Categories
My text

মহাশুন্যঃ

কোরআনকে কেন বিজ্ঞানময় বলেঃ

পৃথিবী স্থির না কি সূর্য স্থির?  কোরানের সাথে বিজ্ঞানের সাংঘর্ষিক বক্তব্যের সমালোচনাঃ

★আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে। [২৭:৭৫]

★(১) পৃথিবীর কিছু জায়গা আছে যেখানে বছরে ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত থাকে অথচ সূর্য ১ স্থানে স্থির নয়। তাহলে কিভাবে সেসব স্থানে এই রাত দিন সম্ভব ? জবাব,-সূর্যের আলো থাক বা না থাক রাতের অন্ধকার এবং দিনের আলো আলাদা আলাদা পর্দা, শক্তি বা  আবরন। পবিত্র কোরআনে আছে,-“তিনি রাতকে দিনের ভিতরে প্রবেশ  করান এবং দিনকে রাতের ভিতরে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত। [৫৭:৬] আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।[৪০:৬১] “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [২১:৩৩] সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [ ৩৬:৪০]

★(২) কথায় আছে,- কান টানলে মাথা আসে এবং তদন্তে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। পৃথিবী ঘুরছে সাথে ঘুরছে বায়ুমণ্ডলও।এখন প্রশ্ন :-স্যাটেলাইট কি বায়ুমণ্ডলের ভিতরে নাকি বাইরে? যদি ভিতরে থাকে তাহলে যার যার স্যাটেলাইট তার তার দেশের আকাশ সীমানার ভিতরে আছে,আর যদি বাইরে থাকে তাহলে তাহা অন্য দেশের আকাশ সীমানার উপরে চলে যাবে কারণ পৃথিবী নিজ অবস্থানে ঘুরছে এবং তাহা অন্য দেশের নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। এবং এই স্যাটেলাইট  তার নিজ দেশের সার্বক্ষণিক ম্যাসেজ দিতে সক্ষম নয়। বায়ুমণ্ডলের উপরে মানে মহাশূন্যে যদি থাকে তাহলে স্যাটেলাইট কিভাবে পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবে যেখানে পৃথিবী এক স্থানে থাকেনা, মানে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ৩৬৫ দিনে ঘন্টায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার বেগে প্রদক্ষিণ করে। স্যাটেলাইট ও কি সূর্যকে  পৃথিবীর মতো সমান তালে প্রদক্ষিণ করার ক্ষমতা রাখে ? অস্থীর পৃথিবীকে নিরাপদ রেখেছে বায়ুমণ্ডল তাহলে প্রশ্ন:- চলমান স্যাটেলাইটকে অক্ষত রাখলো কে যদি তা বায়ুমণ্ডলের বাইরে থাকে এবং ঘন্টায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার বেগে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।  স্যাটেলাইটের একটা নাট বল্টুও  কি  খুঁজে পাওয়া যাবে ? বায়ুমণ্ডলের বাইরে অবস্থান থাকলে মধ্যকর্ষণ শক্তির প্রভাব থাকার কথা নয়, তারপরও  মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব থাকলে নিজ দেশের সীমানা পার হবার কথা নয় । বায়ুমণ্ডলের বাইরে স্যাটেলাইট থাকলে কি করে তা না হারিয়ে নিজ নিজ দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পৃথিবী সহ অন্য গ্রহ উপগ্রহের ছবি  ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করতে পারে যেহেতু পৃথিবী ঘোরার সাথে স্যাটেলাইটও ঘুরে ? আমার মূল প্রসংগ স্যাটেলাইটকে ঘিরে নয়, আমার মূল প্রসংঙ্গ পৃথিবী চাদঁ সূর্যকে ঘিরে । পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে নাকি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে । পৃথিবী স্থির তাই স্যাটেলাইটও স্থীর। পৃথিবী যদি অস্থীর হয় তাহলে স্যাটেলাইটও অস্থীর হবে  এটাই হচ্ছে আমার মূল প্রসংগ।

পবিত্র কোরআনে  আছে, -“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [৩৫:৪১”]।

