Categories
Innovator

আকাবির

এদেশে জরুথিষ্টগন নিজেকে আকাবির দাবী করতে গর্ববোধ করে। কিন্তু কোরানে আকাবির শব্দটা এসেছে সূরা আনআমের ১২৩ আয়াতে। এখানে অপরাধীদের প্রধানকে আকাবির হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।

আমাদের জরুগন প্রকৃতই অপরাধীদের প্রধান বলেই নিজের অজান্তেই এ লকব বেছে নিয়েছে।  দেখা যাক আয়াতটি।

এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে সেখানকার অপরাধীদের প্রধানকে( আকাবিরকে)  সেখানে চক্রান্ত করার অবকাশ দিয়াছি ;৬:১২৩
وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا فِىْ كُلِّ قَرْيَةٍ اَكٰبِرَ مُجْرِمِيْهَا لِيَمْكُرُوْا

অনুরুপ চার প্রধান এর রুপান্তর নিয়ে ভাবলে  প্রমান হয় আমাদের দেশের আকাবিরগন কত বড় মাপের আকাবির।

জিব্রাঈল- আজরাঈল- মিকাঈল -ইস্রাফিল  ১৫০০ বছর
লুত -উযযা- মানত -হাবল  —- ৩০০০ বছর আগে ছিল।
ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শিব- মহেশ্বর  — ৫০০০ বছর আগে ছিল।
লুহ – শিহা – শেহেম- হেরন — ১০০০০ বছর আগে ছিল।

এরা পারসিয়ান। এই লুহ শিহা-শেহেম-হেরনের অনুসারীরা  আজো তাদের আগের মতাদর্শে ফিরিয়ে নিতে নানা কৌশল করে ইসলাম ধর্মে জাল পেতে রেখেছে। তাদের দেবতা আমুন কে যেন ভক্তি ভরে দৈনন্দিন স্মরন করে  সে জন্য ফাতেহা পাঠ শেষে আমিন (বিশ্বস্থ) বলার কৌশল ঢুকিয়ে দিয়েছে। সালাতকে সিয়ামকে তাদের মাতৃভাষায় রুপান্তর করে  নামাজ, রোজার রুপ দিয়েছে। সূর্যের আরাধনার সাথে মিল রেখে অর্চনা করার  জন্য। সিয়ামকে রোজা বলে উপবাসের মধ্যে সীমিত করে দিয়েছে।

এই আমিন জোরে না আস্তে বলা নিয়ে আবার পন্ডিত গন মহা আন্দোলনে রত। অথচ এতটুকু বোধগম্য হয় না অনুকরনকারীদের যে এই আমিন শব্দটা সূরায় আছে কি না তা যাচাই করে দেখে নি কোন দিন। আর এই আমিন শব্দের অর্থই বা কি?  তাও ভাবার সুযোগ হয় নি আকাবিরদের।।আমিন কোরানের ভাষায় বিশ্বস্ত।

Categories
Innovator

পঞ্চ স্তম্ভ

পঞ্চ স্তম্ভে সীমাবদ্ধ রাখা একটি কৌশলঃ 

এজিদের পঞ্চ স্তম্ভ থেকে বের হয়ে না আসতে পারলে তুমি এজিদের মনোনীত ইসলামের আনুগত্য করে চল। ইসলামের আবির্ভাব পঞ্চ স্তম্ভের জন্য ছিল না। বরং জমিনে ন্যায়ের হুকামাত প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছিল। আল্লাহ বলেনঃ কুন্তুম খাইরি উখরিজাতি মিনান নাস, তামারুনা বিল মারুফ ওয়া নাহিয়ানিল মুনকার। (তোমাদের মানুষের মধ্য হতে ছেঁকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসাবে নির্বাচন কর হলো এজন্য যে,  তোমরা সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে বাধা প্রোয়গ করবে)  

আয়াতে অনুরোধ করতে বলেন নাই। অর্থাৎ আদেশ বা নিষেধ না মানলে শাস্তি প্রয়োগে বাঁধা দান করতে বলেছেন।  তার মানে হুকুমাত এসে যায়।

এজিদ কিন্তু____>>>

১) কালেমা মানতো
২) নামাজ পড়তো
৩) রোজা পালন করতো
৪) হজ্জব্রতও করতো এমন কি
৫) যাকাত ও আদায় করতো।

