ধর্মের দুইটি রুপ রয়েছে। এক ঐশীতন্ত্র দুই মোল্লাতন্ত্র। ঐশী তন্ত্রের মুল লক্ষ্য হলো ঐশী ইচ্ছা, অর্থাৎ ধর্মের এই ধরণে মানুষ চালিত হয় স্রষ্টার ইচ্ছার কাছে নিজের ইচ্ছা আত্মসমর্পণ করার মধ্য দিয়ে।
অন্যদিকে, মোল্লাতন্ত্রের মুল লক্ষ্য হলো কতিপয় মোল্লা পুরোহিত পাদ্রীর ইচ্ছা। এখানে মোল্লারা যে কোন ধর্মের অনুসারীদের ইচ্ছা, স্বপ্ন, কল্পনা, আশা, ভয়, হতাশা, যৌনতা এমন কি মানবীয় প্রায় সকল অনুভূতি গুলোকে একটা নির্দিষ্ট ছকে এঁকে দেয়। এই ছকটা আঁকে মূলত তাদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে। স্বার্থের উপর নির্ভর করে ধর্মের কিতাব গুলোকে তারা নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করে। আর এই ব্যাখ্যাকে পাক কিতাব বলে সাধারণ ধর্মাবলম্বীদের উপর চাপিয়ে দেয়। সেটা কি হিন্দু,কি মুসলিম,কি খৃষ্টান কি বৌদ্ধ সব ধর্মের বেলায় একই নীতি অনুসরন করা হয়।
স্বৈরতন্ত্রের সাথে মোল্লাতন্ত্রের মুল জায়গা থেকে সাদৃশ্য আছে বিধায় তারা নিজেদের মধ্যে ধর্ম এবং রাজনীতির মৈত্রী স্থাপন করে মানুষের ইহকাল এবং পরকাল নিয়ন্ত্রণ করে।
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্বৈরতন্ত্র বাই নেচার মোল্লা তন্ত্রের সাথে আঁতাত করে থাকে। একই সাথে মোল্লাতন্ত্র তার ব্যবসা এবং কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাই নেচার রাষ্ট্র ক্ষমতায় সবসময় স্বৈরতন্ত্রের সহযোগী হয়ে থাকে। মোয়াবিয়া শাশন আমল তার অনন্য দৃষ্টান্ত।