নির্বাসিত সরকার ও পাহাড়ী সহিংসতাঃ
আওয়ামী সরকার পালিয়ে ভারতে স্বেচ্ছায় নির্বাসন এবং সমসাময়িক পাহাড়ী সহিংসতা ১৯৫০ সালের তিব্বতের লামাইমার নির্বাসিত সরকার গঠনের ইতিহাসকে হাতছানী দেয় কি? এ বিষয়ে ভাবতে গেলে পিছন ফিরে তিব্বতের ইতিহাস জানা আবশ্যক।
১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিব্বত ধর্মীয় নেতা দালাইলামা দ্বারা শাসিত ছিল তিব্বত।
১৯৫০ সালের শেষের দিকে চীনের মুল ভুখন্ডে সফল বিপ্লবের আয়োজন করে কমিউনিস্ট পার্টির স্বসশ্র নেতারা। ঐ সময় তিব্বতের দালাইলামার সাথে একটি চুক্তি হয় চীনের। প্রাক চয়নিক সভ্যতার নিদর্শন তিব্বত মালভুমি। যার বর্তমান রাজধানী লাসা। এরা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।
চুক্তি অনুযায়ী তিব্বতের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন চীনের হাতে থাকলেও স্বায়ত্ত শাসনের ক্ষমতা ও প্রসাশনিক কেন্দ্র দালায়লামের নিকট প্রদান করা হয় । তিব্বত বাসীরা এ চুক্তিতে সম্মত না হয়ে ১৯৫৯ সনে চীন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। যার ফলে তিব্বতের দালায়লামা পালিয়ে ভারতের হিমাচল প্রদেশে সেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। সেখানে তিনি নির্বাসিত সরকার ব্যবস্থা নামে একটি সরকার ব্যাবস্থাও গঠন করেন। দালায়লামার এই সেচ্ছা নির্বাসনকে পুঁজি কর পুরো তিব্বত জুড়ে আগ্রাসী সংস্কার চালায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। যার ধারাবাকিকতায় প্রায় ছয় হাজার উপসানালয় ভেঙে ফেলা হয়। চীনা সৈন্যদের হাতে প্রায় ১২ হাজার তিব্বত অধিবাসী নিহত হয়। ভারতের হিমাচলে আশ্রয় নেয়া দালায়লামের উপর চীনের আগ্রাসনের জন্য এই তিব্বত ইস্যুতে ১৯৬২ সনে চীন ও ভারত স্বসশ্র যুদ্ধের মুখোমুখি হয়ে ছিল।
এটি এখন সরাসরি আঞ্চলিক সরকারের এখতিয়ারের অধীনে লাসা যার রাজধানী। যার সীমান্তে চীন, ভারত, বার্মা ও পাকিস্তান।
রাঙামাটি, খাগড়াছরি, বান্দর বনে আদীবাসী দাবীদারদের অধিকাংশ চীন ও বার্মা ও ত্রিপুরার অনুপ্রবেশ কারী উপজাতী গোষ্ঠী। তাদের অস্ত্র সরবরাহও রাখাইন, চীন ও ত্রিপুরা। তারা নিজেকে তাই আদিবাসী দাবী করে। বাঙালী স্বীকার করে না। রুহীঙা অনুপ্রবেশ মাস্টার পরিকল্পনা সে ধারাবাহিক তারই একটি অধ্যায়। আমাদের প্রকৃত পাহাড়ী উপজাতী গোষ্ঠিরা হিংস্র নয় এমন কি বাঙালী হতে আলাদা দাবীও করে না। তাদের উস্কানী দেয় চীনা, রাখাইন ও ত্রিপুরা হতে অনুপ্রেবেশ কারী উপজাতী গোষ্ঠি।
এবার যদি এমন হয় বাংলাদেশের পালিয়ে যাওয়া এবং স্বেচ্ছায় নির্বাসীত আওয়ামী সরকার তিব্বতের দালাইলামের মত অরুনাচলে নির্বাসিত না হয়ে ত্রিপুরায় নির্বাসিত অস্থায়ী সরকার গঠন করে বার্মার পৃষ্ঠ পোষকতায় রাখাইন হয়ে রাঙ্গামাটি বান্দরবন খাগরাছড়ি কক্সবাজার নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থায় একটি স্বায়ত্ব সাশিত প্রদেশিক রাজ্য গঠনের পরিকল্পনা করে তখন বাংলার নতুন এক অধ্যায় মানচিত্রে স্থান করে নিবে।
এসব কিছু তিব্বতের ইতিহাস থেকে লিখা মাত্র। নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য বা সূত্রের সংশ্লিষ্টতা নেই এতে।
2 replies on “তিব্বতের নির্বাসিত সরকার দালালাইমঃ”
Great Article bro, monperatoto login daftar sekarang
Thank you for your feeling