★৩) জানুন, -পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত এবং সূর্যে যেতে কত কিলোমিটার বেগে কত সময় লাগতে পারে ? একটি  ঘড়ির মতো সূর্যকে সেন্টারে রেখে ঘণ্টা বা মিনিটের কাটার মতো পৃথিবীর যদি একই জায়গায় ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন লাগে তাহলে এই মাথা থেকে ঐ মাথায় যেতে লাগবে অর্ধেক সময় মানে ১৮২`৫ দিন। আর সেন্টার মাপলে তার অর্ধেক মানে মাত্র ৯১`২৫ দিন বা তারও কম সময় যেহেতু এ্যাংগেলে ঘুরে নয় বরং সোজা যাবে। গবেষকগন বলছেন দূরত্ব প্রায় ১৫কোটি কিলোমিটার, মানে ঘণ্টায় যায় ৬৬,৬৬৬ কিলোমিটার যেতে হয় । পৃথিবী এত বেগে চললে কারো কি সাধ্য আছে পৃথিবী থেকে বের হয়ে সেখানে আবার ফিরে আসা যেমন বিদ্যুৎ বেগে চলন্ত ট্রেনে লাফ দিয়ে উঠা ?  পৃথিবীর সাথে চাদঁও সূর্যকে আরো বেশী বেগে প্রদক্ষিণ করছে কারণ সূর্যের পাশাপাশি চাদঁ পৃথিবীকেও প্রতিদিন প্রদক্ষিণ করছে এবং সাথে সাথে লাটিমের মতোও নিজ জায়গায় ঘুরছে।  নভোচারী বা রবোটদের টার্গেট স্থানে আসতে আসতে পৃথিবী চাদঁ উধাও হয়ে যাবে। যদি পৃথিবীর সীমারেখা পার হয়ে কেউ বা কিছু সত্যি সত্যি বাইরে যায় এবং ফিরে আসতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে “পৃথিবী স্থীর “এবং পৃথিবী নয় বরং বাকী সবকিছুই পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। পবিত্র কোরআনও একই দলিল দিচ্ছে -” নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? [ ৩৫:৪১]।

★৪) মহাকাশ আলোকিত নাকি অন্ধকার? যেহেতু সূর্যের আলোর কারণে পৃথিবীর কোন্ এক সাইড বা দিকে দিন হয় এবং সূর্য কখনোই ডুবেনা,এবং একই ভাবে আলো ও তাপ দেয় সেহেতু মহাকাশ সর্বদা আলোকিত। রাত শেষে সূর্য মুখী পৃথিবীর একটি দিক  দিনে প্রবেশ করে মানে আলোকিত হয়। রাতে সূর্যের বিপরীত দিক থাকায় ভূপৃষ্ঠে এবং আশেপাশে  সূর্যের আলো না পরায় এবং ছায়ার কারণে অন্ধকার থাকে, কিন্তু দূর থেকেও মহাকাশকে অন্ধকার দেখায় কেন ? পবিত্র কোরআনে আছে-তিনি রাতকে দিনের ভিতরে প্রবেশ  করান এবং দিনকে রাতের ভিতরে। তিনি অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কেও সম্যক জ্ঞাত। [৫৭:৬] আল্লাহ, যিনি তোমাদের জন্য রাত বানিয়েছেন যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।[৪০:৬১] “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [ ২১:৩৩] সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ।  [৩৬:৩৮] এখানে বলা হয়েছে সূর্য চাদেঁর মতো মানে লাটিমের ন্যায়  ঘুরছে। উপরোক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে সূর্যও  চন্দ্রের মতো আপন কক্ষপথ আছে এবং ঘুরে। অপর আরেকটি আয়াতে বলা আছে-“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে ? [৩৫:৪১] এই আয়াতে আসমানে এবং পৃথিবীকে স্থীর বলা হলে  উপরোক্ত ২ টি আয়াতে এটি দাড়ালো যে, -“আসমান এবং পৃথিবী স্থীর, সূর্য এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারপাশে তাদের নিজ কক্ষপথে ঘুরে”। অনেকের মতে এখানে নিজ কক্ষপথ বলতে লাটিমের ন্যায় ঘুরা বুঝিয়েছেন, প্রদক্ষিণ নয় । তাহলে তাদের নিকট প্রশ্ন :-“যদি তা-ই হয় তাহলে ঘণ্টায় ৬৬,৬৬৬ বেগে পৃথিবী ঘুরলে চাদেঁ মংগলে নভোচারী রোবট গেলে আবার কত কিলোমিটার বেগের নভোযান নিয়ে তারা আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে?দুনিয়ার সবাইতো আর মানসিক প্রতিবন্ধী নয়। পৃথিবী  ঘণ্টায় ৬৬৬৬৬ বেগে চললে এবং নিজ অবস্থানে ঘুরলে পৃথিবী বাসযোগ্য থাকতো কোন থিউরীতে ? আমি  কিছু কোরআন না পড়ুয়া গবেষকদের কঠোর সমালোচনা করছি। পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতের গবেষণা করে নিচে বর্ণিত কিছু যুক্তি এবং প্রমাণ তুলে ধরলাম।