শুধু জমিনে হুকুমাত কায়েমে ছিল বিরোধীতা। সে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকেই জিহাদ মনে করত।

হোসেনী ইসলাম আর এজিদী ইসলামের পার্থক্য এতটুকই। দুজনেই মুসলমান। আপনি কোন তাবুর মুসলমান নিজেই সনাক্ত করে নিন নিজেকে। এজিদের তাবু আগেও বড় ছিল এখনো বড়। এ জন্য এজিদের অনুসারীকে মুস্তাকবীর আর হোসেনের তাবুর অনুসারীদের মুস্তাদআফ বলা হয়।

কোরানে আল্লাহ নিজে মুস্তাদআফদের ভালবাসার কথা জানান সর্বত্র।

Categories
Innovator

৯ অক্টোবর ৬৮০ খৃঃ

৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী হোসেনের ক্যাম্পের দিকে অগ্রসর হয়। হুসাইন আব্বাসকে পাঠালেন ইবনে সা’দকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, যাতে তারা বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ইবনে সা’দ এই অবকাশ দিতে রাজি হলেন।

হুসেন তার লোকদের বলেছিলেন যে তারা সবাই তার পরিবারের সাথে রাতের আড়ালে চলে যেতে। , কারণ তাদের বিরোধীরা কেবল তাকেই চায়। খুব কম লোকই এই সুযোগটি উপভোগ করেছে।

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল: তাঁবুগুলিকে একত্রিত করে একে অপরের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁবুর পিছনে একটি খাদ খনন করা হয়েছিল এবং আক্রমণের ক্ষেত্রে আগুন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কাঠ দিয়ে ভরা হয়েছিল। এরপর হুসাইন ও তার অনুসারীরা বাকি রাত নামাজে কাটিয়ে দেন।

হুসাইনকে কুফা শহরের বাসিন্দারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, একটি শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর, সেখানে এসে উমাইয়াদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মান উত্থাপন করতে। কিছু অনুকূল ইঙ্গিত পাওয়ার পর, হুসাইন আত্মীয় ও অনুসারীদের একটি ছোট দল নিয়ে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হন।, তিনি পথিমধ্যে কবি আল-ফরাজদাকের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাকে বলা হয়েছিল যে ইরাকিদের হৃদয় তার জন্য, কিন্তু তাদের তলোয়ার গুলি উমাইয়াদের জন্য।

খলিফার পক্ষ থেকে ইরাকের গভর্নর হুসাইন ও তার ছোট দলকে গ্রেফতার করতে ৪,০০০ লোক পাঠান।

তারা কারবালা (অক্টোবর ৬৮০) নামক স্থানে ইউফ্রেটিস নদীর তীরের কাছে হুসাইনকে আটকে রাখে । হোসাইন আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করলে তাকে এবং তার সহকারীদের হত্যা করা হয় এবং হুসাইনের মাথা দামেস্কে ( বর্তমানে সিরিয়ায়) ইয়াজিদের কাছে পাঠানো। হয়। এজিদের তাবুতে তখন ত্রিশ হাজার সৈন্য। হোসেনর তাবুতে ৭২ জন। নারী বৃদ্ধ শিশু সহ ১৫০ জনের মত।

৬৮০ খৃঃ এ কারবালার যুদ্ধে আলেমগন দুই ভাগে বিভক্ত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ সব আলেম এজিদের তাবুতে হাতে গুনা নাম মাত্র কয়েকজন হোসেনের তাবুতে। হোসেনের বাহিনী পরাজিত হয়, এজিদের বাহিনী বিজিত হয়। এর পর আজ পর্যন্ত হোসেনের তাবুর কোন আলেম গড়ে উঠতে পারেনি।

এজিদের আলেম সমাজ আজো সারা বিশ্বে সায়লব হয়ে আছে। সে সময়ে আপনি বেচে থাকলে কোন তাবুতে অংশ গ্রহন করতেন ? নিশ্চয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে।। যা এখনো করছেন।।হোসনের খন্ডিত মস্তক সামনে রেখে এজিদ বলেছিল,

” আজ যদি আমার পুর্ব পুরুষরা বেঁচে থাকত তবে তারা দেখে খুশি হত বদর প্রান্তের প্রতিশোধ আমি কি ভাবে নিয়েছি।

