হাদীস মানার বাধ্যবাধকতা ও তার সীমারেখাঃ
বেশিরভাগ মানুষ হাদিস বলতে বুঝেন নবীজির (সঃ) বাণী। একারণেই হাদিস মানাকে নবীজির অনুসরণের সমার্থক মনে করেন। হাদিস মানে না মানে নবী মানে না, কত বড় কথা !! হাদিস শব্দের অর্থ কথা বা বর্ণনা। কোরআন হচ্ছে আল্লাহর হাদিস মানে আল্লাহর বাণী। নবীজির কথা মানে নবীজির (সঃ) হাদিস, সাহাবীদের হাদিস মানে সাহাবীদের কথা,আবু জেহেলের হাদিস মানে আবু জেহেলের বাণী, শয়তানের হাদিস মানে শয়তানের কথা। লাহওয়াল হাদিস মানে ফালতু কথা। আমি নবীজির হাদিস মানি (মেনে নিয়েছি অর্থে) কিন্তু আবু জেহেলের হাদিস বা লাহওয়াল হাদিস মানি না।
হাদিসের একাডেমিক পরিভাষা হচ্ছে ‘খবর’। খবর মানে ‘নিউজ’। হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীকে ইংরেজিতে বলে রিপোর্টার, হাদিস সংকলক ইমাম অনেকটা সম্পাদকের মত যিনি খবরের সত্যতা যাচাই বাছাই করে প্রকাশ করেন। কিন্তু সবকিছুর পরও খবর সত্য,মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রনোদিত যেকোন কিছুই হতে পারে| হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী বা সংকলনকারী ইমামদের নাম বা অনুমোদন কোরআনে নাই। বরং কোরআনে আল্লাহ বলেছেন “মদীনাবাসীদের মধ্যে অনেক মুনাফিক আছে, তুমি তাদেরকে চিন না,
আমি তাদেরকে চিনি”। নবীজির (সঃ) এর সাহাবীদের মধ্যে কে বা কাহারা মুনাফিক ছিলো তা নবীজীও জানতেন না।
হাদিস আমাদের দরকার। হাদিস,ইতিহাস, সীরাত সাহিত্য কোরআনের কনটেক্সট বুঝা সহজ করে তুলে।
কিন্তু লোকমুখে শোনা, কোরআন বিরোধী ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হাদিস ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত ইসলাম ধর্মের ঘাড়ে চেপে বসেছে। মুসলমানদের আশেকে রাসূলের নামে আশেকে আবু জেহেল বানানো হচ্ছে। নবীজির নামে প্রচলিত হাদিসের বেশিরভাগই নবীজির কথা নয়। নবীজির নামে বানোয়াট কথা। আমি ঢালাও সব হাদীসের কথা বলছি না। কোনটি বানোয়াট কোনটি নবীজীর তা কোরান জানলে সহজেই বুঝা যায়। তাই নিজ মাতৃভাষায় কোরানের মর্ম বুঝে পড়া একান্ত প্রয়োজন।