★৫) আলোকিত মহাকাশে আলোর ভিতর দিয়ে আলোর গতিবেগ পরিমাপ করে গবেষকদের আলোকবর্ষ হিসাব সত্যিকার অর্থে আশ্চর্যজনক মাইল ফলক আবিষ্কার যাহা প্রমাণের দলিল নাই, মানে ১ সেকেন্ডে আলো কতটুকু দূরে আসলেই গেলো এবং সেখানে তারা পৌছে মেপেছে এই রকম কোন দলিল নেই।

★৬) যাই হোক এবার আসি একটি ছোট্ট গবেষণায়, -“ঘুরছে এমন কিছুর উপর দাড়িঁয়ে  জাম্প বা  লাফ দিয়ে ঠিক ঐ একই স্থানে বা টার্গেট স্থানে পৌঁছানো যাবেনা । চাদঁ ঘুরছে তাই একই স্থানে কেউ লাফ দিয়ে একই স্থানে বা টার্রগেট স্থানে কেউ নামতে পারে না বা নামতে পারবেনা চ্যালেঞ্জ । পৃথিবী স্থীর তাই টার্গেট স্থানে কিছু ফেলা বা অবতরণ করা সম্ভব।

★৭) কিভাবে গবেষকরা বলতে পারে যে,- পৃথিবী তার নিজ অক্ষে ঘুরছে, যেখানে যত উপরে উঠা যায় তত মেঘের নিচে সব সমুদ্র দেখায় ? যদি পৃথিবী ঘুরতো তাহলে ঢাকা থেকে বিমান সৌদি আরবে উড়ে যেত না।বিমান বা হেলিকপ্টার সোজা উড়ে উপরে বসে/স্থীর থাকতো, পৃথিবী ঘুরে সৌদি আরব নিচে চলে আসতো আর বিমান বা হেলিকপ্টার  নিচে নেমে অবতরণ করতো। যদি পৃথিবী এক দিক থেকে আরেক দিকে ঘুরতো তাহলে বাতাস শুধু বিপরীত দিক থেকে আগত থাকতো মানে এক দিক থেকে প্রবাহিত হতো। একটা নদী বা একটা সমুদ্রের তীরে গিয়ে পাবেন-” ঢেউ এবং বাতাস আপনার দিকে আসছে। আপনি যদি ঘুরে সমুদ্রের অন্য দিকে যান তা-ও ফলাফল একই রকম পাবেন, আবার যদি  একদমই উল্টো দিকে যান  ধরুন আগে ছিলেন ভারতে আর এখন গেলেন শ্রীলংকায় তারপর আবারও দেখবেন বাতাস এবং ঢেউ আপনার দিকেই আসছে। আপনি বেশী দূরে নয় যে কোন একটা দ্বীপে যান, ধরুন সেন্টমার্টিন দ্বীপে যান সেই দ্বীপের যে কোন দিকের সমুদ্রের সামনে যাবেন, আপনি পাবেন বাতাস এবং ঢেউ আপনার দিকেই আসছে। এটা সম্পূর্ন আল্লাহরই কারিশমা। পুরা বিষয়টার কোন্ ব্যাখা কোন গবেষক বিভ্রান্ত ছাড়া কোন ব্যাখা আপনাকে দিতে পারবেনা।

