কালেমা তাইয়্যাবা কোন বাক্যটি ?
” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। “
কোরানে বা হাদীসে এভাবে কোন কালেমার অস্তিত্ত পাওয়া যায় না। যদিও সহী বুখারী শরীফে আছে, তা আবার আরবীতে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। “
কিন্তু বাংলা অনুবাদ করতে গিয়ে অব্যয় পদ “ওয়া আন্না” এর অনুবাদ না করে, ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লিখা হয়েছে। ওয়া আন্না মানে এবং। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ একটি বাক্য এবং মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ একটি বাক্য।
একটি তাওহীদ ও আরেকটি রেসালত বিষয়ক। এ দুটি বাক্য একত্রে একটি বাক্য আকারে প্রকাশ করতে হলে অবশ্যই মাঝখানে একটি অব্যয় পদ ব্যবহার করতে হবে, নচেৎ অর্থ বিগরিয়ে যাবে এবং শিরক হতে পারে।
এবার গ্রামারের দিক থেকে তারকিব ও বালাগাত অনুযায়ী একটি উদাহরন দিয়ে যদি বুঝানো যায় বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। যেমনঃ
১) আমি ও মামুন আজ ঢাকা যাব।
২) আমি মামুন আজ ঢাকা যাব।
১ম বাক্যে দুইজন মানুষকে বুঝায়, ২য় বাক্যে একজন মাত্র ব্যক্তিকে বুঝায়।
আরবী গ্রামার অনুযায়ী ১ম বাক্যে আমি মুকতাদা এবং মামুন খবর — দুইজনকে বুঝায়।
২য় বাক্যে “ও ” হরফ বা অব্যয় পদ না থাকায় — মুকতাদা এবং খবর এক হয়ে একজনকেই বুঝায়। অর্থাৎ যেই মামুন সেই আমি।
একটি অব্যয় পদের অনুপস্থিতির জন্য পুরা বাক্যের বালাগাত ভিন্ন হয়ে যায়।
তাই বাক্যে এই অব্যয় পদের অনুপস্থিতির জন্য অনেকে মাজার ভক্ত পীর দাবী করে থাকেনঃ
” রাসুল খোদা নেহি লেকিন খোদাছে জুদা নেহি।”
আপনার কালেমা তাইয়্যাবাতেই যদি গলদ থাকে তবে আপনি কেমন মুসলিম। দুঃখের বিষয় স্বয়ং সৌদি পতাকাতেও এই একই ভাবে কালেমা লিখা। প্রশ্ন আসে ইসলামের চারন ভুমি যেখান থেকে ইসলামের যাত্রা তারাও কি এ ভুল বুঝে না। উত্তরে বলবো না তারা তো বুঝেই না বরং বাংলাদেশ থেকে ইমাম নিয়ে কাবার মতুয়াল্লী করায়।
আমার বিশ্লেষনে আপনাকে একমত হতে বলবো না। আপনি আপনার বিশ্বাসে অটল থাকুন, তাতেও বাধা দিব না। শুধু বলবো এত গুরুত্তপুর্ণ একটি বাক্য لا الح الللة محمرر رسلللة যা দিয়ে আপনার ধর্মে প্রবেশ, সেটি কোরানে অথবা সহী, জাল, জঈফ কোন হাদীসে আছে কি না জানাবেন। আমিও চিন্তা মুক্ত হব।