নামাজ হচ্ছে নির্দিষ্ট ফরমেটে বুঝে বা না বুঝে একটা নির্ধারিত সময়ে সালামের মাধ্যমে সমাপ্ত করার নাম। আর সালাত হলো- পঠিত কুরআনের বিধানকে নিজ, পরিবার এবং সমাজ জীবনে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে কুরআনে বর্ননা সুপ্রতিষ্ঠিত পথে (সিরাতুম মুস্তাকিম) অটল থাকার নাম।
পক্ষান্তরে সালাত হল কোরান তেলোয়াতের অনুষ্ঠান। সালাতে যা বলছি বাস্তব জীবনে সালাতের বাহিরেও তার বাস্তব প্রতিফলন ঘঠানোকেই সালাত কায়েম করা বুঝায়। সালাত পুঁজা মন্ডবে কিছু মন্ত্র পাঠ করার মত কোন অনুষ্ঠান নয়।
@ সালাত অবশ্যই আল্লাহর স্মরনে জিকির। তাহলে সালাত কি এবং কি ভাবে কায়েম করতে হবে।
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত, ৭০ঃ২৩
যাহারা দাঁড়াইয়া, বসিয়া ও শুইয়া আল্লাহ্কে স্মরণ করে এবং আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্ত করে ও বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি ইহা নিরর্থক সৃষ্টি কর নাই, তুমি পবিত্র, তুমি আমাদেরকে দোজখের শাস্তি হইতে রক্ষা কর। ( ৩ঃ১৯১)
অতঃপর আল্লাহ বলেনঃ যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ কর তারাই সৃষ্টির সেরা,তারাই সফলকাম এবং তাদের জন্যই জান্নাত নির্ধারিত।
কোরআন বারবার বলে, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাহারাই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ। (৯৮ঃ৭) আর যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাহারাই জান্নাতবাসী, তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে।(২ঃ৮২) ” যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, পরম আনন্দ এবং শুভ পরিণাম তাহাদেরই।’ ১৩ঃ২৯
এবার আসা যাক ঈমান কি? সৎকর্ম কি ?
ঈমান বা বিশ্বাস কিসের উপর আনতে হবে ?
তোমরা বল, ‘আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি, এবং যাহা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব ও তাহার বংশধর গণের প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে; এবং যাহা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেওয়া হইয়াছে ;'(২ঃ১৩৬)
অন্যত্র আল্লাহ বলেনঃ কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে।(২ঃ১৭৭)
সৎকর্ম কোন গুলি কি কি?
পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নাই; কিন্তু পুণ্য আছে কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহ্ প্রেমে আত্নীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্য প্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, সালাত কায়েম করিলে ও যাকাত প্রদান করিলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়া তাহা পূর্ণ করিলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী। ২ঃ১৭৭
আল্লাহ মানুষকে অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন।(৯১ঃ৮) সে যেটি ইচ্ছে করতে পারে।
অতএব তুমি যখনই অবসর পাও একান্তে ইবাদত করিও। ৯৪ঃ৭
প্রতেক ব্যাক্তিই নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে। কেউ কারো বোঝা বহন করবে না। (৬:১৬৪)
যারা মুত্তাকী, তাদের জন্য দুনিয়াতে মঙ্গল, পরকালে জান্নাত তাদের প্রান হরনের সময় মালা-ইকাগণ বলবে “সালামুন আলাইকুম ৷” (১৬ঃ৩১)