কোরাআনের কিছু অনুবাদ বিভ্রাট কোরআনের মুল লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে মানুষকে বিমুখ করে রেখেছে। যা সংশোধন একান্ত প্রয়োজন।
১) সালাত ( প্রচলিত অনুবাদ নামাজ) (প্রকৃত বাংলা রবের আদেশের অনুশীলন)।
২] সিয়াম ( প্রচলিত অনুবাদ রোজা) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ সকল বিষয়ে রবের নির্দেশে সংযম)
৩] হজ্জ (প্রচলিত অনুবাদ হজ্জ) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ মুসলিম মহা সম্মেলন)
৪] যাকাত ( প্রচলিত অনুবাদ যাকাত) ( প্রকৃত বাংলা ভোগকৃত সকল অনুদানের পরিশুদ্ধ করন)
৫] রিবা (প্রচলিত অনুবাদ সুদ) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অনাচার)
৬] ইবাদত ( প্রচলিত অনুবাদ ইবাদত) (প্রকৃত বাংলা স্রষ্ষ্টার নির্দেশনা পরিপালন)
৭] ] ঈমান (প্রচলিত অনুবাদ বিশ্বাস) ( প্রকৃত বাংলা আল্লাহর মনেনীত বিষয়ের উপর বিশ্বাস)
৮] একিন (প্রচলিত অনুবাদ একিন) ( ঈমানের পরিপুর্ণতা)
৯] রুহ (প্রচলিত অনুবাদ আল্লাহর আদেশ) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ আল্লার উপস্থিতি বা অস্তিত্ব)
১০] নাফস ( প্রচলিত অনুবাদ নাফস) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ ভাল মন্দের মিশ্রিত প্রবৃত্তি)
১১] দ্বীন (প্রচলিত অনুবাদ ধর্ম) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ মনোনীত জীবন ব্যবস্থা)
১২] ইসলাম (প্রচলিত অনুবাদ শান্তি) (প্রকৃত বাংলা অনুবাদ আত্মসমর্পন)
১৩] মুসলমান (প্রচলিত অনুবাদ ইসলামে দাখিল) ( প্রকৃত বাংলা ঈমান অনুযায়ী বাস্তব জীবন গঠনকারী)
১৪] মুমিন ( প্রচলিত অনুবাদ মুমিন) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ ঈমান অনুযায়ী জীবন প্রতিষ্ঠিত কারী)
১৫] রুহল কদ্দূস ( প্রচলিত অনুবাদ জিব্রাইল) ( প্রকৃত বাংলা আল্লাহর স্বীয় ঊপস্থিতি।)
১৬] মালাইকা ( প্রচলিত অনুবাদ ফেরেস্তা) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ রবের আজ্ঞাবাহী সত্তা)
১৭] রুকু ( প্রচলিত অনুবাদ রুকু বা ঝুঁকে পড়া) ( প্রকত বাংলা অনুবাদ প্রভুর আদেশের প্রতি অবনত হওয়া)
১৮] সিজদাহ ( প্রচলিত অনুবাদ সিজদা বা মাটিতে মাথা নত) (প্রকৃত বাংলা অনুবাদ প্রভুর আদেশ পালনে লুটিয়ে পড়া)
১৯] উম্মি (প্রচলিত অনুবাদ মুর্খ বা অজ্ঞ) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ অজ্ঞাত)
২০] লৌহে মাহফুজ (প্রচলিত অনুবাদ শিলা খন্ড) (প্রকৃত বাংলা অনুবাদ পুর্ব নির্ধারিত সকল প্রোগ্রাম সংরক্ষনাগার।)
২১] কিয়ামত (প্রচলিত অনুবাদ মহাপ্রলয়) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ যেকোন বিষয়ে চূরান্ত সময়)
২৩] নিয়ামত (প্রচলিত অনুবাদ নিয়ামত বা কল্যান) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ প্রভুর বিনিময় বিহীন অনুদান)
২৪] বাঈয়া (প্রচলিত অনুবাদ ব্যবসা) ( অনুশাসন মেনে জীবিকা)
২৫] সুন্নত (প্রচলিত অনুবাদব নবীর আদর্শ) (প্রকৃত বাংলা অনুবাদ প্রভুর দেখানো রিতী অনুসরন করা)
২৬] হাদীস ( প্রচলিত অনুবাদ বানী বা কথা) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ আল্লাহর বাক্য)