★৮) পৃথিবী যদি নিজ কক্ষে ঘুরে দিন রাত হয়ে থাকে এবং বছরের সাথে তাল মিলিয়ে সূর্যের কাছে বা দূরে যায় যাহার কারণে ঋতু পরিবর্তন হয় তাহলে একই সময় ইংল্যান্ড বাংলাদেশে গরমকাল আর সেই একই সময় অষ্ট্রেলিয়াতে শীত কাল হবে কেন ? এসব আল্লাহর কারিশমা বুঝা ছাড়া মাথা নষ্ট করে কোনই লাভ নাই। নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে সব নিচের দিকে নামে  সূত্রটি যেমন ভূল প্রামাণিত হয়েছে মদিনা গিয়ে তেমনি বিজ্ঞানের এই নিজ কক্ষে ঘুরার সুত্রটিও ভূল এটা তারাই আবার গবেষণা করলেই পাবে।

★ ৯) সাথে বসে থাকা মানুষটির শরীর থেকে রক্ত  কফ মল মূত্র বের না করে শরীরে  নানান রোগ ভাইরাসের রেজাল্ট ঘোষণা করা অসম্ভব, অথচ সুদূর  সূর্য থেকে মাটি বা কোন উপাদান সংগ্রহ না করে সূর্য কি কি উপাদান দিয়ে গঠিত এবং তা সব সময় জ্বলছে  তা বলা  পীর মানে গবেষক আর তাদের শেখানো মুরিদদের পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়, আবার আসে তারা পণ্ডিত পরিচয় দিয়ে মহা জ্ঞানী সাজতে। মূলত সূর্য আল্লাহর কারিশমা যাহা উনি না বললে কারো কিছুই জানা অসম্ভব। তেমনি শত আলোক বর্ষ দূরের গ্রহের বেলায়ও আমার এমনটাই মতমত।

★১০) আপনি একটি চাকা বিশিষ্ঠ চেয়ারে বসুন এবং মাঝখানে কিছু একটাকে ভিডিও করুন। ওটা স্থীর থাকবে আর আপনি চারদিকে ঘুরে ভিডিও করুন। ভিডিওটার ছবি দেখলে মনে হবে -আপনি স্থীর আছেন আর সামনের জিনিসটা ঘুরছে । যেহেতু পৃথিবীর চারপাশে সব ঘুরছে আর আপনি চাদঁ বা অন্য কোন গ্রহে বসে ভিডিওটা করছেন সেহেতু মনে হবে আপনি স্থীর আছেন আর পৃথিবী ঘুরছে।

★১১) পৃথিবী যদি ঘুরতো তাহলে এক এক দেশের স্যাটেলাইট তার নিজ দেশের তথ্য দিতে পারত না কারণ সে তার নিজ দেশের সীমানার উপরে থাকত না।

★১২) আকাশের দিকে কিছুসময় তাকান,-দেখতে পাবেন কিছু মেঘ ডান দিক থেকে বামে যাচ্ছে  আবার তার উপরের সাড়ির মেঘ বাম দিক থেকে ডানে যাচ্ছে, পৃথিবী ঘুরলে বায়ু প্রবাহের কারণে  মেঘে এক দিকেই যেতো।পবিত্র কোরআনে আছে -“নিশ্চয় আল্লাহ আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন, যাতে টলে না যায়। যদি এগুলো টলে যায় তবে তিনি ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে ? তিনি সহনশীল, ক্ষমাশীল। [সুরা ফাতির – ৩৫:৪১]

অতএব চীনের আধুনিক একটি নদীতে বাধঁ নির্মাণ করে পৃথিবীর ঘুরবার গতিকে কমিয়ে দেবার দাবী ১০০% অবান্তর, যেহেতু পৃথিবী ঘুরছেই না। অন্য আয়াতে আছে- “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। [সুরা আম্বিয়া – ২১:৩৩]

