সালাত কেন ব্যার্থঃ
فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلّٰىۙ (ফালা সাদ্দাকা ওয়া লা সাল্লু)
সে সত্য বলে নাই এবং সালাত আদায় করে নাই।
وَلٰكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلّ (ওয়া লাকিন কাজ্জাবা ওয়াতাওয়াল্লু)
বরং সে মিথ্য বলিয়াছিল এবং মুখ ফিরাইয়া লইয়াছিল।
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيْنَۙ ( ফাওয়াই লুল্লে মুছাল্লিন)
সুতরাং দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের,
যাহারা তাহাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন,১০৭:৫
তবে তারা নয় —
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত
الَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ دَآٮِٕمُوْنَۙ (আল্লাযিনা হুম আলা সালাতিহিম দাইয়েমুন)
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত,৭০:২৩
ফয়সালা দিবসে যখন জিজ্ঞাসিত হবে,
উহারা বলিবে, ‘আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না,(৭৪ঃ৪৩)
তাই উপদেশ তাদের জন্য,
তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবন উপকরণ চাই না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।(২০ঃ১৩২)
সালাতকে আল্লাহর মনোনীত পদ্ধতির বাহিরে যাহারা বিভিন্ন মনগড়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করতো তাদের লক্ষ্য করে বলেন:
“কাবাগৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাহাদের সালাত, সুতরাং কুফরীর জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর।”(৮ঃ৩৫)
উহাদের পরে আসিল অপদার্থ পরবর্তীরা, তাহারা সালাত নষ্ট করিল ও লালসা-পরবশ হইল। সুতরাং উহারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে, ( মারিয়ম ১৯,আয়াত ৫৯)
পক্ষান্তরে আল্লাহর সালাত বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশনাঃ
হে মু’মিনগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের নিকটবর্তী হইও না, যতক্ষণ না তোমরা যাহা বল তাহা বুঝিতে পার,(৪ঃ ৪৩)
তুমি কি দেখ না যে, আকাশ-মণ্ডলী ও পৃথিবীতে যাহারা আছে তাহারা এবং উড্ডীয় মান বিহঙ্গকুল আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে? প্রত্যেকেই জানে তাহার ইবাদতের ও পবিত্রতা ঘোষণার পদ্ধতি এবং উহারা যাহা করে সে বিষয়ে আল্লাহ্ সম্যক অবগত। (২৪:৪১)
বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁহার অভিমুখী হইয়া তাহাকে ভয় কর, সালাত কায়েম কর এবং অন্তর্ভুক্ত হইও না মুশরিকদের,(৩০:৩১)