মানুষের জন্য সর্ব প্রথম যে গৃহ তৈরী হয়েছিল তাহা অবশ্যই বাক্কায়, উহা বরকতময় ও বিশ্বজগতের জন্য পথ-নিদর্শনা । (৩:৯৬)
اِنَّ اَوَّلَ بَیْتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیْ بِبَكَّةَ مُبٰرَكًا وَّ هُدًى لِّلْعٰلَمِیْنَۚ
শব্দার্থ: إِنَّ = নিশ্চয়, أَوَّلَ = প্রথম, بَيْتٍ = ঘর, وُضِعَ = তৈরি করা হয়েছিল, لِلنَّاسِ = মানুষের জন্য, لَلَّذِي = যা অবশ্যই , بِبَكَّةَ = বাক্কায়, مُبَارَكًا = বরকতময়, وَهُدًى = পথ-নির্দেশ/নিশানা, لِلْعَالَمِينَ = বিশ্ব জগতের,
কাবা গৃহ মানুষের জন্য তৈরী প্রথম গৃহ। যা ইব্রাহীম আঃ সংস্কার করেছেন। এখানে সকল বিশ্ববাসীর সম্মেলনের জন্য কল্যান রয়েছে।এখানে সবাই নিরাপদ বলে বিশ্বজগতের অধিবাসীদের লক্ষ্যস্থল। এ কাবায় লুত -উজজ্জা-হাবল ও মানত নামক চারটি প্রধান মুর্তি সহ মোট ৩৬০ টি মুর্তি ছিল। ইব্রাহীম আঃ এই মুর্তি অপসারন করতে গিয়ে দেশান্তর হয়েছেন এবং নমরুদের শাস্তি ভোগ করেছেন। এ থেকে বুঝা যায় মানুষের জন্য তৈরী প্রথম গৃহ কাবা ইব্রাহীম আঃ এরও পুর্বে হয়েছে। কাবা গৃহকে বায়তুল্লাহ বলা সমচীন নয়। কারন বায়তুল্লাহ মানে আল্লাহর ঘর। কিন্তু আল্লাহ নিজে পবিত্র কোরআনের সূরা ইমরানের ৯৬ নং আয়াতে ঘোষণা দিচ্ছেন এটি মানুষের জন্য তৈরী প্রথম ঘর। তাই কাবাগৃহ বায়তুল্লাহ নয় বরং বাইতুননাস।
কাবা আল্লাহর ঘর হলে নবী মুহাম্মদ কাবা চত্বর রেখে জাবালে নূরের হেরা গুহায় দীর্ঘ ১৪ বছর ধ্যানে মগ্ন হতেন না, কাবা চত্বরেই ধ্যানে বসতেন। প্রথম ওহীও হেরা গুহায় না এসে কাবা চত্বরে আসতো।