হোসেনের তাবুর আলেম আজ পর্যন্ত জমিনে আর দেখা যায়নি, যা আছে সব এজিদের পৃষ্ঠপোষক আলেম।। এজিদ যেমন ইসলামী দল দাবী করে কারবালার যুদ্ধ করেছে বর্তমান ইসলামী দলের দাবীদারও তেমনি ইসলাম কায়েমের দাবী তুলে জনতাকে ধোকা দিয়ে নিজ ক্ষমতা দখলে প্রহসন করে চলছে।।

Categories
Innovator

এজিদের তাবু

এজিদের তাবু ৬৮০ খৃস্টাব্দ

৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী হোসেনের ক্যাম্পের দিকে অগ্রসর হয়। হুসাইন আব্বাসকে পাঠালেন ইবনে সা’দকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, যাতে তারা বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ইবনে সা’দ এই অবকাশ দিতে রাজি হলেন।

হুসেন তার লোকদের বলেছিলেন যে তারা সবাই তার পরিবারের সাথে রাতের আড়ালে চলে যেতে। , কারণ তাদের বিরোধীরা কেবল তাকেই চায়। খুব কম লোকই এই সুযোগটি উপভোগ করেছে।

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছিল: তাঁবুগুলিকে একত্রিত করে একে অপরের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁবুর পিছনে একটি খাদ খনন করা হয়েছিল এবং আক্রমণের ক্ষেত্রে আগুন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত কাঠ দিয়ে ভরা হয়েছিল। এরপর হুসাইন ও তার অনুসারীরা বাকি রাত নামাজে কাটিয়ে দেন।

হুসাইনকে কুফা শহরের বাসিন্দারা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, একটি শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ শহর, সেখানে এসে উমাইয়াদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মান উত্থাপন করতে। কিছু অনুকূল ইঙ্গিত পাওয়ার পর, হুসাইন আত্মীয় ও অনুসারীদের একটি ছোট দল নিয়ে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ঐতিহ্যগত বিবরণ অনুসারে, তিনি পথিমধ্যে কবি আল-ফরাজদাকের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাকে বলা হয়েছিল যে ইরাকিদের হৃদয় তার জন্য, কিন্তু তাদের তলোয়ারগুলি উমাইয়াদের জন্য।

খলিফার পক্ষ থেকে ইরাকের গভর্নর হুসাইন ও তার ছোট দলকে গ্রেফতার করতে ৪,০০০ লোক পাঠান। তারা কারবালা (অক্টোবর ৬৮০) নামক স্থানে ইউফ্রেটিস নদীর তীরের কাছে হুসাইনকে আটকে রাখে।হোসাইন আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করলে তাকে এবং তার সহকারীকে হত্যা করা হয় এবং হুসাইনের মাথা দামেস্কে (বর্তমানে সিরিয়ায়) ইয়াজিদের কাছে পাঠানো। হয়। এজিদের তাবুতে তখন ত্রিশ হাজার সৈন্য। হোসেনর তাবুতে ৭২ জন। নারী বৃদ্ধ শিশু সহ ১৫০ জনের মত।

৬৮০ খৃঃ এ কারবালার যুদ্ধে আলেমগন দুই ভাগে বিভক্ত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ সব আলেম এজিদের তাবুতে হাতে গুনা নাম মাত্র কয়েকজন হোসেনের তাবুতে। হোসেনের বাহিনী পরাজিত হয়, এজিদের বাহিনী বিজিত হয়। এর পর আজ পর্যন্ত হোসেনের তাবুর কোন আলেম গড়ে উঠতে পারেনি।

এজিদের আলেম সমাজ আজো সারা বিশ্বে সায়লব হয়ে আছে। সে সময়ে আপনি বেচে থাকলে কোন তাবুতে অংশ গ্রহন করতেন ? নিশ্চয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে।। যা এখনো করছেন।।

Categories
Innovator

জামায়াতের রাজনীতি ইসলামের নয়

ইসলামে রাজনীতির দর্শন হুকমত

এজিদ ও হোসেনের রাজনৈতিক দর্শন আব্দুল হামীদ ভাসানী যথাযথ অনুধাবন করেছিলেন।  তাই ৬০ এর দশকে ভাসানী তদানীন্তন মুসলীম লীগ হতে সড়ে এসে পুর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর তদানীন্তন এই মুসলীম লীগ আজ বাংলাদেশ জামায়েতী ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠিত।

