইহী – মুসনাদ ইলাইহী – মারেফা – নাকেরা – ফেল – ফায়েল – জুমলায় ফেলিয়া – জুমলায় ইশমিয়া – মুতাআল্লিম – মাফুলে বিহি – হরফুল যার – হরফে নেদা – আমর – মুতাআ’ল্লিক -মাআ’দুফ – মাউসুফ – সিফাত – মুদব – মুদব ইলাইহী – গায়েব – হাজির- মুস্তাকবিল- ফা’লে মারুফ – ফা’লে মাজহুল – ফা’লে ইসবাতু – ফা’লে নাফি – জিনস – গায়েব – হাজির – মুতাকাল্লিম – মাসদার – বাব – ইবারত – বাহছ – ওজন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।

সর্বপোরি এত কঠিন ভাবে এত কিছু ব্যাকারন আপনার জানার সক্ষমতা না থাকলে বাদ দিন। ২৭৮ টি শব্দ অর্থ সহ মুখস্থ করে কোরানের ৭০% শব্দ ভান্ডার আয়ত্ত করুন এবং কোরআনকে নিজ ভাষায় বুঝতে উপলব্ধি করতে নিজেকে গড়ে তুলুন। তার জন্য আমি ৩০ টি পর্বে ভাগ করে এই শব্দ গুলি অর্থ সহ তুলে ধরবো। একবার আগ্রহের সাথে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে চেষ্টা করে দেখুন, আপনিও পারবেন। আমি একজন ইংরেজী শিক্ষিত কেমেষ্ট্রিতে অনার্স মাষ্টারস হয়ে যদি সাধনা করে এতদুর আসতে পারি আপনিও পারবেন। শুধু চাই একাগ্রতা, আগ্রহ, ধৈর্য এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা। মাত্র ৩০ থেকে ৯০ দিনেই আপনি কোরআনের যে কোন আয়াতের সরল অনুবাদ সহ উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ। কোরান পড়া আগে জানা থাকতে হবে।

______ইংরেজী শিক্ষিতদের ১ম পর্বঃ

কোরআনের ৭৮ হাজাট শব্দের মধ্যে নিন্মের ১০ টি শব্দ অর্থ সহ শিখতে পারলে কোরানের ২৩ হাজার শব্দ আয়ত্ত হবে। অর্থাৎ কোরানের মোট শব্দের ৩০% আয়ত্ত হয়ে যাবে। শব্দ ১০ টিঃ —–
هم – من – الله – ما -ان – لا – في- قل- عل- الذي

١) হুম ( هم) – তারা/য়ারা। ( সূরা মাউনঃ ৬)
٢) মিন ( من ) থেকে/হতে (আলাকঃ২)
٣) আল্লাহ ( الله ) = আল্লাহ ( ফাতেহাঃ ১)
٤) মা ( ما ) = কি/যা ( উদাহরন ফালাকঃ২)
٥) ইন্না ( ان ) = নিশ্চয় ( মায়েদাঃ ২)
٦) লা ( لا ) = নয়/ নেই ( বাকারাঃ ২)
٧) ফী ( في ) = মাঝে/ভিতরে ( বাকারাঃ ২)
٨) ক্বলা ( قل ) বলা/বলেছে (যিলযালঃ৩)
٩ ) আ’লা ( عل ) = উপরে ( ফাতেহাঃ ৭)
١٠) আল্লাযি(الذي ) যারা/যাদের (ফাতেহাঃ৭)

এই ১০টি শব্দ শিখলে কোরানের ২৩০০০ শব্দ শিখা হল। বাকি থাকে (৭৮০০০ – ২৩০০০) = ৫৫,০০০ মাত্র। ২য় পর্বে ১১টি শব্দ দ্বারা শিখবো কোরআনের ৫৭০০ টি শব্দ।
এবার কোরআন থেকে উদাহরনে উল্লেখিত প্রতিটি আয়াত বের করে একবার মিলিয়ে নিন এবং শব্দ ১০ টি মুখস্থ করে ফেলুন।