২৭] আয়াত (প্রচলিত অনুবাদ কোরানের বাক্য) (প্রকৃত অনুবাদ আল্লাহর যে কোন নিদর্শন)
২৮] নাযিল (প্রচলিত অনুবাদ অবতীর্ন) (প্রকৃত বাংলা অনুবাদ প্রেরণ)
২৯) ছাকুরা ( প্রচলিত অনুবাদ নেশা) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ মোহ) নেশা মাদকতাকে বুঝায়, যা সাময়িক মস্তিস্ক বিকৃত হয়, পক্ষান্তরে মোহ টাকা পয়সা,সংসার, সন্তান, ব্যবসা ইত্যাদীতে হয়ে অন্য মনস্ক হয়ে পড়ে। সালাতে বসে সব হিসাব মিলায়, কয় রাকাত পড়ছে সেটাও মনে থাকে না অন্যমনস্কতার জন্য। অথচ প্রচলিত অনুবাদে মর্ম দাড়ায় নেশা করা যায়েজ তবে নামাজের সময় নেশা করা যাবে না। (৪:৪৩ মতে)
অনুরপ হে ঈমানদার গন তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। প্রচলিত এ অনুবাদ থেকে মর্ম দ্বারায় সুদ খাওয়া যায়েজ তবে চক্রবৃদদ্ধী আকারে নয়। ইসলামী ব্যাংক।
২৯] তাকওয়া (প্রচলিত অনুবাদ খোদা ভীতি) ( প্রকৃত বাংলা অনুবাদ আল্লাহর নির্দেশ পালনে কঠোর) আল্লাকে ভয় করা নয়। সৎ কর্মচারী মালিককে ভয় পায়না বরং শ্রদ্ধা করে। ভয় পাওয়া আর শ্রদ্ধা করা এক নয়। অসৎ কর্মচারী ভয় পাবে, তার অসততার দুর্বলতায়।
এমন আরো ১১ টি আরবী শব্দ রয়েছে যার বাংলা অনুবাদ এখনো করতে পারি নাই। কারন সেগুলির অনুরুপ আয়াত দ্বীতিয় নেই বলে। তবু চেষ্টা অব্যহত রেখেছি। এ অনুবাদ গুলি কোন অভিধান বা বাংলা একাডেমি থেকে গ্রহন করা হয় নি। সম্পুর্ণ নিজস্ব চিন্তা গবেষনায় কোরানের বিভিন্ন আয়াতের অনুবাদ থেকে গৃহীত নির্যাস হতে অনুবাদগুলি উপস্থাপন করা হলো। এর চেয়ে ভাল আরো কিছু হয়ত পরবর্তি প্রজন্ম আবিস্কার করবে। তাই এ অনুবাদ আমি কাউকে মানতে দৃঢ় প্রত্যয় করবো না।
তবে এতটুকু নিশ্চয়তা দিচ্ছি কোরআনে বর্ণিত এই আরবী শব্দ গুলির পিছনে এই বাংলা অনুবাদ গুলি বসিয়ে একবার পুরো কোরানটা পড়লে সে সত্যিকারই কোরানের মর্ম বুঝতে সক্ষম হবে এবং কোরানের প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাবে।
যারা কোরান বিমুখী এবং কোরানকে মানে কিন্তু অনুবাদ পড়তে রাজি নয়, ফলে প্রচলিত ইবাদতেই তৃপ্ত তাদের এমন অবস্থার প্রধান কারন এই ৪১ টি শব্দের ভুল বা বিদেশী অনুবাদ।
কোরানের মাত্র এই ৪১টি শব্দের সঠিক বাংলা অনুবাদ বসিয়ে কোরান নিজ ভাষায় পড়লে সে প্রচলিত এবাদতের অধিকাংশই পন্ডু সার মনে করবে। তাই আল্লাহ বলেনঃ উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পণ্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে,(১৮:১০৪)
তাই সব না হলেও অন্তত দু-চারটি অনুরুপ আয়াতের আরবী শব্দ গুলির অনুবাদে এই বাংলা অনুবাদ বসিয়ে যাচাই করে দেখার অনুরোধ।
অনুরুপ আরবী শব্দের ৪১ টি আয়াত আমি পরিবেশন করবো কোরআন থেকে। আপনি অনুবাদগুলি বসিয়ে দেখেন আল্লাহ কত সহজ ও প্রান্জল ভাবে আমাদের নির্দেশ উপদেশ দিয়েছেন আর আমরা অনুবাদ বিভ্রাটে কি বুঝে বসে আছি।
যেমন: হে ঈমানদারগন! তোমরা নেশা গ্রস্থ অবস্থায় নামাজের ধারে কাছে যেওনা, যতক্ষন না বুঝতে পার তোমরা কি বলছো।( ৪:৪৩)
উক্ত আয়াতে সালাতের বাংলা বসিয়ে দেখুন মর্ম কি দাড়ায়?