#জামায়াতে ইসলামীদের ইসলামের নামে সাম্রাজ্যবাদের সেবা করার রাজনীতির মূলে প্রথম আঘাত করেছিলেন প্রথম মাওলানা ভাসানী। এটা অনস্বীকার্য অন্য সেকুলার দল গুলি হতে জামায়েতের দলের আদর্শ উত্তম। কিন্ত যখন ইসলামিক দল বলে দাবী করে তখনই প্রশ্ন আসে।

ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন ছিল : সকল সমস্যার সমাধান হইবে মানবজাতি যদি রবুবিয়তে অর্থাৎ স্রষ্টার পালনবাদের আদর্শে হুকমত কায়েম করতে হবে।
রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থাকে হুকমত বলে তার দর্শন বুঝাতো।

যেখানে  শিক্ষা-দীক্ষা, খাওয়া-পরা ইত্যাদির প্রশ্নে স্রষ্টার নিকট যেমন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ের কোনো বালাই নাই, মানুষের দৈহিক ও আত্মিক চাহিদার ক্ষেত্রে যেমন ভেদাভেদ নাই, ঠিক তেমনি হুকমতে রাব্বানিয়ায় সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে সকল নাগরিককে সমান সুযোগ ও অধিকার দেওয়া হইবে।

কেউ কেউ প্রশ্ন করিতে পারেন হুকমতে রাব্বানিয়া কিভাবে অমুসলমানদের আপন করিয়া লইবে? যাঁহারা রবুবিয়তের মর্ম বোঝেন না তাঁদের এই প্রশ্ন করা খুবই স্বাভাবিক। রবুবিয়ত কোনো ধর্মের কথা নহে। উহা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি স্বতঃসিদ্ধ বিধান। তাই হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল মানুষের জন্য হুকমতে রাব্বানিয়া অর্থাৎ যে দেশে রবুবিয়তের আদর্শ রাষ্ট্রীয় ভিত্তিতে কায়েম হইয়াছে, কল্যাণকর বৈ কিছু নয়। মুসলমানের জন্য যিনি রব বা পালনকর্তা, বিবর্তনকারী প্রভু, হিন্দুদের জন্য তিনি একই বিধানে আলো, হাওয়া, ফল, পানি, বস্ত্র, খাদ্য সবই জোগাইতেছেন, একমাত্র রবুবিয়তের আদর্শই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করিতে পারে।’

উপমহাদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল জাতীয়তা বাদী আন্দোলনে মওলানা ভাসানী একজন প্রধান নেতার ভূমিকা পালন করেছেন।

আসাম প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন, কিন্তু পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রেখেছেন উল্লেখ যোগ্য অবদান। প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’।

যে দুটি দলের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা, সেই আওয়ামী লীগ বা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সম্পূর্ণ আধুনিক ও সেক্যুলার সংগঠন ছিল। পরবর্তিতে শেখ মুজিবর ভাসানীর  ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে রুপ দেয়।

বাংলাদেশের বাম রাজনীতির তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক। কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের তিনি ছিলেন পুরোধা। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা আজও জাতিকে পথ দেখাতে পারে।

Categories
Innovator

সালাত সর্বক্ষন

সালাত মানে কুরআনের নিরবিচ্ছিন্ন অনুসরণ Close Following Quran . তাছাড়া ও সালাতের অনেক অর্থ আছে। যেমন দোয়া, আশীর্বাদ, স্মরণ, ট্রেনিং, কুরআন ইত্যাদি।

তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব (কুরআন) আবৃত্তি কর এবং নামাজ প্রতিষ্ঠিত কর। নিশ্চয়ই নামাজ বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে। (২৯:৪৫)
এখানে صلوة সালাতের অনুবাদ ধরে নিলাম প্রচলিত নামাজ।

কিন্তু বাস্তবে আমরা হাজারো নামাজিকে দেখছি নামাজ পড়া সত্যেও মিথ্যা কথা বলা, সুদ, ওজনে কম, যেনা ইত্যাদি করেই যাচ্ছে। শুধু নামাজ ত তাদের পাপ হতে বিরত রাখছে না। তাহলে কুরআন কি ভুল? না অনুবাদ ভুল?
আর এখানে صلوة সালাতের অনুবাদ কুরআনের অনুসরণ ধরে অনুবাদ করা হল কি দাড়ায়?

তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব আবৃত্তি কর এবং কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠিত কর। নিশ্চয়ই কুরআনের অনুসরণ বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে।

কুরআনের أَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰ আক্বিমুস সলাহ মানে যদি হয় কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠা তাহলে সলাত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যথার্থ হয়।

অপর দিকে আক্বিমুস সলাহ মানে যদি হয় নামাজ প্রতিষ্ঠা তাহলে সমাজে নামাজি থাকা সত্যেও অপরাধী কমবে না। সালাত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ব্যর্থ হয়।

এরকম আরও অনেক আয়াত আছে যার দ্বারা বুঝা সহজ প্রচলিত নামাজ কুরআনে বর্ণিত সলাত না?

Categories
Innovator

এজিদের তাবু

এজিদের তাবু

রাত জাগে সব জংলী হায়েনা
শিক্ষার আলো দেখতে চায় না
মানুষের মত দেখতে হলেও
সবাই কিন্তু মানুষ হয় না।।

থামলে কেন? চলতে হবে
মারবে যত মারবি তত
পথে আবার নামতে হবে
লড়াই করেই বাচতে হবে।
ধর্মটাকে সামনে রেখে
নে কেড়ে নে আবেগটাকে
ধোকায় পড়ে বুদ্ধু সবে
এজিদের তাবু শক্ত করে।।

পথের বাকে পথ হারায়ে
আবার খুজিস কিসের তরে
ধর ঝান্ডা তুই শক্ত হাতে
হোসেনের তাবু ফিরিয়ে পেতে
বাঁচতে হলে লড়তে হবে
লড়তে হবে ন্যায়ের পথে।।

Categories
Innovator

প্রতিবাদ

প্রতিবাদ কন্ঠ

Categories
Innovator

ইসলামে রাজনীতিঃ

ইসলামে ধর্মের নামে রাজনীতি সৃষ্টির সূতিকা ঘর এজিদ। আর সে রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিল পিতা মুয়াবিয়া।

এজিদই প্রথম হোসেনকে প্রতিপক্ষ করে ধর্মীয় আবেগের রাজনৈতিক প্রথা চালু করে। সে সময়ে এজিদের সমর্থনে কোন হিন্দু খৃষ্টান বা কাফের সপ্রদায় ছিল না। তৎসময়ের শ্রেষ্ট আলেমগনই এজিদের তাবুতে ছিল। আর হোসেনের তাবুতে ছিল মাত্র ৭২ জন। হোসেন তাবুর ৭২ জন নির্মম ভাবে এজিদের বিশাল বাহীনির কাছে পরাজিত হয় । সেদিন জুম্মার আযান হোসেনের তাবুতেও হয়েছিল এজিদের তাবুতেও। কিন্তু দুই আযানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি এক ছিল? রণক্ষেত্র থেক্র হোসেনের পবিত্র মস্তক শিরোচ্ছেদ করে এজিদের সামনে পেশ করা হল। এজিদ শুকরিয়ার আদায় করে বলেছিল , ” আজ যদি আমার পুর্ব পুরুষগন বেঁচে থাকতো তবে তারা দেখতে পেত বদর প্রান্তের প্রতিশোধ আমি কি ভাবে নিয়েছি।

অতঃপর হোসেনের নির্মম পরাজয়ের মাধ্যমে এজিদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠত হল । তার পরিষদে কোন হিনদু বা কাফেররা ছিল না বর্তমান আব্বাসী, হামজা, আজাহারী গং দের মত আলেমরাই ছিল।

চিরতরে কবর হল ইসলামী শাসন ব্যবস্থা। কায়েম হয়ে গেল ইসলামী আবেগ মাখা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল ব্যবস্থার ইসলামী দল। সেই এজিদের ইসলামী রাজনৈতিক দল বংশ পরম্পরায় এশিয়া মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়লো।

তারই ধারাবাহিকতায় চলছে ইসলামিক রাজনৈতিক দলের মহা উৎসব আজো। সেই সাথে এজিদ আদর্শের আলেমরা এখনো একই ছাচে ধর্ম ও রাজনীতি অঙ্গনে সায়লব হয়ে আছে।
এজিদের সে আলেম সম্প্রদায় আজো সর্বত্র বিদ্যামান। একই কৌশলে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে ব্যস্ত, ইসলাম না। ইসলাম শব্দটি ব্যবহার করে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে দল ভারী করার জন্য ব্যতিব্যস্ত আলেম।