Categories
Uncategorized

প্রাথমিক আরবী গ্রামার-১০

প্রাথমিক আরবী গ্রামার পর্ব-১০

জমির (সর্বনাম)ঃ ইসিম এর পরিবর্তে যে পদ ব্যবহার হয় তাকেই জমির বলে।
জমির তিন প্রকার।

১) মারফু ২) মানছুব ৩) মাজরুর।

১) মারফু (কর্তৃবাচ্য) কর্তার পরিবর্তে যেখানে বসে সেটা মারফু।  পেশ থাকলে হয়। মারফুকে দূই ভাগে ভাগ করা যায়। ক) মুনতাছিল ( যুক্ত থাকলে) খ) মুনফাছিল। (আলাদা বা পৃথক থাকলে)
২) মানছুব (কর্মবাচ্য) কর্মের স্থানে যেটি বসে সেটি মানছুব  জমির। মানছুবকেও দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
ক) মুত্তাছিল ( কর্মের সাথে যুক্ত থাকলে) খ) মুন্তাছিল  ( কর্মের সাথে আলাদা থাকলে)
৩) মাজরুর (সম্বন্ধবাচক সর্বনাম) সম্বন্ধ সূচক সর্বনাম। এটি সর্বদা যুক্ত থাকবে।

সুতরাং জমির পাঁচ প্রকার।  যথাঃ
১) জমিরে  মারফু মুনতাছিল।
২) জমিরে মারফু মুনফাছিল।
৩) জমিরে মানছুব মুনতাছিল।
৪) জমিরে মানছুব মুনফাছিল।
৫) জমিরে মাজরুর মুনতাছিল।

আরবীতে মোট ৭০ টি জমির আছে।  এই ৭০টি জমিরকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাচ চৌদদ সততুর।

জমিরে মারফু মুনতাছিল ১৪টি।
মূল শব্দ نصر (নাছার) সাহায্য করা।

১) নাছারা  نصر (নাছারা),=সে সাহায্য করেছিল। পুং
২) نصا — ا (নাছারা)=তারা ২জন সাহায্য করেছিল।পুং
৩)نصروا—وا (নাছারু) তাহারা সকলে সাহায্য করেছিল।পুং

৪) نصرت —- ت নাছারাত- সে স্ত্রী সাহায্য করেছিল।
৫) نصرتا — تا নাছারনা- তারা ২ জন স্ত্রী সাহায্য করেছিল।
৬) نصرن — ن নাছারনা – তারা সকল স্রী সাহাযয করেছিল।

৭) نصرت  — ت নাছারাত – তুমি পুং সাহায্য করেছিলে।
৮) نصزتما   — تما নাছারানমা- তোমরা ২ জন পুং সাহায্য
৯)  نصزتم  —  نم নাছারতুম – তোমরা সকল পুং সাহায্য —
১০) نصرت  — ت নাছারতে তুমি একজন  স্ত্রী  সাহায্য
১১) نصرتما   — تما নাছারতুমা তোমরা স্ত্রী ২ জন সাহায্য
১২) نصزتن  — تن নাছারতুন তোমরা সকল স্ত্রী সাহায্য

১৩) نصرت   —- ت নাছারতু আমি সাহায্য করেছিলাম
১৪) نصرنا   — نا নাছারনা আমরা সাহায্য করেছিলাম।

এবার জানব জমিরে মারফু মুনফাছিল ১৪ টি। যা শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বসে না। পৃথকভাবে বসে।

১। হুয়া (هو) সে (পুরুষ)
২। হুমা (هما) তারা  (২জন পুরুষ)
৩। (হুম) هم তারা (সকল পুরুষ)

৪। (হিয়া) هي সে (স্ত্রী)
৫।  هما (হমা) তারা স্রী
৬।   هن (হুন্না)  সকল স্ত্রী

৭। (আনতা) انت তুমি একজন পুরুষ
৮।  (আনতামা) انتما তোমরা ২ জন পুরুষ
৯। (আনতুম) انتم তোমরা সকল পুরুষ

১০। আতি — তোমরা স্ত্রী
১১।   انتما (আনতুমা) তোমরা ২জন স্ত্রী
১২।   انتن (আনতান) তোমরা সকল স্ত্রী