হে বিশ্বাসীগন ! তোমরা মোহ গ্রস্থ অবস্থায় রবের নির্দেশ অনুশীলনে ব্রতী হইও না, যতক্ষন না বুঝতে পার তোমরা কি বলছো? (৪:৪৩)
এবার নিজেই ভাবুন কোন অনুবাদটি শ্রেয় মনে হয় বিবেকের কাছে। কারন আরবী আমাদের ভাষা নয়। তাই এভাষাকে নিজ মাতৃভাষায় রুপান্তর না করে কিভাবে রবের নির্দেশনা আমাদের প্রতি উপদেশ সমুহ আমরা বুঝবো? আর কোরআনকে আরবী ভাষায় কেন নাযিল করেছেন তার কারনও আল্লাহ বলে দিয়েছেন।
আমি যদি ‘আজমী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করিতাম তবে উহারা অবশ্যই বলিত, ‘ইহার আয়াতগুলি বিশদভাবে বিবৃত হয় নাই কেন ?’ কী আশ্চর্য যে, ইহার ভাষা ‘আজমী, অথচ রাসূল আরবীয়! (৪১:৪৪)
বড় দূঃখ হয় আলেম সমাজের প্রতি। কেন তারা সত্য সঠিক প্রকাশে মনোনিবেশ করে না।
তাই মনে হয় আল্লাহ বলেছেনঃ আলেমগণ ও পণ্ডিতগণ কেন পাপ কথা বলিতে ও অবৈধ ভক্ষণে নিষেধ করে না ? ইহারা যাহা করে নিশ্চয় তাহা নিকৃষ্ট (৫:৬৩)। আরো একধাপ এগিয়ে আল্লাহ বলেনঃ তবে কি উহারা কুরআন সম্বন্ধে গভীর চিন্তা করে না? না উহাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (৪৭:২৪)
এই লিখার উপর কোন আলেম কোন বাক্যে বা অনুবাদে দ্বীমত পোষন করলে মন্তব্যে জানানোর অনুরোধ রইল, আমি সংশোধন করে নেব।
********** সালাত,সিয়াম,হজ্জ,যাকাত,ইবাদত,একিন,রুহ, রিবা,নাফস,উম্মি,লৌহেমাহফুজ,নিয়ামত,সুন্নাত,হাদীস ইত্যাদী আরবী শব্দ গুলির সঠিক বাংলা অনুবাদ না থাকায় পারস্য অনুবাদের উপর ভর করে চলতে হয়। ফলে বাংলা ভাষাভাষির মানুষ কোরানে এ শব্দগুলি সমন্বিত আয়াত গুলির সঠিক মর্ম উপলব্ধিতে ব্যার্থ হয়ে গতানুগতিক অনুবাদ পড়ে আল্লাহর নির্দেশনা সঠিক ভাবে বুঝতে সক্ষম না হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং সঠিক উপলব্ধি থেকে দূরে সরে যায়। আমাদের আলেমগনও এ নিয়ে কোন চিন্তা গবেষনা কখনো করার প্রয়োজন বোধ করেন নাই। তারাও আরবী তেলোয়াতে নেকির হিস্যা নিয়ে আমজনতার নিকট প্রিয় ভাজন হয়ে আছেন। ধর্মকে জীবিকা হিসেব বেছে নিয়েছেন তারা। অথচ আরবী উর্দু ফারসী ইংরেজী ভাষার এমন কোন শব্দ নেই যার প্রতিস্থাপিত বাংলা শব্দ নেই।
প্রথমতঃ বিষেশ করে কোরানের আরবী শব্দগুলির সঠিক বাংলা অনুবাদ করতে হলে সেই আরবী শব্দটি কোরানের কত যায়গায় আছে তা আগে সংগ্রহ করতে হয়। অতপর ঐ শব্দটির বাংলা অনুবাদ কি কি ব্যবহার করা হয়েছে তা অনুসন্ধান করতে হয়।
দ্বীতিয়তঃ আরবী শব্দটির বিপরীত আরবী কি কোরানের কোন কোন আয়াতে আছে তা নির্বাচন করতে হয়। সেখান থেকে একটি শব্দের সঠিক অনুবাদ ধরতে পারলে বিপরীত শব্দটির বাংলা অনুবাদ সঠিক কি হবে তা নিরুপন করা সহজ হয়। যেমন লাইল এর বিপরীত নাহার শব্দটি কোরানের ১১টি আয়াতে আছ। এখন লাইল এর অর্থ জানা থাকলে নাহার দিবস সহজে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। এই দূইটি নচ্চ প্রয়োগ করে ফারসী অনুবাদ বাদ দিয়ে বাংলা শাব্দিক অনুবাদ সৃজন করা সম্ভব এবং তখন কোরানের সঠিক মর্ম বাংলাভাষার মানুষের উপলব্ধি করা সম্ভব।
যেমন রুহ একটি আরবী শব্দ, যার বাংলা অনুবাদ রহুই জানি, একটু বেশী হলে রুহ মানে আত্মা বা প্রাণ বুঝি। আরকটু এগিয়ে বুঝলে রুহ এর অনুবাদ ” আল্লাহর আদেশ ” ধরে থাকি। ব্যাস এর বেশী কিছু না। এর বেশী কিছু জানতে চাইলে আলেমগন একটি আয়াত তুলে ধরে খামুস হতে বলেনঃ
