ইসলামে ধর্মের নামে রাজনীতি সৃষ্টির সূতিকা ঘর এজিদ। আর সে রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়েছিল পিতা মুয়াবিয়া।
এজিদই প্রথম হোসেনকে প্রতিপক্ষ করে ধর্মীয় আবেগের রাজনৈতিক প্রথা চালু করে। সে সময়ে এজিদের সমর্থনে কোন হিন্দু খৃষ্টান বা কাফের সপ্রদায় ছিল না। তৎসময়ের শ্রেষ্ট আলেমগনই এজিদের তাবুতে ছিল। আর হোসেনের তাবুতে ছিল মাত্র ৭২ জন। হোসেন তাবুর ৭২ জন নির্মম ভাবে এজিদের বিশাল বাহীনির কাছে পরাজিত হয় । সেদিন জুম্মার আযান হোসেনের তাবুতেও হয়েছিল এজিদের তাবুতেও। কিন্তু দুই আযানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি এক ছিল? রণক্ষেত্র থেক্র হোসেনের পবিত্র মস্তক শিরোচ্ছেদ করে এজিদের সামনে পেশ করা হল। এজিদ শুকরিয়ার আদায় করে বলেছিল , ” আজ যদি আমার পুর্ব পুরুষগন বেঁচে থাকতো তবে তারা দেখতে পেত বদর প্রান্তের প্রতিশোধ আমি কি ভাবে নিয়েছি।
অতঃপর হোসেনের নির্মম পরাজয়ের মাধ্যমে এজিদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠত হল । তার পরিষদে কোন হিনদু বা কাফেররা ছিল না বর্তমান আব্বাসী, হামজা, আজাহারী গং দের মত আলেমরাই ছিল।
চিরতরে কবর হল ইসলামী শাসন ব্যবস্থা। কায়েম হয়ে গেল ইসলামী আবেগ মাখা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল ব্যবস্থার ইসলামী দল। সেই এজিদের ইসলামী রাজনৈতিক দল বংশ পরম্পরায় এশিয়া মহাদেশেও ছড়িয়ে পড়লো।
তারই ধারাবাহিকতায় চলছে ইসলামিক রাজনৈতিক দলের মহা উৎসব আজো। সেই সাথে এজিদ আদর্শের আলেমরা এখনো একই ছাচে ধর্ম ও রাজনীতি অঙ্গনে সায়লব হয়ে আছে।
এজিদের সে আলেম সম্প্রদায় আজো সর্বত্র বিদ্যামান। একই কৌশলে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে ব্যস্ত, ইসলাম না। ইসলাম শব্দটি ব্যবহার করে ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে দল ভারী করার জন্য ব্যতিব্যস্ত আলেম।
এজিদের সৈন্যরা মদীনার মসজিদকে ঘোড়ার আস্তাবল করে শত শত নারীকে গনিমতের অর্জিত মাল বলে নির্বিচারে ধর্ষন করে গর্ভবতী করেছিল। সাথে অট্টহাসি দিয়ে বলতো এজিদের বংশ বিস্তার হোক মদীনাতে। পাকিস্তানের ইসলামী দলের অনুসারী বাংলাদেশের ইসলামী দলের দাবীদারদের দেখলেও সেই একই কথা মনে পরে।
না বললেই নয় ৭১ এ মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনা প্রধান জেনারেল নিয়াজী বলেছিল বাংলাদেশী মেয়েদের ধর্ষন করে গর্ভবতী করে দাও যাতে এদের পরের প্রজন্মে আমাদের রক্ত প্রবাহিত থাকে তাতে ৫০ বছর পরে হলেও আমাদের সমর্থন করবে একদিন এরাই।
আর তাদের সমর্থনে ছিল তৎসময়ের জামাতে ইসলামের কর্মী সমর্থক নেতৃবর্গ আল-বদর, আল-সামস, রাজাকার নামে আনছার বাহিনীর দল। তারা এ বাংলাদেশরই সন্তান ছিল। কিন্তু ধর্মীয় আবেগে এতটা অন্ধ হয়ে কাজ করত যে নিজের প্রতিবেশী বোনকে পাকসেনার হাতে তুলে দিয়ে সোয়াবের কাজ করেছে মনে করতো। ঐ যে এজিদী আলেম মগজ ধুলাই করে দিয়েছিল ইসলামের আবেগ দিয়ে। আফসোস ধর্ম আবেগী মুসলমান নিয়ে,, আজো জানতে বা বুঝতে চেষ্টা করলো না ধোকা কোনটি? সত্য কোনটি? হোসেন না এজিদ????