১৩।  (আনা)  انا আমি
১৪।  (নাহনু)  نحن আমরা

উদাহরন هو طالب (হুয়া তালিবু) হুয়া মুকতাদা তালিবু খবর।   সে একজন ছাত্র। দুটি মিলে যুমলায়ে ইসেম।
এটি যদি হিয়া তালেবুন হলে হবে সে একজন ছাত্রী।

এবার তারকিব করি نصرت নাছারতু এর।
নাছার نص হল ফেল বা ক্রিয়া = সাহায্য করা।
তু ت হবে ফায়েল বা কর্তা। = আমি করেছিলাম। দুইটা মিলে যুমলায় ফেলিয়া।
তাহলে نصرت নাছারতু  অর্থ হবে = আমি সাহায্য করেছিলাম।
**************

প্রাথমিক আরবী গ্রামার পর্ব-১১

মাফুউল (কর্ম/Object) -معفول–  Plural   المعاقععيل
বাক্যে অবস্থিত কর্মকেই মাফুউল বলে।  অর্থাত কর্তার কাজ যার উপর সংগঠিত হবে তাকে معفول বলে।
Sentsnce = Subject + Verb  + Object + Extention
Verb + Subject + Object ( قع + فاعل  + مفعل )
Fel +fayel+maful

(Akala Jayed Rujja  ) اكل زير  رزا
اكل   +  زيد   +   رزا
فعل   + فاعل  + مفعل
মাফুউলের শেষ অক্ষরে যবর থাকবে আর যদি দুই যবর হয় তখন শেষে একটি অতিরিক্ত আলিফ বসাতে হয়।

মাফুউল কত প্রকার ও কি কি?
মাফউল বা কর্ম ৫ প্রকার।

১) মাফুউল মুতলাক (مفعول مطلق)
২) মাফুউল বিহী  (مقعول به)
৩) মাফউল ফাহি  (مفعول فيه)
৪) মাফউল লিহি  (مقعول له)
৫) মাফউল মা’আ  (مفعول معه)

Categories
Uncategorized

শব্দের রুপান্তরঃ

রব ( رب ) শব্দ থেকে

রব্বুকা (ربك ) — তোমার রব। পেশ দিয়ে।
রব্বাকা (زبك ) – – তোমার রবকে। যবর দিয়ে
রব্বিকা (ربك ) – – তোমার রবের।যের দিয়ে।

রাব্বুকা ربك এর তারকিব

মুল শব্দ رب রব, ك – তোমার। ربك — তোমার রব।

১। ক্বলা রব্বুকা (قال زبك) = তোমার রব বলেছিল। কালা ফেল এবং মুদাছ আর মুদাস ইলাই মিলে রব্বুকা ফায়েল হয়েছে। যুমলায় ফেলিয়া। এ জন্য পেশ হয়েছে।
২। ক্বলা মুহাম্মাদু রব্বাকা (قال محمد زبك) = মুহাম্মদ তোমার রবকে বলেছিল। মাফউল হওয়ার কারনে যবর হয়েছে।
৩। মারারতু বিরব্বিকা ( مررت بربك ) = আমি তোমার রবের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেছিলাম। হরফে যের এর জন্য যের। হয়েছে।

Categories
Uncategorized

অনুবাদ মায়েদা-০৬

সূরা মায়েদা আয়াত নং ৬ এর অনুবাদ।

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْۤا اِذَا قُمْتُمْ اِلَى الصَّلٰوةِ فَاغْسِلُوْا وُجُوْهَكُمْ وَ اَیْدِیَكُمْ اِلَى الْمَرَافِقِ وَ امْسَحُوْا بِرُءُوْسِكُمْ وَ اَرْجُلَكُمْ اِلَى الْكَعْبَیْنِ١ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوْا١ؕ وَ اِنْ كُنْتُمْ مَّرْضٰۤى اَوْ عَلٰى سَفَرٍ اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ اَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوْا مَآءً فَتَیَمَّمُوْا صَعِیْدًا طَیِّبًا فَامْسَحُوْا بِوُجُوْهِكُمْ وَ اَیْدِیْكُمْ مِّنْهُ١ؕ مَا یُرِیْدُ اللّٰهُ لِیَجْعَلَ عَلَیْكُمْ مِّنْ حَرَجٍ وَّ لٰكِنْ یُّرِیْدُ لِیُطَهِّرَكُمْ وَ لِیُتِمَّ نِعْمَتَهٗ عَلَیْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ

শব্দার্থ: يَاأَيُّهَا = হে, الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছো, إِذَا = যখন , قُمْتُمْ = দাঁড়াবে তোমরা , إِلَى = জন্যে , الصَّلَاةِ = সালাতের , فَاغْسِلُوا = তখন তোমরা ধুবে, وُجُوهَكُمْ = মুখমণ্ডলগুলো তোমাদের , وَأَيْدِيَكُمْ = ওহাত গুলো তোমাদের , إِلَى = পর্যন্ত, الْمَرَافِقِ = কনুইগুলো, وَامْسَحُوا = ও তোমরা মাসেহ করবে, بِرُءُوسِكُمْ = মাথাগুলো তোমাদের , وَأَرْجُلَكُمْ = ওপাগুলো তোমাদের , إِلَى = পর্যন্ত, الْكَعْبَيْنِ = দুইগিঁট, وَإِنْ = এবং যদি, كُنْتُمْ = হও তোমরা , جُنُبًا = অ পবিত্র , فَاطَّهَّرُوا = তবে তোমরা পবিত্র হবে , وَإِنْ = এবং যদি, كُنْتُمْ = হও তোমরা , مَرْضَىٰ = অসুস্থ, أَوْ = বা, عَلَىٰ = উপর , سَفَرٍ = সফরে (থাকো) , أَوْ = বা, جَاءَ = আসে, أَحَدٌ = কেউ, مِنْكُمْ = মধ্যে তোমাদের , مِنَ = হতে, الْغَائِطِ = পায়খানা (মলমূত্রত্যাগকরে) , أَوْ = বা, لَامَسْتُمُ = স্পর্শ করো তোমরা (সহবাসকরো) , النِّسَاءَ = স্ত্রীদের, فَلَمْ = অত:পরনা, تَجِدُوا = তোমরা পাও, مَاءً = পানি , فَتَيَمَّمُوا = তবে তোমরা তায়াম্মুম করবে, صَعِيدًا = (দিয়ে) মাটি, طَيِّبًا = পবিত্র , فَامْسَحُوا = তাই তোমরা মাসেহ করবে, بِوُجُوهِكُمْ = মুখমণ্ডলকে তোমাদের , وَأَيْدِيكُمْ = ওহাতকে তোমাদের , مِنْهُ = দ্বারাতা, مَا = না, يُرِيدُ = চান, اللَّهُ = আল্লাহ, لِيَجْعَلَ = যেন তিনি দেন, عَلَيْكُمْ = উপর তোমাদের , مِنْ = কোনো, حَرَجٍ = কষ্ট, وَلَٰكِنْ = কিন্তু, يُرِيدُ = তিনি চান, لِيُطَهِّرَكُمْ = যেন তিনি পবিত্র করেন তোমাদের কে, وَلِيُتِمَّ = এবং পূর্ণ করেন , نِعْمَتَهُ = অনুগ্রহতাঁর, عَلَيْكُمْ = উপর তোমাদের , لَعَلَّكُمْ = যাতে তোমরা , تَشْكُرُونَ = কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো,

অনুবাদ: হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য তৈরী হও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত দু’টি কনুই পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো, মাথার ওপর হাত বুলাও এবং পা দু’টি গোড়ালী পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো। যদি তোমরা ‘জানাবাত’ অবস্থায় থাকো, তাহলে গোসল করে পাক সাফ হয়ে যাও। যদি তোমরা রোগগ্রস্ত হও বা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি মলমূত্র ত্যাগ করে আসে বা তোমরা নারীদেরকে স্পর্শ করে থাকো এবং পানি না পাও, তাহলে পাক-পবিত্র মাটি দিয়ে কাজ সেরে নাও। তার ওপর হাত রেখে নিজের চেহারা ও হাতের ওপর মসেহ করে নাও। আল্লাহ তোমাদের জন্য জীবনকে সংকীর্ণ করে দিতে চান না কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে পাক-পবিত্র করতে এবং তাঁর নিয়ামত তোমাদের ওপর সম্পূর্ণ করে দিতে, হয়তো তোমরা শোকর গুজার হবে।

