এজিদের শিবিরের আযানঃ
সে দিন ছিল শুক্রবার ! আযান তো এজিদের শিবিরেও দিয়েছিল — হোসেনের শিবিরেও দিয়েছিল। দুই আযানের উদ্দেশ্য কি এক ছিল ?
এজিদের শিবিরের ২৫০০০ সেনা ক্ষমতা পাকা রাখার জন্য আযান দিয়েছিল আর হোসেনের শিবরের মাত্র ৭২ জন তাদের জীবন উৎসর্গ করে হলেও ইসলামকে সমন্নুত রাখার জন্য আযান দিয়েছিল। সে ধারা আজো চলমান…।
বাংলাদেশ নামক জনপথটি আজো সে ধারাকে বুকে আঁকড়ে রেখেছে যদিও কাউন্টার হোসেনের শিবিরের কোন অস্তিত্তই নেই। একদল কোরানের আইনে রাষ্ট্র পরিচালনার দাবী করে অথচ তারা কোনদিন কোরান খুলেও দেখেনি, তারা এটাও জানে কোরান মানুষের জীবন বিধান, কোন রাষ্ট্র কাঠামো বা জনপদের জন্য নয়। যারা এ দাবী করে তারা আসলে হুজুর ভিত্তিক ধর্ম পালন করে।
আর বাকি ছিটে ফোটা কিছু অর্ধ শিক্ষিত, ফেইসবুক ধার্মিক বা মোবাইল এ্যাপের কোরানিষ্ট দাবীদার তারা তাদের অনুকুলের কোরানের বাংলা অনুবাদ প্রচার করে নিজেকে কোরানিষ্ট দাবী করলেও ভিতরে ভিতরে বিএনপি বা জামাতের শিবরের রাষ্ট্র ক্ষমতার আশা পোষনকারী। হোসেনের শিবিরের কখনোই না।
তার কারন তারা কোরান বুঝতেই চেষ্টা করেনি কখনো।
অন্যের করা অনুবাদ নিয়ে নিজেকে মহাপন্ডিত ভেবে বসে আছে। আসলে কোরানে কি ইংগিত বহন করে এর ভাষা বুঝার নুন্যতম আগ্রহও নেই তাদের।
কোটা আন্দলনের বিজয়ে তা আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই আল্লাহ বলেছেনঃ ” হে রাসুল আপনি ভাবছেন তারা ঈমান এনেছে? কখখোনই না। অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ
আমরা আপনাকে অবিচলিত না রাখলে আপনি অবশ্যই তাদের দিকে প্রায় কিছুটা ঝুঁকে পডেছিলেন। (১৭:৭৪)