★১৩) সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক অনেক গুনে বড়, অতএব প্রথম ভূল হচ্ছে টেবিলের উপর বড়  গ্লোব আর ছোট মোমবাতি নয় বরং বড় চুলার আগুন এবং তার সামনে খুবই ছোট একটি মারবেল বা এই ধরণের  আয়তনের কিছু রেখে  পৃথিবীতে আলোর সীমানা কভার হবার ভাবটা অনুমান করা উচিৎ, তাতে ফলাফল চিন্তার বিষয় দাড়াঁবে ১০০%। অন্য আরেকটি আয়াতে আছে, “সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ। [৩৬:৩৮]

সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে। [৩৬:৪০] পৃথিবীকে ঘিরেই সব ঘুরছে এবং দিন রাত্রী আল্লাহর সৃষ্টি আরেকটি অলৌকিক কারিশমা। পবিত্র কোরআনে আছে,” আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃষ্টি করেছি এবং আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি। [সুরা ক্বাফ – ৫০:৩৮]”  অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। [৪১:৯+১০]

★১৪) তিনি পৃথিবীকে স্থাপন করেছেন সৃষ্টজীবের জন্যে। [৫৫:১০] তারমানে অন্য কোন গ্রহ উপগ্রহে আর কোন জীব এলিয়েন বলতে কিছু নাই, তবে মহাকাশে বিভিন্ন জায়গায়  জ্বীন আছে বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। যেহেতু  চাদঁ সহ সব গ্রহ উপগ্রহ ঘুরছে মানে অস্থীর সেহেতু এ গুলি বসবাস যোগ্য নয়।

১৫) ১০০ গজ তফাৎ রেখে ২টি ফুটবল রাখুন। ১ম বলের সামনে দাঁড়িয়ে অপর প্রান্তের বলটিকে ছোট দেখাবে। অপর প্রান্তের বলটির সঠিক আয়তন জানতে সেই বলটির কাছে যেতে হবে। ছবি তুলে ঝুম করলে ইচ্ছা মত বলটিকে ছোট বড় করা যাবে কিন্তু বলটির সঠিক আয়তন বলতে হলে বলটির কাছে অবশ্যই যেতে হবে। এত শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে শত আলোকবর্ষ দূরের সূর্য গ্রহ দেখে পরিমাপ ও কিছু অনুমান করা গেলে চাদেঁ নভোচারী বা রোবট পাঠানোর কি প্রয়োজন ?

★১৬) কোন একটি নির্ধারিত স্থানে  সূর্য মাথার উপর যত আসবে তত তাপ বাড়ে  এবং তা অনুধাবন  করা যায়, কিন্তু সকাল ও সন্ধায় তাপ কম হবার কারণ গবেষক গন বলেন যে, -ঐ স্থান থেকে সূর্যের দূরত্ব কিছুটা বাড়ায় তাপমাত্রা কমে। উল্লেখ্য যে, আপনি আমি সূর্যের উদয় এবং ডুবা বা অস্ত যায় দেখলেও সূর্য কখনোই উদয় বা অস্ত যায়না, সে শুধু পৃথিবীর চার পাশে  ঘোরে এবং তাপ দেয়, কোথাও অস্ত যাওয়া দেখা যায় তো কোথাও উদয়। মূল প্রসংগে আসা যাক,-“অতি সামান্য দূরত্বের কারণে দুপুরে খাড়া তাপ দেয়া স্থান থেকে   সকাল বিকালের সূর্যের তাপ যদি কমে এবং দুপুরে  কাছে আসায় বাড়ে তাহলে চাদেঁর তাপমাত্রা অনেক অনেক বেশী হবার কথা কারণ চাদঁ সূর্যের আরো বেশী নিকটে, এবং সত্যিকার অর্থে কেউ চাদেঁ যেতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছেনা,খটকা লাগছে।আরেকটি কথা  যা না বললেই নয়,গবেষকগন বলছেন যে মহাশূন্যে বাতাস নেই এবং চাদেঁ কম পরিমাণে বাতাস আছে তাহলে গাছ বিহীন মহাশূন্য এবং চাদঁকে শীতল রাখলো কে যে নভোচারীরা  মহাশূন্যে নভোযানকে নিয়ন্ত্রণ রেখে সেখানে যেতে পারে ? এবং নভোযান গুলো কিসের উপর ভর করে বা ধাক্কা দিয়ে উপরে উঠতে পারে যেমনটা মাছ পাখি বিমান হেলিকপ্টার উড়তে পারে ?  শুধু মহা শূন্য এবং পৃথিবী স্থীর । মোট কথা, “সেন্টার বুঝতে ভূল হয়েছে,সূর্য নয় বরং সেন্টারে আছে পৃথিবী এবং সব কিছু পৃথিবীকে ঘিরেই ঘুরছে।মহান আল্লাহ পৃথিবী সহ সৌরজগতের সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা সব কিছু সৃষ্টি করেছে ৬ দিনে তারমধ্যে পৃথিবীতেই সময় লাগিয়েছেন ২ দিন, বাকী সব ৪দিনে, মানে এক তৃতীয়াংশ সময় লাগিয়েছে শুধু উনার প্রীয় পৃথিবীর জন্য। অতএব আপনাকে বুঝতে হবে পৃথিবী হচ্ছে স্পেশাল।