Categories
Uncategorized

হাদীসের জনক উমাইয়া বংশঃ

উমাইয়াহ বংশ বাস্তবতায় ছিলো রাসুল সাঃএর বংশের জাত শত্রু।প্রকৃত পক্ষে রাসুল সাঃ এর সময় থেকে তাদের শত্রুতা শুরু হয়নি বরং শত্রুতার শুরু আরো কয়েক জেনারেশন পুর্ব থেকে হয়েছিলো।যদিও হাশিমী বংশ এবং উমাইয়াহ বংশ উভয়ই কুরাইশ বংশ উদ্ভুত।

আদম সন্তান হাবিল-কাবিলের মত এই দুইটি বংশের হাশিম বংশ ছিল সৎ পথের অনুসারী এবং উমাইয়াহ বংশ ছিল অন্যায় অত্যাচারী অসৎ পথের অনুসারী।
ফলশ্রুতিতে আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তা’য়ালা পবিত্র ক্বাবা শরীফের তথ্যাবধানসহ মক্কার বিভিন্ন গোত্রের নেতুত্বের দায়িত্য বরাবরই হাশেমী বংশের উপর দিয়েছিলেন।

হাশেমী ও উমাইয়া বংশ একই কুরাইশ বংশ সম্ভুত হওয়া স্বত্ত্বেও ক্বাবা শরীফের তত্বাবধন সহ সকল পর্যায়ে হাশেমী বংশের নেতৃত্ব বা কর্তৃত্ব কোন প্রকারেই উমাইয়াগন মেনে নিতে পারছিল না।

অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের অনেক আগে থেকেই এই দুইটি বংশের মধ্যে আধিপাত্যের লড়াই চলে আসছিল।

রাসুলুল্লাহ সাঃ পৃথিবীতে আগমনেরর অব্যাহতি পুর্বেও ক্বাবা শরীফের তত্বাবধানে দায়িত্বে ছিলেন রাসুল সাঃ এর দাদা আব্দুল মুত্তালেব এবং পর্বর্তীতে আব্দুল মুত্তালেব ছেলে অর্থাৎ রাসুল সাঃ এর আপন চাচা আবু তালেব সে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

যোগ্যতার বিচারে আধিপাত্য ও নেতৃত্বের লড়াই একই কুরাইশ বংশ উদ্ভুদ্ধ হওয়া স্বত্ত্বেও তারা একে অপরের প্রতি শত্রুতা বংশপরম্পরা চলে আসছিল।
এই শক্রুতার সুত্র ধরেই পরবর্তীতে আব্দুল মুত্তালেবের ঔরশজাত সন্তান আব্দুল্লাহর স্ত্রী আমেনার গর্ভে মোহাম্মদ সাঃ এর মত এমন নির্মল চরিত্রের অধিকারী একজনকে উমাইয়াহ বংশের নেতৃস্হানীয় কেহই মেনে নিতেপারেনি।

সেজন্যই চল্লিশ বছর বয়সে মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ অফিসিয়ালি বা আনুষ্ঠানিক ভাবে আল্লাহর একত্বতা ঘোষনার মাধ্যমে তাঁর নবুয়তের সংবাদ প্রচার করলে উমাইয়াদের অস্বীকৃতির মাধ্যমে তাদের শত্রুতার কৌশলের গতি আরো বৃদ্ধি পায়।

এই উমাইয়াহ বংশের শত্রুতা,যুলুম,অত্যাচার এবং ইসলাম প্রচারে বাধা বিঘ্নতার কারনেই রাসুল সাঃ কে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করতে হয়েছিল।

রাসুল সাঃ মদীনায় ইসলাম প্রচারকালেও তিনি নির্বিগ্নে ইসলাম প্রচারে নিরলস ভাবে মনোযোগী হতে পারেন নাই।

