ধর্মীয় উপাসনালয়কে চাকচিক্য করে, নীতি নৈতিকতা ভুলে গিয়ে এই কোন ধর্মে পতিত হচ্ছে পৃথিবীর সব হিন্দু, মুসলিম, ইহুদী, খৃষ্টান?
ইসলাম প্রচারের গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলি মানবতার কল্যাণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অনেক জনপদের পুরো চিত্রই পাল্টে দিয়েছিল। মসজিদ কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা, বালাখানা প্রতিষ্ঠা করে, সাধারন মানুষের শিক্ষা গ্রহন থেকে, অসহায় মানুষের বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ এমনকি মুসাফিরদের অন্তত ঘুমিয়ে একটা রাত পার করার সুযোগ ইসলাম ধর্মকে বিশেষত্ব দান করেছিল।
বিশেষ করে সুফি সাধকদের খানকাহ সংলগ্ন মসজিদে সে সময়ে একটি লঙ্গরখানা সব সময় থাকতো।
সেখানে হিন্দু মুসলিম তথা জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রবেশাধিকার এবং খাবার খাওয়ার সুযোগ ছিল।
সময়ের আবর্তে সেই মসজিদের চাকচিক্য বেড়েছে বহুগুণে। তবুও প্রতিদিন চলে নানাভাবে চাঁদা আদায়।
আর এইভাবে একটা পর্যায়ে গণমানুষের সঙ্গে তৈরি হয়ে গেছে মসজিদের দূরত্ব। নামাজের সময় প্রথম ছাড়া বাকি পুরোটা সময় মসজিদগুলো তালা মারা থাকে।
কিন্ত আমার আপনার অর্থায়নে নির্মিত মসজিদের গেইটে যদি তালা ঝুলতে থাকে সব সময় তবে লাভ কি হলো?
ওয়াক্ত শেষ হতে না হতেই দেখি বেশিরভাগ মসজিদের গেইটে তালা ঝুলে!!
নতুন প্রজন্ম ফিরে যাক আবার মুলের দিকে, ফিরিয়ে আনুক প্রকৃত ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থাকে।
ধর্মকে যখন হতে জীবকা হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে তখন থেকেই ধর্ম তার স্বকীয়তা হারিয়ে বিশেষ স্তম্ভের আচার-অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।