এই পৃথিবীকে কিছু গবেষক দাড়ঁ করিয়েছেন অন্য সব গ্রহের লাইনে। এতে পৃথিবীর মান যায়। পৃথিবীর সেবায়ই চন্দ্র সূর্য আলোক সজ্জা  সব কিছু, অতএব পৃথিবীই আছে সৌরজগতের কেন্দ্র বিন্দুতে,কেন্দ্রবিন্দুতে।আল্লাহর আরশ ফেরেশতাগন  জ্বীন  দোজখ জান্নাত বিচার শাস্তি সব কিছুই এই মানুষে ঘিরে আর এই মানুষই হচ্ছেন পৃথিবীর বাসিন্দা, অতএব পৃথিবী স্পেশাল, মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব। এখন প্রশ্ন সুরা তালাকের শেষ এবং শেষের আগের আয়াত কি বলছে,ঐ সব পৃথিবীতে কারা আছে? আরশ হচ্ছে আরশের অধিপতি আল্লাহররাজ দরবারের মতো যেখানে জান্নাত দোজখ নেই।তিনি প্রথম আসমানে সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা স্হাপিত করেছেন পৃথিবীর জন্য।বাকী গুলোতে নেই কেন? বাকী গুলো জান্নাত যাহা আরশে স্হাপিত নয় বলে মনে করি।পৃথিবীর যাবতীয় সুখ শান্তি চাওয়া পাওয়া পূরণ হবার জায়গা ঐ সব পৃথিবী।শেষ আয়াতের  আগের আয়াত এমনটাই মনে হচ্ছে।

★★★ আসমানি কিতাব তাওরাত এবং ইন্জিল একই আল্লাহর বাণী। তাই এগুলিতেও সূর্য এবং পৃথিবী ঘুরার বিয়য়ে মত পার্থক্য নেই। ততকালীন সময়ে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরার মতপার্থক্য এবং বিরোধীতা করায় আসমানী কিতাব অবমাননার দ্বায়ে কিছু ইহুদী এবং খৃষ্টানরা জ্যোতির্বিদ জিওর্দানো ব্রোনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে যিনি কিনা পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরার থিউরির সর্ব প্রথম জনক।

★★★  বিজ্ঞান বলেনি যে,-“পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে, বরং কিছু গবেষক বলেছে যে,-“পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে”। কারো মতামত প্রকাশ বিজ্ঞান নয়। বিষয়টি ল্যাবে টেষ্টযোগ্য নয়। আমিও একজন তাদের মতো গবেষক তবে মহান আল্লাহর দেয়া পবিত্র কোরআন পড়ুয়া।  পার্থক্য এতটুকু।

আপনি এ ট্রপিকসটা পড়তে বড় জোর আধা ঘন্টা সময় ব্যায় করলেন !  আর আমার এটি লিখতে অর্ধ বছর সময় তন্য তন্য করে কোরআন পড়তে হয়েছে।।

By Ekramul hoq

I am A.K.M Ekramul hoq MA.LLB. Rtd Bank Manager & PO of Agrani Bank Ltd. I am interested writing and reading. Also innovator of history of Islam. Lives in Bangladesh, District Jamalpur.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Verified by MonsterInsights