সুদীর্ঘ সাড়ে চৌদ্দশত বছর পুর্বে প্রায় পাঁচ শতাধিক কিলোমিটার দুরত্বেও রাসুল সাঃ কে উমাইয়াহ বংশের সদস্যগন ইসলাম প্রচারে বাধা প্রদানে বদর,ওহুদ,খন্দকের যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে তাদের প্রতিহত করতে হয়েছে।

উমাইয়াহ বংশ ইসলাম গ্রহন না করে শত প্রচেষ্টা এবং নানা প্রকার ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধ বিগ্রহে ফলপ্রসু কোন রেজাল্ট না পেয়ে তারা প্রায় হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছিল।এমতাবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাঃ  মক্কা বিজয়ের পর সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করলে উমাইয়াহ গোত্রের নেতা আবু সুফিয়ান এবং তার পুত্র মোয়াবিয়াহসহ তার গোত্রের লোকেরা রাসুলের হাতে বায়াত গ্রহন করে।

যুলুম,অত্যাচার,ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে রাসুল সাঃ এর বিরুদ্ধে যে সফলতা তারা পায় নাই মুনাফেকি ভাবে ইসলাম গ্রহন করে শত বছর ব্যাপি ক্ষমতা অবস্থানের মাধ্যমে ইসলামের মুখে যে কালিমা ওরা লেপন করে গেছে ইসলামের সেই কালো অন্ধকার ইতিহাস থেকে আজও আমরা বাহির হয়ে আসতে পারিনি।
ইসলামিক খেলাফতের উমাইয়াহ বংশের পারিবারিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর হতেই ইসলামকে ধ্বংশ করার জন্য উমাইয়াহ শাসক গৌষ্ঠি ইসলামের ঐতিহ্যকে ধ্বংশ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলো, তারমধ্যে প্রধান পদক্ষেপ ছিলো রাসুল/নবী মোহাম্মদের নামে হাদিস রচনা করে খেলাফতের অধিনস্থ মসজিদ গুলিতে সেসব প্রচার করা এবং সেগুলি সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা এবং তাঁরই ফলশ্রুতিতে রাসুলের নামে, কুরআনের ব্যাখ্যা নামে খ্যাত অসংখ্য হাদিস গ্রন্থে লক্ষ লক্ষ কুরআন বিরোধী মিথ্যা হাদিসের প্রচার ও প্রসার।

প্রচললিত তাবলীগ এই উমাইয়া বংশের উত্তর সূরী হিসাবে আজো আমাদের মাঝে লেংটি গুজে কাজ করে যাচ্ছে।

Categories
Uncategorized

মুল ধারায় খুৎবা

দাড়ি,টুপি,জোব্বা ইসলামের মান্দন্ড নয় এ সৈনিকের জ্বালাময় খুৎবা তার প্রমাণ করে দেয়। এটাই আরাফার খুৎবা.৷

Categories
Uncategorized

শিরকঃ

আরবের কাফেররা তাওরাত-ইঞ্জিল বিশ্বাস করত আল্লাহর ওহীর উপর ঈমান রাখত কিন্তু তার সাথে তারা শিরক করত। আল্লাহ বলেন :

তাদের বেশীর ভাগই আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু তারা শিরক করে। (সুরা : ইউসুফ, আয়াত :১০৬)

আর আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছে?’ তারা অবশ্যই বলবে, ‘এগুলো তো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞই ’(সুরা যুখরুফ আয়াত-৯)

কেনো ও কিভাবে শিরক করত ?
আল্লাহ যে বিধি-বিধান ওহীর মাধ্যমে দিয়েছে, তার সাথে তাদের মনগড়া কিছু রীতি রেওয়াজ বিধান হিসেবে মানতো এই জন্য তাদের দোয়া, তাবিজ, ফাজায়েলে আমল ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহকে যেন সন্তুষ্ট করতে পারে।

আল্লাহ বলেন: জেনে রাখুন, অবিমিশ্র আনুগত্য আল্লাহরই প্রাপ্য। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা তো এদের ইবাদত এ জন্যে করি যে, এরা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দেবে।(সুরা যুমার আয়াত-৩)

en_USEnglish
Powered by TranslatePress
Verified by MonsterInsights