“তোমাকে উহারা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ্ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত এবং তোমাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে সামান্যই।’ আয়াত : ৮৫
রুহুর বিপরীত কোন শব্দ কোরানে প্রয়োগ করা হয় নি। তাই দ্বীতিয় পদ্ধতিতে এর বাংলা অনুবাদ করা সম্ভব নয়। প্রথম পদ্ধতি এপ্লাই করেই রুহের বাংলা অনুবাদ বের করে আনতে হবে।
তাই প্রথমে রুহ সংক্রান্ত সকল আয়াত গুলি কালেকশন করি।কোরানে রুহ নিয়ে মোট ৯টি আয়াত আছে। যেমনঃ
১) রুহ * ফিরিশ্তা এবং রূহ্ আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ পার্থিব পঞ্চাশ হাযার বৎসর।(৭০ঃ৪)
২) রুহ* অতঃপর উহাদের হইতে সে পর্দা করিল। অতঃপর আমি তাহার নিকট আমার রূহ্কে পাঠাইলাম, সে তাহার নিকট পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করিল।(১৯:১৭)
৩) রুহ * তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় রুহ ওহী সহ ফেরেস্তাহ প্রেরণ করেন এই বলিয়া যে, তোমরা সতর্ক কর, নিশ্চয়ই আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই; সুতরাং আমাকে ভয় কর।( ১৬: ২)
৪) রুহ * তোমাকে উহারা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘রূহ্ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত এবং তোমাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে সামান্যই।’ সূরা নম্বর: আয়াত নম্বর: ৮৫
৫) রুহ* জিব্রাঈল ইহা লইয়া অবতরণ করিয়াছে (২৬:১৯৩)
৬) রুহ * তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী, ‘আরশের অধিপতি, তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা ওহী প্রেরণ করেন স্বীয় রুহ , যাহাতে সে সতর্ক করিতে পারে কিয়ামত দিবস সম্পর্কে। (৪০: ১৫)
৭);রুহ * ফিরিশ্তা এবং রূহ্ আল্লাহ্র দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে, যাহার পরিমাণ পার্থিব পঞ্চাশ হাযার বৎসর।(৭০: ৪)
৮) রুহ* সেই দিন রূহ্ ও ফিরিশ্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াইবে ; দয়াময় যাহাকে অনুমতি দিবেন সে ব্যতীত অন্যেরা কথা বলিবে না এবং সে যথার্থ বলিবে।(৭৮:৩৮)
৯) রুহ * সেই রাত্রিতে ফিরিশতাগণ ও রূহ্ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাহাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে।(৯৭:৪)
এবার দেখুন ১ নং আয়াতে রুহুর অনুবাদ “রুহ” লিখেছে
২) নং এ “আমার রুহ ” লিখেছে অনুবাদে
৩) নং এ রুহর অনুবাদে স্বীয় রুহ লিখেছে
৪) নং এ রুহ এর অনুবাদ রুহ ই করেছে
৫) নং এ রুহ এর অনুবাদ ” জিব্রাঈল ” লিখেছে অনুবাদ
৬) নং এ রুহের অনুবাদ “স্বীয় রুহ ” অনুবাদ করেছে
৭) নং আয়াতে রুহ এর অনুবাদ রুহ করেছে
৮) নং আয়াতে রুহ এর অনুবাদ রুহ লিখা হয়েছে
৯) নং আয়াতে একটু ব্তিক্রম রুহ এর অনুবাদ আল্লাহর অনুমতি ক্রমে রুহ লিখেছে
*** সব কটি আয়াত পর্যালোচনা করে রুহ এর বাংলা অনুবাদ ” আল্লাহর অস্তিত্ব ” বুঝায়।
এবার আপনি রুহ শব্দের বাংলা অনুবাদ “আল্লাহর অস্তিত্ব” বসিয়ে অনুবাদ করে দেখুন, প্রতিটি আয়াতের মর্ম আপনার নিকট কত সহজ ও বোধগম্য হয়ে হৃদয়ে উপলব্ধি আসে।
এভাবে সালাত, হজ্জ, সিয়াম, যাকাত, রিবা, ইবাদত, একিন,নিয়ামত, আয়াত,উম্মি,দ্বীন, সিজদাহ, রুকু ইত্যাদি আরবী শব্দগুলির বাংলা অনুবাদ সৃষ্টি করে বসিয়ে দেখুন আল্লাহ কত প্রাঞ্জল ভাষায় আমাদের কি বুঝাতে চেয়েছেন আর আমরা কি বুঝে বসে আছি, শুধু সঠিক অনুবাদের অভাবে।