এজিদের সৈন্যরা মদীনার মসজিদকে ঘোড়ার আস্তাবল করে শত শত নারীকে গনিমতের অর্জিত মাল বলে নির্বিচারে ধর্ষন করে গর্ভবতী করেছিল। সাথে অট্টহাসি দিয়ে বলতো এজিদের বংশ বিস্তার হোক মদীনাতে। পাকিস্তানের ইসলামী দলের অনুসারী বাংলাদেশের ইসলামী দলের দাবীদারদের দেখলেও সেই একই কথা মনে পরে।

না বললেই নয় ৭১ এ মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনা প্রধান জেনারেল নিয়াজী বলেছিল বাংলাদেশী মেয়েদের ধর্ষন করে গর্ভবতী করে দাও যাতে এদের পরের প্রজন্মে আমাদের রক্ত প্রবাহিত থাকে তাতে ৫০ বছর পরে হলেও আমাদের সমর্থন করবে একদিন এরাই।

আর তাদের সমর্থনে ছিল তৎসময়ের জামাতে ইসলামের কর্মী সমর্থক নেতৃবর্গ আল-বদর, আল-সামস, রাজাকার নামে আনছার বাহিনীর দল। তারা এ বাংলাদেশরই সন্তান ছিল। কিন্তু ধর্মীয় আবেগে এতটা অন্ধ হয়ে কাজ করত যে নিজের প্রতিবেশী বোনকে পাকসেনার হাতে তুলে দিয়ে সোয়াবের কাজ করেছে মনে করতো। ঐ যে এজিদী আলেম মগজ ধুলাই করে দিয়েছিল ইসলামের আবেগ দিয়ে। আফসোস ধর্ম আবেগী মুসলমান নিয়ে,, আজো জানতে বা বুঝতে চেষ্টা করলো না ধোকা কোনটি? সত্য কোনটি? হোসেন না এজিদ????

Categories
Innovator

নূর না মাটিরঃ

১) বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ।
২) বল,  আমি কি তোমাদের সকলের মত  মানুষ?

উপরে উল্লেখিত বাক্য দুটি কখনোই একই মর্ম বা  অর্থ প্রকাশ করে না।
২ য় বাক্যে কি প্রশ্নবোধক শব্দ থাকায় অর্য না বোধক দ্বারায়।  মানে আমি তোমাদের মত মানুষ নই। আর ১ম বাক্য দ্বারা বুঝায় হা বোধক, অর্থাত আমি তোমাদের মত মানুষ।
এবার নিজে অনুবাদ করে দেখুন ——

قُلْ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ (১৮:১১০)
ক্বুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিছলুকুম।
এবার নিজে অনুবাদ করে দেখুন অর্থ কি দারায়?  পুরো বিপরীত। শুধু   مَاۤ  (মা) অব্যয় পদটির অর্থ গোপন করায়।  আমরা জানি مَاۤ অব্যয়টি অর্থ ” কি / যা/ না” অর্থাত প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার হয়।  এই مَاۤ শব্দটি সমগ্র কোরানে মোট ২৫৬৫ বার ব্যবহার হয়েছে।
১)  قُلْ  ( ক্বুল) =  বলো, 
২) اِنَّمَاۤ (ইন্না-মা) =   কি / মুলত
৩) اَنَا  ( আনা) = আমি
৪) بَشَرٌ  ( বাশার) = মানুষ
৫)مِّثْلُكُمْ ( মিছলুকুম) =  তোমাদের (সকলের) মত

এখানে مِّثْلُكُمْ মুল শব্দ مِّثْلُ (মাছাল) অর্থ মত বা ন্যায়।
আর كُمْ (কুম) অর্থ তোমাদের সকলের ( বহুবচন)

এমন অনেক আয়াতের বাংলা অনুবাদ সঠিক না থাকায় মানুষ বিপরীত কিছু বুঝে বসে থাকে।  অথচ আমাদের মাদ্রাসা গুলো এদিকে কোন মনোযোগ দেয় না আজো।

কোন আরবী শিক্ষিত পোস্ট পড়ে থাকলে দয়া করে মতামত জানাবেন।  কারন বিজ্ঞ আলেম দের করা অনুবাদকে ভুল বলা আমার মত নগন্যের দুঃসাহসিকতা যদিও শুভন নয়। কিন্তু সামান্য গ্রামার জ্ঞান থাকায় আমাকে প্রশ্নের সন্মুউখিন করে তুলেছে।

en_USEnglish
Verified by MonsterInsights